-
PBID: 0169001200000428
-
3 χρήστες τους αρέσει
-
17 Δημοσιεύσεις
-
17 τις φωτογραφίες μου
-
0 Videos
-
1 Προεπισκόπηση 5.0
-
People and Nations
© 2025 Eidok
Greek
Πρόσφατες ενημερώσεις
-
ইসরায়েল কীভাবে ফেসবুকে প্রভাব খাটায়: নীরব প্রোপাগান্ডার ডিজিটাল যুদ্ধ
“যুদ্ধ এখন আর শুধু মাটিতে নয়, যুদ্ধ চলে এখন মোবাইল স্ক্রিনে — যেখানেই আপনি স্ক্রল করেন, সেখানেই কেউ একজন যুদ্ধ জিতছে।”
এই কথাটিই যেন সত্য হয়ে উঠেছে ফেসবুক নামক সামাজিক প্ল্যাটফর্মে, যেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও তার দোসররা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে — প্রযুক্তি, প্রচারণা এবং প্রতিপক্ষের কণ্ঠরোধের কৌশলে।
১. ফেসবুক: একটি যুদ্ধক্ষেত্র, শুধু বন্দুক ছাড়া
ফেসবুক একটি যোগাযোগমাধ্যম হলেও, এটি এখন চিন্তা নিয়ন্ত্রণের প্ল্যাটফর্ম। ইসরায়েল এটি ভালো করেই জানে, এবং তাই এখানে যুদ্ধ চালায় "তথ্যের অস্ত্র" দিয়ে।
উদাহরণ:
গাজার উপর বোমাবর্ষণের সময় ইসরায়েলের হাজারো প্রো-পেজ এবং ফেক আইডি “হামাস সন্ত্রাসী” প্রচার চালায়।
ফিলিস্তিনপন্থী পোস্ট দ্রুত “কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন” হিসেবে ডিলিট হয়।
২. ইসরায়েলি লবি ও Meta-র সম্পর্ক
Meta (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) ইসরায়েলি লবির চাপে বহুবার পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিছু চিহ্নিত উদাহরণ:
1. ২০২১ সালের গাজা যুদ্ধের সময়, ফেসবুক ফিলিস্তিনিদের পোস্ট ও ভিডিও ডিলিট করে, অথচ ইসরায়েলি সেনাদের সহিংস ভিডিও অনায়াসে চলতে থাকে।
2. The Intercept ও Human Rights Watch রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুক ইসরায়েলি সরকারের অনুরোধে শত শত প্যালেস্টাইনি অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে দেয়।
3. ইসরায়েলি মন্ত্রীরা সরাসরি Meta-র নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এমনকি একটি বিশেষ ইউনিট রয়েছে ইসরায়েলে — যার নাম "Cyber Unit", যারা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সেন্সর করার অনুরোধ Meta-কে পাঠায়।
৩. অ্যালগরিদম হাইজ্যাক: ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধের পদ্ধতি
Meta-র অ্যালগরিদম এমনভাবে পরিচালিত হয় যেন ইসরায়েল-সমর্থিত কনটেন্ট সামনে আসে, কিন্তু ফিলিস্তিনি কণ্ঠ চাপা পড়ে।
কৌশলগুলো কী?
ফেসবুক বর্ণনা করে “শক্তি ও নিরাপত্তা”র ভাষায় — ফলে ফিলিস্তিনিরা “আগ্রাসনে প্রতিবাদ” করলেও সেটি “সহিংসতা” হিসেবে দেখানো হয়।
“শাহিদ” শব্দ, বা “ফিলিস্তিন রেজিস্টেন্স”-এর মতো কিওয়ার্ড পোস্টে থাকলে তা ব্লক করা হয়।
৪. বট ও ট্রল সেনা: ডিজিটাল যুদ্ধের সৈনিক
ইসরায়েলি সরকার-সমর্থিত বহু বট ও ট্রল অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে সক্রিয় থাকে। এই অ্যাকাউন্টগুলো:
প্রোপাগান্ডা ছড়ায়,
ইসলামবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিন-বিরোধী কমেন্ট করে,
ফিলিস্তিনিদের পেজে রিপোর্ট করে পেজ ডাউন করায়।
এই “Digital Hasbara” কার্যক্রমের পেছনে কাজ করে ইসরায়েলের কিছু সরকারি-বেসরকারি সংগঠন।
৫. বিজ্ঞাপন যুদ্ধ: অর্থ দিয়ে ভাবনা নিয়ন্ত্রণ
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, মন্ত্রণালয়, এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ফেসবুকে মিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপন দেয়:
নিজস্ব ন্যারেটিভ চালানোর জন্য,
আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য।
এই বিজ্ঞাপনগুলো অনেক সময় এমনভাবে বানানো হয় যেন ফিলিস্তিনিরাই সন্ত্রাসী, আর ইসরায়েল “নিরাপত্তা রক্ষা করছে”।
৬. জাতিসংঘ-স্বীকৃত রিপোর্ট কি বলে?
