পীরগঞ্জের চকভেকা গ্রামের কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা।

বর্ষাকাল এলেই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের চকভেকা গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। সামান্য বৃষ্টিতেই গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, যা নিত্যদিনের যাতায়াতকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করে। চলাচলের অনুপযোগী এই রাস্তাঘাটের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
চকভেকা গ্রামটি পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে খুব বেশি দূরে না হলেও, স্বাধীনতার এত বছর পরেও এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি এবং দিনমজুরির ওপর নির্ভরশীল। উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়া কিংবা জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছানো, সবকিছুই চরম ভোগান্তির শিকার হয় এই বেহাল রাস্তার কারণে। বর্ষার সময় এই দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়। রাস্তাগুলো এতটাই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে যে পায়ে হেঁটে চলাও দুরূহ হয়ে ওঠে, আর রিকশা, ভ্যান বা মোটরসাইকেল তো দূরের কথা।
দুর্ঘটনার নিত্যচিত্র:
গ্রামের বাসিন্দা আয়নাল হক জানান, "বর্ষায় আমাদের কপাল পোড়ে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না, কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে কালঘাম ছুটে যায়। প্রায় দিনই দেখি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেকে কাদা-পানিতে পড়ে আহত হয়, সাইকেল বা মোটরসাইকেল উল্টে যায়।" স্থানীয়দের মতে, গত কয়েক বছরে এই কাঁচা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি, যা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়েছে অনেকের জীবনে। গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব:
যোগাযোগ ব্যবস্থার এই দৈন্যদশা গ্রামের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো ও সহজে বাজারে নিতে না পারায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতে ভোগান্তির কারণে পড়ালেখার ধারাবাহিকতা ব্যাহত হচ্ছে। সর্বোপরি, একটি উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাচ্ছে চকভেকা গ্রামের মানুষের কাছে।
গ্রামবাসীর আকুল আবেদন:
চকভেকা গ্রামের প্রতিটি মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে একটি পাকা রাস্তার জন্য। তাদের একটাই দাবি, সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের বিশ্বাস, একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা চকভেকা গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আনবে এবং তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে।
এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, এই প্রতিবেদনটি স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং অতি দ্রুত চকভেকা গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, যাতে বর্ষার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় এই গ্রামের নিরীহ মানুষগুলো।
পীরগঞ্জের চকভেকা গ্রামের কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা। বর্ষাকাল এলেই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের চকভেকা গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দুর্ভোগ। সামান্য বৃষ্টিতেই গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, যা নিত্যদিনের যাতায়াতকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করে। চলাচলের অনুপযোগী এই রাস্তাঘাটের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা, ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। চকভেকা গ্রামটি পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে খুব বেশি দূরে না হলেও, স্বাধীনতার এত বছর পরেও এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি এবং দিনমজুরির ওপর নির্ভরশীল। উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়া কিংবা জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালে পৌঁছানো, সবকিছুই চরম ভোগান্তির শিকার হয় এই বেহাল রাস্তার কারণে। বর্ষার সময় এই দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছায়। রাস্তাগুলো এতটাই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে যে পায়ে হেঁটে চলাও দুরূহ হয়ে ওঠে, আর রিকশা, ভ্যান বা মোটরসাইকেল তো দূরের কথা। দুর্ঘটনার নিত্যচিত্র: গ্রামের বাসিন্দা আয়নাল হক জানান, "বর্ষায় আমাদের কপাল পোড়ে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না, কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে কালঘাম ছুটে যায়। প্রায় দিনই দেখি ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেকে কাদা-পানিতে পড়ে আহত হয়, সাইকেল বা মোটরসাইকেল উল্টে যায়।" স্থানীয়দের মতে, গত কয়েক বছরে এই কাঁচা রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি, যা স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়েছে অনেকের জীবনে। গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব: যোগাযোগ ব্যবস্থার এই দৈন্যদশা গ্রামের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সময়মতো ও সহজে বাজারে নিতে না পারায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াতে ভোগান্তির কারণে পড়ালেখার ধারাবাহিকতা ব্যাহত হচ্ছে। সর্বোপরি, একটি উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাচ্ছে চকভেকা গ্রামের মানুষের কাছে। গ্রামবাসীর আকুল আবেদন: চকভেকা গ্রামের প্রতিটি মানুষ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে একটি পাকা রাস্তার জন্য। তাদের একটাই দাবি, সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এই গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের বিশ্বাস, একটি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা চকভেকা গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আনবে এবং তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, এই প্রতিবেদনটি স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং অতি দ্রুত চকভেকা গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, যাতে বর্ষার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় এই গ্রামের নিরীহ মানুষগুলো।
Yay
1
0 Comments 0 Shares 168 Views 0 Reviews
Eidok App https://eidok.com