লেখক পরিচিতি: তৌফিক সুলতান

স্যার তৌফিক সুলতান একজন নিবেদিতপ্রাণ লেখক, শিক্ষক, গবেষক ও সমাজসেবক—কিন্তু আমার কাছে তিনি তার চেয়েও অনেক বেশি। একসময় তিনি ছিলেন আমার ছাত্র, প্রাইভেট পড়তেন আমার কাছেই। আজ তিনি আমার কলেজ ব্রেভ জুবিল্যান্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ (বি.জে.এস.এম মডেল কলেজ)-এর প্রভাষক হিসেবে কাজ করছেন।
তাঁর এই যাত্রাপথ আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি—একজন মেধাবী, ভদ্র, আত্মমর্যাদাবান ছাত্র থেকে শুরু করে আজকের সমাজচিন্তক লেখক ও প্রিয় শিক্ষক হয়ে ওঠার গল্পটা আমার জন্য এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব গ্রামে ৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯ সালে জন্ম নেওয়া তৌফিক সুলতান স্যার বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্র, সাহিত্য ও সমাজকল্যাণে এক আলোকবর্তিকা। তিনি আব্দুল করিম ও ফাতেমা বেগমের সুযোগ্য সন্তান।
বর্তমানে তিনি ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সমাজ উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। পাশাপাশি, বিকা ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব এন্ড স্টাডি সেন্টার এর প্রেসিডেন্সিয়াল সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর লেখালেখিতে রয়েছে জ্ঞানের গভীরতা, আত্মমর্যাদাবোধ, মানবিকতা এবং ইসলামী মূল্যবোধের সমন্বয়। তিনি নিয়মিত জাতীয় পত্রপত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে লিখে থাকেন।
তৌফিক স্যার শুধু আমার সহকর্মী নন—তিনি আমার ছোট ভাইয়ের মতো, আমার শিক্ষাজীবনের এক উজ্জ্বল প্রাপ্তি।
আমি গর্বের সঙ্গে বলি—
“তৌফিক সুলতান সেই শিক্ষার্থী, যিনি হৃদয়ে আলো বহন করেছিলেন বলেই আজ সমাজকে আলোকিত করছেন।”
আর তার নিজের বিশ্বাস—
"একটি কলম পারে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলতে, একটি চিন্তা পারে একটি প্রজন্মকে আলোকিত করতে।"

লিখেছেন: মঞ্জিল মোল্লা
প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ, বিজেএসএম মডেল কলেজ
এম.ফিল গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বি.এ (সম্মান), এম.এ (ইংরেজি); বি.এড., এম.এ., এম.এড ইন টিসল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
  • 15 Записей
  • 3 Фото
  • 0 Видео
  • Teacher's в Bjsm Model College
  • Проживает в Welftion City
  • Из Al Towfiqi City
  • Male
  • Один/одна
  • 04/02/1999
  • Читают 1 человек
Поиск
Недавние обновления
  • Towfiq Sultan
    Towfiq Sultan
    পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি
    সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন।
    লেখক লিখেন জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়।
    তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে।
    আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো।

    দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি
    সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না।
    পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট
    ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা।
    স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা
    মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে।
    আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি
    একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও।
    বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন
    আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি।
    মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ
    আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
    বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ
    কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।”
    এক বিকেলের শিক্ষণ
    এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে।
    সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য।
    সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

    তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী।
    towfiqsultan.help@gmail.com
    01301483833
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 184 Просмотры 1 предпросмотр
  • জরুরি চিকিৎসা সেবা – জীবন রক্ষার প্রথম হাতিয়ার
    জীবন অমূল্য, আর যেকোনো সময় বিপদ বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন মুহূর্তে দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য গড়ে দেয়। জরুরি চিকিৎসা সেবা (Emergency Medical Services - EMS) হলো এমন একটি বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, যা দুর্ঘটনা, হঠাৎ অসুস্থতা বা জীবন-সংকটাপন্ন অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা ও নিরাপদে হাসপাতালে স্থানান্তর নিশ্চিত করে। জরুরি চিকিৎসা সেবার মূল উদ্দেশ্য দ্রুত সাড়া দেওয়া...
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 982 Просмотры 1 предпросмотр
  • প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Health Care - PHC) হলো একটি জনবান্ধব ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যা জনগণের নিকটবর্তী পর্যায়ে প্রদান করা হয়। এটি শুধুমাত্র রোগের চিকিৎসাই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি কার্যকর উপায়। ১৯৭৮ সালের আলমা-আটা ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য
    সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা – অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক বা সামাজিক বাধা ছাড়াই।


