• কুষ্টিয়ায় কেসিএফ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত।।

    জাকির হোসেন।। সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়ায় প্রাণবন্ত এক সাংস্কৃতিক আড্ডায় মিলিত হলেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সংগঠন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। কুষ্টিয়া কালচারাল ফোরাম (কেসিএফ) এর উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহরের এন এস রোডের চিলিস ফুট পার্কে অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিমল থিয়েটারের সভাপতি ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক পারভেজ মাজমাদার। সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক, ভাবের হাটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সক্রিয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

    সভায় বক্তারা কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সংগীতচর্চার ধারাবাহিকতা এবং আধুনিক প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। তাঁরা মনে করেন, লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও বাউলগানের মতো ঐতিহ্যকে ধারণ করে কুষ্টিয়া দেশীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল বাতিঘর। এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করা জরুরি।

    প্রধান অতিথি পারভেজ মাজমাদার বলেন, “কুষ্টিয়া শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নয়, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও সারা দেশে অগ্রগণ্য। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বাঁচিয়ে রাখা মানে সমাজে মানবিকতা, সহমর্মিতা ও ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখা।”

    সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সংস্কৃতি হলো সমাজের প্রাণ। ভাবের হাট ও রেড ক্রিসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি কেসিএফ-এর উদ্যোগও আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মানবিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার আলোয় আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

    আলোচনা শেষে মুক্ত মতবিনিময়ে কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলো উঠে আসে। বক্তারা কুষ্টিয়াকে একটি সংস্কৃতি রাজধানী ও“সংস্কৃতির মডেল জেলা” হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নানা স্তরের ব্যক্তিবর্গ, সংগঠক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকরা এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে নিয়ে মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আয়োজনটির সমাপ্তি ঘটে।
    কুষ্টিয়ায় কেসিএফ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত।। জাকির হোসেন।। সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়ায় প্রাণবন্ত এক সাংস্কৃতিক আড্ডায় মিলিত হলেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সংগঠন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। কুষ্টিয়া কালচারাল ফোরাম (কেসিএফ) এর উদ্যোগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহরের এন এস রোডের চিলিস ফুট পার্কে অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিমল থিয়েটারের সভাপতি ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক পারভেজ মাজমাদার। সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক, ভাবের হাটের সভাপতি এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সক্রিয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। সভায় বক্তারা কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সংগীতচর্চার ধারাবাহিকতা এবং আধুনিক প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। তাঁরা মনে করেন, লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও বাউলগানের মতো ঐতিহ্যকে ধারণ করে কুষ্টিয়া দেশীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল বাতিঘর। এই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করা জরুরি। প্রধান অতিথি পারভেজ মাজমাদার বলেন, “কুষ্টিয়া শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নয়, সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও সারা দেশে অগ্রগণ্য। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বাঁচিয়ে রাখা মানে সমাজে মানবিকতা, সহমর্মিতা ও ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখা।” সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সংস্কৃতি হলো সমাজের প্রাণ। ভাবের হাট ও রেড ক্রিসেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি কেসিএফ-এর উদ্যোগও আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মানবিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার আলোয় আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” আলোচনা শেষে মুক্ত মতবিনিময়ে কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলো উঠে আসে। বক্তারা কুষ্টিয়াকে একটি সংস্কৃতি রাজধানী ও“সংস্কৃতির মডেল জেলা” হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নানা স্তরের ব্যক্তিবর্গ, সংগঠক, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও সাংবাদিকরা এই সভায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে নিয়ে মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আয়োজনটির সমাপ্তি ঘটে।
    0 Комментарии 1 Поделились 83 Просмотры 0 предпросмотр
  • ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন
    গাইবান্ধা, পলাশবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে আনার সময় মৃত্যুবরণ করেন,
    মোঃ আশরাফুল মিয়ার
    কন্যা মৃত মোছাঃ মনি আক্তার (১৩) বছর বয়স
    সন্ধ্যার সময় খেলতে গিয়ে
    সাপে কেটে মেয়েটি মারা যায়
    গ্রাম গনেশপুর বাজার কাশিয়াবাড়ি
    বাচ্চাটার জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন আমিন!
    !!!......
    সবাইকে সতর্ক করার জন্য বেশি বেশি শেয়ার করবেন প্লিজ বাচ্চাদেরকে সন্ধ্যার পর জেনো খেলতে না দেয় সবাইকে সাবধান করার জন্য অনুরোধ করছি
    ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন গাইবান্ধা, পলাশবাড়ি উপজেলা হাসপাতালে আনার সময় মৃত্যুবরণ করেন, মোঃ আশরাফুল মিয়ার কন্যা মৃত মোছাঃ মনি আক্তার (১৩) বছর বয়স সন্ধ্যার সময় খেলতে গিয়ে সাপে কেটে মেয়েটি মারা যায় গ্রাম গনেশপুর বাজার কাশিয়াবাড়ি বাচ্চাটার জন্য সবাই দোয়া করবেন আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন আমিন! 😭😭😭 !!!...... সবাইকে সতর্ক করার জন্য বেশি বেশি শেয়ার করবেন প্লিজ বাচ্চাদেরকে সন্ধ্যার পর জেনো খেলতে না দেয় সবাইকে সাবধান করার জন্য অনুরোধ করছি 👍
    0 Комментарии 0 Поделились 750 Просмотры 0 предпросмотр
  • আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

    আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।

    ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

    দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে।

    কনটেন্টের গুণগত মান:

    ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা:

    অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে।

    থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।

    বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে।

    ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা:

    বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না।

    শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

    ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা।

    কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    চূড়ান্ত সতর্কতা:

    প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

    আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

    আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই।

    এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

    কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে। কনটেন্টের গুণগত মান: ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা: অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে। থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে। বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে। ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা: বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না। শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম। তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা। কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 🚫 চূড়ান্ত সতর্কতা: প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে। আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায় সেতুর উপরে এক ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন, এবং সেই সময় ট্রেনে কাটা পড়েন।
    চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায় সেতুর উপরে এক ব্যক্তি সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন, এবং সেই সময় ট্রেনে কাটা পড়েন। 😭😭😭😭
    0 Комментарии 0 Поделились 570 Просмотры 0 предпросмотр
  • সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকার কারণে হাতিয়া'র সাথে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

    * হাতিয়া টু ঢাকা রুটে ফারহান এবং তাসরিফ লঞ্চ।
    * হাতিয়া টু চট্টগ্রাম রুটে এমভি টেকনাফ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
    * সিট্রাক আগামীকাল ১৪ আগষ্ট ২০২৫ইং এক ট্রিপ চলাচল করবে। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সকাল ৮টায় ছাড়বে এবং হাতিয়া থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে।

    সমুদ্র উত্তাল তীব্র স্রোত এবং প্রচুর ঢেউ। এমতাবস্থায় ট্রলার, স্পিড বোটে যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন।। মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

    আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আমাদের পাবলিক গ্রুপ থেকে প্রত্যেকটি নৌযান চলাচলের সময়সূচির আপডেট দেয়া হবে।
    এডমিন - মোঃ সৈকত।
    আপডেট -১৩ আগষ্ট ২০২৫ইং
    সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকার কারণে হাতিয়া'র সাথে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। * হাতিয়া টু ঢাকা রুটে ফারহান এবং তাসরিফ লঞ্চ। * হাতিয়া টু চট্টগ্রাম রুটে এমভি টেকনাফ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। * সিট্রাক আগামীকাল ১৪ আগষ্ট ২০২৫ইং এক ট্রিপ চলাচল করবে। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সকাল ৮টায় ছাড়বে এবং হাতিয়া থেকে সকাল ১০টায় ছাড়বে। সমুদ্র উত্তাল তীব্র স্রোত এবং প্রচুর ঢেউ। এমতাবস্থায় ট্রলার, স্পিড বোটে যাতায়াত থেকে বিরত থাকুন।। মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আমাদের পাবলিক গ্রুপ থেকে প্রত্যেকটি নৌযান চলাচলের সময়সূচির আপডেট দেয়া হবে। এডমিন - মোঃ সৈকত। আপডেট -১৩ আগষ্ট ২০২৫ইং
    0 Комментарии 0 Поделились 817 Просмотры 0 предпросмотр
  • গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষেধ।!!
    আজ ১৪:ই আগস্ট দুপুর ২টা থেকে কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার দপ্তর প্রধান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনাব নাসিমুল গনি। আয়োজনেঃ জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অদ্য বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর থেকে প্রোগ্রামটি চলমান।কেন এ প্রবেশ আধিকার নিষেধ তা জানা যায়নি।অনেক গণমাধ্যম কর্মী এতে মনঃক্ষুণ্য বলে জানা যায় বলে যানাযায়।
    গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষেধ।!! আজ ১৪:ই আগস্ট দুপুর ২টা থেকে কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার দপ্তর প্রধান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনাব নাসিমুল গনি। আয়োজনেঃ জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অদ্য বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর থেকে প্রোগ্রামটি চলমান।কেন এ প্রবেশ আধিকার নিষেধ তা জানা যায়নি।অনেক গণমাধ্যম কর্মী এতে মনঃক্ষুণ্য বলে জানা যায় বলে যানাযায়।
    0 Комментарии 0 Поделились 442 Просмотры 0 предпросмотр
  • আই নিউজ বিডি – বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    আই নিউজ বিডি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নির্ভীক ও নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠতা ও জনস্বার্থের পক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে আসছি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অন্যায় এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলম ও ক্যামেরা চালিয়ে যাচ্ছি।

