• অনুষ্ঠিত হলো আই নিউজ বিডি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টিং মিটিং— যেখানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের সম্মানিত সম্পাদক মহোদয় ও ঢাকার সব সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ রিপোর্টাররা।

    এই মিলনমেলায় আলোচনা হয়— ভবিষ্যৎ কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি
    ভিডিও নিউজের গুরুত্ব
    গ্রাউন্ড লেভেলের রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড
    রিপোর্টারদের নৈতিকতা, দায়িত্ব ও নিয়মিততাকে ঘিরে মূল দিকনির্দেশনা

    এই আয়োজন ছিল কেবল একটি মিটিং নয়— বরং ছিল নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার একটি শক্ত ভিত।
    সত্য ও সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরার অঙ্গীকারেই আমরা একসাথে এগিয়ে যাব।

    সকল রিপোর্টারকে শুভকামনা ও নিরন্তর সাফল্যের প্রত্যাশা।
    #EyeNewsBD #ReporterMeet #DhakaTeam #JournalismWithIntegrity #VoiceOfThePeople

    Espahani Emran Md Sohel Badsha Alamgir MD. Emran Jewel Azzam
    অনুষ্ঠিত হলো আই নিউজ বিডি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টিং মিটিং— যেখানে উপস্থিত ছিলেন আমাদের সম্মানিত সম্পাদক মহোদয় ও ঢাকার সব সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ রিপোর্টাররা। এই মিলনমেলায় আলোচনা হয়— 🔹 ভবিষ্যৎ কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি 🔹 ভিডিও নিউজের গুরুত্ব 🔹 গ্রাউন্ড লেভেলের রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড 🔹 রিপোর্টারদের নৈতিকতা, দায়িত্ব ও নিয়মিততাকে ঘিরে মূল দিকনির্দেশনা এই আয়োজন ছিল কেবল একটি মিটিং নয়— বরং ছিল নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার একটি শক্ত ভিত। সত্য ও সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরার অঙ্গীকারেই আমরা একসাথে এগিয়ে যাব। সকল রিপোর্টারকে শুভকামনা ও নিরন্তর সাফল্যের প্রত্যাশা। #EyeNewsBD #ReporterMeet #DhakaTeam #JournalismWithIntegrity #VoiceOfThePeople [Emran24] [sohel1980] [Badsha] [emran017] [Jewelazzam.ja]
    0 Commentarios 0 Acciones 79 Views 0 Vista previa
  • পাকিস্তানে টিকটক অ্যাকাউন্ট ডিলিট না করায় বাবা হত্যা করেছেন মেয়েকে।

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জনপ্রিয় ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক থেকে অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক বাবা । 

    পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১১ জুলাই) মেয়েটির বাবা তাকে তার টিকটক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছিলেন। মেয়েটি অস্বীকৃতি জানালে, হত্যা করেন তাকে।

    পুলিশ প্রতিবেদন অনুসারে, সম্মানের জন্য ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে হত্যা করার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেন তাকে ।

    মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে, অনলাইন সহ জনসমক্ষে কীভাবে আচরণ করতে হবে সে সম্পর্কে কঠোর নিয়ম না মানার জন্য প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের হাতেই কঠিন শাস্তির শিকার হন নারীরা।

    তদন্তকারী পুলিশ জানায়, নিহতের পরিবার প্রথমে হত্যাকাণ্ডটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল।

    গত মাসেই, সানা ইউসুফ নামের ১৭ বছর বয়সী এক টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারকে বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করে এক ব্যক্তি। এই ইনফ্লুয়েন্সারের লক্ষ লক্ষ অনলাইন ফলোয়ার ছিল। সেখানে তিনি তার প্রিয় ক্যাফে, ত্বকের যত্নের পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ভিডিও শেয়ার করতেন।পাকিস্তানে এটি নতুন কিছু নয়।