    রোগ প্রতিরোধ করা – সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রচারের মাধ্যমে।


    প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা – যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।


    হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো – ছোটখাটো রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা।


    কমিউনিটি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত করা।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত প্রধান সেবা
    সাধারণ রোগের চিকিৎসা: জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি।


    টিকাদান কর্মসূচি: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।


    মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা: প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা।


    পুষ্টি শিক্ষা ও পরামর্শ: অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ।


    স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ।


    প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও ফার্স্ট এইড।


    পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা।



    কেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি?
    দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা পায় – বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।


    অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী – বড় হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়।


    রোগের জটিলতা কমায় – সময়মতো চিকিৎসা পেলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।


    সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটায় – ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে।



    বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা
    বাংলাদেশে সরকারীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।
    প্রায় ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক সারা দেশে পরিচালিত হচ্ছে।


    এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।


    সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (NGO) মিলিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ
    চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি।


    আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব।


    জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার সীমাবদ্ধতা।


    বাজেট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা।



    সমাধানের উপায়
    স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি।


    ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস চালু করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছানো।


    জনসচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি – টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।


    সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো।


    নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলো-আপ সেবা নিশ্চিত করা।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সুস্থ সমাজের ভিত্তি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এতে শুধু রোগ কমবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও বাড়বে।


    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Health Care - PHC) হলো একটি জনবান্ধব ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যা জনগণের নিকটবর্তী পর্যায়ে প্রদান করা হয়। এটি শুধুমাত্র রোগের চিকিৎসাই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি কার্যকর উপায়। ১৯৭৮ সালের আলমা-আটা ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা – অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক বা সামাজিক বাধা ছাড়াই। রোগ প্রতিরোধ করা – সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রচারের মাধ্যমে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা – যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো – ছোটখাটো রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা। কমিউনিটি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত প্রধান সেবা সাধারণ রোগের চিকিৎসা: জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি। টিকাদান কর্মসূচি: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা: প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা। পুষ্টি শিক্ষা ও পরামর্শ: অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও ফার্স্ট এইড। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা। কেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি? দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা পায় – বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী – বড় হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়। রোগের জটিলতা কমায় – সময়মতো চিকিৎসা পেলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটায় – ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশে সরকারীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। প্রায় ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক সারা দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (NGO) মিলিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব। জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার সীমাবদ্ধতা। বাজেট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। সমাধানের উপায় স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি। ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস চালু করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছানো। জনসচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি – টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলো-আপ সেবা নিশ্চিত করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সুস্থ সমাজের ভিত্তি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এতে শুধু রোগ কমবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও বাড়বে।
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 931 Просмотры 0 предпросмотр
  • 💝

    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট (AL TOWFIQI PHARMACY & CONSULTANT)
    ট্রেড লাইসেন্স নং: ০০২০৪১
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর - ১৭৪৩
    যোগাযোগ নম্বর: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    প্রোপাইটর: তৌফিক সুলতান
    (প্যারামেডিক্স, ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট ইন্টার্ন-ইমারজেন্সি, ফ্যাজরালটি, মেডিসিন, সার্জারি আউটডোর - ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রেজি নং: ৬০৪৪৬)

    প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, যা কেবল ওষুধ সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং স্বাস্থ্যসেবা এবং ডিজিটাল সেবার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোগী ও গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
    তাছাড়া, এখানে শুধুমাত্র ফার্মেসি সেবা নয়, বরং রোগীর সামগ্রিক যত্নের জন্য চিকিৎসা পরামর্শ, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা হয়।

    আমাদের সেবাসমূহ
    ১. ডিজিটাল ও অনলাইন সেবা
    অনলাইন কনসাল্টেশন: অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারদের সাথে ভিডিও কলে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান।


    ই-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা: স্বল্প মূল্যে এবং সহজ উপায়ে ডাক্তারদের পরামর্শ পাওয়া যায়।


    অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট প্ল্যানিং: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য মানসম্মত অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট আয়োজনের সেবা।


    ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডোমেইন সেবা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডোমেইন-হোস্টিং সেবা।


    ডিজিটাল মার্কেটিং ও গুগল SEO: পত্রিকা বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রসার।


    বিকাশ ও সকল অনলাইন পেমেন্ট সেবা।


    চাকরি আবেদন, ভর্তি, এবং অন্যান্য অনলাইন সহায়তা।


    টিআইএন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সার্টিফিকেট সেবা।


    ২. নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    ICU/OT থেকে রোগী বাসায় নেওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান।


