• অব্যাবস্থাপনা ও টেস্ট বানিজ্যের আতুরঘর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রয়েছে আন্তঃটেন্ডারবাজীর অভিযোগ।

    জাকারিয়া রানা
    জেলা প্রতিনিধি


    মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্র এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রেস ক্লাবের কিছু সদস্য ১৪ আগস্ট সকাল ১১ ঘটিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহার কাছে এই হাসপাতালের অব্যস্থাপনা,অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যা পাওয়া যায় তা শুনে শরীর একেবারে নীল হয়ে যাওয়ার মতো।
    অব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ।।।
    গত ২০২৩ – ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য হাসপাতালে রোগীর পথ্য সরবরাহ (খাবার),স্টেশনারি,ধোলাই টেন্ডার হয়েছিল।তার ঠিকাদার ছিল মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ রেজাউল করিম। যার ওয়ার্ক অর্ডার এর মেয়াদ এক বছর যা হিসাব মতে ৩০.০৬.২০২৪ তারিখ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু পর পর তিন অর্থবছর ডায়েট সাপ্লাই করে আসছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।যা আজ পর্যন্ত ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছর পর্যন্ত চলমান।

    এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃপ্রশান্ত কুমার সাহা বলেন যে এমন কোন কাগজ পত্র পাইনাই যার জন্য একই ঠিকাদার এত বছর ডায়েট,স্টেশনারি, ধুপির কাজ করিতে পারে। তবে এটা অডিট আপত্তি যোগ্য বলে আমি মনে করি।

    পটুয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ খালেদুর রহমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা তবে সব কিছু জেনে জানাবো।

    নাম না জানানোর শর্তে এই হাসপাতালের এক স্টাফ জানান ২০২৪ সালের জুন মাসে যখন পুনরায় টেন্ডার হওয়ার কথা তখন টেন্ডারের ব্যাপারে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা করে সেই সময়ের হেড ক্লার্ক রিয়াজ ও ততকালীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তেংমং মোটা অংকের বিনিময়ে পুর্বের ঠিকাদার মেসার্স হাজ্বি এন্টারপ্রাইজ কেই কোন নিয়ম নীতি না মেনে সাপ্লাইয়ের ঠিকাদার নিয়োগ দেন, যা আজ পর্যন্ত চলমান।এই টেন্ডার দুর্নীতির সাথে ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর জড়িত ছিল বলে জনমনে শোনা যায়।
    মির্জাগঞ্জ উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার সেবার মান সন্তশজনক নয়। এই হাসপাতালের ভিতরেই সরকারি দালাল বিদ্দমান যা একেবারেই নোংরামি বই কিছুই না। রোগী চিকিৎসকের কাছে ইচ্ছামত যেতে পারে না। বাসস্টপেজের মত টানাটানির এই ডাক্তারের কাছে আসেন, আর জন ও এই রকম।

    তারপর শুরু হয় কোন ডায়াগনস্টিক এ পাঠাবে তা নিয়া প্রতিযোগিতা।

    ২০২২ সালে সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা রুল জারি করছিল যে, সরকারি হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকতে পারবে না এতে করে সেবার মান রক্ষা করা যায় না।

    কিন্তু মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স এর চিত্র ভিন্ন।

    হাসপাতালের ওয়ালের ১০ হাতের মধ্যেই তিনটি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়।যা সিভিল সার্জন ও টি এইচের পরিদর্শনে ই অনুমোদীত। আবার ডাক্তার ও রোগী যেতে যেন কোন বেগ পেতে না হয় তার জন্য হাসপাতালের কোয়াটারের ভিতর থেকে ওয়াল ভেংগে ডায়াগনস্টিক মালিক রা পথ করে নিয়াছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দ্দেশ মোতাবেক সমগ্র বাংলাদেশে ৫০ টি হাসপাতালে বৈকালিন প্রাক্টিস চালু থাকার অনুমোদন দিয়াছে। তবে সেই তালিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্স এর নাম না থাকলেও বিকালে এখানে সকল ডাক্তারদের চেম্বার বস। শুরু হয় টানাটানি ভাল ডাক্তার ওমুকে এই মিছিল যাতে রোগী রা বিচলিত হয়।কয়েকটি চেম্বারে ডাক্তার প্রাক্টিস করে প্রায় দুর্নীতির সর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। তারা গরীব রোগীদের নিকট হতে ভিজিট ও কমিশনের জন্য অতিরিক্ত টেস্ট চাপিয়ে পাসের ডায়াবেটিস এর দালালের হাতে ধরিয়ে দেয়।