    গত বছর, একজন পাকিস্তানি ব্যক্তি তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার ভিডিও ধারণ করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। প্রেমিকের সঙ্গে বসে থাকার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে হত্যা করেন তারা। পরে পুলিশ জানায়, ছবি এবং অ্যাকাউন্ট দুটিই ফেইক ছিল।

    ২০২১ সালে পাকিস্তানি-আমেরিকান প্রেমিক জহির জাফর, ২৭ বছর বয়সী নূর মুকাদামে নামের একটি তরুনীর শিরশ্ছেদ করে । বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে হত্যা করা হয় এই তরুনীকে। পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় জাফরকে।
    পাকিস্তানে টিকটক অ্যাকাউন্ট ডিলিট না করায় বাবা হত্যা করেছেন মেয়েকে। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জনপ্রিয় ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক থেকে অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক বাবা ।  পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১১ জুলাই) মেয়েটির বাবা তাকে তার টিকটক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে বলেছিলেন। মেয়েটি অস্বীকৃতি জানালে, হত্যা করেন তাকে। পুলিশ প্রতিবেদন অনুসারে, সম্মানের জন্য ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে হত্যা করার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেন তাকে । মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে, অনলাইন সহ জনসমক্ষে কীভাবে আচরণ করতে হবে সে সম্পর্কে কঠোর নিয়ম না মানার জন্য প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের হাতেই কঠিন শাস্তির শিকার হন নারীরা। তদন্তকারী পুলিশ জানায়, নিহতের পরিবার প্রথমে হত্যাকাণ্ডটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছিল। গত মাসেই, সানা ইউসুফ নামের ১৭ বছর বয়সী এক টিকটক ইনফ্লুয়েন্সারকে বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করে এক ব্যক্তি। এই ইনফ্লুয়েন্সারের লক্ষ লক্ষ অনলাইন ফলোয়ার ছিল। সেখানে তিনি তার প্রিয় ক্যাফে, ত্বকের যত্নের পণ্য এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ভিডিও শেয়ার করতেন।পাকিস্তানে এটি নতুন কিছু নয়। গত বছর, একজন পাকিস্তানি ব্যক্তি তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার ভিডিও ধারণ করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, গ্রেপ্তার করা হয় চারজনকে। প্রেমিকের সঙ্গে বসে থাকার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে হত্যা করেন তারা। পরে পুলিশ জানায়, ছবি এবং অ্যাকাউন্ট দুটিই ফেইক ছিল। ২০২১ সালে পাকিস্তানি-আমেরিকান প্রেমিক জহির জাফর, ২৭ বছর বয়সী নূর মুকাদামে নামের একটি তরুনীর শিরশ্ছেদ করে । বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কারণে হত্যা করা হয় এই তরুনীকে। পরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় জাফরকে।
    0 Commentarios 0 Acciones 112 Views 0 Vista previa
  • ‘ষড়যন্ত্র’ শেষ হয়নি, ফের ‘জোরেশোরে’ শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
    “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার,” বলেন তিনি।
    দেশে ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

    শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”

    লন্ডনে থাকা তারেক ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষেয়ে কথা বলেন।


    তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”

    একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করা, নব্বই ও চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় অধিকার রক্ষায় মানুষের সোচ্চার হওয়ার উদাহরণ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে।

    “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”


    তিনি বলেন, “আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।”

    গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘শহীদদের’ স্মরণে সংগঠনটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    অনুষ্ঠানে ১৪২ জন ‘শহীদের’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল সবার ছবি।

    জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর কষ্ট ও বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

