• অব্যাবস্থাপনা ও টেস্ট বানিজ্যের আতুরঘর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রয়েছে আন্তঃটেন্ডারবাজীর অভিযোগ।

    জাকারিয়া রানা
    জেলা প্রতিনিধি


    মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্র এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রেস ক্লাবের কিছু সদস্য ১৪ আগস্ট সকাল ১১ ঘটিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহার কাছে এই হাসপাতালের অব্যস্থাপনা,অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যা পাওয়া যায় তা শুনে শরীর একেবারে নীল হয়ে যাওয়ার মতো।
    অব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ।।।
    গত ২০২৩ – ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য হাসপাতালে রোগীর পথ্য সরবরাহ (খাবার),স্টেশনারি,ধোলাই টেন্ডার হয়েছিল।তার ঠিকাদার ছিল মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ রেজাউল করিম। যার ওয়ার্ক অর্ডার এর মেয়াদ এক বছর যা হিসাব মতে ৩০.০৬.২০২৪ তারিখ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু পর পর তিন অর্থবছর ডায়েট সাপ্লাই করে আসছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।যা আজ পর্যন্ত ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছর পর্যন্ত চলমান।

    এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃপ্রশান্ত কুমার সাহা বলেন যে এমন কোন কাগজ পত্র পাইনাই যার জন্য একই ঠিকাদার এত বছর ডায়েট,স্টেশনারি, ধুপির কাজ করিতে পারে। তবে এটা অডিট আপত্তি যোগ্য বলে আমি মনে করি।

    পটুয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ খালেদুর রহমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা তবে সব কিছু জেনে জানাবো।

    নাম না জানানোর শর্তে এই হাসপাতালের এক স্টাফ জানান ২০২৪ সালের জুন মাসে যখন পুনরায় টেন্ডার হওয়ার কথা তখন টেন্ডারের ব্যাপারে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা করে সেই সময়ের হেড ক্লার্ক রিয়াজ ও ততকালীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তেংমং মোটা অংকের বিনিময়ে পুর্বের ঠিকাদার মেসার্স হাজ্বি এন্টারপ্রাইজ কেই কোন নিয়ম নীতি না মেনে সাপ্লাইয়ের ঠিকাদার নিয়োগ দেন, যা আজ পর্যন্ত চলমান।এই টেন্ডার দুর্নীতির সাথে ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর জড়িত ছিল বলে জনমনে শোনা যায়।
    মির্জাগঞ্জ উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার সেবার মান সন্তশজনক নয়। এই হাসপাতালের ভিতরেই সরকারি দালাল বিদ্দমান যা একেবারেই নোংরামি বই কিছুই না। রোগী চিকিৎসকের কাছে ইচ্ছামত যেতে পারে না। বাসস্টপেজের মত টানাটানির এই ডাক্তারের কাছে আসেন, আর জন ও এই রকম।

    তারপর শুরু হয় কোন ডায়াগনস্টিক এ পাঠাবে তা নিয়া প্রতিযোগিতা।

    ২০২২ সালে সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা রুল জারি করছিল যে, সরকারি হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকতে পারবে না এতে করে সেবার মান রক্ষা করা যায় না।

    কিন্তু মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স এর চিত্র ভিন্ন।

    হাসপাতালের ওয়ালের ১০ হাতের মধ্যেই তিনটি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়।যা সিভিল সার্জন ও টি এইচের পরিদর্শনে ই অনুমোদীত। আবার ডাক্তার ও রোগী যেতে যেন কোন বেগ পেতে না হয় তার জন্য হাসপাতালের কোয়াটারের ভিতর থেকে ওয়াল ভেংগে ডায়াগনস্টিক মালিক রা পথ করে নিয়াছে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দ্দেশ মোতাবেক সমগ্র বাংলাদেশে ৫০ টি হাসপাতালে বৈকালিন প্রাক্টিস চালু থাকার অনুমোদন দিয়াছে। তবে সেই তালিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্স এর নাম না থাকলেও বিকালে এখানে সকল ডাক্তারদের চেম্বার বস। শুরু হয় টানাটানি ভাল ডাক্তার ওমুকে এই মিছিল যাতে রোগী রা বিচলিত হয়।কয়েকটি চেম্বারে ডাক্তার প্রাক্টিস করে প্রায় দুর্নীতির সর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। তারা গরীব রোগীদের নিকট হতে ভিজিট ও কমিশনের জন্য অতিরিক্ত টেস্ট চাপিয়ে পাসের ডায়াবেটিস এর দালালের হাতে ধরিয়ে দেয়।