    অভিজ্ঞ নার্স ও কেয়ারগিভার দ্বারা বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান।


    ক্যানুলা, ক্যাথেটার, ইনজেকশন, এন.জি. টিউব, ড্রেসিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম হোম কেয়ার হিসেবে।


    বয়স্ক ও বিশেষ রোগীদের জন্য বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা।


    ১০০% নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা নিশ্চিত।


    দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।


    ৩. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সেবা
    BMDC রেজিস্টার্ড এমবিবিএস এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (FCPS/MD) দের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।


    ঢাকার নামকরা হাসপাতালের ডাক্তারদের চেম্বারের মাধ্যমে রোগীদের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পরামর্শ।


    ২৪/৭ নিবেদিত কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট।



    প্রোপাইটর ও প্রতিষ্ঠাতার পরিচিতি
    তৌফিক সুলতান - যিনি একজন প্যারামেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও ইন্টার্ন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, মেডিসিন ও সার্জারি আউটডোর বিভাগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার পেশাদার দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আল তৌফিকী ফার্মেসিকে বিশেষ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তিনি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও অনলাইন মেডিকেল কনসাল্টেশন সেবা প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
    মুসলিম অনলাইন ফার্মেসি ও পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।


    আল তৌফিকী মডেল ফার্মেসি স্থাপন এবং উন্নয়ন।


    দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা বিস্তার।


    স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল সেবা একত্রিত করে রোগীদের জন্য দ্রুত ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত।


    স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ।



    আমাদের শক্তি ও বিশেষত্ব
    বৃহৎ ও অভিজ্ঞ মেডিকেল টিম।


    ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সহজ ও দ্রুত পরামর্শ।


    বিকাশ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সম্পৃক্ত।


    রোগীর আরাম ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।


    প্রতিটি সেবায় স্বাস্থ্যবিধি ও গুণগত মান বজায় রাখা।


    সর্বদা গ্রাহকসেবা প্রাধান্য।



    যোগাযোগের ঠিকানা ও সময়
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর — ১৭৪৩
    মোবাইল: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    অফিস সময়: সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (প্রয়োজনে জরুরি সেবা ২৪/৭)

    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট হলো আপনার স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার বিশ্বস্ত সঙ্গী, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক যত্ন একসাথে মিশে রোগীদের জীবনে সুস্থতা ও শান্তি নিয়ে আসে।
    Like
    Love
    3
    0 Комментарии 0 Поделились 156 Просмотры 1 предпросмотр
  • 💝💝
    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ


    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে।
    স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব
    স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে।
    স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায়
    ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
    ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি।
    ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।
    আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা
    আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।
    নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে।
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে।
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা
    এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা।
    স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 143 Просмотры 0 предпросмотр
  • https://eidok.com/pages/TowfiqSultan
    https://eidok.com/pages/TowfiqSultan
    EIDOK.COM
    Towfiq Sultan
    Writer's Profile: Towfiq Sultan Sir Towfiq Sultan is not only a devoted writer, teacher, researcher, and social worker—but also someone I have known very closely for a long time. He was once my student, receiving private tutoring from me during his academic journey, and today, I am...
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 214 Просмотры 0 предпросмотр
  • 💝💝💝
    পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি
    সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন।
    অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি
    সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না।
    পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট
    ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা।
    স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা
    মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে।
    আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি
    একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও।
    বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন
    আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি।
    মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ
    আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
    বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ
    কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।”
    এক বিকেলের শিক্ষণ
    এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে।
    সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য।
    সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

    তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী।
    towfiqsultan.help@gmail.com
    01301483833
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 130 Просмотры 0 предпросмотр
  • 💝💝
    0 Комментарии 0 Поделились 127 Просмотры 0 предпросмотр
  • পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি
    সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন।
    লেখক লিখেন জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়।
    তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে।
    আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো।

    দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি
    সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না।
    পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট
    ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা।
    স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা
    মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে।
    আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি
    একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও।
    বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন
    আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি।
    মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ
    আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
    বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ
    কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।”
    এক বিকেলের শিক্ষণ
    এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে।
    সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য।
    সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

    তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী।
    towfiqsultan.help@gmail.com
    01301483833
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 126 Просмотры 0 предпросмотр
  • পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি
    সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন।
    অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি
    সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না।
    পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট
    ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা।
    স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা
    মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে।
    আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি
    একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও।
    বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন
    আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি।
    মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ
    আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
    বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ
    কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।”
    এক বিকেলের শিক্ষণ
    এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে।
    সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য।
    সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

    তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী।
    towfiqsultan.help@gmail.com
    01301483833
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 127 Просмотры 0 предпросмотр

  • আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট (AL TOWFIQI PHARMACY & CONSULTANT)
    ট্রেড লাইসেন্স নং: ০০২০৪১
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর - ১৭৪৩
    যোগাযোগ নম্বর: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    প্রোপাইটর: তৌফিক সুলতান
    (প্যারামেডিক্স, ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট ইন্টার্ন-ইমারজেন্সি, ফ্যাজরালটি, মেডিসিন, সার্জারি আউটডোর - ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রেজি নং: ৬০৪৪৬)

    প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, যা কেবল ওষুধ সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং স্বাস্থ্যসেবা এবং ডিজিটাল সেবার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোগী ও গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
    তাছাড়া, এখানে শুধুমাত্র ফার্মেসি সেবা নয়, বরং রোগীর সামগ্রিক যত্নের জন্য চিকিৎসা পরামর্শ, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা হয়।

    আমাদের সেবাসমূহ
    ১. ডিজিটাল ও অনলাইন সেবা
    অনলাইন কনসাল্টেশন: অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারদের সাথে ভিডিও কলে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান।


    ই-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা: স্বল্প মূল্যে এবং সহজ উপায়ে ডাক্তারদের পরামর্শ পাওয়া যায়।


    অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট প্ল্যানিং: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য মানসম্মত অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট আয়োজনের সেবা।


    ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডোমেইন সেবা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডোমেইন-হোস্টিং সেবা।


    ডিজিটাল মার্কেটিং ও গুগল SEO: পত্রিকা বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রসার।


    বিকাশ ও সকল অনলাইন পেমেন্ট সেবা।


    চাকরি আবেদন, ভর্তি, এবং অন্যান্য অনলাইন সহায়তা।


    টিআইএন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সার্টিফিকেট সেবা।


    ২. নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    ICU/OT থেকে রোগী বাসায় নেওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান।


    অভিজ্ঞ নার্স ও কেয়ারগিভার দ্বারা বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান।


    ক্যানুলা, ক্যাথেটার, ইনজেকশন, এন.জি. টিউব, ড্রেসিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম হোম কেয়ার হিসেবে।


    বয়স্ক ও বিশেষ রোগীদের জন্য বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা।


    ১০০% নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা নিশ্চিত।


    দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।


    ৩. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সেবা
    BMDC রেজিস্টার্ড এমবিবিএস এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (FCPS/MD) দের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।


    ঢাকার নামকরা হাসপাতালের ডাক্তারদের চেম্বারের মাধ্যমে রোগীদের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পরামর্শ।


    ২৪/৭ নিবেদিত কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট।



    প্রোপাইটর ও প্রতিষ্ঠাতার পরিচিতি
    তৌফিক সুলতান - যিনি একজন প্যারামেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও ইন্টার্ন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, মেডিসিন ও সার্জারি আউটডোর বিভাগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার পেশাদার দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আল তৌফিকী ফার্মেসিকে বিশেষ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তিনি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও অনলাইন মেডিকেল কনসাল্টেশন সেবা প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
    মুসলিম অনলাইন ফার্মেসি ও পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।


    আল তৌফিকী মডেল ফার্মেসি স্থাপন এবং উন্নয়ন।


    দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা বিস্তার।


    স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল সেবা একত্রিত করে রোগীদের জন্য দ্রুত ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত।


    স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ।



    আমাদের শক্তি ও বিশেষত্ব
    বৃহৎ ও অভিজ্ঞ মেডিকেল টিম।


    ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সহজ ও দ্রুত পরামর্শ।


    বিকাশ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সম্পৃক্ত।


    রোগীর আরাম ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।


    প্রতিটি সেবায় স্বাস্থ্যবিধি ও গুণগত মান বজায় রাখা।


    সর্বদা গ্রাহকসেবা প্রাধান্য।



    যোগাযোগের ঠিকানা ও সময়
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর — ১৭৪৩
    মোবাইল: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    অফিস সময়: সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (প্রয়োজনে জরুরি সেবা ২৪/৭)