    বক্তব্য রাখেন- পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র দলের আফিকুল ইসলাম সাদ (মানিকগঞ্জ), মেহেদী (মুন্সীগঞ্জ), রিপন চন্দ্র শীল (হবিগঞ্জ), মো. আদিল (নারায়ণগঞ্জ), সাগর ইসলাম (পঞ্চগড়), রিয়াজ (বরিশাল), সিফাত হোসেন (মাদারীপুর), শাহরিয়ার হাসান আলভি (বাগেরহাট), কাউছার হোসেন বিজয় (লক্ষীপুর), সাব্বির হোসেন (লক্ষীপুর), তানভীর সিদ্দিকী (কক্সবাজার), তাহিদুল ইসলাম (বরিশাল), আকরাম খান রাব্বী (ঢাকা), মনির হোসেন (ভোলা), ইমন মিয়া (টাঙ্গাইল), মেহেদী হাসান রাব্বী (মাগুরা), শাহাদাত হোসেন শাওন (নোয়াখালী), নুরুল মুস্তফা (কক্সবাজার), সাফকাত সামির (ঢাকা), তাহমিদ ভুঁইয়া (নরসিংদী), সুমন পাটোয়ারী (দিনাজপুর), নূর হোসেন পিয়াস (নোয়াখালী), ওয়াসিম আকরাম (কক্সবাজার), ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (নোয়াখালী) এর পরিবারের সদস্যরা।

    ‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই সরকারের কাছে দিয়েছি’

    তিনি মাস আগেই জুলাই সনদ সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি আজ থেকে তিন মাস আগে জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের কী বক্তব্য, আমাদের কী অবস্থান সকল কিছু ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি।

    “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, এই মুহূর্তে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। একটি দল হিসেবে আমাদের কাছে সরকার বক্তব্য মতামত জানতে চেয়েছে আমরা পরিষ্কারভাবে, লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।”

    সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন সরকারের, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কতটুকু কী করবে, না করবে, কাদের নিয়ে কী করবে না করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের আর কোনো কিছু বলার নেই।”

    তারেক বলেন, “যখন, আমরা দেখছি যে, কোনো কিছু বা কোনো কোনো বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অথবা কোনো কিছুকে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই আমরা খেয়াল করছি, কিছু কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

    দেশটি একার নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের, ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, দেশটি আমাদের সকলের, কাজেই এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সকলের ভাবতে হবে।

    “কারা কী করছে, কারা কী ভূমিকা রাখছে, কারা কী বর্তমানে বলছে? বলার মধ্যে পার্থক্য কী? তাদের অবস্থা ঘনঘন পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে আপনারা নজর রাখবেন।”

    ‘প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের ভূত’

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও এই ভূত লুকিয়ে আছে।”

    “কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কী ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এদেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।”

    ‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’

    জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সোচ্চার। তারা নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান দেখতে চায়।

    বিচার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক মানুষের কথা।

    “কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে, অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার, কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার।”

    ‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’

    বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা চলছে।

    এ ঘটনায় দলটির সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ৫ জনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে।

    এ ঘটনার বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “কেন কিছু কিছু দল পুরান ঢাকার ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? যে ছেলেটি মারা গেছে তার সাথে হয়ত যু্ব দলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যে খুন করছে বা যে হত্যা করছে তাকে অন্য জায়গা থেকে, আমরা যেটা খবর পেয়েছি, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।

    “তাকে ধরা হচ্ছে না। ধরা হল অন্যদের, গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে আসামি পর্যন্ত করা হয়নি, বোধ হয় এখন পর্যন্ত। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।”

    তারেক বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারী আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। দলের সাথে তার কী সম্পর্ক কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।”

    দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তারা বসে আছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের (খুনিদের) বিরুদ্ধে, সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
    ‘ষড়যন্ত্র’ শেষ হয়নি, ফের ‘জোরেশোরে’ শুরু হয়েছে: তারেক রহমান “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার,” বলেন তিনি। দেশে ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।” লন্ডনে থাকা তারেক ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষেয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।” একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করা, নব্বই ও চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় অধিকার রক্ষায় মানুষের সোচ্চার হওয়ার উদাহরণ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে। “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।” গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘শহীদদের’ স্মরণে সংগঠনটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ১৪২ জন ‘শহীদের’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল সবার ছবি। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর কষ্ট ও বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন- পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র দলের আফিকুল ইসলাম সাদ (মানিকগঞ্জ), মেহেদী (মুন্সীগঞ্জ), রিপন চন্দ্র শীল (হবিগঞ্জ), মো. আদিল (নারায়ণগঞ্জ), সাগর ইসলাম (পঞ্চগড়), রিয়াজ (বরিশাল), সিফাত হোসেন (মাদারীপুর), শাহরিয়ার হাসান আলভি (বাগেরহাট), কাউছার হোসেন বিজয় (লক্ষীপুর), সাব্বির হোসেন (লক্ষীপুর), তানভীর সিদ্দিকী (কক্সবাজার), তাহিদুল ইসলাম (বরিশাল), আকরাম খান রাব্বী (ঢাকা), মনির হোসেন (ভোলা), ইমন মিয়া (টাঙ্গাইল), মেহেদী হাসান রাব্বী (মাগুরা), শাহাদাত হোসেন শাওন (নোয়াখালী), নুরুল মুস্তফা (কক্সবাজার), সাফকাত সামির (ঢাকা), তাহমিদ ভুঁইয়া (নরসিংদী), সুমন পাটোয়ারী (দিনাজপুর), নূর হোসেন পিয়াস (নোয়াখালী), ওয়াসিম আকরাম (কক্সবাজার), ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (নোয়াখালী) এর পরিবারের সদস্যরা। ‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই সরকারের কাছে দিয়েছি’ তিনি মাস আগেই জুলাই সনদ সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি আজ থেকে তিন মাস আগে জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের কী বক্তব্য, আমাদের কী অবস্থান সকল কিছু ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি। “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, এই মুহূর্তে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। একটি দল হিসেবে আমাদের কাছে সরকার বক্তব্য মতামত জানতে চেয়েছে আমরা পরিষ্কারভাবে, লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।” সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন সরকারের, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কতটুকু কী করবে, না করবে, কাদের নিয়ে কী করবে না করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের আর কোনো কিছু বলার নেই।” তারেক বলেন, “যখন, আমরা দেখছি যে, কোনো কিছু বা কোনো কোনো বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অথবা কোনো কিছুকে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই আমরা খেয়াল করছি, কিছু কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।” দেশটি একার নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের, ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, দেশটি আমাদের সকলের, কাজেই এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সকলের ভাবতে হবে। “কারা কী করছে, কারা কী ভূমিকা রাখছে, কারা কী বর্তমানে বলছে? বলার মধ্যে পার্থক্য কী? তাদের অবস্থা ঘনঘন পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে আপনারা নজর রাখবেন।” ‘প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের ভূত’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও এই ভূত লুকিয়ে আছে।” “কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কী ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এদেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।” ‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’ জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সোচ্চার। তারা নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান দেখতে চায়। বিচার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক মানুষের কথা। “কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে, অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার, কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার।” ‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’ বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা চলছে। এ ঘটনায় দলটির সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ৫ জনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “কেন কিছু কিছু দল পুরান ঢাকার ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? যে ছেলেটি মারা গেছে তার সাথে হয়ত যু্ব দলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যে খুন করছে বা যে হত্যা করছে তাকে অন্য জায়গা থেকে, আমরা যেটা খবর পেয়েছি, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। “তাকে ধরা হচ্ছে না। ধরা হল অন্যদের, গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে আসামি পর্যন্ত করা হয়নি, বোধ হয় এখন পর্যন্ত। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।” তারেক বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারী আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। দলের সাথে তার কী সম্পর্ক কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।” দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তারা বসে আছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের (খুনিদের) বিরুদ্ধে, সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
    0 Commentarios 0 Acciones 229 Views 0 Vista previa
  • অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
    অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আজ থেকেই সারাদেশে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    উপদেষ্টা বলেন, খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে কোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে পারে।

    তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। সরকার জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যে কোনো কার্যক্রম কঠোর হাতে দমন করবে।