    অত্র হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে সরবরাহকৃত ঔষধের ঠিক মত ডিস্টিভিউশন হচ্ছে না।

    রোগীদের সাথে হাসপাতালের প্রায় সকল স্টাফদের মার্জিত আচরণ করে না।এজন্য প্রয়োজনে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের এ বিষয়ে নিয়মিত কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা।
    হাসপাতালের প্যাথলজি ও রেডিওলজি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকলেও এখানে কোন টেস্ট করানো হয় না।
    অত্র হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য দক্ষ স্টাফদের সংকট বিদ্দমান।

    এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সজনদের সাথে আলোচনা করে যা বোঝা গেল তাতে যা মনে হয় তাতে সরকারি চাকরী বিধিমালা অনুযায়ী যাহারা অত্র হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময়ের অধিক সময় কর্মরত আছেন, তাদেরকে অনতিবিলম্বে বদলি করে নতুনদের যায়গা করে দেওয়া। নতুন রা আসলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
    হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীদের নিরাপত্তার লক্ষে হাসপাতালের আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় উন্নতমানের সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।

    হাসপাতাল থেকে সকল ধরণের সিন্ডিকেট ও রোগী হয়রানি বন্ধ করে অত্র হাসপাতালকে শতভাগ দালাল মুক্ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে সেবা গৃহীতাদের মন্তব্য।

