• আই নিউজ বিডি – বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    আই নিউজ বিডি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নির্ভীক ও নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠতা ও জনস্বার্থের পক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে আসছি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অন্যায় এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলম ও ক্যামেরা চালিয়ে যাচ্ছি।

    আমাদের সংবাদ কার্যক্রমকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও পেশাদারভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) নিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছি।

    এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, বরং একটি দায়িত্ব, একটি নেতৃত্বের আসন এবং সত্যের পক্ষে আজীবন লড়াইয়ের অঙ্গীকার।

    পদবী
    বিভাগীয় প্রধান (Division Chief)

    বিভাগীয় প্রধানের মূল দায়িত্ব
    সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা।

    নিউজ সংগ্রহ, যাচাই এবং দ্রুততম সময়ে আই নিউজ বিডি সিস্টেমে আপলোড নিশ্চিত করা।

    বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রদান।

    স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলের সাথে পেশাদার যোগাযোগ রক্ষা করা।

    আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তা দলের মধ্যে বাস্তবায়ন করা।

    যোগ্যতা ও শর্তাবলী
    শুধুমাত্র যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে:

    সদস্যপদ অভিজ্ঞতা – ন্যূনতম ১ মাস সক্রিয়ভাবে আই নিউজ বিডির সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা।

    সাংবাদিকতার পটভূমি – কমপক্ষে ২ বছরের ফিল্ড রিপোর্টিং, সম্পাদনা বা মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা।

    নেতৃত্বের দক্ষতা – একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা।

    তৎপরতা ও গতিশীলতা – ব্রেকিং নিউজ কভার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ও সময়নিষ্ঠা।

    প্রযুক্তিগত দক্ষতা – ক্যামেরা/মোবাইল দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ, নিউজ আপলোড সিস্টেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পারদর্শিতা।

    আই নিউজ বিডি সিস্টেমে পূর্ণ দক্ষতা – নিউজ আপলোড, এডিটিং, ফটো যুক্ত করা, এবং তাৎক্ষণিক পাবলিশ করার নিয়ম জানা।

    উপস্থাপনা দক্ষতা – ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল উপস্থাপনার যোগ্যতা।

    প্রমাণপত্র – পূর্বে করা উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে।

    নৈতিকতা ও সততা – সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি। কোনোভাবেই পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না।

    অঙ্গীকার – আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

    আবেদনের সাথে যা যা জমা দিতে হবে
    পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর

    সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতি (Bio)

    সাংবাদিকতা ও নেতৃত্ব সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ

    পূর্ববর্তী উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক (যদি থাকে)

    বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণ ও আপনার যোগ্যতার লিখিত ব্যাখ্যা

    গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
    আই নিউজ বিডি কোনো অর্থের বিনিময়ে আইডি কার্ড, প্রেস কার্ড, মাইক্রোফোন স্টিকার বা সরঞ্জাম প্রদান করে না। সমস্ত সরঞ্জাম যোগ্য ও অনুমোদিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

    কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে পদ বাতিল হবে।

    আবেদন পাঠানোর ঠিকানা
    ই-মেইল: eyenewsbdinfo@gmail.com

    আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৮/২০২৫
    আই নিউজ বিডি – বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আই নিউজ বিডি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নির্ভীক ও নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠতা ও জনস্বার্থের পক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে আসছি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অন্যায় এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলম ও ক্যামেরা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সংবাদ কার্যক্রমকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও পেশাদারভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) নিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছি। এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, বরং একটি দায়িত্ব, একটি নেতৃত্বের আসন এবং সত্যের পক্ষে আজীবন লড়াইয়ের অঙ্গীকার। পদবী বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) বিভাগীয় প্রধানের মূল দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা। নিউজ সংগ্রহ, যাচাই এবং দ্রুততম সময়ে আই নিউজ বিডি সিস্টেমে আপলোড নিশ্চিত করা। বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রদান। স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলের সাথে পেশাদার যোগাযোগ রক্ষা করা। আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তা দলের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। যোগ্যতা ও শর্তাবলী শুধুমাত্র যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে: সদস্যপদ অভিজ্ঞতা – ন্যূনতম ১ মাস সক্রিয়ভাবে আই নিউজ বিডির সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা। সাংবাদিকতার পটভূমি – কমপক্ষে ২ বছরের ফিল্ড রিপোর্টিং, সম্পাদনা বা মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা। নেতৃত্বের দক্ষতা – একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা। তৎপরতা ও গতিশীলতা – ব্রেকিং নিউজ কভার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ও সময়নিষ্ঠা। প্রযুক্তিগত দক্ষতা – ক্যামেরা/মোবাইল দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ, নিউজ আপলোড সিস্টেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পারদর্শিতা। আই নিউজ বিডি সিস্টেমে পূর্ণ দক্ষতা – নিউজ আপলোড, এডিটিং, ফটো যুক্ত করা, এবং তাৎক্ষণিক পাবলিশ করার নিয়ম জানা। উপস্থাপনা দক্ষতা – ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল উপস্থাপনার যোগ্যতা। প্রমাণপত্র – পূর্বে করা উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে। নৈতিকতা ও সততা – সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি। কোনোভাবেই পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। অঙ্গীকার – আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। আবেদনের সাথে যা যা জমা দিতে হবে পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতি (Bio) সাংবাদিকতা ও নেতৃত্ব সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ পূর্ববর্তী উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক (যদি থাকে) বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণ ও আপনার যোগ্যতার লিখিত ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি কোনো অর্থের বিনিময়ে আইডি কার্ড, প্রেস কার্ড, মাইক্রোফোন স্টিকার বা সরঞ্জাম প্রদান করে না। সমস্ত সরঞ্জাম যোগ্য ও অনুমোদিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে পদ বাতিল হবে। আবেদন পাঠানোর ঠিকানা ই-মেইল: eyenewsbdinfo@gmail.com আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৮/২০২৫
    Like
    1
    1 Comentários 0 Compartilhamentos 998 Visualizações 0 Anterior
  • স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ


    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে।
    স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব
    স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে।
    স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায়
    ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
    ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি।
    ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।
    আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা
    আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।
    নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে।
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে।
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা
    এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা।
    স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে। স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে। স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায় ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি। ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে। আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা। স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    Love
    2
    0 Comentários 2 Compartilhamentos 1KB Visualizações 1 Anterior
  • পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি
    সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন।
    লেখক লিখেন জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়।
    তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে।
    আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো।

    দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি
    সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না।
    পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট
    ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা।
    স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা
    মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে।
    আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি
    একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও।
    বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন
    আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি।
    মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ
    আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
    বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ
    কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।”
    এক বিকেলের শিক্ষণ
    এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে।
    সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য।
    সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

    তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী।
    towfiqsultan.help@gmail.com
    01301483833
    পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন। লেখক লিখেন জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়। তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো। দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না। পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা। স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে। আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও। বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি। মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়। বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।” এক বিকেলের শিক্ষণ এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে। সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য। সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে। তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী। towfiqsultan.help@gmail.com 01301483833
    Love
    2
    1 Comentários 2 Compartilhamentos 1KB Visualizações 1 Anterior
  • চাটখিলে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতে মতবিনিময়

    নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামকে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    শনিবার (৯ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার মেঘা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল ও সালেহ আহাম্মদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন মাদক সেবী তার পরিবারের জন্য বোঝা, সমাজের জন্য বোঝা, সে তার নিজেকে ধ্বংস করে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে এবং সমাজটাকেও ধ্বংস করে। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আপনারা মাদক সেবন বা ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানালে সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে এসে মাদক কারবারি কে সাথে সাথে সাজা প্রদান করবে।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেরিটেজ রিয়েল এস্টেড লিঃ এর চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেন, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আনিস আহমেদ হানিফ।

    আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সচিব মোহাম্মদ হানিফ, ধাঁনশালিক মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম মহিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, আবু তৈয়ব, আলমগীর কবির লিটন, কাজী শাহাজাহান মাসুদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
    চাটখিলে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতে মতবিনিময় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামকে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৯ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার মেঘা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল ও সালেহ আহাম্মদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন মাদক সেবী তার পরিবারের জন্য বোঝা, সমাজের জন্য বোঝা, সে তার নিজেকে ধ্বংস করে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে এবং সমাজটাকেও ধ্বংস করে। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আপনারা মাদক সেবন বা ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানালে সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে এসে মাদক কারবারি কে সাথে সাথে সাজা প্রদান করবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেরিটেজ রিয়েল এস্টেড লিঃ এর চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেন, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আনিস আহমেদ হানিফ। আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সচিব মোহাম্মদ হানিফ, ধাঁনশালিক মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম মহিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, আবু তৈয়ব, আলমগীর কবির লিটন, কাজী শাহাজাহান মাসুদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
    Love
    Like
    3
    1 Comentários 1 Compartilhamentos 1KB Visualizações 0 Anterior
  • একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা

    জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।

    ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য
    ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy)
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে।

    তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে।

    ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

    গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে।

    ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity)
    রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

    সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত।

    প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি।

    সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত।

    ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness)
    রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে।

    কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H)

    ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন।

    ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত।

    খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে।

    জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত।

    ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability)
    সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা।

    কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা।

    ১.৬ গঠন (Structure)
    একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে।

    পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু।

    মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে।

    উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ।

    ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে।

    বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা।

    ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics)
    কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।

    ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
    ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি
    কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা।

    প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি।

    ২.২ তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ।

    সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ।

    প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ।

    ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই
    তথ্যের সত্যতা যাচাই।

    বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা।

    ২.৪ প্রতিবেদন লেখা
    সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা।

    মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন।

    ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা
    বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা।

    সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং।

    ২.৬ প্রকাশ
    সময়োপযোগী প্রকাশ।

    মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)।

    ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়?
    আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে:

    ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা
    তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা।

    কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না।

    নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন
    নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা।

    নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো।

    হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া।

    ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ
    শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

    পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা।

    ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
    মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা।

    সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা।

    ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা
    ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন।

    ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা
    ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা
    অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা।

    ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার
    কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা।

    ৪.৩ দায়িত্বশীলতা
    ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।

    ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা।

    ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা
    আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

    একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়। আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন। ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy) একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে। তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে। ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে। ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity) রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না। সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত। প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি। সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত। ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness) রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে। কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H) ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন। ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত। খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে। জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত। ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability) সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা। কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা। প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা। ১.৬ গঠন (Structure) একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে। পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু। মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে। উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ। ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে। বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা। ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics) কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা। প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি। ২.২ তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ। সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ। ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই তথ্যের সত্যতা যাচাই। বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা। ২.৪ প্রতিবেদন লেখা সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা। মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন। ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা। সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং। ২.৬ প্রকাশ সময়োপযোগী প্রকাশ। মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)। ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়? আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে: ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা। কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না। নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা। নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো। হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া। ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা। ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন। ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা। ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা। ৪.৩ দায়িত্বশীলতা ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা। ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা। ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    Love
    Like
    6
    8 Comentários 0 Compartilhamentos 1KB Visualizações 0 Anterior
  • জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং: নিয়ম-কানুন, আইন ও কার্যকর টিপস

    বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ অপরাধের খবর জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের খবর প্রকাশ পেলে তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন সঠিকভাবে ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    এই আর্টিকেলে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্ট করার নিয়ম-কানুন, আইনগত দিক, সতর্কতা ও কার্যকর টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আই নিউজ বিডি এর পক্ষ থেকে এই ধরণের প্রতিবেদনগুলোতে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটিও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