    কবে থেকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখন থেকেই।
    অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে চিরুনি অভিযানের ঘোষণা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে আজ থেকেই সারাদেশে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, খুন, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাস, অপহরণ, নারী নির্যাতন, মব সহিংসতা, মাদক চোরাচালানসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে কোনো সময় চিহ্নিত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে বিশেষ বা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে পারে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণসহ সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। সরকার জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যে কোনো কার্যক্রম কঠোর হাতে দমন করবে। কবে থেকে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এখন থেকেই।
    0 Commentarios 0 Acciones 240 Views 0 Vista previa
  • প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় জরুরি অবস্থা আর নয়
    জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না হয়, সে লক্ষ্যে নতুন বিধান সংযোজনের বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে এখণ থেকে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১২তম দিনে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো।

    জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি-অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা উহার যে কোনো অংশের নিরাপত্তার বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন, তাহা হলে তিনি অনধিক নব্বই দিনের জন্য জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করিতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই মন্ত্রীসভার লিখিত অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। বিদ্যমান সংবিধানে ১২০ দিনের কথা বলা আছে।

    একই সঙ্গে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। জরুরি অবস্থা নিয়ে গত ৭ ও ১০ জুলাই আলোচনা হয়। তার প্রেক্ষিতে রোববারের আলোচনায় বলা হয়, বিদ্যমান ১৪১ (ক) সংশোধনের সময় অভ্যন্তরীণ গোলযোগের শব্দগুলির পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকিৃতিক দুযোগ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা।

    ওই সময়ে নাগরিকের দুটো অধিকার অলঙ্ঘনীয় করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৪৭ (৩) এর বিধান সাপেক্ষে কোনো নাগরিকের জীবন অধিকার, নির্যাতন ও নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরেণ বা শাস্তি হইতে রক্ষা পাইবার অধিকার খর্ব করা যাবে না। সংলাপে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত দেখা যায়।

    বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মন্ত্রিসভার পরিবর্তে সর্বদলীয় বৈঠক হতে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আহমদ আবদুল কাদের মন্ত্রিসভার সঙ্গে বিরোধী দলকে যুক্ত করা প্রস্তাব দেন।

    আলোচনার এক পর্যায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জরুরি অবস্থা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা বা নেত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিতের প্রস্তাব করেন। যাতে সমর্থন জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বিরোধী দলীয় নেতা না থাকলে কে উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি সে সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন।

    এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার জানান বিরোধী দলীয় উপনেতাও মন্ত্রী পদ মর্যাদার। পরে সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা। মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বা নেত্রী বা তার অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলীয় উপনেতা উপস্থিত থাকেবেন।
    প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় জরুরি অবস্থা আর নয় জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না হয়, সে লক্ষ্যে নতুন বিধান সংযোজনের বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে এখণ থেকে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপের ১২তম দিনে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো। জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৪১ এর ক এর ১ ধারা মতে রাষ্ট্রপতির নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এমন জরুরি-অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, যা যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের দ্বারা বাংলাদেশ বা উহার যে কোনো অংশের নিরাপত্তার বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন, তাহা হলে তিনি অনধিক নব্বই দিনের জন্য জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করিতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই মন্ত্রীসভার লিখিত অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। বিদ্যমান সংবিধানে ১২০ দিনের কথা বলা আছে। একই সঙ্গে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্য ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। জরুরি অবস্থা নিয়ে গত ৭ ও ১০ জুলাই আলোচনা হয়। তার প্রেক্ষিতে রোববারের আলোচনায় বলা হয়, বিদ্যমান ১৪১ (ক) সংশোধনের সময় অভ্যন্তরীণ গোলযোগের শব্দগুলির পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকিৃতিক দুযোগ শব্দগুলি প্রতিস্থাপন হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা। ওই সময়ে নাগরিকের দুটো অধিকার অলঙ্ঘনীয় করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৪৭ (৩) এর বিধান সাপেক্ষে কোনো নাগরিকের জীবন অধিকার, নির্যাতন ও নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরেণ বা শাস্তি হইতে রক্ষা পাইবার অধিকার খর্ব করা যাবে না। সংলাপে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত দেখা যায়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মন্ত্রিসভার পরিবর্তে সর্বদলীয় বৈঠক হতে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আহমদ আবদুল কাদের মন্ত্রিসভার সঙ্গে বিরোধী দলকে যুক্ত করা প্রস্তাব দেন। আলোচনার এক পর্যায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জরুরি অবস্থা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা বা নেত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিতের প্রস্তাব করেন। যাতে সমর্থন জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বিরোধী দলীয় নেতা না থাকলে কে উপস্থিত থাকবেন তা নিয়ে কথা বলেন। তিনি সে সুযোগ রাখার প্রস্তাব করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার জানান বিরোধী দলীয় উপনেতাও মন্ত্রী পদ মর্যাদার। পরে সিদ্ধান্ত হয়, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা। মন্ত্রীসভার বৈঠকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বা নেত্রী বা তার অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলীয় উপনেতা উপস্থিত থাকেবেন।
    0 Commentarios 0 Acciones 377 Views 0 Vista previa
  • নিশংস এই হত্যার দায় সরকারের – স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাও প্রশ্নের মুখে