    অত্র হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে সরবরাহকৃত ঔষধের ঠিক মত ডিস্টিভিউশন হচ্ছে না।

    রোগীদের সাথে হাসপাতালের প্রায় সকল স্টাফদের মার্জিত আচরণ করে না।এজন্য প্রয়োজনে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের এ বিষয়ে নিয়মিত কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা।
    হাসপাতালের প্যাথলজি ও রেডিওলজি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকলেও এখানে কোন টেস্ট করানো হয় না।
    অত্র হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য দক্ষ স্টাফদের সংকট বিদ্দমান।

    এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সজনদের সাথে আলোচনা করে যা বোঝা গেল তাতে যা মনে হয় তাতে সরকারি চাকরী বিধিমালা অনুযায়ী যাহারা অত্র হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময়ের অধিক সময় কর্মরত আছেন, তাদেরকে অনতিবিলম্বে বদলি করে নতুনদের যায়গা করে দেওয়া। নতুন রা আসলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
    হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীদের নিরাপত্তার লক্ষে হাসপাতালের আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় উন্নতমানের সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।

    হাসপাতাল থেকে সকল ধরণের সিন্ডিকেট ও রোগী হয়রানি বন্ধ করে অত্র হাসপাতালকে শতভাগ দালাল মুক্ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে সেবা গৃহীতাদের মন্তব্য।