    ১. অপরাধ রিপোর্টিং এর গুরুত্ব
    অপরাধ রিপোর্টিং শুধুমাত্র ঘটনা তুলে ধরা নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, নির্যাতিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের সঠিক ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন স্থানীয় মানুষকে আরো সুসংহত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে।

    ২. অপরাধ রিপোর্টিং এর আইনি নিয়ম-কানুন
    ২.১ তথ্য সংগ্রহের সতর্কতা
    তথ্য যাচাই: অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার সময় নিশ্চিত হতে হবে তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করা যাবে না।

    সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র ব্যবহার করুন, যেমন পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইত্যাদি।

    ২.২ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষা
    অপরাধীর নাম, ছবি, ঠিকানা প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আদালত বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়া জরুরি হতে পারে।

    অপরাধের শিকার বা ভুক্তভোগীদের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    অপ্রয়োজনীয় বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে করে কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।

    ২.৩ মামলার পর্যায় বিবেচনা
    মামলার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মামলার সুষ্ঠু বিচারে প্রভাব না পড়ে বা পক্ষপাতিত্ব না হয়।

    জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়া আবশ্যক।

    ২.৪ আইনি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত অন্যান্য আইন সম্পর্কে অবগত থাকা আবশ্যক।

    অবৈধ তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

    বাকস্বাধীনতার সীমারেখা ও দায়িত্বের মধ্যে থেকে রিপোর্ট করা উচিত।

    ৩. অপরাধ রিপোর্টিং এর প্রাথমিক ধাপসমূহ
    ৩.১ ঘটনা তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে ঘটনা দেখা।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে নির্ভুল তথ্য গ্রহণ।

    পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ।

    যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই।

    ৩.২ রিপোর্ট লেখা ও সংবাদ তৈরি
    সংক্ষিপ্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ ভাষায় রিপোর্ট লেখা।

    ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, সময় ও স্থান উল্লেখ।

    সংযুক্তি হিসেবে ছবি বা ভিডিও থাকলে তা অবশ্যই সত্যতা সম্পন্ন হতে হবে।

    ৩.৩ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই
    সব তথ্য পুনরায় যাচাই করা।

    অপেক্ষাকৃত নাজুক তথ্য ও বিবরণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পরামর্শ নেওয়া।

    ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং এর চ্যালেঞ্জ ও সুরক্ষা
    ৪.১ নিরাপত্তা ঝুঁকি
    অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হতে হতে পারে হুমকি, বাধা ও আক্রমণের সম্ভাবনা।

    তাই নিজ ও পরিবার ও তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

    ৪.২ আইনি জটিলতা ও বিচারাধীন বিষয়
    আদালতের নির্দেশনা বা আইনগত বিধিনিষেধে সংবাদ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ হতে পারে।

    ৪.৩ তথ্যের অভাব ও গুজব
    সঠিক তথ্য সংগ্রহে সময়সাপেক্ষতা ও উৎস সংকট হতে পারে।

    গুজব ও ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি।

    ৫. কার্যকর অপরাধ রিপোর্টিংয়ের টিপস
    ৫.১ নোট নেওয়া
    ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ও সঠিক নোট নিতে হবে।

    নাম, স্থান, সময়, সাক্ষীদের নাম ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে।

    ৫.২ সাক্ষাৎকার নেওয়া
    সন্দেহভাজন, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার।

    সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য।

    ৫.৩ দৃশ্যমান প্রমাণ সংগ্রহ
    ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি।

    ৫.৪ নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ
    অপরাধীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা।

    ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা।

    ৫.৫ রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকা
    নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

    ৬. আই নিউজ বিডি কী চায় অপরাধ রিপোর্টে?
    ৬.১ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য
    আই নিউজ বিডি প্রত্যাশা করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনগুলো সর্বদা সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা অবিশ্বাস্য তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা যাবে না।

    ৬.২ মানবিক ও নৈতিক সাংবাদিকতা
    ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে।

    ৬.৩ সময়োপযোগী ও নিয়মিত রিপোর্টিং
    ঘটনার সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবেদন পাঠানো জরুরি। আই নিউজ বিডি নিয়মিত আপডেট ও সতর্ক সাংবাদিক চাই।

    ৬.৪ ভিডিও ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং
    শুধুমাত্র লিখিত প্রতিবেদন নয়, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনাবলী প্রমাণ সহকারে পরিবেশন করতে হবে, যা পাঠক ও দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।

    ৬.৫ আইনি ও নৈতিকতা মেনে চলা
    সবসময় দেশের আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা নীতিমালা মেনে চলতে হবে।


    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ সংবাদ পরিবেশন একটি কঠিন ও দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সাংবাদিকতা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই নিউজ বিডি এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, নিষ্ঠাবান ও সতর্ক সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেবে।

    সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও দৃষ্টান্তমূলক করতে চাই।
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং: নিয়ম-কানুন, আইন ও কার্যকর টিপস বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ অপরাধের খবর জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের খবর প্রকাশ পেলে তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন সঠিকভাবে ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্ট করার নিয়ম-কানুন, আইনগত দিক, সতর্কতা ও কার্যকর টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আই নিউজ বিডি এর পক্ষ থেকে এই ধরণের প্রতিবেদনগুলোতে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটিও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ১. অপরাধ রিপোর্টিং এর গুরুত্ব অপরাধ রিপোর্টিং শুধুমাত্র ঘটনা তুলে ধরা নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, নির্যাতিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের সঠিক ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন স্থানীয় মানুষকে আরো সুসংহত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে। ২. অপরাধ রিপোর্টিং এর আইনি নিয়ম-কানুন ২.১ তথ্য সংগ্রহের সতর্কতা তথ্য যাচাই: অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার সময় নিশ্চিত হতে হবে তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করা যাবে না। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র ব্যবহার করুন, যেমন পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইত্যাদি। ২.২ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষা অপরাধীর নাম, ছবি, ঠিকানা প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আদালত বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়া জরুরি হতে পারে। অপরাধের শিকার বা ভুক্তভোগীদের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে করে কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। ২.৩ মামলার পর্যায় বিবেচনা মামলার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মামলার সুষ্ঠু বিচারে প্রভাব না পড়ে বা পক্ষপাতিত্ব না হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়া আবশ্যক। ২.৪ আইনি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত অন্যান্য আইন সম্পর্কে অবগত থাকা আবশ্যক। অবৈধ তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বাকস্বাধীনতার সীমারেখা ও দায়িত্বের মধ্যে থেকে রিপোর্ট করা উচিত। ৩. অপরাধ রিপোর্টিং এর প্রাথমিক ধাপসমূহ ৩.১ ঘটনা তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে ঘটনা দেখা। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে নির্ভুল তথ্য গ্রহণ। পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ। যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই। ৩.২ রিপোর্ট লেখা ও সংবাদ তৈরি সংক্ষিপ্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ ভাষায় রিপোর্ট লেখা। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, সময় ও স্থান উল্লেখ। সংযুক্তি হিসেবে ছবি বা ভিডিও থাকলে তা অবশ্যই সত্যতা সম্পন্ন হতে হবে। ৩.৩ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই সব তথ্য পুনরায় যাচাই করা। অপেক্ষাকৃত নাজুক তথ্য ও বিবরণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পরামর্শ নেওয়া। ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং এর চ্যালেঞ্জ ও সুরক্ষা ৪.১ নিরাপত্তা ঝুঁকি অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হতে হতে পারে হুমকি, বাধা ও আক্রমণের সম্ভাবনা। তাই নিজ ও পরিবার ও তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ৪.২ আইনি জটিলতা ও বিচারাধীন বিষয় আদালতের নির্দেশনা বা আইনগত বিধিনিষেধে সংবাদ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ হতে পারে। ৪.৩ তথ্যের অভাব ও গুজব সঠিক তথ্য সংগ্রহে সময়সাপেক্ষতা ও উৎস সংকট হতে পারে। গুজব ও ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি। ৫. কার্যকর অপরাধ রিপোর্টিংয়ের টিপস ৫.১ নোট নেওয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ও সঠিক নোট নিতে হবে। নাম, স্থান, সময়, সাক্ষীদের নাম ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে। ৫.২ সাক্ষাৎকার নেওয়া সন্দেহভাজন, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য। ৫.৩ দৃশ্যমান প্রমাণ সংগ্রহ ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি। ৫.৪ নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ অপরাধীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা। ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা। ৫.৫ রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকা নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ৬. আই নিউজ বিডি কী চায় অপরাধ রিপোর্টে? ৬.১ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য আই নিউজ বিডি প্রত্যাশা করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনগুলো সর্বদা সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা অবিশ্বাস্য তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা যাবে না। ৬.২ মানবিক ও নৈতিক সাংবাদিকতা ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে। ৬.৩ সময়োপযোগী ও নিয়মিত রিপোর্টিং ঘটনার সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবেদন পাঠানো জরুরি। আই নিউজ বিডি নিয়মিত আপডেট ও সতর্ক সাংবাদিক চাই। ৬.৪ ভিডিও ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং শুধুমাত্র লিখিত প্রতিবেদন নয়, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনাবলী প্রমাণ সহকারে পরিবেশন করতে হবে, যা পাঠক ও দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। ৬.৫ আইনি ও নৈতিকতা মেনে চলা সবসময় দেশের আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ সংবাদ পরিবেশন একটি কঠিন ও দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সাংবাদিকতা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই নিউজ বিডি এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, নিষ্ঠাবান ও সতর্ক সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেবে। সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও দৃষ্টান্তমূলক করতে চাই।
    Love
    Like
    7
    6 Comentários 0 Compartilhamentos 1KB Visualizações 1 Anterior
  • ভিডিও নিউজ তৈরির ব্যাপক আলোচনা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও আই নিউজ বিডির দৃষ্টিভঙ্গি

    বর্তমান সময়ে তথ্যের গতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দ্রুত, স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ভিডিও নিউজ এখনো গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশেও গত কয়েক বছর ধরে ভিডিও নিউজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডিজিটাল যুগে এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

    আই নিউজ বিডি এ ক্ষেত্রটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি— ভালো ভিডিও নিউজ তৈরি করে আমরা শুধু তথ্য পৌঁছে দিই না, বরং জনমনে সচেতনতা ও সামাজিক পরিবর্তনও আনি। এই আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের ভিডিও নিউজ তৈরির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা বিশ্লেষণ করব এবং আই নিউজ বিডির নীতি, উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা তুলে ধরব।

    বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের বর্তমান অবস্থা: এক নজরে
    বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারে ভিডিও নিউজ একটি দ্রুত বর্ধনশীল মাধ্যম। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, এবং স্বতন্ত্র সাংবাদিকরা এখন ভিডিওর মাধ্যমে দ্রুত খবর পরিবেশন করছেন। কিন্তু এর সাথে জড়িত রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা, যেমন—

    প্রযুক্তিগত অভাব: অনেক সংবাদকর্মীর কাছে উচ্চমানের ক্যামেরা, সাউন্ড ও এডিটিং সফটওয়্যার নেই।

    প্রফেশনাল গাইডলাইন ও প্রশিক্ষণের অভাব: অধিকাংশ সময় রিপোর্টাররা ভিডিও নিউজ তৈরিতে দক্ষ নয়, ফলে মান নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়।

    কনটেন্টের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা: প্রায়ই দেখা যায় বানোয়াট বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ভিডিও নিউজ তৈরি হয়, যা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করে।

    আর্থিক ও মানবসম্পদের সীমাবদ্ধতা: ছোট ছোট নিউজ আউটলেটগুলোতে ভিডিও প্রোডাকশনে যথাযথ বাজেট বা প্রশিক্ষিত কর্মী থাকে না।

    এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ভিডিও নিউজের মানোন্নয়ন ও সঠিক ব্যবহারে ‘আই নিউজ বিডি’ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

    আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ সংক্রান্ত দর্শন ও উদ্দেশ্য
    আমাদের মিশন হলো:

    গণমাধ্যমে তথ্যপ্রবাহের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা।

    সঠিক ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

    ভিডিও নিউজের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠস্বর সরাসরি পৌঁছে দেওয়া।

    প্রতিটি অঞ্চল ও শ্রেণীর মানুষের সংবাদ উপস্থাপন করা।

    রিপোর্টার ও কন্ট্রিবিউটরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান।

    আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ তৈরির নীতি তিনটি প্রধান স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত—

    ১. মান (Quality)
    শুধুমাত্র দ্রুত নয়, যথাযথ তথ্য এবং সঠিক উপস্থাপনায় ভিডিও তৈরি করা।

    ২. সততা (Integrity)
    বিষয়বস্তুতে কোন রকম ভ্রান্তি, অনুমান বা অপপ্রচার না থাকা।

    ৩. নিয়মিততা (Consistency)
    প্রতিনিয়ত ভিডিও নিউজ প্রকাশের মাধ্যমে একটি বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।

    ভিডিও নিউজ তৈরির জন্য আই নিউজ বিডির কাঠামো
    আমাদের ভিডিও নিউজ তৈরির প্রক্রিয়া এবং দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত—

    বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা
    খবরের গুরুত্ব বুঝে প্রাসঙ্গিক বিষয় বাছাই করা।

    ঘটনাস্থলে নিজে গিয়ে সত্যতা যাচাই করা।

    প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বক্তব্য নেওয়া।

    ভিডিওগ্রাফি
    মোবাইল বা ক্যামেরা সঠিকভাবে ব্যবহার করা।

    ক্যামেরা স্থির রাখা এবং প্রয়োজনমত প্যান, জুম করা।

    আলো ও শব্দের যথাযথ ব্যাবস্থা রাখা।

    এডিটিং ও প্রোডাকশন
    ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা।

    সাবটাইটেল, টাইটেল, গ্রাফিক্স যোগ করা।

    সাউন্ড মিক্সিং করে ভিডিওর মান উন্নত করা।

    প্রকাশনা ও প্রচার
    সঠিক সময়ে এবং সঠিক প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করা।

    দর্শকের প্রতিক্রিয়া মনোযোগ দিয়ে দেখা এবং বিশ্লেষণ করা।

    বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের সমস্যা ও সমাধান: আই নিউজ বিডির ভূমিকা
    বাংলাদেশে অনেক রিপোর্টার এখনও ভিডিও নিউজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেননি। এর ফলে মানসম্পন্ন ভিডিও নিউজ তৈরি কঠিন। আই নিউজ বিডি এই সমস্যার মোকাবিলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে—

    প্রশিক্ষণ কর্মশালা: আমাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন ও মিটিংয়ের মাধ্যমে রিপোর্টারদের ভিডিওর টেকনিক্যাল দিক সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া।

    গাইডলাইন ও টিউটোরিয়াল: রিপোর্টারদের জন্য ভিডিও তৈরির সহজ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রদান।

    মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: ভিডিও নিউজ আপলোডের আগে মান যাচাই করা ও পরামর্শ প্রদান।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা: প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও এডিটিং সফটওয়্যার সরবরাহ করা।

    রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা
    ভিডিও তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয়সমূহ
    প্রস্তুতি: নিউজ বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখা।

    ভিডিও শট: পরিষ্কার, স্থির এবং প্রাসঙ্গিক শট গ্রহণ করা।

    সাউন্ড: শব্দের মান উন্নত করতে মাইক্রোফোন ব্যবহার ও ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ কমানো।

    সম্পাদনা: গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভিডিও সম্পাদন করা।

    থামনেইল: আকর্ষণীয় ও বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থামনেইল ব্যবহার করা।

    সংবাদ পরিবেশনের নীতি
    নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

    অপপ্রচার ও গুজব থেকে দূরে থাকা।

    সাধারণ মানুষের কষ্ট ও সাফল্য উভয় দিক তুলে ধরা।

    তথ্য যাচাই করা।

    মানবাধিকার ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।

    ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ
    আই নিউজ বিডি ভিডিও নিউজ তৈরিতে আরও উচ্চ মান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে–