    এই যে রাস্তায় প্রকাশ্যে একজন মানুষ আরেকজন অসহায়, অর্ধনগ্ন, নিঃসহায় মানুষকে হত্যা করছে—এটা কেবল একটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নয়, এটি হলো রাষ্ট্রের নৈতিক এবং প্রশাসনিক চরম ব্যর্থতার প্রতীক। এ ধরনের ঘটনা ঘটার আগে, ঘটার সময় এবং ঘটার পর প্রশাসনের যেসব করণীয় ছিল, তার একটিও সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি।
    সরকারের ব্যর্থতা কোথায়?
    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত উপস্থিতি ও তৎপরতার অভাব।
    আশেপাশে থাকা মানুষের নিরাপত্তা চেতনার অভাব রাষ্ট্রীয় প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার ফল।
    আদালত ও বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা এবং অপরাধের যথাযথ বিচার না হওয়ায় অপরাধীর সাহস বেড়েছে।
    দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং সামাজিক বৈষম্যের মতো কাঠামোগত সমস্যা যেগুলোর সমাধান সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করেনি।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই পুলিশ, র‌্যাব, সিভিল ডিফেন্স, বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি), ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে। অথচ, এমন একটি খোলা রাস্তায়, দিনে-দুপুরে এভাবে কেউ একজনকে হত্যা করতে পারে, আর কেউ বাধা দেয় না—এটা কি আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যর্থ নয়?