    এখানে অপারেশন থিয়েটার চলমান কিন্তু কোন অপারেশন এখানে হয় না।
    অব্যাবস্থাপনা ও টেস্ট বানিজ্যের আতুরঘর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রয়েছে আন্তঃটেন্ডারবাজীর অভিযোগ। জাকারিয়া রানা জেলা প্রতিনিধি মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্র এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রেস ক্লাবের কিছু সদস্য ১৪ আগস্ট সকাল ১১ ঘটিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহার কাছে এই হাসপাতালের অব্যস্থাপনা,অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যা পাওয়া যায় তা শুনে শরীর একেবারে নীল হয়ে যাওয়ার মতো। অব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ।।। গত ২০২৩ – ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য হাসপাতালে রোগীর পথ্য সরবরাহ (খাবার),স্টেশনারি,ধোলাই টেন্ডার হয়েছিল।তার ঠিকাদার ছিল মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ রেজাউল করিম। যার ওয়ার্ক অর্ডার এর মেয়াদ এক বছর যা হিসাব মতে ৩০.০৬.২০২৪ তারিখ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু পর পর তিন অর্থবছর ডায়েট সাপ্লাই করে আসছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।যা আজ পর্যন্ত ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছর পর্যন্ত চলমান। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃপ্রশান্ত কুমার সাহা বলেন যে এমন কোন কাগজ পত্র পাইনাই যার জন্য একই ঠিকাদার এত বছর ডায়েট,স্টেশনারি, ধুপির কাজ করিতে পারে। তবে এটা অডিট আপত্তি যোগ্য বলে আমি মনে করি। পটুয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ খালেদুর রহমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা তবে সব কিছু জেনে জানাবো। নাম না জানানোর শর্তে এই হাসপাতালের এক স্টাফ জানান ২০২৪ সালের জুন মাসে যখন পুনরায় টেন্ডার হওয়ার কথা তখন টেন্ডারের ব্যাপারে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা করে সেই সময়ের হেড ক্লার্ক রিয়াজ ও ততকালীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তেংমং মোটা অংকের বিনিময়ে পুর্বের ঠিকাদার মেসার্স হাজ্বি এন্টারপ্রাইজ কেই কোন নিয়ম নীতি না মেনে সাপ্লাইয়ের ঠিকাদার নিয়োগ দেন, যা আজ পর্যন্ত চলমান।এই টেন্ডার দুর্নীতির সাথে ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর জড়িত ছিল বলে জনমনে শোনা যায়। মির্জাগঞ্জ উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার সেবার মান সন্তশজনক নয়। এই হাসপাতালের ভিতরেই সরকারি দালাল বিদ্দমান যা একেবারেই নোংরামি বই কিছুই না। রোগী চিকিৎসকের কাছে ইচ্ছামত যেতে পারে না। বাসস্টপেজের মত টানাটানির এই ডাক্তারের কাছে আসেন, আর জন ও এই রকম। তারপর শুরু হয় কোন ডায়াগনস্টিক এ পাঠাবে তা নিয়া প্রতিযোগিতা। ২০২২ সালে সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা রুল জারি করছিল যে, সরকারি হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকতে পারবে না এতে করে সেবার মান রক্ষা করা যায় না। কিন্তু মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স এর চিত্র ভিন্ন। হাসপাতালের ওয়ালের ১০ হাতের মধ্যেই তিনটি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়।যা সিভিল সার্জন ও টি এইচের পরিদর্শনে ই অনুমোদীত। আবার ডাক্তার ও রোগী যেতে যেন কোন বেগ পেতে না হয় তার জন্য হাসপাতালের কোয়াটারের ভিতর থেকে ওয়াল ভেংগে ডায়াগনস্টিক মালিক রা পথ করে নিয়াছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দ্দেশ মোতাবেক সমগ্র বাংলাদেশে ৫০ টি হাসপাতালে বৈকালিন প্রাক্টিস চালু থাকার অনুমোদন দিয়াছে। তবে সেই তালিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্স এর নাম না থাকলেও বিকালে এখানে সকল ডাক্তারদের চেম্বার বস। শুরু হয় টানাটানি ভাল ডাক্তার ওমুকে এই মিছিল যাতে রোগী রা বিচলিত হয়।কয়েকটি চেম্বারে ডাক্তার প্রাক্টিস করে প্রায় দুর্নীতির সর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। তারা গরীব রোগীদের নিকট হতে ভিজিট ও কমিশনের জন্য অতিরিক্ত টেস্ট চাপিয়ে পাসের ডায়াবেটিস এর দালালের হাতে ধরিয়ে দেয়। অত্র হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে সরবরাহকৃত ঔষধের ঠিক মত ডিস্টিভিউশন হচ্ছে না। রোগীদের সাথে হাসপাতালের প্রায় সকল স্টাফদের মার্জিত আচরণ করে না।এজন্য প্রয়োজনে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের এ বিষয়ে নিয়মিত কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা। হাসপাতালের প্যাথলজি ও রেডিওলজি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকলেও এখানে কোন টেস্ট করানো হয় না। অত্র হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য দক্ষ স্টাফদের সংকট বিদ্দমান। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সজনদের সাথে আলোচনা করে যা বোঝা গেল তাতে যা মনে হয় তাতে সরকারি চাকরী বিধিমালা অনুযায়ী যাহারা অত্র হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময়ের অধিক সময় কর্মরত আছেন, তাদেরকে অনতিবিলম্বে বদলি করে নতুনদের যায়গা করে দেওয়া। নতুন রা আসলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীদের নিরাপত্তার লক্ষে হাসপাতালের আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় উন্নতমানের সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। হাসপাতাল থেকে সকল ধরণের সিন্ডিকেট ও রোগী হয়রানি বন্ধ করে অত্র হাসপাতালকে শতভাগ দালাল মুক্ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে সেবা গৃহীতাদের মন্তব্য। এখানে অপারেশন থিয়েটার চলমান কিন্তু কোন অপারেশন এখানে হয় না।
    Yay
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 455 Views 0 previzualizare
  • এই লোকটি বাহ্রা ঘাট সংলগ্ন তেতুল তলায় পদ্মা নদীতে ভেসে আসছে আজ মাগরিবের একটু আগে। তবে ছেলেটি পুরা উলঙ্গ ছিলো। আর বাসা, নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারে না। দেখে পাগল বলে মনেও হয় না। কেউ চিনে থাকলে বাহ্রাঘাট সংলগ্ন তেতুল তলায় যোগাযোগ করতে পারেন।
    এই লোকটি বাহ্রা ঘাট সংলগ্ন তেতুল তলায় পদ্মা নদীতে ভেসে আসছে আজ মাগরিবের একটু আগে। তবে ছেলেটি পুরা উলঙ্গ ছিলো। আর বাসা, নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারে না। দেখে পাগল বলে মনেও হয় না। কেউ চিনে থাকলে বাহ্রাঘাট সংলগ্ন তেতুল তলায় যোগাযোগ করতে পারেন।
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 284 Views 0 previzualizare
  • রাজধানীর ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী সাতটি পাথরের আড়তে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক চল্লিশ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায়...
    রাজধানীর ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী সাতটি পাথরের আড়তে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক চল্লিশ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায়...
    0 Commentarii 0 Distribuiri 296 Views 0 previzualizare
  • কোচিং বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে মাইলস্টোনে স্বজনদের মানববন্ধন..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/koching-bndhsh-8-dfa-dabite-mailstone-sbjnder-manbbndhn_18098.html
    কোচিং বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে মাইলস্টোনে স্বজনদের মানববন্ধন.. https://eyenewsbd.com/articles/read/koching-bndhsh-8-dfa-dabite-mailstone-sbjnder-manbbndhn_18098.html
    EYENEWSBD.COM
    কোচিং বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে মাইলস্টোনে স্বজনদের মানববন্ধন.. | আই নিউজ বিডি
    মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবার কোচিং বন্ধসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।..
    Like
    2
    1 Commentarii 0 Distribuiri 543 Views 0 previzualizare
  • সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!...