    ডেডিকেটেড ভিডিও রিপোর্টিং টিম গঠন।

    উন্নত ভিডিও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ।

    নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ।

    প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উন্নয়ন।

    সবার জন্য সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ।

    ভিডিও নিউজ এখন শুধু খবর প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম যা মানুষের জীবন ও সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার। বাংলাদেশে এই মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘আই নিউজ বিডি’ নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টরা ভিডিও নিউজ তৈরির প্রতিটি ধাপে এই নীতিমালা মেনে চলবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং জনসাধারণের জন্য মানসম্মত সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করবে।
    ভিডিও নিউজ তৈরির ব্যাপক আলোচনা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও আই নিউজ বিডির দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান সময়ে তথ্যের গতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দ্রুত, স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ভিডিও নিউজ এখনো গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশেও গত কয়েক বছর ধরে ভিডিও নিউজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডিজিটাল যুগে এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আই নিউজ বিডি এ ক্ষেত্রটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি— ভালো ভিডিও নিউজ তৈরি করে আমরা শুধু তথ্য পৌঁছে দিই না, বরং জনমনে সচেতনতা ও সামাজিক পরিবর্তনও আনি। এই আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের ভিডিও নিউজ তৈরির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা বিশ্লেষণ করব এবং আই নিউজ বিডির নীতি, উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা তুলে ধরব। বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের বর্তমান অবস্থা: এক নজরে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারে ভিডিও নিউজ একটি দ্রুত বর্ধনশীল মাধ্যম। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, এবং স্বতন্ত্র সাংবাদিকরা এখন ভিডিওর মাধ্যমে দ্রুত খবর পরিবেশন করছেন। কিন্তু এর সাথে জড়িত রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা, যেমন— প্রযুক্তিগত অভাব: অনেক সংবাদকর্মীর কাছে উচ্চমানের ক্যামেরা, সাউন্ড ও এডিটিং সফটওয়্যার নেই। প্রফেশনাল গাইডলাইন ও প্রশিক্ষণের অভাব: অধিকাংশ সময় রিপোর্টাররা ভিডিও নিউজ তৈরিতে দক্ষ নয়, ফলে মান নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। কনটেন্টের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা: প্রায়ই দেখা যায় বানোয়াট বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ভিডিও নিউজ তৈরি হয়, যা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করে। আর্থিক ও মানবসম্পদের সীমাবদ্ধতা: ছোট ছোট নিউজ আউটলেটগুলোতে ভিডিও প্রোডাকশনে যথাযথ বাজেট বা প্রশিক্ষিত কর্মী থাকে না। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ভিডিও নিউজের মানোন্নয়ন ও সঠিক ব্যবহারে ‘আই নিউজ বিডি’ বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ সংক্রান্ত দর্শন ও উদ্দেশ্য আমাদের মিশন হলো: গণমাধ্যমে তথ্যপ্রবাহের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা। সঠিক ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ভিডিও নিউজের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠস্বর সরাসরি পৌঁছে দেওয়া। প্রতিটি অঞ্চল ও শ্রেণীর মানুষের সংবাদ উপস্থাপন করা। রিপোর্টার ও কন্ট্রিবিউটরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান। আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ তৈরির নীতি তিনটি প্রধান স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত— ১. মান (Quality) শুধুমাত্র দ্রুত নয়, যথাযথ তথ্য এবং সঠিক উপস্থাপনায় ভিডিও তৈরি করা। ২. সততা (Integrity) বিষয়বস্তুতে কোন রকম ভ্রান্তি, অনুমান বা অপপ্রচার না থাকা। ৩. নিয়মিততা (Consistency) প্রতিনিয়ত ভিডিও নিউজ প্রকাশের মাধ্যমে একটি বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। ভিডিও নিউজ তৈরির জন্য আই নিউজ বিডির কাঠামো আমাদের ভিডিও নিউজ তৈরির প্রক্রিয়া এবং দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত— বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা খবরের গুরুত্ব বুঝে প্রাসঙ্গিক বিষয় বাছাই করা। ঘটনাস্থলে নিজে গিয়ে সত্যতা যাচাই করা। প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বক্তব্য নেওয়া। ভিডিওগ্রাফি মোবাইল বা ক্যামেরা সঠিকভাবে ব্যবহার করা। ক্যামেরা স্থির রাখা এবং প্রয়োজনমত প্যান, জুম করা। আলো ও শব্দের যথাযথ ব্যাবস্থা রাখা। এডিটিং ও প্রোডাকশন ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা। সাবটাইটেল, টাইটেল, গ্রাফিক্স যোগ করা। সাউন্ড মিক্সিং করে ভিডিওর মান উন্নত করা। প্রকাশনা ও প্রচার সঠিক সময়ে এবং সঠিক প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করা। দর্শকের প্রতিক্রিয়া মনোযোগ দিয়ে দেখা এবং বিশ্লেষণ করা। বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের সমস্যা ও সমাধান: আই নিউজ বিডির ভূমিকা বাংলাদেশে অনেক রিপোর্টার এখনও ভিডিও নিউজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেননি। এর ফলে মানসম্পন্ন ভিডিও নিউজ তৈরি কঠিন। আই নিউজ বিডি এই সমস্যার মোকাবিলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে— প্রশিক্ষণ কর্মশালা: আমাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন ও মিটিংয়ের মাধ্যমে রিপোর্টারদের ভিডিওর টেকনিক্যাল দিক সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া। গাইডলাইন ও টিউটোরিয়াল: রিপোর্টারদের জন্য ভিডিও তৈরির সহজ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রদান। মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: ভিডিও নিউজ আপলোডের আগে মান যাচাই করা ও পরামর্শ প্রদান। প্রযুক্তি সহযোগিতা: প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও এডিটিং সফটওয়্যার সরবরাহ করা। রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা ভিডিও তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয়সমূহ প্রস্তুতি: নিউজ বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখা। ভিডিও শট: পরিষ্কার, স্থির এবং প্রাসঙ্গিক শট গ্রহণ করা। সাউন্ড: শব্দের মান উন্নত করতে মাইক্রোফোন ব্যবহার ও ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ কমানো। সম্পাদনা: গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভিডিও সম্পাদন করা। থামনেইল: আকর্ষণীয় ও বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থামনেইল ব্যবহার করা। সংবাদ পরিবেশনের নীতি নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। অপপ্রচার ও গুজব থেকে দূরে থাকা। সাধারণ মানুষের কষ্ট ও সাফল্য উভয় দিক তুলে ধরা। তথ্য যাচাই করা। মানবাধিকার ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ আই নিউজ বিডি ভিডিও নিউজ তৈরিতে আরও উচ্চ মান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে– ডেডিকেটেড ভিডিও রিপোর্টিং টিম গঠন। উন্নত ভিডিও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ। প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উন্নয়ন। সবার জন্য সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ। ভিডিও নিউজ এখন শুধু খবর প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম যা মানুষের জীবন ও সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার। বাংলাদেশে এই মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘আই নিউজ বিডি’ নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টরা ভিডিও নিউজ তৈরির প্রতিটি ধাপে এই নীতিমালা মেনে চলবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং জনসাধারণের জন্য মানসম্মত সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করবে।
    Love
    2
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1KB Visualizações 0 Anterior
  • ভিডিওতে থামনেইল ব্যবহারের গুরুত্ব: আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের উদ্দেশ্যে

    প্রিয় রিপোর্টার ও কন্ট্রিবিউটর বন্ধুগণ,

    আজকের সময়ে ভিডিও নিউজের ক্ষেত্রে থামনেইল (Thumbnail) এর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি আকর্ষণীয় ও প্রাসঙ্গিক থামনেইল দর্শকদের প্রথম নজর কাড়ে এবং তাদের ভিডিওটি দেখতে প্ররোচিত করে। তাই শুধু ভালো ভিডিও তৈরি করলেই হবে না, ভিডিওর থামনেইলকে সজাগ ও প্রফেশনালভাবে প্রস্তুত করা অতীব জরুরি।

    কেন থামনেইল গুরুত্বপূর্ণ?