    এখানে অপারেশন থিয়েটার চলমান কিন্তু কোন অপারেশন এখানে হয় না।
    অব্যাবস্থাপনা ও টেস্ট বানিজ্যের আতুরঘর মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, রয়েছে আন্তঃটেন্ডারবাজীর অভিযোগ। জাকারিয়া রানা জেলা প্রতিনিধি মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্র এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা প্রেস ক্লাবের কিছু সদস্য ১৪ আগস্ট সকাল ১১ ঘটিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহার কাছে এই হাসপাতালের অব্যস্থাপনা,অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে যা পাওয়া যায় তা শুনে শরীর একেবারে নীল হয়ে যাওয়ার মতো। অব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ।।। গত ২০২৩ – ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য হাসপাতালে রোগীর পথ্য সরবরাহ (খাবার),স্টেশনারি,ধোলাই টেন্ডার হয়েছিল।তার ঠিকাদার ছিল মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ রেজাউল করিম। যার ওয়ার্ক অর্ডার এর মেয়াদ এক বছর যা হিসাব মতে ৩০.০৬.২০২৪ তারিখ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু পর পর তিন অর্থবছর ডায়েট সাপ্লাই করে আসছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।যা আজ পর্যন্ত ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছর পর্যন্ত চলমান। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃপ্রশান্ত কুমার সাহা বলেন যে এমন কোন কাগজ পত্র পাইনাই যার জন্য একই ঠিকাদার এত বছর ডায়েট,স্টেশনারি, ধুপির কাজ করিতে পারে। তবে এটা অডিট আপত্তি যোগ্য বলে আমি মনে করি। পটুয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন জনাব ডাঃ খালেদুর রহমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা তবে সব কিছু জেনে জানাবো। নাম না জানানোর শর্তে এই হাসপাতালের এক স্টাফ জানান ২০২৪ সালের জুন মাসে যখন পুনরায় টেন্ডার হওয়ার কথা তখন টেন্ডারের ব্যাপারে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা করে সেই সময়ের হেড ক্লার্ক রিয়াজ ও ততকালীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তেংমং মোটা অংকের বিনিময়ে পুর্বের ঠিকাদার মেসার্স হাজ্বি এন্টারপ্রাইজ কেই কোন নিয়ম নীতি না মেনে সাপ্লাইয়ের ঠিকাদার নিয়োগ দেন, যা আজ পর্যন্ত চলমান।এই টেন্ডার দুর্নীতির সাথে ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর জড়িত ছিল বলে জনমনে শোনা যায়। মির্জাগঞ্জ উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার সেবার মান সন্তশজনক নয়। এই হাসপাতালের ভিতরেই সরকারি দালাল বিদ্দমান যা একেবারেই নোংরামি বই কিছুই না। রোগী চিকিৎসকের কাছে ইচ্ছামত যেতে পারে না। বাসস্টপেজের মত টানাটানির এই ডাক্তারের কাছে আসেন, আর জন ও এই রকম। তারপর শুরু হয় কোন ডায়াগনস্টিক এ পাঠাবে তা নিয়া প্রতিযোগিতা। ২০২২ সালে সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা রুল জারি করছিল যে, সরকারি হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকতে পারবে না এতে করে সেবার মান রক্ষা করা যায় না। কিন্তু মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স এর চিত্র ভিন্ন। হাসপাতালের ওয়ালের ১০ হাতের মধ্যেই তিনটি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়।যা সিভিল সার্জন ও টি এইচের পরিদর্শনে ই অনুমোদীত। আবার ডাক্তার ও রোগী যেতে যেন কোন বেগ পেতে না হয় তার জন্য হাসপাতালের কোয়াটারের ভিতর থেকে ওয়াল ভেংগে ডায়াগনস্টিক মালিক রা পথ করে নিয়াছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দ্দেশ মোতাবেক সমগ্র বাংলাদেশে ৫০ টি হাসপাতালে বৈকালিন প্রাক্টিস চালু থাকার অনুমোদন দিয়াছে। তবে সেই তালিকায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্স এর নাম না থাকলেও বিকালে এখানে সকল ডাক্তারদের চেম্বার বস। শুরু হয় টানাটানি ভাল ডাক্তার ওমুকে এই মিছিল যাতে রোগী রা বিচলিত হয়।কয়েকটি চেম্বারে ডাক্তার প্রাক্টিস করে প্রায় দুর্নীতির সর্গরাজ্যে পরিনত করেছে। তারা গরীব রোগীদের নিকট হতে ভিজিট ও কমিশনের জন্য অতিরিক্ত টেস্ট চাপিয়ে পাসের ডায়াবেটিস এর দালালের হাতে ধরিয়ে দেয়। অত্র হাসপাতালে রোগীদের জন্য সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে সরবরাহকৃত ঔষধের ঠিক মত ডিস্টিভিউশন হচ্ছে না। রোগীদের সাথে হাসপাতালের প্রায় সকল স্টাফদের মার্জিত আচরণ করে না।এজন্য প্রয়োজনে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের এ বিষয়ে নিয়মিত কাউন্সিলের ব্যবস্থা করা। হাসপাতালের প্যাথলজি ও রেডিওলজি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা থাকলেও এখানে কোন টেস্ট করানো হয় না। অত্র হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য দক্ষ স্টাফদের সংকট বিদ্দমান। এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সজনদের সাথে আলোচনা করে যা বোঝা গেল তাতে যা মনে হয় তাতে সরকারি চাকরী বিধিমালা অনুযায়ী যাহারা অত্র হাসপাতালে নির্দিষ্ট সময়ের অধিক সময় কর্মরত আছেন, তাদেরকে অনতিবিলম্বে বদলি করে নতুনদের যায়গা করে দেওয়া। নতুন রা আসলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অবস্থা খুবই খারাপ। রোগীদের নিরাপত্তার লক্ষে হাসপাতালের আইন শৃঙ্খলার উন্নতি করতে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় উন্নতমানের সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। হাসপাতাল থেকে সকল ধরণের সিন্ডিকেট ও রোগী হয়রানি বন্ধ করে অত্র হাসপাতালকে শতভাগ দালাল মুক্ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে বলে সেবা গৃহীতাদের মন্তব্য। এখানে অপারেশন থিয়েটার চলমান কিন্তু কোন অপারেশন এখানে হয় না।
    Yay
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 627 Views 0 previzualizare
  • ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান

    ‎ফেনী প্রতিনিধি, ৬ আগস্ট ২০২৫:
    ‎ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) চলমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    ‎নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

    ‎অভিযান চলাকালে পাউবোর বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সংগ্রহ করে টিমটি।
    ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান ‎ ‎ফেনী প্রতিনিধি, ৬ আগস্ট ২০২৫: ‎ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) চলমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ‎ ‎নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। ‎ ‎অভিযান চলাকালে পাউবোর বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সংগ্রহ করে টিমটি।
    Like
    2
    0 Commentarii 0 Distribuiri 552 Views 0 previzualizare
  • লালমনিরহাটে এলজিইডির ৭ কর্মকর্তা ও ২ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নে রত্নাই নদীর উপর সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৭ কর্মকর্তা এবং ২ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৫ মে দুদকের কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রত্নাই নদীর উপর ১২০ মিটার সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে বড় ধরনের অনিয়ম হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের দ্বারা গৃহীত পরিমাপ অনুযায়ী স্রোব প্রটেকশন কাজের ৪২.৪ শতাংশ এবং সংযোগ সড়কের ৬.৩৮৫৫ শতাংশ কাজ কম হলেও পুরো বিল উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে জামানতের টাকা তোলার বিধান থাকলেও মাত্র ৩৬ দিনের মাথায় ৬ লাখ ৯০ হাজার ২৪১ টাকা উত্তোলন করা হয়।

    দুদুক মামলায়, লালমনিরহাট এলজিইডির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের ইসলাম, (বর্তমানে বগুড়ায় কর্মরত), সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও এয়াজুর রহমান, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ (বর্তমানে হরিপুরে কর্মরত), সাবেক সহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম রিফাত (বর্তমান পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী), উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রেমানন্দ রায়, হিসাব রক্ষক মনোরঞ্জন রায়, ঠিকাদার কে এম বদরুল আহসান ও আয়ুব আলীকে আসামী করা হয়।

    দুদক জানায়, দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রকল্পস্থলে গিয়ে সরে জমিন পরিদর্শন, রেকর্ডপত্র যাচাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে পরিমাপ করিয়ে দেখা যায় প্রকল্পের একাধিক অংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কাজ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা যোগসাজশ করে প্রায় ১৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩ শত ৯৯ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

    একটি সুত্র জানায়, ওই সব অনিয়ম ও দুর্নীতির মূলহোতা হলেন সাবেক সহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম রিফাত। যিনি বর্তমানে পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছে। তার সহযোগিতায় দুই ঠিকাদার অন্য কর্মকতাদের ম্যানেজ করে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।

