• Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 387 مشاهدة 0 معاينة
  • 0 التعليقات 0 المشاركات 383 مشاهدة 0 معاينة
  • 0 التعليقات 0 المشاركات 395 مشاهدة 0 معاينة
  • 0 التعليقات 0 المشاركات 398 مشاهدة 0 معاينة
  • এক বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের আমানত বাড়ল ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা
    মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

    সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর আমানত ২০২৩ সালের ৩.৪৮ মিলিয়ন ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৫৭৬.৬১ মিলিয়নে, যা ১৬৫ গুণেরও বেশি। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছুটা কমেছে—১২.৬২ মিলিয়ন ফ্রাঁ, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম।


    এই পরিসংখ্যান ১৯৯৬ সাল থেকে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ সালে—৮৭১.১ মিলিয়ন ফ্রাঁ।

    বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ডলার সংকট এবং বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের খোলামেলা সুযোগের ফলে সুইস ব্যাংকগুলোতে আবারও আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক পর্যায়ের আমানতের এতোটা উল্লম্ফন বৈদেশিক বিনিয়োগ বা আমদানি-রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

    তবে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র আমানতের অঙ্ক প্রকাশ করে, এর মধ্যে কোনো অর্থ বৈধ না অবৈধ তা উল্লেখ থাকে না।

    ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ‘অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন’ (এইওআই) চালু করেছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)। এর আওতায় ২০২৪ সালে সুইস ফেডারেল ট্যাক্স প্রশাসন ১০৮টি দেশের সঙ্গে প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন ব্যাংক হিসাবের তথ্য বিনিময় করেছে।


    কিন্তু ওইসিডির সর্বশেষ (২০২৫ সালের মার্চ) তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো এই প্ল্যাটফর্মে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। অথচ ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো ইতোমধ্যেই সক্রিয়ভাবে এতে যুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করছে।

    এ প্রসঙ্গে এক অর্থনীতিবিদ বলেন, “বাংলাদেশ এখনো স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক কাঠামোতে অংশ না নেওয়ায় দেশের নাগরিকরা সহজেই বিদেশে অর্থ লুকিয়ে রাখতে পারছেন। তথ্য পেতে হলে আমাদের আগে নিজেদের স্বচ্ছতার আওতায় আনতে হবে।”

    ২০২২ সালে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সন্দেহভাজন ৬৭ বাংলাদেশির ব্যাংক তথ্য জানতে সুইস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু মাত্র একজনের ব্যাপারে তথ্য মিলেছে।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আইন ও প্রক্রিয়া এখনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছেনি, যার ফলে সুইস ব্যাংকগুলো বাধ্য নয় এসব তথ্য দিতে।


    সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের আমানতের এই বিস্ফোরক বৃদ্ধি শুধু অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও স্বচ্ছতার অভাবকেও সামনে এনে দিয়েছে। অর্থ পাচার রোধে কঠোর আইন বাস্তবায়ন, তথ্য বিনিময়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ, এবং দুর্নীতিবিরোধী নীতি কার্যকর করার দাবিই এখন জোরালোভাবে উঠছে। না হলে এই ধারা অব্যাহত থাকলে রাষ্ট্রের আর্থিক নিরাপত্তাই প্রশ্নের মুখে পড়বে।
    এক বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের আমানত বাড়ল ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩২ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ১৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, ২০২৪ সালে তা লাফিয়ে গিয়ে পৌঁছেছে ৫৮৯.৫৪ মিলিয়ন ফ্রাঁতে, যার বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর আমানত ২০২৩ সালের ৩.৪৮ মিলিয়ন ফ্রাঁ থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ৫৭৬.৬১ মিলিয়নে, যা ১৬৫ গুণেরও বেশি। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে কিছুটা কমেছে—১২.৬২ মিলিয়ন ফ্রাঁ, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম। এই পরিসংখ্যান ১৯৯৬ সাল থেকে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ছিল ২০২১ সালে—৮৭১.১ মিলিয়ন ফ্রাঁ। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ডলার সংকট এবং বিদেশে অর্থ স্থানান্তরের খোলামেলা সুযোগের ফলে সুইস ব্যাংকগুলোতে আবারও আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক পর্যায়ের আমানতের এতোটা উল্লম্ফন বৈদেশিক বিনিয়োগ বা আমদানি-রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র আমানতের অঙ্ক প্রকাশ করে, এর মধ্যে কোনো অর্থ বৈধ না অবৈধ তা উল্লেখ থাকে না। ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ‘অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন’ (এইওআই) চালু করেছে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি)। এর আওতায় ২০২৪ সালে সুইস ফেডারেল ট্যাক্স প্রশাসন ১০৮টি দেশের সঙ্গে প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন ব্যাংক হিসাবের তথ্য বিনিময় করেছে। কিন্তু ওইসিডির সর্বশেষ (২০২৫ সালের মার্চ) তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ এখনো এই প্ল্যাটফর্মে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। অথচ ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো ইতোমধ্যেই সক্রিয়ভাবে এতে যুক্ত হয়ে তথ্য আদান-প্রদান করছে। এ প্রসঙ্গে এক অর্থনীতিবিদ বলেন, “বাংলাদেশ এখনো স্বচ্ছতার আন্তর্জাতিক কাঠামোতে অংশ না নেওয়ায় দেশের নাগরিকরা সহজেই বিদেশে অর্থ লুকিয়ে রাখতে পারছেন। তথ্য পেতে হলে আমাদের আগে নিজেদের স্বচ্ছতার আওতায় আনতে হবে।” ২০২২ সালে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সন্দেহভাজন ৬৭ বাংলাদেশির ব্যাংক তথ্য জানতে সুইস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু মাত্র একজনের ব্যাপারে তথ্য মিলেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আইন ও প্রক্রিয়া এখনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছেনি, যার ফলে সুইস ব্যাংকগুলো বাধ্য নয় এসব তথ্য দিতে। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের আমানতের এই বিস্ফোরক বৃদ্ধি শুধু অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নয়, বরং প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও স্বচ্ছতার অভাবকেও সামনে এনে দিয়েছে। অর্থ পাচার রোধে কঠোর আইন বাস্তবায়ন, তথ্য বিনিময়ে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ, এবং দুর্নীতিবিরোধী নীতি কার্যকর করার দাবিই এখন জোরালোভাবে উঠছে। না হলে এই ধারা অব্যাহত থাকলে রাষ্ট্রের আর্থিক নিরাপত্তাই প্রশ্নের মুখে পড়বে।
    0 التعليقات 0 المشاركات 242 مشاهدة 0 معاينة
  • সেদিন ছিল শুক্রবার, তারপর থেকে বদলে যায় খামেনির জীবন
    আয়াতুল্লাহ আলি হোসেইনি খামেনি ইরানের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিরোধপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময়ে তিনি ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চেহারা দৃঢ়ভাবে নির্ধারণ করেছেন। তিনি তার জীবন, রাজনীতি ও বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

    আলি হোসেইনি খামেনি ১৯৩৯ সালের ১৯ এপ্রিল ইরানের মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম এক সাধারণ ধর্মীয় শিক্ষকের পরিবারে। ২০ বছর বয়সে নাজাফ ও কুম ইমামতের উচ্চশিক্ষায় মনোনিবেশ করেন তিনি। সেখানে তিনি লোকজীবন, দর্শন ও ইসলামিক প্রশাসন বিষয়ে পরবর্তী পরিশীলিত জ্ঞান লাভ করেন।

    শাহ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কারাবাস ও নির্বাসন

    খামেনি শাহ মুহাম্মাদ রেজা পেহলভির বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। এ কারণে তাকে ছয়বার গ্রেপ্তার করা হয় ও তিন বছর নির্বাসিত থাকার কথা বলা হয়।

    তার জীবন বদলে যায় ১৯৮১ সালের ২৭ জুনের এক ঘটনার মাধ্যমে। সেদিন ছিল শুক্রবার, তিনি তেহরানের আবুজার মসজিদে নামাজে উপস্থিত হন এবং যুদ্ধফ্রন্ট থেকে ফিরে এসে বক্তৃতা দেন। বক্তৃতা শেষে তিনি কিছু যুবকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি সাংবাদিক সেজে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে তার সামনে রাখে। কিছুক্ষণ পর সেই রেকর্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। পরে জানা যায় এটি ছিল একটি বোমা, যাতে লেখা ছিল : ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্রের জন্য ফরকান গ্রুপের উপহার।’