Amnesty International এবং UNHRC একাধিকবার বলেছে যে, ফেসবুক ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
Meta নিজেই স্বীকার করেছে যে গাজা যুদ্ধের সময় "over-enforcement" হয়েছে ফিলিস্তিনি কনটেন্টের ক্ষেত্রে।
উপসংহার: সত্যের কণ্ঠরোধ, ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ?
যখন ফেসবুক গর্ব করে বলে “Connecting the World”, তখন আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: কাদের কণ্ঠ জুড়ে দিচ্ছে তারা? আর কাদের কণ্ঠ থামিয়ে দিচ্ছে?
ইসরায়েল শুধু মাঠে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে না, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ইতিহাস, অধিকার ও কষ্টকেও মুছে দিতে চাইছে। এই ডিজিটাল সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভবিষ্যতের ইতিহাস হবে বিকৃত, পক্ষপাতদুষ্ট ও মানবতা-বিরোধী।
পরিশেষে এক কথায়:
> ইসরায়েল ফেসবুকের মালিক নয়, কিন্তু প্রভাবশালী বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্বের খেসারত দিচ্ছে ফিলিস্তিন, দিচ্ছে সত্য, দিচ্ছে ন্যায়বোধ।ইসরায়েল কীভাবে ফেসবুকে প্রভাব খাটায়: নীরব প্রোপাগান্ডার ডিজিটাল যুদ্ধ “যুদ্ধ এখন আর শুধু মাটিতে নয়, যুদ্ধ চলে এখন মোবাইল স্ক্রিনে — যেখানেই আপনি স্ক্রল করেন, সেখানেই কেউ একজন যুদ্ধ জিতছে।” এই কথাটিই যেন সত্য হয়ে উঠেছে ফেসবুক নামক সামাজিক প্ল্যাটফর্মে, যেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও তার দোসররা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে — প্রযুক্তি, প্রচারণা এবং প্রতিপক্ষের কণ্ঠরোধের কৌশলে। 🧠 ১. ফেসবুক: একটি যুদ্ধক্ষেত্র, শুধু বন্দুক ছাড়া ফেসবুক একটি যোগাযোগমাধ্যম হলেও, এটি এখন চিন্তা নিয়ন্ত্রণের প্ল্যাটফর্ম। ইসরায়েল এটি ভালো করেই জানে, এবং তাই এখানে যুদ্ধ চালায় "তথ্যের অস্ত্র" দিয়ে। ✅ উদাহরণ: গাজার উপর বোমাবর্ষণের সময় ইসরায়েলের হাজারো প্রো-পেজ এবং ফেক আইডি “হামাস সন্ত্রাসী” প্রচার চালায়। ফিলিস্তিনপন্থী পোস্ট দ্রুত “কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন” হিসেবে ডিলিট হয়। 💼 ২. ইসরায়েলি লবি ও Meta-র সম্পর্ক Meta (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) ইসরায়েলি লবির চাপে বহুবার পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 🔹 কিছু চিহ্নিত উদাহরণ: 1. ২০২১ সালের গাজা যুদ্ধের সময়, ফেসবুক ফিলিস্তিনিদের পোস্ট ও ভিডিও ডিলিট করে, অথচ ইসরায়েলি সেনাদের সহিংস ভিডিও অনায়াসে চলতে থাকে। 2. The Intercept ও Human Rights Watch রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুক ইসরায়েলি সরকারের অনুরোধে শত শত প্যালেস্টাইনি অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে দেয়। 3. ইসরায়েলি মন্ত্রীরা সরাসরি Meta-র নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এমনকি একটি বিশেষ ইউনিট রয়েছে ইসরায়েলে — যার নাম "Cyber Unit", যারা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সেন্সর করার অনুরোধ Meta-কে পাঠায়। 🤖 ৩. অ্যালগরিদম হাইজ্যাক: ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধের পদ্ধতি Meta-র অ্যালগরিদম এমনভাবে পরিচালিত হয় যেন ইসরায়েল-সমর্থিত কনটেন্ট সামনে আসে, কিন্তু ফিলিস্তিনি কণ্ঠ চাপা পড়ে। কৌশলগুলো কী? ফেসবুক বর্ণনা করে “শক্তি ও নিরাপত্তা”র ভাষায় — ফলে ফিলিস্তিনিরা “আগ্রাসনে প্রতিবাদ” করলেও সেটি “সহিংসতা” হিসেবে দেখানো হয়। “শাহিদ” শব্দ, বা “ফিলিস্তিন রেজিস্টেন্স”-এর মতো কিওয়ার্ড পোস্টে থাকলে তা ব্লক করা হয়। 