    শাহাদাত হোসেন (রাকিব)::
    পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।

    ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।

    ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’
    ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’

    সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের:
    অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়।

    ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না:
    অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।

    স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার:
    ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

    নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান:

    ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন।

    ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
    ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’
    অভিযোগ দায়ের

    ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন।

    অপরাধ ও শাস্তি

    অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।

    সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা

    ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’

    অপরাধের বিচার

    ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।

    ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।

    মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি

    কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক

    ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!... শাহাদাত হোসেন (রাকিব):: পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব। ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’ ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের: অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়। ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার: ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান: ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’ অভিযোগ দায়ের ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন। অপরাধ ও শাস্তি অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে। সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ অপরাধের বিচার ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    Like
    1
    1 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 0 previzualizare
  • -মালেশিয়ার জহর বারু তে নিম্নোক্ত পাসপোর্টধারী( টাকার মেশিন) বাংলাদেশী ভাই গুলো রোড এক্সিডেন্টে মৃত্যু বরণ করে
    -ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

    -তাদের পরিবার পরিজনদের খবর পৌঁছাতে সহযোগিতা করুন সবাই বেশি করে শেয়ার করুন...
    ০৫-০৮-২০২৫ নিউজ।
    -মালেশিয়ার জহর বারু তে নিম্নোক্ত পাসপোর্টধারী( টাকার মেশিন) বাংলাদেশী ভাই গুলো রোড এক্সিডেন্টে মৃত্যু বরণ করে -ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন -তাদের পরিবার পরিজনদের খবর পৌঁছাতে সহযোগিতা করুন সবাই বেশি করে শেয়ার করুন... 😥❤️‍🩹🤲 ০৫-০৮-২০২৫ নিউজ।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 678 Views 0 previzualizare
  • উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতার কার্যক্রম: দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা

    বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা দেশের সবচেয়ে নিকটতম সংবাদ পরিবেশক যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছে দেন জাতীয় পর্যায়ে। তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্ট, আনন্দ, সমস্যা, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন দেশের সব শ্রেণী ও অংশে পৌঁছায়।

    তাই উপজেলায় একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন ও কর্মপদ্ধতি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আই নিউজ বিডি তাদেরকে নিখুঁত ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা, মানদণ্ড ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে।

    ১. উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকের কাজের ধরন
    উপজেলা সাংবাদিকতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো—

    স্থানীয় ঘটনার সরাসরি কাভারেজ: উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অপরাধ, বন্যা, দুর্যোগ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিবেদন: দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরা।

    স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ।

    জেলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ।

    কাজের প্রকৃতি
    রিপোর্টিং: স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সত্যতা যাচাই।