    এই হামলায় তার ডান হাত চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় এবং গলার স্বরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে দ্রুত বাহারলু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায়, এই ফরকান গ্রুপ ছিল এক গোপন চরমপন্থি সংগঠন, যারা শিয়া ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী হলেও ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিত।
    ১৯৮১ সালের হত্যাচেষ্টার পর হাসপাতালে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

    এই হত্যাচেষ্টা ছিল ইরানের রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি উদাহরণ। তখন ইরান ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল। ইসলামি রিপাবলিকান পার্টি ও বিপ্লববিরোধী এমকেও সংগঠনের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছিল। এমকেও শুরুতে শাহের বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু পরে ইসলামি শাসনের বিরোধিতা করে।

    এই ঘটনার পরদিনই ২৮ জুন, আইআরপি কার্যালয়ে আরেকটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন ২৭ সংসদ সদস্য ও বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ বেহেশতি। এসব ঘটনার জন্য সরকার এমকেওকে দায়ী করে, যদিও তারা দায় স্বীকার করেনি।

    তবে এ সময়টি তাকে রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় হতে সহায়তা করে।

    রাষ্ট্রপতি থেকে সর্বোচ্চ নেতা

    ইসলামি বিপ্লবের (১৯৭৯) পর তিনি শরিক সুরক্ষা পরিষদের সদস্য ও পরবর্তীতে বিপ্লবী অভ্যন্তরীণ রক্ষাকারী বাহিনীর সহপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৮১–৮৯ সাল পর্যন্ত দুই দফা রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    ১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেইনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হন তিনি। যদিও তখন তিনি মারজা ধর্মীয় তকমা ছাড়া ছিলেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল সে সময়। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার বিস্তার


    তার শাসনের অধীনে এ সংহত ক্ষমতা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অনুগতদের নিয়োগ বৃদ্ধি পায়। যেমন- বিচার বিভাগ, মধ্যস্থতাকারী কাউন্সিল ও রেবেলিয়ন রক্ষাকারী বাহিনীমন্ডল। ২০০৯ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে গুরুতর পদক্ষেপ নিয়ে তিনি আলোকপাতযোগ্য বিরোধমুখ নীতি গ্রহণ করেন।

    আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব

    খামেনির নেতৃত্বে ইরান ‘প্রতিরোধের অর্থনীতি’ এবং ‘প্রতিরোধের কূটনীতি’ ভূমিকা পরিচালনা করে। সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, গাজা ও ইরাকের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক তার আন্তর্জাতিক কূটনীতির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়।

    পারমাণবিক ফাতওয়া ও রাজনৈতিক প্রভাব

    তিনি ২০০৩ সালে প্রকাশিত এক ফাতওয়ার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র না ধারণের নৈতিক ভিত্তি তুলে ধরেন, যদিও অনেকে এর দাপ্তরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক আলোচনায় এটি ইরানের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য প্রমাণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

    সংকট: অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপ

    বর্তমানে তিনি চলমান ইসরায়েল ও ইরান সংঘর্ষ, অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসে তার অভ্যন্তরীণ পরামর্শদাতারা হামলা-পাল্টা হামলায় নিহত হন। ফলে তার পদক্ষেপগুলো আরও সংকটময় ও দ্বন্দ্বপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যদি তার কিছু হয়ে যায় তবে, তার পুত্র মজতবা খামেনিকে সম্ভাব্য উত্তরাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কাঠামো তিনি দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন, অভ্যন্তরীণ অভিজ্ঞান এবং আঞ্চলিক কূটনীতির মাধ্যমে। অভ্যন্তরীণ বাধাবিপত্তি, আন্তর্জাতিক চাপ ও উত্তরাধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও, তার শাসন পরবর্তী সময়েও আলোচিত থাকবে।