🧑💻 ৪. বট ও ট্রল সেনা: ডিজিটাল যুদ্ধের সৈনিক ইসরায়েলি সরকার-সমর্থিত বহু বট ও ট্রল অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে সক্রিয় থাকে। এই অ্যাকাউন্টগুলো: প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, ইসলামবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিন-বিরোধী কমেন্ট করে, ফিলিস্তিনিদের পেজে রিপোর্ট করে পেজ ডাউন করায়। এই “Digital Hasbara” কার্যক্রমের পেছনে কাজ করে ইসরায়েলের কিছু সরকারি-বেসরকারি সংগঠন। 💸 ৫. বিজ্ঞাপন যুদ্ধ: অর্থ দিয়ে ভাবনা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, মন্ত্রণালয়, এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ফেসবুকে মিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপন দেয়: নিজস্ব ন্যারেটিভ চালানোর জন্য, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য। এই বিজ্ঞাপনগুলো অনেক সময় এমনভাবে বানানো হয় যেন ফিলিস্তিনিরাই সন্ত্রাসী, আর ইসরায়েল “নিরাপত্তা রক্ষা করছে”। 🏛️ ৬. জাতিসংঘ-স্বীকৃত রিপোর্ট কি বলে? Amnesty International এবং UNHRC একাধিকবার বলেছে যে, ফেসবুক ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। Meta নিজেই স্বীকার করেছে যে গাজা যুদ্ধের সময় "over-enforcement" হয়েছে ফিলিস্তিনি কনটেন্টের ক্ষেত্রে। 🧾 উপসংহার: সত্যের কণ্ঠরোধ, ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ? যখন ফেসবুক গর্ব করে বলে “Connecting the World”, তখন আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: কাদের কণ্ঠ জুড়ে দিচ্ছে তারা? আর কাদের কণ্ঠ থামিয়ে দিচ্ছে? ইসরায়েল শুধু মাঠে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে না, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ইতিহাস, অধিকার ও কষ্টকেও মুছে দিতে চাইছে। এই ডিজিটাল সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভবিষ্যতের ইতিহাস হবে বিকৃত, পক্ষপাতদুষ্ট ও মানবতা-বিরোধী। 📌 পরিশেষে এক কথায়: > ইসরায়েল ফেসবুকের মালিক নয়, কিন্তু প্রভাবশালী বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্বের খেসারত দিচ্ছে ফিলিস্তিন, দিচ্ছে সত্য, দিচ্ছে ন্যায়বোধ।1 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 2χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση1
Παρακαλούμε συνδέσου στην Κοινότητά μας για να δηλώσεις τι σου αρέσει, να σχολιάσεις και να μοιραστείς με τους φίλους σου! -
We will make the rats submit to us.We will make the rats submit to us.1 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση1
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση2
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση2
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση2
-
ইসরায়েল: একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতীক, নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী
ইসরায়েল — একটি নাম, কিন্তু একইসঙ্গে একটি রক্তমাখা ইতিহাস, নিপীড়নের প্রতীক এবং নিঃশব্দ গণহত্যার নিরব দর্শক। এ রাষ্ট্রটি আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে 'গণতান্ত্রিক' বলে দাবি করলেও, এর উত্থান, বিস্তার এবং টিকে থাকা রচিত হয়েছে অন্য এক ইতিহাসে— যে ইতিহাস হিংসা, দখল, অপমান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস।
ক্ষমতার উৎস: সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র আর লবির খেলাঘর
ইসরায়েলের ক্ষমতার মূল উৎস দুটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে:
1. যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন
প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এমনকি জাতিসংঘে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষের কোনো প্রস্তাব ওঠে, তখনও আমেরিকা ভেটো দেয় ইসরায়েলের স্বার্থে। একে যদি আপনি “রাষ্ট্রীয় গডফাদারশিপ” বলেন, ভুল হবে না।
2. ইহুদি লবি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ
বিশ্বের বহু প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাজনীতিকদের পেছনে রয়েছে ইহুদি পুঁজির শক্তি। এটাই ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে দণ্ডমুক্তির সুবিধা দেয়। ফিলিস্তিনি শিশু মরলেও শিরোনামে উঠে না, কারণ খবরের ভাষা ও ভঙ্গি নির্ধারণ করে সেই ক্ষমতা।
ইতিহাসের কালো অধ্যায়: সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা
ইসরায়েলের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, কিন্তু তার আগেই “ইহুদি সন্ত্রাস” শুরু হয়ে যায়। নিচে তুলে ধরা হলো কিছু স্পষ্ট বর্বরতার অধ্যায়:
১. দেয়ির ইয়াসিন গণহত্যা (১৯৪৮)
ইসরায়েলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইরগুন’ ও ‘লেহি’ মিলে ১০০-র বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। এটিই ছিল “সন্ত্রাস দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের সূচনা”।
২. সাবরা ও শাতিলা হত্যাযজ্ঞ (১৯৮২)
ইসরায়েলি মিত্র লেবাননের ফালাঞ্জিস্ট বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রবেশ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল—তাদের চুপচাপ থাকা ছিল অংশগ্রহণের সমান।
৩. গাজা যুদ্ধ (২০০৮, ২০১4, ২০২১ এবং ২০২৩)
প্রতিবার যুদ্ধের নামে ইসরায়েল হামলা চালায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও জনবসতিতে। ইউএন রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ নিহত ছিল বেসামরিক মানুষ এবং শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। এ যেন এক অঘোষিত শিশু-গণহত্যা।
নেতানিয়াহু: একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একাধারে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, আবার অন্যদিকে একজন যুদ্ধাপরাধী ও ফ্যাসিবাদী নীতির প্রবক্তা। তাঁর শাসনামলে ইসরায়েল:
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে।
গাজার অবরোধ চালিয়ে একে পৃথিবীর "সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার"-এ পরিণত করে।
আল-আকসা মসজিদে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইসরায়েল যেকোনো মূল্যে টিকে থাকবে।” এর মানে হলো, মানবতা, আইন, শিশু, নারী—সবকিছু ধ্বংস করেও যদি প্রভাব বিস্তার করা যায়, সেটাই তাঁর নীতি। আর এটিই একজন “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর” সংজ্ঞা।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের নীরবতা: এক ধরনের সম্মতি?
কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না? কারণ:
আমেরিকার ভেটো ক্ষমতা
ইউরোপের দ্বিমুখী নীতি
মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি ও নিরবতা
উপসংহার: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে যাক
ইসরায়েল কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়। এটি আধুনিক বিশ্বে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে—যেখানে রাষ্ট্র নিজেই বোমা ফেলে, শিশু হত্যা করে, আবার মিথ্যে মিডিয়া দিয়ে নিজেকে "ভিক্টিম" সাজায়।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী। তার বিচার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। কারণ রক্তচক্ষু, পুঁজির জোর আর মিডিয়ার খেলায় সে হাজারো প্রাণ নিয়ে খেলেছে, ইতিহাস যাকে কখনো ক্ষমা করবে না।
ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ। মানবতা জিন্দাবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমে-স্বরেই হোক প্রতিরোধ।ইসরায়েল: একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতীক, নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী ইসরায়েল — একটি নাম, কিন্তু একইসঙ্গে একটি রক্তমাখা ইতিহাস, নিপীড়নের প্রতীক এবং নিঃশব্দ গণহত্যার নিরব দর্শক। এ রাষ্ট্রটি আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে 'গণতান্ত্রিক' বলে দাবি করলেও, এর উত্থান, বিস্তার এবং টিকে থাকা রচিত হয়েছে অন্য এক ইতিহাসে— যে ইতিহাস হিংসা, দখল, অপমান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস। 🔥 ক্ষমতার উৎস: সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র আর লবির খেলাঘর ইসরায়েলের ক্ষমতার মূল উৎস দুটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে: 1. যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এমনকি জাতিসংঘে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষের কোনো প্রস্তাব ওঠে, তখনও আমেরিকা ভেটো দেয় ইসরায়েলের স্বার্থে। একে যদি আপনি “রাষ্ট্রীয় গডফাদারশিপ” বলেন, ভুল হবে না। 2. ইহুদি লবি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ বিশ্বের বহু প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাজনীতিকদের পেছনে রয়েছে ইহুদি পুঁজির শক্তি। এটাই ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে দণ্ডমুক্তির সুবিধা দেয়। ফিলিস্তিনি শিশু মরলেও শিরোনামে উঠে না, কারণ খবরের ভাষা ও ভঙ্গি নির্ধারণ করে সেই ক্ষমতা। 📚 ইতিহাসের কালো অধ্যায়: সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা ইসরায়েলের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, কিন্তু তার আগেই “ইহুদি সন্ত্রাস” শুরু হয়ে যায়। নিচে তুলে ধরা হলো কিছু স্পষ্ট বর্বরতার অধ্যায়: ১. দেয়ির ইয়াসিন গণহত্যা (১৯৪৮) ইসরায়েলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইরগুন’ ও ‘লেহি’ মিলে ১০০-র বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। এটিই ছিল “সন্ত্রাস দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের সূচনা”। ২. সাবরা ও শাতিলা হত্যাযজ্ঞ (১৯৮২) ইসরায়েলি মিত্র লেবাননের ফালাঞ্জিস্ট বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রবেশ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল—তাদের চুপচাপ থাকা ছিল অংশগ্রহণের সমান। ৩. গাজা যুদ্ধ (২০০৮, ২০১4, ২০২১ এবং ২০২৩) প্রতিবার যুদ্ধের নামে ইসরায়েল হামলা চালায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও জনবসতিতে। ইউএন রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ নিহত ছিল বেসামরিক মানুষ এবং শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। এ যেন এক অঘোষিত শিশু-গণহত্যা। 😡 নেতানিয়াহু: একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একাধারে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, আবার অন্যদিকে একজন যুদ্ধাপরাধী ও ফ্যাসিবাদী নীতির প্রবক্তা। তাঁর শাসনামলে ইসরায়েল: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে। গাজার অবরোধ চালিয়ে একে পৃথিবীর "সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার"-এ পরিণত করে। আল-আকসা মসজিদে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইসরায়েল যেকোনো মূল্যে টিকে থাকবে।” এর মানে হলো, মানবতা, আইন, শিশু, নারী—সবকিছু ধ্বংস করেও যদি প্রভাব বিস্তার করা যায়, সেটাই তাঁর নীতি। আর এটিই একজন “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর” সংজ্ঞা। 🔎 জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের নীরবতা: এক ধরনের সম্মতি? কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না? কারণ: আমেরিকার ভেটো ক্ষমতা ইউরোপের দ্বিমুখী নীতি মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি ও নিরবতা 🚨 উপসংহার: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে যাক ইসরায়েল কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়। এটি আধুনিক বিশ্বে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে—যেখানে রাষ্ট্র নিজেই বোমা ফেলে, শিশু হত্যা করে, আবার মিথ্যে মিডিয়া দিয়ে নিজেকে "ভিক্টিম" সাজায়। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী। তার বিচার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। কারণ রক্তচক্ষু, পুঁজির জোর আর মিডিয়ার খেলায় সে হাজারো প্রাণ নিয়ে খেলেছে, ইতিহাস যাকে কখনো ক্ষমা করবে না। ✊ ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ। মানবতা জিন্দাবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমে-স্বরেই হোক প্রতিরোধ।0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 3χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση2
-
1 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση1
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση1
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση1
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση1
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
-
0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 1χλμ. Views 0 Προεπισκόπηση
και άλλες ιστορίες