    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট হলো আপনার স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার বিশ্বস্ত সঙ্গী, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক যত্ন একসাথে মিশে রোগীদের জীবনে সুস্থতা ও শান্তি নিয়ে আসে।
    0 Комментарии 0 Поделились 124 Просмотры 0 предпросмотр

  • আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট (AL TOWFIQI PHARMACY & CONSULTANT)
    ট্রেড লাইসেন্স নং: ০০২০৪১
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর - ১৭৪৩
    যোগাযোগ নম্বর: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    প্রোপাইটর: তৌফিক সুলতান
    (প্যারামেডিক্স, ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট ইন্টার্ন-ইমারজেন্সি, ফ্যাজরালটি, মেডিসিন, সার্জারি আউটডোর - ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রেজি নং: ৬০৪৪৬)

    প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, যা কেবল ওষুধ সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং স্বাস্থ্যসেবা এবং ডিজিটাল সেবার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোগী ও গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
    তাছাড়া, এখানে শুধুমাত্র ফার্মেসি সেবা নয়, বরং রোগীর সামগ্রিক যত্নের জন্য চিকিৎসা পরামর্শ, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা হয়।

    আমাদের সেবাসমূহ
    ১. ডিজিটাল ও অনলাইন সেবা
    অনলাইন কনসাল্টেশন: অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারদের সাথে ভিডিও কলে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান।


    ই-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা: স্বল্প মূল্যে এবং সহজ উপায়ে ডাক্তারদের পরামর্শ পাওয়া যায়।


    অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট প্ল্যানিং: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য মানসম্মত অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট আয়োজনের সেবা।


    ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডোমেইন সেবা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডোমেইন-হোস্টিং সেবা।


    ডিজিটাল মার্কেটিং ও গুগল SEO: পত্রিকা বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রসার।


    বিকাশ ও সকল অনলাইন পেমেন্ট সেবা।


    চাকরি আবেদন, ভর্তি, এবং অন্যান্য অনলাইন সহায়তা।


    টিআইএন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সার্টিফিকেট সেবা।


    ২. নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    ICU/OT থেকে রোগী বাসায় নেওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান।


    অভিজ্ঞ নার্স ও কেয়ারগিভার দ্বারা বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান।


    ক্যানুলা, ক্যাথেটার, ইনজেকশন, এন.জি. টিউব, ড্রেসিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম হোম কেয়ার হিসেবে।


    বয়স্ক ও বিশেষ রোগীদের জন্য বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা।


    ১০০% নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা নিশ্চিত।


    দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।


    ৩. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সেবা
    BMDC রেজিস্টার্ড এমবিবিএস এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (FCPS/MD) দের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।


    ঢাকার নামকরা হাসপাতালের ডাক্তারদের চেম্বারের মাধ্যমে রোগীদের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পরামর্শ।


    ২৪/৭ নিবেদিত কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট।



    প্রোপাইটর ও প্রতিষ্ঠাতার পরিচিতি
    তৌফিক সুলতান - যিনি একজন প্যারামেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও ইন্টার্ন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, মেডিসিন ও সার্জারি আউটডোর বিভাগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার পেশাদার দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আল তৌফিকী ফার্মেসিকে বিশেষ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তিনি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও অনলাইন মেডিকেল কনসাল্টেশন সেবা প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
    মুসলিম অনলাইন ফার্মেসি ও পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।


    আল তৌফিকী মডেল ফার্মেসি স্থাপন এবং উন্নয়ন।


    দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা বিস্তার।


    স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল সেবা একত্রিত করে রোগীদের জন্য দ্রুত ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত।


    স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ।



    আমাদের শক্তি ও বিশেষত্ব
    বৃহৎ ও অভিজ্ঞ মেডিকেল টিম।


    ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সহজ ও দ্রুত পরামর্শ।


    বিকাশ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সম্পৃক্ত।


    রোগীর আরাম ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।


    প্রতিটি সেবায় স্বাস্থ্যবিধি ও গুণগত মান বজায় রাখা।


    সর্বদা গ্রাহকসেবা প্রাধান্য।



    যোগাযোগের ঠিকানা ও সময়
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর — ১৭৪৩
    মোবাইল: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    অফিস সময়: সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (প্রয়োজনে জরুরি সেবা ২৪/৭)

    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট হলো আপনার স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার বিশ্বস্ত সঙ্গী, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক যত্ন একসাথে মিশে রোগীদের জীবনে সুস্থতা ও শান্তি নিয়ে আসে।
    0 Комментарии 0 Поделились 125 Просмотры 0 предпросмотр
Больше
Eidok App https://eidok.com