    দৃষ্টি আকর্ষণ: সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে হাজারো ভিডিওর মাঝে আপনার ভিডিও যদি একটি ভালো থামনেইল না রাখে, তাহলে তা দর্শকের নজরে আসার সুযোগ কমে যায়।

    বিষয়বস্তুর প্রতিফলন: থামনেইলই ভিডিওর প্রথম ইমপ্রেশন। এটি ভিডিওর বিষয়বস্তু সহজে বোঝাতে সাহায্য করে, তাই অবশ্যই ভিডিওর মূল টপিককে সুন্দর ও পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে।

    ভিউ বাড়াতে সহায়ক: আকর্ষণীয় থামনেইল দর্শকদের ভিডিও ক্লিক করার প্রবণতা বাড়ায়, যার ফলে ভিডিওর ভিউ বেড়ে যায় এবং তা আপনার কাজের প্রতিফলনও শক্তিশালী করে।

    কীভাবে ভালো থামনেইল তৈরি করবেন?

    স্পষ্ট এবং উচ্চমানের ছবি ব্যবহার করুন।

    ভিডিওর প্রধান বিষয়বস্তু বা মুহূর্তের ছবি হোক থামনেইল।

    বেশি লেখা ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, থাকলে সংক্ষিপ্ত এবং বড় ফন্টে লিখুন।

    চোখে পড়ার মতো রঙ এবং কন্ট্রাস্ট ব্যবহার করুন।

    যদি সম্ভব হয়, ভিডিওর প্রধান চরিত্র বা বিষয়বস্তুর মুখ দেখানোর চেষ্টা করুন।

    অবশেষে, ভালো থামনেইল তৈরি করা আপনার ভিডিওর জন্য এক প্রকার “মুখবন্ধন”। এটা তৈরি করতে যত্নবান হোন, কারণ এটি দর্শককে আপনার নিউজের সাথে যুক্ত রাখার প্রথম ধাপ।

    আমাদের সবার লক্ষ্য হল ‘আই নিউজ বিডি’ এর মানসম্মত ও প্রভাবশালী সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা। তাই ভিডিওর প্রতিটি ছোটখাটো দিকেই যত্ন নিবেন, বিশেষ করে থামনেইলে।

    আপনাদের প্রতিভা এবং নিষ্ঠার প্রতি আমাদের বিশ্বাস অটুট। চলুন, একসাথে আরও ভালো কাজ করি, আরও বেশি মানুষকে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দিই।

    শুভকামনা রইল।

    আই নিউজ বিডি পরিবার
    ভিডিওতে থামনেইল ব্যবহারের গুরুত্ব: আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের উদ্দেশ্যে প্রিয় রিপোর্টার ও কন্ট্রিবিউটর বন্ধুগণ, আজকের সময়ে ভিডিও নিউজের ক্ষেত্রে থামনেইল (Thumbnail) এর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি আকর্ষণীয় ও প্রাসঙ্গিক থামনেইল দর্শকদের প্রথম নজর কাড়ে এবং তাদের ভিডিওটি দেখতে প্ররোচিত করে। তাই শুধু ভালো ভিডিও তৈরি করলেই হবে না, ভিডিওর থামনেইলকে সজাগ ও প্রফেশনালভাবে প্রস্তুত করা অতীব জরুরি। কেন থামনেইল গুরুত্বপূর্ণ? দৃষ্টি আকর্ষণ: সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে হাজারো ভিডিওর মাঝে আপনার ভিডিও যদি একটি ভালো থামনেইল না রাখে, তাহলে তা দর্শকের নজরে আসার সুযোগ কমে যায়। বিষয়বস্তুর প্রতিফলন: থামনেইলই ভিডিওর প্রথম ইমপ্রেশন। এটি ভিডিওর বিষয়বস্তু সহজে বোঝাতে সাহায্য করে, তাই অবশ্যই ভিডিওর মূল টপিককে সুন্দর ও পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। ভিউ বাড়াতে সহায়ক: আকর্ষণীয় থামনেইল দর্শকদের ভিডিও ক্লিক করার প্রবণতা বাড়ায়, যার ফলে ভিডিওর ভিউ বেড়ে যায় এবং তা আপনার কাজের প্রতিফলনও শক্তিশালী করে। কীভাবে ভালো থামনেইল তৈরি করবেন? স্পষ্ট এবং উচ্চমানের ছবি ব্যবহার করুন। ভিডিওর প্রধান বিষয়বস্তু বা মুহূর্তের ছবি হোক থামনেইল। বেশি লেখা ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, থাকলে সংক্ষিপ্ত এবং বড় ফন্টে লিখুন। চোখে পড়ার মতো রঙ এবং কন্ট্রাস্ট ব্যবহার করুন। যদি সম্ভব হয়, ভিডিওর প্রধান চরিত্র বা বিষয়বস্তুর মুখ দেখানোর চেষ্টা করুন। অবশেষে, ভালো থামনেইল তৈরি করা আপনার ভিডিওর জন্য এক প্রকার “মুখবন্ধন”। এটা তৈরি করতে যত্নবান হোন, কারণ এটি দর্শককে আপনার নিউজের সাথে যুক্ত রাখার প্রথম ধাপ। আমাদের সবার লক্ষ্য হল ‘আই নিউজ বিডি’ এর মানসম্মত ও প্রভাবশালী সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা। তাই ভিডিওর প্রতিটি ছোটখাটো দিকেই যত্ন নিবেন, বিশেষ করে থামনেইলে। আপনাদের প্রতিভা এবং নিষ্ঠার প্রতি আমাদের বিশ্বাস অটুট। চলুন, একসাথে আরও ভালো কাজ করি, আরও বেশি মানুষকে সঠিক সংবাদ পৌঁছে দিই। শুভকামনা রইল। আই নিউজ বিডি পরিবার
    Like
    Love
    4
    1 Comentários 0 Compartilhamentos 833 Visualizações 0 Anterior
  • মোবাইল দিয়ে ভিডিও রিপোর্টিং (Step-by-Step)
    ফ্রেমিং ও কম্পোজিশন

    সাবজেক্ট কোথায় রাখবেন (Rule of Thirds)

    ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিন রাখা

    আলো (Lighting)

    প্রাকৃতিক আলো vs আর্টিফিশিয়াল লাইট

    রাতের সময় ভিডিও ধারণের কৌশল

    অডিও

    মোবাইলের বিল্ট-ইন vs এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন

    গোলমেলে পরিবেশে কী করবেন?