    নিউজ রাইটিং: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন লেখা।

    ভিডিও নিউজ: ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি।

    ফলো আপ: একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার জন্য পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ।

    মতামত সংগ্রহ: বিভিন্ন পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া।

    ২. উপজেলা সাংবাদিকের কাজের আদর্শ পদ্ধতি
    ২.১ সময়ানুবর্তিতা
    উপজেলা সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন প্রকাশ জরুরি।

    ২.২ নিরপেক্ষতা ও সততা
    সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। তথ্য যাচাই করা হবে যত্নসহকারে।

    ২.৩ পেশাদারিত্ব
    গোপনীয়তা রক্ষা করা।

    ব্যক্তিগত মতামত থেকে বিরত থাকা।

    সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা।

    দায়িত্বশীল আচরণ।

    ২.৪ তথ্য সংগ্রহের নৈতিকতা
    সঠিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, অনুমতি নিয়ে ছবি ও ভিডিও গ্রহণ, ব্যাক্তির সম্মতি থাকা।

    ৩. উপজেলা সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কাজ
    ৩.১ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন
    সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষেবা ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং জনসাধারণের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

    ৩.২ সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ
    দুর্ভোগ, অবহেলা, অপরাধ, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংকটের খবর তুলে ধরা।

    ৩.৩ প্রতিবেদন তৈরি
    পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন লেখা।

    ৩.৪ ভিডিও ও ফটো রিপোর্টিং
    গ্রামের ঘটনাবলি, অনুষ্টান, সভা, মিছিল, দুঃখ, দুর্ঘটনা সহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা।

    ৪. কাজের কৌশল: কীভাবে কাজ করা উচিত?
    ৪.১ প্রস্তুতি
    আগাম বিষয়বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

    প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা (মোবাইল, ক্যামেরা, নোটবুক)।

    স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।

    ৪.২ কার্যক্ষেত্রে সতর্কতা
    ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বজায় রাখা।

    পক্ষপাতমুক্ত থাকার চেষ্টা।

    তথ্য সংগ্রহে ধৈর্যশীল হওয়া।

    ৪.৩ তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ
    একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।

    প্রাসঙ্গিক ও নির্ভুল তথ্য নির্বাচন।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই করা।

    ৪.৪ রিপোর্টিং ও প্রকাশনা
    ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল রাখা।

    তথ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন।

    সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো।

    ৫. আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা ও নির্দেশনা
    ৫.১ নিয়মিততা
    প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো।

    ৫.২ মানসম্মত প্রতিবেদন
    তথ্যসমৃদ্ধ, নিরপেক্ষ ও প্রাঞ্জল ভাষায় প্রতিবেদন লেখা।

    ৫.৩ ভিডিও নিউজে মনোযোগ
    ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা।

    ৫.৪ নৈতিকতা ও সততা
    কেউ টাকা নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না।

    কোন প্রকার বিকৃত তথ্য বা গুজব প্রচার করা যাবে না।

    মানবাধিকার ও গণমাধ্যম নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

    ৫.৫ যোগাযোগ ও সহযোগিতা
    অফিসের নির্দেশনা ও প্ল্যানিং মেনে চলা, সহযোগীতা প্রদান ও রিপোর্টারদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি করা।