    তথ্যসূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট, বিবিসি, ইন্ডিয়া টুডে
    সেদিন ছিল শুক্রবার, তারপর থেকে বদলে যায় খামেনির জীবন আয়াতুল্লাহ আলি হোসেইনি খামেনি ইরানের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিরোধপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময়ে তিনি ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চেহারা দৃঢ়ভাবে নির্ধারণ করেছেন। তিনি তার জীবন, রাজনীতি ও বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। আলি হোসেইনি খামেনি ১৯৩৯ সালের ১৯ এপ্রিল ইরানের মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম এক সাধারণ ধর্মীয় শিক্ষকের পরিবারে। ২০ বছর বয়সে নাজাফ ও কুম ইমামতের উচ্চশিক্ষায় মনোনিবেশ করেন তিনি। সেখানে তিনি লোকজীবন, দর্শন ও ইসলামিক প্রশাসন বিষয়ে পরবর্তী পরিশীলিত জ্ঞান লাভ করেন। শাহ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কারাবাস ও নির্বাসন খামেনি শাহ মুহাম্মাদ রেজা পেহলভির বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। এ কারণে তাকে ছয়বার গ্রেপ্তার করা হয় ও তিন বছর নির্বাসিত থাকার কথা বলা হয়। তার জীবন বদলে যায় ১৯৮১ সালের ২৭ জুনের এক ঘটনার মাধ্যমে। সেদিন ছিল শুক্রবার, তিনি তেহরানের আবুজার মসজিদে নামাজে উপস্থিত হন এবং যুদ্ধফ্রন্ট থেকে ফিরে এসে বক্তৃতা দেন। বক্তৃতা শেষে তিনি কিছু যুবকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি সাংবাদিক সেজে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে তার সামনে রাখে। কিছুক্ষণ পর সেই রেকর্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। পরে জানা যায় এটি ছিল একটি বোমা, যাতে লেখা ছিল : ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্রের জন্য ফরকান গ্রুপের উপহার।’ এই হামলায় তার ডান হাত চিরতরে পঙ্গু হয়ে যায় এবং গলার স্বরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাকে দ্রুত বাহারলু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জানা যায়, এই ফরকান গ্রুপ ছিল এক গোপন চরমপন্থি সংগঠন, যারা শিয়া ইসলামি আদর্শে বিশ্বাসী হলেও ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিত। ১৯৮১ সালের হত্যাচেষ্টার পর হাসপাতালে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এই হত্যাচেষ্টা ছিল ইরানের রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি উদাহরণ। তখন ইরান ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল। ইসলামি রিপাবলিকান পার্টি ও বিপ্লববিরোধী এমকেও সংগঠনের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছিল। এমকেও শুরুতে শাহের বিরুদ্ধে ছিল, কিন্তু পরে ইসলামি শাসনের বিরোধিতা করে। এই ঘটনার পরদিনই ২৮ জুন, আইআরপি কার্যালয়ে আরেকটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন ২৭ সংসদ সদস্য ও বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ বেহেশতি। এসব ঘটনার জন্য সরকার এমকেওকে দায়ী করে, যদিও তারা দায় স্বীকার করেনি। তবে এ সময়টি তাকে রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় হতে সহায়তা করে। রাষ্ট্রপতি থেকে সর্বোচ্চ নেতা ইসলামি বিপ্লবের (১৯৭৯) পর তিনি শরিক সুরক্ষা পরিষদের সদস্য ও পরবর্তীতে বিপ্লবী অভ্যন্তরীণ রক্ষাকারী বাহিনীর সহপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৮১–৮৯ সাল পর্যন্ত দুই দফা রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেইনির মৃত্যুর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হন তিনি। যদিও তখন তিনি মারজা ধর্মীয় তকমা ছাড়া ছিলেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল সে সময়। অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার বিস্তার তার শাসনের অধীনে এ সংহত ক্ষমতা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অনুগতদের নিয়োগ বৃদ্ধি পায়। যেমন- বিচার বিভাগ, মধ্যস্থতাকারী কাউন্সিল ও রেবেলিয়ন রক্ষাকারী বাহিনীমন্ডল। ২০০৯ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে গুরুতর পদক্ষেপ নিয়ে তিনি আলোকপাতযোগ্য বিরোধমুখ নীতি গ্রহণ করেন। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব খামেনির নেতৃত্বে ইরান ‘প্রতিরোধের অর্থনীতি’ এবং ‘প্রতিরোধের কূটনীতি’ ভূমিকা পরিচালনা করে। সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, গাজা ও ইরাকের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক তার আন্তর্জাতিক কূটনীতির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়। পারমাণবিক ফাতওয়া ও রাজনৈতিক প্রভাব তিনি ২০০৩ সালে প্রকাশিত এক ফাতওয়ার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র না ধারণের নৈতিক ভিত্তি তুলে ধরেন, যদিও অনেকে এর দাপ্তরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক আলোচনায় এটি ইরানের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য প্রমাণে সহায়ক ভূমিকা রাখে। সংকট: অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপ বর্তমানে তিনি চলমান ইসরায়েল ও ইরান সংঘর্ষ, অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ ও অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসে তার অভ্যন্তরীণ পরামর্শদাতারা হামলা-পাল্টা হামলায় নিহত হন। ফলে তার পদক্ষেপগুলো আরও সংকটময় ও দ্বন্দ্বপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যদি তার কিছু হয়ে যায় তবে, তার পুত্র মজতবা খামেনিকে সম্ভাব্য উত্তরাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অন্যতম। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরানের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কাঠামো তিনি দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন, অভ্যন্তরীণ অভিজ্ঞান এবং আঞ্চলিক কূটনীতির মাধ্যমে। অভ্যন্তরীণ বাধাবিপত্তি, আন্তর্জাতিক চাপ ও উত্তরাধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও, তার শাসন পরবর্তী সময়েও আলোচিত থাকবে। তথ্যসূত্র: দ্য জেরুজালেম পোস্ট, বিবিসি, ইন্ডিয়া টুডে
    0 التعليقات 0 المشاركات 223 مشاهدة 0 معاينة
  • 0 التعليقات 0 المشاركات 94 مشاهدة 0 معاينة
  • ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ইরান আত্মরক্ষা অব্যাহত রাখবে: ইরানি রাষ্ট্রদূত
    জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইলি হামলা থামাতে ব্যর্থ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান জাতিসংঘ সনদের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে যাবে। খবর মেহের নিউজ এজেন্সির।

    জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক বৈঠকে সাঈদ ইরাভানি বলেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আশা করে যে গুতেরেস এবঘ নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদের অধীনে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।


    ইরাভানি বলেন, ১৩ জুন থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ইসরাইলি হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ৪৮৭ নম্বর প্রস্তাব, যা এই ধরনের হামলার নিন্দা করে, ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

    ইরানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, গুতেরেস ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পালটাপালটি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
    ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ হওয়া পর্যন্ত ইরান আত্মরক্ষা অব্যাহত রাখবে: ইরানি রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত সাঈদ ইরাভানি বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইলি হামলা থামাতে ব্যর্থ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইরান জাতিসংঘ সনদের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে যাবে। খবর মেহের নিউজ এজেন্সির। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক বৈঠকে সাঈদ ইরাভানি বলেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র আশা করে যে গুতেরেস এবঘ নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদের অধীনে তাদের দায়িত্ব পালন করবে। ইরাভানি বলেন, ১৩ জুন থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ইসরাইলি হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ৪৮৭ নম্বর প্রস্তাব, যা এই ধরনের হামলার নিন্দা করে, ইরানের ওপর ইসরাইলি হামলার ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করতে হবে। ইরানি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, গুতেরেস ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। জবাবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে তেহরান। পালটাপালটি এ হামলায় উভয় দেশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
    0 التعليقات 0 المشاركات 256 مشاهدة 0 معاينة
  • ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা করলে খুশি হবে চীন ও রাশিয়া’
    যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তাহলে এতে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে চীন ও রাশিয়া—এমন মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ আলাম সালেহ।

    আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে চীন ও রাশিয়ার জন্য সেটা অত্যন্ত সুখবর হবে। তারা চাইবে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক, যেটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। ইরান কিন্তু ইয়েমেনের হুতি বা আফগানিস্তানের তালেবান নয় এবং অবশ্যই সিরিয়া বা ইরাকও নয়।’


    তার মতে এই যুদ্ধ যদি শুরু হয়, তবে চীন ও রাশিয়া সরাসরি যুক্ত না হয়ে ইরানকে দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রাখার মতো সহায়তা করবে। এর উদ্দেশ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কয়েক বছরের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ব্যস্ত ও ক্লান্ত রাখা।

    তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, চীন বা রাশিয়া সরাসরি এই যুদ্ধে জড়াবে না। তাদের অবস্থান হবে পেছন থেকে কৌশলগত সমর্থন দেওয়া। চীনের মূল উদ্বেগ থাকবে যেন ইরানের তেল রপ্তানি ও আঞ্চলিক বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চালু থাকে। এর বাইরে, দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিমাদের ওপর চাপ বাড়বে, যা এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের লাভবান করবে।
    ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা করলে খুশি হবে চীন ও রাশিয়া’ যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে সামরিক হস্তক্ষেপ করে, তাহলে এতে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে চীন ও রাশিয়া—এমন মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ আলাম সালেহ। আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে চীন ও রাশিয়ার জন্য সেটা অত্যন্ত সুখবর হবে। তারা চাইবে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক, যেটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। ইরান কিন্তু ইয়েমেনের হুতি বা আফগানিস্তানের তালেবান নয় এবং অবশ্যই সিরিয়া বা ইরাকও নয়।’ তার মতে এই যুদ্ধ যদি শুরু হয়, তবে চীন ও রাশিয়া সরাসরি যুক্ত না হয়ে ইরানকে দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রাখার মতো সহায়তা করবে। এর উদ্দেশ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও কয়েক বছরের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ব্যস্ত ও ক্লান্ত রাখা। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, চীন বা রাশিয়া সরাসরি এই যুদ্ধে জড়াবে না। তাদের অবস্থান হবে পেছন থেকে কৌশলগত সমর্থন দেওয়া। চীনের মূল উদ্বেগ থাকবে যেন ইরানের তেল রপ্তানি ও আঞ্চলিক বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবে চালু থাকে। এর বাইরে, দীর্ঘ যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিমাদের ওপর চাপ বাড়বে, যা এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের লাভবান করবে।
    0 التعليقات 0 المشاركات 180 مشاهدة 0 معاينة
  • ‘ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্প’
    ইরান অভিযানের পর তেলআবিবের পরবর্তী টার্গেট হবে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্প—এমন মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেইর মাসরি। সোশ্যাল হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ এমন মন্তব্য করেন তিনি।

    এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ ওঠে—ইসরায়েল ইরানে পরমাণু হামলা চালালে পাল্টা জবাব দেবে পাকিস্তান। তবে ওই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ইসলামাবাদ।


    দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, পরমাণু কর্মসূচি শুধুমাত্র দেশের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে। এই ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্পকে টার্গেট করার কথা জানান ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

    অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনির। বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, তিনি অসীম মুনিরের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ‘সম্মানিত’।

    গতমাসে ভারতের পেহেলগামে জঙ্গী হামলার পর উত্তেজনা দেখা দেয়ার পর যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান। এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে পাক সেনাপ্রধানের অসামান্য ভূমিকার জন্য এসময় ট্রাম্প তাকে ধন্যবাদ জানান।

    বৈঠকের পর হোয়াট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, আসিম মুনির ট্রাম্পকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কারণ তিনি (ট্রাম্প) ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন—এ কারণেই প্রেসিডেন্ট তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান।
    ‘ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্প’ ইরান অভিযানের পর তেলআবিবের পরবর্তী টার্গেট হবে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্প—এমন মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী মেইর মাসরি। সোশ্যাল হ্যান্ডেল ‘এক্স’-এ এমন মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ ওঠে—ইসরায়েল ইরানে পরমাণু হামলা চালালে পাল্টা জবাব দেবে পাকিস্তান। তবে ওই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ইসলামাবাদ। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, পরমাণু কর্মসূচি শুধুমাত্র দেশের স্বার্থেই ব্যবহৃত হবে। এই ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রকল্পকে টার্গেট করার কথা জানান ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনির। বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, তিনি অসীম মুনিরের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ‘সম্মানিত’। গতমাসে ভারতের পেহেলগামে জঙ্গী হামলার পর উত্তেজনা দেখা দেয়ার পর যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয় ভারত-পাকিস্তান। এই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে পাক সেনাপ্রধানের অসামান্য ভূমিকার জন্য এসময় ট্রাম্প তাকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকের পর হোয়াট হাউজের মুখপাত্র আনা কেলি বলেন, আসিম মুনির ট্রাম্পকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কারণ তিনি (ট্রাম্প) ভারত-পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন—এ কারণেই প্রেসিডেন্ট তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানান।
    0 التعليقات 0 المشاركات 265 مشاهدة 0 معاينة
Eidok App https://eidok.com