    জনগণের প্রশ্ন

    কোথায় ছিল প্রশাসন?কোথায় ছিল সেই এলাকার পুলিশ?একজন মানুষ রাস্তায় পড়ে আছে, আর একজন পাথর তুলছে তাকে মারার জন্য, কিন্তু কেউ বাধা দিল না—এই সমাজ গড়ে উঠেছে কার দায়িত্বহীনতায়?আমাদের দাবি আমরা সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চাই:
    এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
    সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
    দেশের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে হবে—এটাই সংবিধানের অঙ্গীকার।
    এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা ও আইনি সংস্কার জরুরি।
    নিশংস এই হত্যার দায় সরকারের – স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাও প্রশ্নের মুখে এই যে রাস্তায় প্রকাশ্যে একজন মানুষ আরেকজন অসহায়, অর্ধনগ্ন, নিঃসহায় মানুষকে হত্যা করছে—এটা কেবল একটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নয়, এটি হলো রাষ্ট্রের নৈতিক এবং প্রশাসনিক চরম ব্যর্থতার প্রতীক। এ ধরনের ঘটনা ঘটার আগে, ঘটার সময় এবং ঘটার পর প্রশাসনের যেসব করণীয় ছিল, তার একটিও সঠিকভাবে কার্যকর হয়নি। সরকারের ব্যর্থতা কোথায়? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত উপস্থিতি ও তৎপরতার অভাব। আশেপাশে থাকা মানুষের নিরাপত্তা চেতনার অভাব রাষ্ট্রীয় প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার ফল। আদালত ও বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা এবং অপরাধের যথাযথ বিচার না হওয়ায় অপরাধীর সাহস বেড়েছে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং সামাজিক বৈষম্যের মতো কাঠামোগত সমস্যা যেগুলোর সমাধান সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন করেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনেই পুলিশ, র‌্যাব, সিভিল ডিফেন্স, বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি), ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে। অথচ, এমন একটি খোলা রাস্তায়, দিনে-দুপুরে এভাবে কেউ একজনকে হত্যা করতে পারে, আর কেউ বাধা দেয় না—এটা কি আমাদের দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যর্থ নয়? 🔴 জনগণের প্রশ্ন কোথায় ছিল প্রশাসন?কোথায় ছিল সেই এলাকার পুলিশ?একজন মানুষ রাস্তায় পড়ে আছে, আর একজন পাথর তুলছে তাকে মারার জন্য, কিন্তু কেউ বাধা দিল না—এই সমাজ গড়ে উঠেছে কার দায়িত্বহীনতায়?আমাদের দাবি আমরা সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চাই: এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে হবে—এটাই সংবিধানের অঙ্গীকার। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা ও আইনি সংস্কার জরুরি।
    Like
    1
    0 Commentarios 0 Acciones 256 Views 0 Vista previa
  • বাংলাদেশে নতুন করে দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: সংকটের গভীরতা বৃদ্ধি..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/bangladeshe-ntun-kre-de-lakh-rohinggar-prbesh-sngkter-gbhirta-briddhi_14171.html
    বাংলাদেশে নতুন করে দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: সংকটের গভীরতা বৃদ্ধি.. https://eyenewsbd.com/articles/read/bangladeshe-ntun-kre-de-lakh-rohinggar-prbesh-sngkter-gbhirta-briddhi_14171.html
    EYENEWSBD.COM
    বাংলাদেশে নতুন করে দেড় লাখ রোহিঙ্গার প্রবেশ: সংকটের গভীরতা বৃদ্ধি.. | আই নিউজ বিডি
    মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা রোহিঙ্গা সংকটের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।..
    1 Commentarios 0 Acciones 248 Views 0 Vista previa
  • স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাকা হয়নি রাস্তা, ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ
    স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও পাকা হয়নি রাস্তা, ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ
    0 Commentarios 0 Acciones 156 Views 0 Vista previa
  • কলাতিয়া ভূমি অফিসে ইউএনওর আকস্মিক উপস্থিতি: সেবায় শৃঙ্খলা আনতে নির্দেশনা.. | আই নিউজ বিডি https://share.google/2XNNPnXXfDqlzb3gw
    কলাতিয়া ভূমি অফিসে ইউএনওর আকস্মিক উপস্থিতি: সেবায় শৃঙ্খলা আনতে নির্দেশনা.. | আই নিউজ বিডি https://share.google/2XNNPnXXfDqlzb3gw
    SHARE.GOOGLE
    কলাতিয়া ভূমি অফিসে ইউএনওর আকস্মিক উপস্থিতি: সেবায় শৃঙ্খলা আনতে নির্দেশনা.. | আই নিউজ বিডি
    পরিদর্শনকালে তিনি অফিসের সার্বিক কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনার খোঁজখবর নেন এবং সেবা নিতে আসা জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। সেবাগ্রহীতাদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।..
    0 Commentarios 0 Acciones 242 Views 0 Vista previa
  • বিস্তারিত জানতে কমেন্টে চোখ রাখুন
    বিস্তারিত জানতে কমেন্টে চোখ রাখুন 👇
    1 Commentarios 0 Acciones 394 Views 0 Vista previa
  • Eidog নতুন একটি ওয়েবসাইট আমি ব্যবহার করতেছি আপনারা করছেন তো
    Eidog নতুন একটি ওয়েবসাইট আমি ব্যবহার করতেছি আপনারা করছেন তো
    Love
    2
    1 Commentarios 1 Acciones 942 Views 0 Vista previa