    ৬. দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সিঁড়ি
    উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে বাংলাদেশের সঠিক তথ্য পরিবেশনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আই নিউজ বিডি এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলতে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক সাংবাদিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের কাজে রূপান্তর করবে। এতে শুধু নিজের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না, দেশ ও সমাজও লাভবান হবে।
    উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতার কার্যক্রম: দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা দেশের সবচেয়ে নিকটতম সংবাদ পরিবেশক যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছে দেন জাতীয় পর্যায়ে। তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্ট, আনন্দ, সমস্যা, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন দেশের সব শ্রেণী ও অংশে পৌঁছায়। তাই উপজেলায় একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন ও কর্মপদ্ধতি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আই নিউজ বিডি তাদেরকে নিখুঁত ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা, মানদণ্ড ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে। ১. উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকের কাজের ধরন উপজেলা সাংবাদিকতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো— স্থানীয় ঘটনার সরাসরি কাভারেজ: উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অপরাধ, বন্যা, দুর্যোগ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিবেদন: দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরা। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ। জেলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ। কাজের প্রকৃতি রিপোর্টিং: স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সত্যতা যাচাই। নিউজ রাইটিং: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন লেখা। ভিডিও নিউজ: ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি। ফলো আপ: একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার জন্য পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ। মতামত সংগ্রহ: বিভিন্ন পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া। ২. উপজেলা সাংবাদিকের কাজের আদর্শ পদ্ধতি ২.১ সময়ানুবর্তিতা উপজেলা সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন প্রকাশ জরুরি। ২.২ নিরপেক্ষতা ও সততা সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। তথ্য যাচাই করা হবে যত্নসহকারে। ২.৩ পেশাদারিত্ব গোপনীয়তা রক্ষা করা। ব্যক্তিগত মতামত থেকে বিরত থাকা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা। দায়িত্বশীল আচরণ। ২.৪ তথ্য সংগ্রহের নৈতিকতা সঠিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, অনুমতি নিয়ে ছবি ও ভিডিও গ্রহণ, ব্যাক্তির সম্মতি থাকা। ৩. উপজেলা সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কাজ ৩.১ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষেবা ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং জনসাধারণের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। ৩.২ সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ দুর্ভোগ, অবহেলা, অপরাধ, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংকটের খবর তুলে ধরা। ৩.৩ প্রতিবেদন তৈরি পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন লেখা। ৩.৪ ভিডিও ও ফটো রিপোর্টিং গ্রামের ঘটনাবলি, অনুষ্টান, সভা, মিছিল, দুঃখ, দুর্ঘটনা সহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা। ৪. কাজের কৌশল: কীভাবে কাজ করা উচিত? ৪.১ প্রস্তুতি আগাম বিষয়বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা (মোবাইল, ক্যামেরা, নোটবুক)। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। ৪.২ কার্যক্ষেত্রে সতর্কতা ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বজায় রাখা। পক্ষপাতমুক্ত থাকার চেষ্টা। তথ্য সংগ্রহে ধৈর্যশীল হওয়া। ৪.৩ তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ। প্রাসঙ্গিক ও নির্ভুল তথ্য নির্বাচন। তথ্যের সত্যতা যাচাই করা। ৪.৪ রিপোর্টিং ও প্রকাশনা ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল রাখা। তথ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন। সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো। ৫. আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা ও নির্দেশনা ৫.১ নিয়মিততা প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো। ৫.২ মানসম্মত প্রতিবেদন তথ্যসমৃদ্ধ, নিরপেক্ষ ও প্রাঞ্জল ভাষায় প্রতিবেদন লেখা। ৫.৩ ভিডিও নিউজে মনোযোগ ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা। ৫.৪ নৈতিকতা ও সততা কেউ টাকা নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না। কোন প্রকার বিকৃত তথ্য বা গুজব প্রচার করা যাবে না। মানবাধিকার ও গণমাধ্যম নীতিমালা মেনে চলতে হবে। ৫.৫ যোগাযোগ ও সহযোগিতা অফিসের নির্দেশনা ও প্ল্যানিং মেনে চলা, সহযোগীতা প্রদান ও রিপোর্টারদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি করা। ৬. দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সিঁড়ি উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে বাংলাদেশের সঠিক তথ্য পরিবেশনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আই নিউজ বিডি এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলতে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক সাংবাদিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের কাজে রূপান্তর করবে। এতে শুধু নিজের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না, দেশ ও সমাজও লাভবান হবে।
    Love
    2
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • সাতক্ষীরার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার নদীর জোয়ারের চিত্র
    সাতক্ষীরার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার নদীর জোয়ারের চিত্র
    0 Commentarii 0 Distribuiri 461 Views 12 0 previzualizare
  • ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান

    ‎ফেনী প্রতিনিধি, ৬ আগস্ট ২০২৫:
    ‎ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) চলমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    ‎নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