    এলজিইডি লালমনিরহাটের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কাওসার আলম বলেন, মামলার বিষয়ে এখানো কোনো চিঠি পাইনি। তবে গণমাধ্যমে দেখেছি মামলা হয়েছে এমন খবর। মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তি যারা লালমনিরহাটে কর্মরত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের উপ- পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান, মামলার বিষয়ে আরো তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে নতুন কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হবে।
    লালমনিরহাটে এলজিইডির ৭ কর্মকর্তা ও ২ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা লালমনিরহাটের মোগলহাট ইউনিয়নে রত্নাই নদীর উপর সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ৭ কর্মকর্তা এবং ২ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৫ মে দুদকের কুড়িগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রত্নাই নদীর উপর ১২০ মিটার সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে বড় ধরনের অনিয়ম হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের দ্বারা গৃহীত পরিমাপ অনুযায়ী স্রোব প্রটেকশন কাজের ৪২.৪ শতাংশ এবং সংযোগ সড়কের ৬.৩৮৫৫ শতাংশ কাজ কম হলেও পুরো বিল উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও, প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে জামানতের টাকা তোলার বিধান থাকলেও মাত্র ৩৬ দিনের মাথায় ৬ লাখ ৯০ হাজার ২৪১ টাকা উত্তোলন করা হয়। দুদুক মামলায়, লালমনিরহাট এলজিইডির সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের ইসলাম, (বর্তমানে বগুড়ায় কর্মরত), সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও এয়াজুর রহমান, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নাফ (বর্তমানে হরিপুরে কর্মরত), সাবেক সহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম রিফাত (বর্তমান পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী), উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রেমানন্দ রায়, হিসাব রক্ষক মনোরঞ্জন রায়, ঠিকাদার কে এম বদরুল আহসান ও আয়ুব আলীকে আসামী করা হয়। দুদক জানায়, দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রকল্পস্থলে গিয়ে সরে জমিন পরিদর্শন, রেকর্ডপত্র যাচাই এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ করে। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের মাধ্যমে পরিমাপ করিয়ে দেখা যায় প্রকল্পের একাধিক অংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কাজ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা যোগসাজশ করে প্রায় ১৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩ শত ৯৯ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি সুত্র জানায়, ওই সব অনিয়ম ও দুর্নীতির মূলহোতা হলেন সাবেক সহকারী প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম রিফাত। যিনি বর্তমানে পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছে। তার সহযোগিতায় দুই ঠিকাদার অন্য কর্মকতাদের ম্যানেজ করে সরকারি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এলজিইডি লালমনিরহাটের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কাওসার আলম বলেন, মামলার বিষয়ে এখানো কোনো চিঠি পাইনি। তবে গণমাধ্যমে দেখেছি মামলা হয়েছে এমন খবর। মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তি যারা লালমনিরহাটে কর্মরত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুদকের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় কুড়িগ্রামের উপ- পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানান, মামলার বিষয়ে আরো তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে নতুন কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করা হবে।
    Like
    2
    1 Commentarii 0 Distribuiri 822 Views 0 previzualizare
  • ভুয়া সনদে চাকরির অভিযোগ সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ৪ আত্মীয়ের



    সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চারজন নিকট আত্মীয়কে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভুয়া সনদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।  

    দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি লাভলু শেখের দায়ের করা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক ।

    অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের মেয়ে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা, মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের মেয়ে মিরপুর আল নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফা খানম ও তার স্বামী লালমনিরহাট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল আলম হবু এবং মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের ছেলের বউ মিরপুর আল নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনা খাতুন।

    সচিব বরাবরে পাঠানো জেলা প্রশাসকের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট ২ আসন থেকে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পরের দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দিয়েছেন। এসব নিয়োগ ও যোগদানে মানা হয়নি কোনো চাকরির বিধিবিধান। মন্ত্রী তার ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন মন্ত্রণালয়। সরকার পতনের পরে দুর্নীতি ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন সাবেক এ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এরপর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে তার অপকর্মের নানান নিদর্শন ।  

    এসব নিদর্শনের একটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ক্ষমতার প্রভাবে নিজের আত্মীয়দের নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মন্ত্রী হিসেবে এ ট্রাস্টের সভাপতি ছিলেন তিনি। যার কারণে নির্বাহী আদেশে বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে আত্মীয় স্বজনদের চাকরি দিয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের একমাত্র যোগ্যতা তারা মন্ত্রী পরিবারের আত্মীয়। তাদের প্রতিটি নিয়োগ জাল জালিয়াতি ও অনিয়মে ভরা। ট্রাস্টের চাকরির প্রবিধান মালা (২০০৬) লঙ্ঘন করে এসব নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।  

    অভিযোগে বলা হয়, ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগে স্নাতকোত্তর পাশ সনদ আবশ্যক হলেও গত ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রীর শ্যালকের মেয়ে এইচএসসি পাস উম্মে হাবিবা। পরবর্তীকালে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস একটি সনদ দাখিল করেন। ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করবে মর্মে অঙ্গীকার নামা দিয়ে যোগদান করলেও অদ্যাবধি সনদ দাখিল করেননি। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবাকে পরবর্তীকালে মিরপুর আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক পদে অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়। বিধিমতে, উপ তত্ত্বাবধায়কের পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার কথা হিসাব রক্ষণ অফিসারের। অথচ মন্ত্রীর ক্ষমতাবলে কেরানি পদের উম্মে হাবিবা উপ তত্ত্বাবধায়ক পদে অধিষ্ঠিত হন।  

    অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ট্রাস্টের ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তার অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও বিচার চেয়ে ট্রাস্টের কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগও করেছেন। যা তদন্ত করে তার চাকরি বাতিলের সুপারিশসহ প্রতিবেদন ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালকের দপ্তরে ইতোমধ্যে দাখিল হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।



    একই পন্থায় ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদে আল নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে গত ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি নিয়োগ পান মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের ছেলের বউ আমিনা খাতুন। তার পদে স্নাতকোত্তরসহ বিএড এমএড আবশ্যক। কিন্তু তিনিও বিএড এমএড সনদ ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রীর আত্মীয়ের যোগ্যতায়। একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম। তিনি স্নাতক পাস করলেও তার বিএড সনদ ভুয়া। আরিফা খানমের স্বামী নুরুল আলম হবু'ও যোগদানের তারিখ জালিয়াতি করে পদোন্নতি নিয়ে হয়েছেন লালমনিরহাট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। সেই পদোন্নতিও মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাবে যোগদানের তারিখ ২১ সাল থেকে ২০০৮ সাল দেখানো হয়। তার কোনো পদোন্নতি হয়নি বলেও দাবি করে নুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।  

    প্রতিটি নিয়োগে ট্রাস্টের চাকরি প্রবিধি (২০০৬) লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সবার শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতা সনদ ভুয়া ও জাল। যার কারণে পুলিশ ভেরিফিকেশন, এসিআর ও চাকরি স্থায়ীকরণও হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।  

    দুর্নীতি ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ক্ষমতার অপপ্রয়োগে উল্লেখিত চারজন অযোগ্য আত্মীয় স্বজনদের অবৈধভাবে দেওয়া নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে ২৩ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি লাভলু শেখ। সেই ৪২ পাতার অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওই দিনই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।  

    অভিযোগকারী দৈনিক সংগ্রামের লালমনিরহাট প্রতিনিধি লাভলু শেখ বলেন, সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ক্ষমতার অপব্যবহার করে অযোগ্য আত্মীয় স্বজনদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা সনদ ছিল না। তাদের একমাত্র যোগ্যতা মন্ত্রীর আত্মীয়। অযোগ্যরা রাষ্ট্রীয় পদে থাকলে দেশের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তাই উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ ৪২ পাতার একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠিয়েছেন।