  • নাগরপুরবাসীর প্রাণের দাবি—সরকারি কলেজের পাশে হোক মডেল মসজি।
    আজ শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ শেষে নাগরপুর উপজেলার হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের পাশে সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এক বিশাল গণজমায়েত করেন। তাদের প্রধান ও একতাবদ্ধ দাবি—সরকারি কলেজের পাশে স্থাপিত হোক একটি পূর্ণাঙ্গ মডেল মসজিদ।

    সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাগরপুরের প্রায় ৯৯% মানুষ মনে করেন, মডেল মসজিদের জন্য সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকাটি সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। কারণ, এ জায়গাটি নাগরপুর উপজেলার কেন্দ্রবিন্দুতে এবং মানুষের চলাচলের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত।

    একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মুসল্লি বলেন, “এই জায়গাটাই সবচেয়ে ভালো। কলেজের পাশে হলে ছাত্ররা নামাজের প্রতি আরও উৎসাহিত হবে, আর এলাকাবাসীও সহজেই উপকৃত হতে পারবে।”

    বক্তারা আরও বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়। এটা জনগণের ধর্মীয় চেতনার বহিঃপ্রকাশ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মত প্রকাশ করেছি। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে জনগণের এ দাবিকে বাস্তবে রূপ দিন।”

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন—বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, সরকারি কলেজ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি সাদিকুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন মুসা, মো. গোলাম মোস্তফা গোলাম, সাইদ আলী স্বাধীন, লুৎফর রহমান, মীর মুফতিক শৈবাল, রাজিব আহমেদসহ আরও অনেক ধর্মপ্রাণ জনতা ও স্থানীয় বিশিষ্টজন।




    নাগরপুরবাসীর প্রাণের দাবি—সরকারি কলেজের পাশে হোক মডেল মসজি। আজ শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ শেষে নাগরপুর উপজেলার হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের পাশে সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এক বিশাল গণজমায়েত করেন। তাদের প্রধান ও একতাবদ্ধ দাবি—সরকারি কলেজের পাশে স্থাপিত হোক একটি পূর্ণাঙ্গ মডেল মসজিদ। সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাগরপুরের প্রায় ৯৯% মানুষ মনে করেন, মডেল মসজিদের জন্য সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকাটি সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। কারণ, এ জায়গাটি নাগরপুর উপজেলার কেন্দ্রবিন্দুতে এবং মানুষের চলাচলের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মুসল্লি বলেন, “এই জায়গাটাই সবচেয়ে ভালো। কলেজের পাশে হলে ছাত্ররা নামাজের প্রতি আরও উৎসাহিত হবে, আর এলাকাবাসীও সহজেই উপকৃত হতে পারবে।” বক্তারা আরও বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়। এটা জনগণের ধর্মীয় চেতনার বহিঃপ্রকাশ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মত প্রকাশ করেছি। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে জনগণের এ দাবিকে বাস্তবে রূপ দিন।” এই সময় উপস্থিত ছিলেন—বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম, সরকারি কলেজ মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি সাদিকুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসেন মুসা, মো. গোলাম মোস্তফা গোলাম, সাইদ আলী স্বাধীন, লুৎফর রহমান, মীর মুফতিক শৈবাল, রাজিব আহমেদসহ আরও অনেক ধর্মপ্রাণ জনতা ও স্থানীয় বিশিষ্টজন।
    0 Commentarios 0 Acciones 1K Views 27 0 Vista previa
Resultados de la búsqueda
Eidok App https://eidok.com