    ‎অভিযান চলাকালে পাউবোর বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সংগ্রহ করে টিমটি।
    ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান ‎ ‎ফেনী প্রতিনিধি, ৬ আগস্ট ২০২৫: ‎ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) চলমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ‎ ‎নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। ‎ ‎অভিযান চলাকালে পাউবোর বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সংগ্রহ করে টিমটি।
    Like
    2
    0 Commentarii 0 Distribuiri 439 Views 0 previzualizare
  • বুবলি শাকিব খান এক ফ্রেমে
    নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায় গোটা নেট দুনিয়া

    রিপোর্টার রুদ্র বিশ্বাস খুলনা
    বুবলি শাকিব খান এক ফ্রেমে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায় গোটা নেট দুনিয়া রিপোর্টার রুদ্র বিশ্বাস খুলনা
    0 Commentarii 0 Distribuiri 3K Views 0 previzualizare
  • কুলিয়ারচরে ৪০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান

    মো. আলী সোহেল, কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি :

    কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) এর আওতাভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক, বানিজ্য) ৪০ (চল্লিশ) জন শিক্ষার্থীকে উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার (UBSA)" এবং "উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনী পুরস্কার (HSCA) এর অর্থ যথাক্রমে ১০০০০/- (দশহাজার) টাকা এবং ২৫০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে স্কীম দপ্তর কর্তৃক প্রেরণ করা হয়েছে।

    উপজেলা পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আবুল কাশেম।

    উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ, পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
    কুলিয়ারচরে ৪০ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান মো. আলী সোহেল, কুলিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি) এর আওতাভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশন (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক, বানিজ্য) ৪০ (চল্লিশ) জন শিক্ষার্থীকে উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার (UBSA)" এবং "উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনী পুরস্কার (HSCA) এর অর্থ যথাক্রমে ১০০০০/- (দশহাজার) টাকা এবং ২৫০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে স্কীম দপ্তর কর্তৃক প্রেরণ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরার সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার জনাব আবুল কাশেম। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগন, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ, পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক সহ সাংবাদিকবৃন্দ।
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 0 previzualizare
  • সুন্দরবনের নদী থেকে আহত কচ্ছপ উদ্ধার চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করল কোস্টগার্ড
    রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ পশ্চিম সুন্দরবনের নদী থেকে একটি বিরল প্রজাতির আহত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষে নদীতে অবমুক্ত করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
    শুক্রবার(২৫ জুলাই) সকালে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী থেকে আহত কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ।
    কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান সকালে রুটিন টহলের সময় কচছপটিকে ভেসে থাকতে দেখে সদস্যরা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত কচ্ছপটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং এটি চলাফেরাতেও দুর্বলতা দেখাচ্ছিল।
    প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বনবিভাগের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
    এদিকে স্থানীয়রা জানান চুনকুড়ি নদী ও আশেপাশের জলজ পরিবেশে কচ্ছপসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণি বসবাস করে।তবে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরা ও প্লাস্টিক দূষণের কারণে এসব প্রাণি আজ হুমকির মুখে।
    এদিকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো কোস্টগার্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এ ধরনের কার্যক্রম শুধু একটি প্রাণি বাঁচায়না বরং পুরো বাস্ততন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
    সুন্দরবনের নদী থেকে আহত কচ্ছপ উদ্ধার চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করল কোস্টগার্ড রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ পশ্চিম সুন্দরবনের নদী থেকে একটি বিরল প্রজাতির আহত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষে নদীতে অবমুক্ত করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। শুক্রবার(২৫ জুলাই) সকালে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী থেকে আহত কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড । কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান সকালে রুটিন টহলের সময় কচছপটিকে ভেসে থাকতে দেখে সদস্যরা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত কচ্ছপটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং এটি চলাফেরাতেও দুর্বলতা দেখাচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বনবিভাগের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এদিকে স্থানীয়রা জানান চুনকুড়ি নদী ও আশেপাশের জলজ পরিবেশে কচ্ছপসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণি বসবাস করে।তবে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরা ও প্লাস্টিক দূষণের কারণে এসব প্রাণি আজ হুমকির মুখে। এদিকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো কোস্টগার্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এ ধরনের কার্যক্রম শুধু একটি প্রাণি বাঁচায়না বরং পুরো বাস্ততন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 811 Views 0 previzualizare
Sponsorizeaza Paginile
Eidok App https://eidok.com