    ভিডিও সেটিংস

    Resolution (1080p বা 4K)

    Frame Rate (30fps vs 60fps)

    Stabilization ব্যবহার
    মোবাইল দিয়ে ভিডিও রিপোর্টিং (Step-by-Step) ফ্রেমিং ও কম্পোজিশন সাবজেক্ট কোথায় রাখবেন (Rule of Thirds) ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিন রাখা আলো (Lighting) প্রাকৃতিক আলো vs আর্টিফিশিয়াল লাইট রাতের সময় ভিডিও ধারণের কৌশল অডিও মোবাইলের বিল্ট-ইন vs এক্সটার্নাল মাইক্রোফোন গোলমেলে পরিবেশে কী করবেন? ভিডিও সেটিংস Resolution (1080p বা 4K) Frame Rate (30fps vs 60fps) Stabilization ব্যবহার
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 593 Visualizações 0 Anterior
  • জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ

    রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ মিলন আয়তনে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সবাত গ্রহণ এবং তৎপরবর্তী আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    এর আগে সকাল ৯টায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএইচএফপিও ডা: জিয়াউর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার রায়, বিএনপি'র প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহেদ ও সোলায়মান কবির, জামায়েত ইসলামীর প্রতিনিধি শহিদ হোসেন, রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।
    এসময় মহিলা ও শিশও বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ উপজেলার মত শ্যামনগরে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ লাখো কন্ঠের সাথে একতালে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
    এর আগে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল নাইম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: জিয়াদ আলী, সামিউল মনির, মো: শহিদ হোসেন,রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।

    ছবি : লাখো কন্ঠের সাথে তাল মিলিয়ে শ্যামনগরের শপথ বাক্য পাঠ।
    জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ মিলন আয়তনে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সবাত গ্রহণ এবং তৎপরবর্তী আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএইচএফপিও ডা: জিয়াউর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার রায়, বিএনপি'র প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহেদ ও সোলায়মান কবির, জামায়েত ইসলামীর প্রতিনিধি শহিদ হোসেন, রেজাউল ইসলাম প্রমূখ। এসময় মহিলা ও শিশও বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ উপজেলার মত শ্যামনগরে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ লাখো কন্ঠের সাথে একতালে শপথ বাক্য পাঠ করেন। এর আগে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল নাইম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: জিয়াদ আলী, সামিউল মনির, মো: শহিদ হোসেন,রেজাউল ইসলাম প্রমূখ। ছবি : লাখো কন্ঠের সাথে তাল মিলিয়ে শ্যামনগরের শপথ বাক্য পাঠ।
    Like
    1
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 839 Visualizações 0 Anterior
  • কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাওর থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার
    প্রতিনিধি, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
    নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের হাওর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে।

    পুলিশ ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেনু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থেকে অন্যের জমি বর্গাচাষ করতেন। হাওরের ফসলি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন বাড়িতে তার উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশিরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

    এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন হাওরে কাজ করতে গেলে কেনু মিয়ার পঁচা-গলা মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পঁচে-গলে গেছে। তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টার্স পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও ওসি জানান।

    নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।”

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বর্গা নেওয়া জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

    ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

    মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।।
    ০১৭১৬৩১৩৩৪৬

    কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাওর থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার প্রতিনিধি, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের হাওর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে। পুলিশ ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেনু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থেকে অন্যের জমি বর্গাচাষ করতেন। হাওরের ফসলি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন বাড়িতে তার উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশিরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন হাওরে কাজ করতে গেলে কেনু মিয়ার পঁচা-গলা মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পঁচে-গলে গেছে। তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টার্স পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও ওসি জানান। নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।” প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বর্গা নেওয়া জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।। ০১৭১৬৩১৩৩৪৬
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1KB Visualizações 0 Anterior
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার: হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে শাহিনুর আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে উপজেলার থানা পশ্চিম এলাকার স্টিল ব্রিজের পাশে একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিনুর ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাতবিলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। নয় বছর আগে উপজেলার সফিরকান্দি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বপন মিয়ার সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে তাদের ছয় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের এক বছর পর সৌদি প্রবাসী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহিনুরের। পরে স্বপন মিয়াকে তালাক দিয়ে মাসুদকে বিয়ে করেন তিনি। শাহিনুরের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তিনি পৌরশহরের স্টিল ব্রিজের পাশে ওই দোতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত থেকে শাহিনুরের রুমের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। রাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তালা ভেঙে শাহিনুরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।” ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয়েই এ ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে তৎপর। বিভিন্ন মহল থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানানো হচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি করা হচ্ছে।
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার: হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে শাহিনুর আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে উপজেলার থানা পশ্চিম এলাকার স্টিল ব্রিজের পাশে একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিনুর ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাতবিলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। নয় বছর আগে উপজেলার সফিরকান্দি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বপন মিয়ার সঙ্গে তার প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে তাদের ছয় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের এক বছর পর সৌদি প্রবাসী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শাহিনুরের। পরে স্বপন মিয়াকে তালাক দিয়ে মাসুদকে বিয়ে করেন তিনি। শাহিনুরের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তিনি পৌরশহরের স্টিল ব্রিজের পাশে ওই দোতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত থেকে শাহিনুরের রুমের দরজা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। রাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তালা ভেঙে শাহিনুরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।” ঘটনার পর পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয়েই এ ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে তৎপর। বিভিন্ন মহল থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি উঠেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানানো হচ্ছে এবং জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি করা হচ্ছে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 988 Visualizações 0 Anterior
Páginas impulsionada
Eidok App https://eidok.com