0 Commentarii
0 Distribuiri
374 Views
0 previzualizare
Director
Descoperă oameni noi, creează noi conexiuni și faceti-va noi prieteni
-
Vă rugăm să vă autentificați pentru a vă dori, partaja și comenta!
-
0 Commentarii 0 Distribuiri 356 Views 0 previzualizare
-
0 Commentarii 0 Distribuiri 360 Views 0 previzualizare
-
জাতীয় নির্বাচনে তরুণদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা..
https://eyenewsbd.com/articles/read/jatij-nirbachne-trunder-jnj-alada-buth-sthapn-sbrashtr-updeshta_17983.htmlজাতীয় নির্বাচনে তরুণদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা.. https://eyenewsbd.com/articles/read/jatij-nirbachne-trunder-jnj-alada-buth-sthapn-sbrashtr-updeshta_17983.html
EYENEWSBD.COMজাতীয় নির্বাচনে তরুণদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা.. | আই নিউজ বিডিআগামী জাতীয় নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের ঘোষণা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।..1 Commentarii 0 Distribuiri 570 Views 0 previzualizare1
-
১৫ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ: ৫৫ লাখ পরিবারকে সহায়তা করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার..
https://eyenewsbd.com/articles/read/15-taka-kejite-chal-bitrn-55-lakh-pribarke-shajta-krbe-srkar-khadj-updeshta-ali-imam-mjumdar_17984.html১৫ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ: ৫৫ লাখ পরিবারকে সহায়তা করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার.. https://eyenewsbd.com/articles/read/15-taka-kejite-chal-bitrn-55-lakh-pribarke-shajta-krbe-srkar-khadj-updeshta-ali-imam-mjumdar_17984.html
EYENEWSBD.COM১৫ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ: ৫৫ লাখ পরিবারকে সহায়তা করবে সরকার: খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার.. | আই নিউজ বিডিআগামী ১৭ আগস্ট থেকে চালু হতে যাচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, যা দেশের ৫৫ লাখ পরিবারকে সহায়তা করবে।..2 Commentarii 0 Distribuiri 650 Views 0 previzualizare3
-
হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ হারাবেন প্রার্থীরা- নির্বাচন কমিশন..
https://eyenewsbd.com/articles/read/hlfnamaj-mithja-tthj-dile-empi-pd-haraben-prarthira-nirbachn-kmishn_17986.htmlহলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ হারাবেন প্রার্থীরা- নির্বাচন কমিশন.. https://eyenewsbd.com/articles/read/hlfnamaj-mithja-tthj-dile-empi-pd-haraben-prarthira-nirbachn-kmishn_17986.html
EYENEWSBD.COMহলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ হারাবেন প্রার্থীরা- নির্বাচন কমিশন.. | আই নিউজ বিডিহলফনামায় মিথ্যা তথ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে নির্বাচিত এমপি পদ হারাতে পারেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।..1 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare1
-
0 Commentarii 0 Distribuiri 418 Views 0 previzualizare
-
https://eyenewsbd.com/articles/read/kutubdia-pulisher-obhijane-30-pis-iabash-ek-jubk-greftar_17994.html
EYENEWSBD.COMকুতুবদিয়ায় পুলিশের অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবাসহ এক যুবক গ্রেফতার.. | আই নিউজ বিডিকুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:0 Commentarii 0 Distribuiri 797 Views 0 previzualizare -
0 Commentarii 0 Distribuiri 418 Views 0 previzualizare
-
সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!...
শাহাদাত হোসেন (রাকিব)::
পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।
‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’
‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’
সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের:
অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়।
৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়।
৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না:
অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।
স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার:
৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান:
৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন।
৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না।
রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’
অভিযোগ দায়ের
৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন।
অপরাধ ও শাস্তি
অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।
সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা
‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’
অপরাধের বিচার
১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে।
২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।
১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।
২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি
কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক
১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!... শাহাদাত হোসেন (রাকিব):: পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব। ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’ ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের: অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়। ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার: ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান: ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’ অভিযোগ দায়ের ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন। অপরাধ ও শাস্তি অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে। সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ অপরাধের বিচার ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।1 Commentarii 0 Distribuiri 4K Views 0 previzualizare1
© 2025 Eidok
Romaian