    ভুয়া সনদে চাকরির অভিযোগ সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর ৪ আত্মীয়ের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের চারজন নিকট আত্মীয়কে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভুয়া সনদে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।   দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি লাভলু শেখের দায়ের করা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক । অভিযুক্তরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের মেয়ে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা, মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের মেয়ে মিরপুর আল নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফা খানম ও তার স্বামী লালমনিরহাট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল আলম হবু এবং মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের ছেলের বউ মিরপুর আল নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিনা খাতুন। সচিব বরাবরে পাঠানো জেলা প্রশাসকের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট ২ আসন থেকে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পরের দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দিয়েছেন। এসব নিয়োগ ও যোগদানে মানা হয়নি কোনো চাকরির বিধিবিধান। মন্ত্রী তার ইচ্ছেমতো চালিয়েছেন মন্ত্রণালয়। সরকার পতনের পরে দুর্নীতি ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হন সাবেক এ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এরপর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে তার অপকর্মের নানান নিদর্শন ।   এসব নিদর্শনের একটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ক্ষমতার প্রভাবে নিজের আত্মীয়দের নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মন্ত্রী হিসেবে এ ট্রাস্টের সভাপতি ছিলেন তিনি। যার কারণে নির্বাহী আদেশে বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে আত্মীয় স্বজনদের চাকরি দিয়েছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের একমাত্র যোগ্যতা তারা মন্ত্রী পরিবারের আত্মীয়। তাদের প্রতিটি নিয়োগ জাল জালিয়াতি ও অনিয়মে ভরা। ট্রাস্টের চাকরির প্রবিধান মালা (২০০৬) লঙ্ঘন করে এসব নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।   অভিযোগে বলা হয়, ট্রাস্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগে স্নাতকোত্তর পাশ সনদ আবশ্যক হলেও গত ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রীর শ্যালকের মেয়ে এইচএসসি পাস উম্মে হাবিবা। পরবর্তীকালে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস একটি সনদ দাখিল করেন। ৬ মাসের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করবে মর্মে অঙ্গীকার নামা দিয়ে যোগদান করলেও অদ্যাবধি সনদ দাখিল করেননি। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবাকে পরবর্তীকালে মিরপুর আল নাহিয়ান শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক পদে অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়। বিধিমতে, উপ তত্ত্বাবধায়কের পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার কথা হিসাব রক্ষণ অফিসারের। অথচ মন্ত্রীর ক্ষমতাবলে কেরানি পদের উম্মে হাবিবা উপ তত্ত্বাবধায়ক পদে অধিষ্ঠিত হন।   অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ট্রাস্টের ফ্ল্যাট ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তার অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও বিচার চেয়ে ট্রাস্টের কর্মচারীরা লিখিত অভিযোগও করেছেন। যা তদন্ত করে তার চাকরি বাতিলের সুপারিশসহ প্রতিবেদন ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালকের দপ্তরে ইতোমধ্যে দাখিল হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। একই পন্থায় ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদে আল নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে গত ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি নিয়োগ পান মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের ছেলের বউ আমিনা খাতুন। তার পদে স্নাতকোত্তরসহ বিএড এমএড আবশ্যক। কিন্তু তিনিও বিএড এমএড সনদ ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রীর আত্মীয়ের যোগ্যতায়। একই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রীর মামাত ভাইয়ের মেয়ে আরিফা খানম। তিনি স্নাতক পাস করলেও তার বিএড সনদ ভুয়া। আরিফা খানমের স্বামী নুরুল আলম হবু'ও যোগদানের তারিখ জালিয়াতি করে পদোন্নতি নিয়ে হয়েছেন লালমনিরহাট বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। সেই পদোন্নতিও মন্ত্রীর ক্ষমতার প্রভাবে যোগদানের তারিখ ২১ সাল থেকে ২০০৮ সাল দেখানো হয়। তার কোনো পদোন্নতি হয়নি বলেও দাবি করে নুরুল আলম বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।   প্রতিটি নিয়োগে ট্রাস্টের চাকরি প্রবিধি (২০০৬) লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সবার শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতা সনদ ভুয়া ও জাল। যার কারণে পুলিশ ভেরিফিকেশন, এসিআর ও চাকরি স্থায়ীকরণও হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।   দুর্নীতি ও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ক্ষমতার অপপ্রয়োগে উল্লেখিত চারজন অযোগ্য আত্মীয় স্বজনদের অবৈধভাবে দেওয়া নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে ২৩ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি লাভলু শেখ। সেই ৪২ পাতার অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওই দিনই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠান লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।   অভিযোগকারী দৈনিক সংগ্রামের লালমনিরহাট প্রতিনিধি লাভলু শেখ বলেন, সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ক্ষমতার অপব্যবহার করে অযোগ্য আত্মীয় স্বজনদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা সনদ ছিল না। তাদের একমাত্র যোগ্যতা মন্ত্রীর আত্মীয়। অযোগ্যরা রাষ্ট্রীয় পদে থাকলে দেশের দুর্নীতি বন্ধ হবে না। তাই উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ ৪২ পাতার একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। জেলা প্রশাসক অভিযোগটি আমলে নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে পাঠিয়েছেন।
    Like
    1
    6 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 0 previzualizare
Eidok App https://eidok.com