    আমাদের সংবাদ কার্যক্রমকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও পেশাদারভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) নিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছি।

    এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, বরং একটি দায়িত্ব, একটি নেতৃত্বের আসন এবং সত্যের পক্ষে আজীবন লড়াইয়ের অঙ্গীকার।

    পদবী
    বিভাগীয় প্রধান (Division Chief)

    বিভাগীয় প্রধানের মূল দায়িত্ব
    সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা।

    নিউজ সংগ্রহ, যাচাই এবং দ্রুততম সময়ে আই নিউজ বিডি সিস্টেমে আপলোড নিশ্চিত করা।

    বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রদান।

    স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলের সাথে পেশাদার যোগাযোগ রক্ষা করা।

    আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তা দলের মধ্যে বাস্তবায়ন করা।

    যোগ্যতা ও শর্তাবলী
    শুধুমাত্র যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে:

    সদস্যপদ অভিজ্ঞতা – ন্যূনতম ১ মাস সক্রিয়ভাবে আই নিউজ বিডির সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা।

    সাংবাদিকতার পটভূমি – কমপক্ষে ২ বছরের ফিল্ড রিপোর্টিং, সম্পাদনা বা মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা।

    নেতৃত্বের দক্ষতা – একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা।

    তৎপরতা ও গতিশীলতা – ব্রেকিং নিউজ কভার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ও সময়নিষ্ঠা।

    প্রযুক্তিগত দক্ষতা – ক্যামেরা/মোবাইল দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ, নিউজ আপলোড সিস্টেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পারদর্শিতা।

    আই নিউজ বিডি সিস্টেমে পূর্ণ দক্ষতা – নিউজ আপলোড, এডিটিং, ফটো যুক্ত করা, এবং তাৎক্ষণিক পাবলিশ করার নিয়ম জানা।

    উপস্থাপনা দক্ষতা – ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল উপস্থাপনার যোগ্যতা।

    প্রমাণপত্র – পূর্বে করা উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে।

    নৈতিকতা ও সততা – সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি। কোনোভাবেই পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না।

    অঙ্গীকার – আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

    আবেদনের সাথে যা যা জমা দিতে হবে
    পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর

    সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতি (Bio)

    সাংবাদিকতা ও নেতৃত্ব সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ

    পূর্ববর্তী উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক (যদি থাকে)

    বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণ ও আপনার যোগ্যতার লিখিত ব্যাখ্যা

    গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
    আই নিউজ বিডি কোনো অর্থের বিনিময়ে আইডি কার্ড, প্রেস কার্ড, মাইক্রোফোন স্টিকার বা সরঞ্জাম প্রদান করে না। সমস্ত সরঞ্জাম যোগ্য ও অনুমোদিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

    কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে পদ বাতিল হবে।

    আবেদন পাঠানোর ঠিকানা
    ই-মেইল: eyenewsbdinfo@gmail.com

    আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৮/২০২৫
    আই নিউজ বিডি – বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আই নিউজ বিডি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নির্ভীক ও নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠতা ও জনস্বার্থের পক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে আসছি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অন্যায় এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলম ও ক্যামেরা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সংবাদ কার্যক্রমকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও পেশাদারভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) নিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছি। এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, বরং একটি দায়িত্ব, একটি নেতৃত্বের আসন এবং সত্যের পক্ষে আজীবন লড়াইয়ের অঙ্গীকার। পদবী বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) বিভাগীয় প্রধানের মূল দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা। নিউজ সংগ্রহ, যাচাই এবং দ্রুততম সময়ে আই নিউজ বিডি সিস্টেমে আপলোড নিশ্চিত করা। বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রদান। স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলের সাথে পেশাদার যোগাযোগ রক্ষা করা। আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তা দলের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। যোগ্যতা ও শর্তাবলী শুধুমাত্র যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে: সদস্যপদ অভিজ্ঞতা – ন্যূনতম ১ মাস সক্রিয়ভাবে আই নিউজ বিডির সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা। সাংবাদিকতার পটভূমি – কমপক্ষে ২ বছরের ফিল্ড রিপোর্টিং, সম্পাদনা বা মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা। নেতৃত্বের দক্ষতা – একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা। তৎপরতা ও গতিশীলতা – ব্রেকিং নিউজ কভার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ও সময়নিষ্ঠা। প্রযুক্তিগত দক্ষতা – ক্যামেরা/মোবাইল দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ, নিউজ আপলোড সিস্টেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পারদর্শিতা। আই নিউজ বিডি সিস্টেমে পূর্ণ দক্ষতা – নিউজ আপলোড, এডিটিং, ফটো যুক্ত করা, এবং তাৎক্ষণিক পাবলিশ করার নিয়ম জানা। উপস্থাপনা দক্ষতা – ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল উপস্থাপনার যোগ্যতা। প্রমাণপত্র – পূর্বে করা উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে। নৈতিকতা ও সততা – সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি। কোনোভাবেই পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। অঙ্গীকার – আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। আবেদনের সাথে যা যা জমা দিতে হবে পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতি (Bio) সাংবাদিকতা ও নেতৃত্ব সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ পূর্ববর্তী উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক (যদি থাকে) বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণ ও আপনার যোগ্যতার লিখিত ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি কোনো অর্থের বিনিময়ে আইডি কার্ড, প্রেস কার্ড, মাইক্রোফোন স্টিকার বা সরঞ্জাম প্রদান করে না। সমস্ত সরঞ্জাম যোগ্য ও অনুমোদিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে পদ বাতিল হবে। আবেদন পাঠানোর ঠিকানা ই-মেইল: eyenewsbdinfo@gmail.com আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৮/২০২৫
    Like
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ


    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে।
    স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব
    স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে।
    স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায়
    ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
    ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি।
    ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।
    আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা
    আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।
    নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে।
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে।
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা
    এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা।
    স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে। স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে। স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায় ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি। ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে। আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা। স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    Love
    2
    0 Комментарии 2 Поделились 2Кб Просмотры 1 предпросмотр
  • পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি
    সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন।
    লেখক লিখেন জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়।
    তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে।
    আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো।

    দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
    অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি
    সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না।
    পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট
    ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা।
    স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা
    মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে।
    আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি
    একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও।
    বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন
    আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি।
    মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ
    আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়।
    বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ
    কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।”
    এক বিকেলের শিক্ষণ
    এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে।
    সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য।
    সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে।

    তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী।
    towfiqsultan.help@gmail.com
    01301483833
    পুরনো বন্ধুত্বের নস্টালজিয়া মিলনমেলা এক বিকেলে ফিরে দেখা এক দশকের স্মৃতি সময় কখনও থামে না, কিন্তু কিছু মুহূর্ত এমন থাকে যা বছরের পর বছর পরও ঠিক ততটাই উজ্জ্বল, যতটা ছিল শুরুতে। স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব সেই রকমই এক অনুভূতি, যা বয়স, পেশা, কিংবা দূরত্বে ক্ষয় হয় না। এই সত্যেরই সাক্ষী হয়ে রইল মনোহরদীর এক বৃষ্টিভেজা বিকেল, যখন ২০১৫ ব্যাচের ছয়জন পুরনো বন্ধু—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও লেখক—দীর্ঘদিন পর আবার একত্র হলেন। লেখক লিখেন জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়। তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো। দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপ্রত্যাশিত ডাক, ব্যস্ত দিনের বিরতি সেদিন সকালটা ছিল একেবারেই সাধারণ। লেখক ব্যস্ত ছিলেন নিত্যদিনের কাজকর্মে। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে—ওপাশে বন্ধু তানভীর। খবর দিল, তারা মনোহরদী আসছে। তানভীর কেবল একজন বন্ধু নন, বরং জীবনের অন্যতম কাছের সঙ্গী। খবর শুনেই লেখকের মধ্যে কাজ ফেলে দেওয়ার এক অদম্য তাগিদ তৈরি হলো। দীর্ঘদিন পর প্রিয় মুখগুলো দেখার আনন্দ কোনো কিছুতেই ম্লান হতে পারে না। পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বের সেতু অটুট ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই ছয় বন্ধুর জীবন ভিন্ন ভিন্ন পথে এগিয়েছে। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন মনোহরদীর এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। কলেজজীবনে দেখা-সাক্ষাৎ কমে এলেও যোগাযোগ বজায় ছিল, আর হৃদয়ের কোথাও গেঁথে ছিল সেই পুরনো দিনের গল্পগাথা। স্মৃতির প্রাঙ্গণে ফেরা মিলনমেলার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ—যেখানে লেখকের নিজের কলেজজীবনের অনেক স্মৃতি জমা আছে। লাল-সাদা ভবন, খোলা মাঠ, আর গাছের সারি যেন গল্প বলতে থাকে সেই তারুণ্যের দিনগুলোর। এখানেই তারা দাঁড়িয়ে তুললেন কয়েকটি ছবি, যা পরবর্তীতে এই দিনের সাক্ষ্য হয়ে থাকবে। আড্ডা, গল্প আর স্কুল-কলেজের দিনগুলি একটু পরেই শুরু হলো গল্পের স্রোত। স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম বেঞ্চের অভিজ্ঞতা, ‘ভূগোল ক্লাসে’ পাস মার্ক নিয়ে হাসাহাসি, ক্যানটিনের চা-সমোসার স্মৃতি—সব উঠে এল হাসি আর আবেগের মিশ্রণে। কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেউ স্মরণ করলেন হোস্টেলের রাত জাগা, কেউ আবার ‘পড়ার চেয়ে আড্ডা বেশি’ দিনগুলোর গল্প শোনালেন। আলোচনা চলল শিক্ষকদের স্মৃতি, বন্ধুদের হারিয়ে যাওয়া চিঠি, এমনকি পুরনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা নিয়েও। বর্তমানের পরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন আজ সবাই জীবনের পথে অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ শিক্ষক হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ত সময়সূচি, দায়িত্বের চাপ, প্রতিযোগিতামূলক জীবন—সব মিলিয়েও এই দিনের জন্য তারা সময় বের করে নিয়েছেন। কারণ, এই একসাথে কাটানো সময় তাদের কাছে শুধুই আনন্দ নয়, বরং একধরনের মানসিক শক্তি। মনোহরদীর চারপাশে ভ্রমণ আড্ডার ফাঁকে সিদ্ধান্ত হলো, আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ছুটলেন মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা স্থানগুলোতে। আগে তারা ঘুরেছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’তে, যার পাশেই ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। শহরের কোলাহল পেরিয়ে এই জায়গাগুলো যেন নিঃশব্দ প্রকৃতির কাছে ফেরার সুযোগ করে দেয়। বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে স্মৃতিচারণ কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। ছাদে, গাছের পাতায়, মাঠের ঘাসে—প্রকৃতি যেন সুর তুলল। সেই বৃষ্টির শব্দে মেতে উঠল স্মৃতিচারণের আরেক পর্ব। হোস্টেল জীবনের হাসি-কান্না, পরীক্ষার আগে টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব—সব বিষয় নিয়েই আলোচনা চলল। কেউ বললেন, “আগে যদি বুঝতাম পড়ার বিকল্প নেই, হয়তো আরও বেশি মনোযোগী হতাম।” এক বিকেলের শিক্ষণ এই মিলনমেলা কেবল আনন্দের ছিল না, বরং জীবনের এক মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল—বন্ধুত্ব শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং একে অপরকে অনুপ্রাণিত করার জন্যও প্রয়োজন। বর্তমানের সাফল্য, ভবিষ্যতের স্বপ্ন, আর অতীতের স্মৃতি—সব একসাথে মিশে গেল মনোহরদীর সেই বিকেলে। সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে লুকিয়ে যাচ্ছিল, মেঘের ফাঁকে ঝিলমিল করছিল সোনালি আলো, তখন ছয় বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন কলেজের সিঁড়িতে। হাতে ক্যামেরা, চোখে আনন্দের ঝিলিক। ছবিগুলো তারা বাঁচিয়ে রাখবেন বহু বছর—যেখানে থাকবে তাদের হাসি, আড্ডা, আর সেই অটুট বন্ধুত্বের সাক্ষ্য। সময় বয়ে যাবে, জীবন আরও বদলাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বৃষ্টিভেজা বিকেল তাদের জীবনে থেকে যাবে চিরকাল—যেন এক পৃষ্ঠা, যা বন্ধ হলেও বারবার পড়তে ইচ্ছে করবে। তৌফিক সুলতান,প্রভাষক - ব্রেভ জুবিলেন্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ,(বি জে এস এম মডেল কলেজ)মনোহরদী, নরসিংদী। towfiqsultan.help@gmail.com 01301483833
    Love
    2
    1 Комментарии 2 Поделились 3Кб Просмотры 1 предпросмотр
  • চাটখিলে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতে মতবিনিময়

    নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামকে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    শনিবার (৯ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার মেঘা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল ও সালেহ আহাম্মদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন মাদক সেবী তার পরিবারের জন্য বোঝা, সমাজের জন্য বোঝা, সে তার নিজেকে ধ্বংস করে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে এবং সমাজটাকেও ধ্বংস করে। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আপনারা মাদক সেবন বা ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানালে সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে এসে মাদক কারবারি কে সাথে সাথে সাজা প্রদান করবে।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেরিটেজ রিয়েল এস্টেড লিঃ এর চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেন, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আনিস আহমেদ হানিফ।

    আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সচিব মোহাম্মদ হানিফ, ধাঁনশালিক মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম মহিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, আবু তৈয়ব, আলমগীর কবির লিটন, কাজী শাহাজাহান মাসুদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
    চাটখিলে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতে মতবিনিময় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামকে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৯ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার মেঘা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল ও সালেহ আহাম্মদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন মাদক সেবী তার পরিবারের জন্য বোঝা, সমাজের জন্য বোঝা, সে তার নিজেকে ধ্বংস করে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে এবং সমাজটাকেও ধ্বংস করে। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আপনারা মাদক সেবন বা ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানালে সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে এসে মাদক কারবারি কে সাথে সাথে সাজা প্রদান করবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেরিটেজ রিয়েল এস্টেড লিঃ এর চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেন, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আনিস আহমেদ হানিফ। আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সচিব মোহাম্মদ হানিফ, ধাঁনশালিক মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম মহিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, আবু তৈয়ব, আলমগীর কবির লিটন, কাজী শাহাজাহান মাসুদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
    Love
    Like
    3
    1 Комментарии 1 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা

    জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।

    ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য
    ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy)
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে।

    তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে।

    ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

    গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে।

    ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity)
    রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

    সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত।

    প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি।

    সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত।

    ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness)
    রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে।

    কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H)

    ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন।

    ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত।

    খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে।

    জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত।

    ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability)
    সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা।

    কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা।

    ১.৬ গঠন (Structure)
    একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে।

    পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু।

    মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে।

    উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ।

    ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে।

    বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা।

    ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics)
    কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।

    ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
    ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি
    কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা।

    প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি।

    ২.২ তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ।

    সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ।

    প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ।

    ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই
    তথ্যের সত্যতা যাচাই।

    বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা।

    ২.৪ প্রতিবেদন লেখা
    সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা।

    মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন।

    ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা
    বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা।

    সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং।

    ২.৬ প্রকাশ
    সময়োপযোগী প্রকাশ।

    মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)।

    ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়?
    আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে:

    ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা
    তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা।

    কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না।

    নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন
    নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা।

    নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো।

    হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া।

    ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ
    শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

    পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা।

    ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
    মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা।

    সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা।

    ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা
    ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন।

    ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা
    ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা
    অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা।

    ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার
    কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা।

    ৪.৩ দায়িত্বশীলতা
    ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।

    ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা।

    ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা
    আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

    একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়। আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন। ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy) একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে। তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে। ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে। ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity) রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না। সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত। প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি। সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত। ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness) রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে। কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H) ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন। ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত। খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে। জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত। ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability) সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা। কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা। প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা। ১.৬ গঠন (Structure) একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে। পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু। মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে। উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ। ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে। বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা। ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics) কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা। প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি। ২.২ তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ। সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ। ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই তথ্যের সত্যতা যাচাই। বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা। ২.৪ প্রতিবেদন লেখা সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা। মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন। ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা। সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং। ২.৬ প্রকাশ সময়োপযোগী প্রকাশ। মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)। ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়? আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে: ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা। কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না। নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা। নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো। হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া। ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা। ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন। ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা। ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা। ৪.৩ দায়িত্বশীলতা ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা। ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা। ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    Love
    Like
    6
    8 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং: নিয়ম-কানুন, আইন ও কার্যকর টিপস

    বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ অপরাধের খবর জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের খবর প্রকাশ পেলে তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন সঠিকভাবে ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    এই আর্টিকেলে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্ট করার নিয়ম-কানুন, আইনগত দিক, সতর্কতা ও কার্যকর টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আই নিউজ বিডি এর পক্ষ থেকে এই ধরণের প্রতিবেদনগুলোতে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটিও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

    ১. অপরাধ রিপোর্টিং এর গুরুত্ব
    অপরাধ রিপোর্টিং শুধুমাত্র ঘটনা তুলে ধরা নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, নির্যাতিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের সঠিক ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন স্থানীয় মানুষকে আরো সুসংহত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে।

    ২. অপরাধ রিপোর্টিং এর আইনি নিয়ম-কানুন
    ২.১ তথ্য সংগ্রহের সতর্কতা
    তথ্য যাচাই: অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার সময় নিশ্চিত হতে হবে তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করা যাবে না।

    সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র ব্যবহার করুন, যেমন পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইত্যাদি।

    ২.২ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষা
    অপরাধীর নাম, ছবি, ঠিকানা প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আদালত বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়া জরুরি হতে পারে।

    অপরাধের শিকার বা ভুক্তভোগীদের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    অপ্রয়োজনীয় বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে করে কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।

    ২.৩ মামলার পর্যায় বিবেচনা
    মামলার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মামলার সুষ্ঠু বিচারে প্রভাব না পড়ে বা পক্ষপাতিত্ব না হয়।

    জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়া আবশ্যক।

    ২.৪ আইনি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত অন্যান্য আইন সম্পর্কে অবগত থাকা আবশ্যক।

    অবৈধ তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

    বাকস্বাধীনতার সীমারেখা ও দায়িত্বের মধ্যে থেকে রিপোর্ট করা উচিত।

    ৩. অপরাধ রিপোর্টিং এর প্রাথমিক ধাপসমূহ
    ৩.১ ঘটনা তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে ঘটনা দেখা।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে নির্ভুল তথ্য গ্রহণ।

    পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ।

    যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই।

    ৩.২ রিপোর্ট লেখা ও সংবাদ তৈরি
    সংক্ষিপ্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ ভাষায় রিপোর্ট লেখা।

    ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, সময় ও স্থান উল্লেখ।

    সংযুক্তি হিসেবে ছবি বা ভিডিও থাকলে তা অবশ্যই সত্যতা সম্পন্ন হতে হবে।

    ৩.৩ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই
    সব তথ্য পুনরায় যাচাই করা।

    অপেক্ষাকৃত নাজুক তথ্য ও বিবরণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পরামর্শ নেওয়া।

    ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং এর চ্যালেঞ্জ ও সুরক্ষা
    ৪.১ নিরাপত্তা ঝুঁকি
    অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হতে হতে পারে হুমকি, বাধা ও আক্রমণের সম্ভাবনা।

    তাই নিজ ও পরিবার ও তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

    ৪.২ আইনি জটিলতা ও বিচারাধীন বিষয়
    আদালতের নির্দেশনা বা আইনগত বিধিনিষেধে সংবাদ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ হতে পারে।

    ৪.৩ তথ্যের অভাব ও গুজব
    সঠিক তথ্য সংগ্রহে সময়সাপেক্ষতা ও উৎস সংকট হতে পারে।

    গুজব ও ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি।

    ৫. কার্যকর অপরাধ রিপোর্টিংয়ের টিপস
    ৫.১ নোট নেওয়া
    ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ও সঠিক নোট নিতে হবে।

    নাম, স্থান, সময়, সাক্ষীদের নাম ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে।

    ৫.২ সাক্ষাৎকার নেওয়া
    সন্দেহভাজন, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার।

    সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য।

    ৫.৩ দৃশ্যমান প্রমাণ সংগ্রহ
    ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি।

    ৫.৪ নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ
    অপরাধীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা।

    ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা।

    ৫.৫ রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকা
    নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

    ৬. আই নিউজ বিডি কী চায় অপরাধ রিপোর্টে?
    ৬.১ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য
    আই নিউজ বিডি প্রত্যাশা করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনগুলো সর্বদা সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা অবিশ্বাস্য তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা যাবে না।

    ৬.২ মানবিক ও নৈতিক সাংবাদিকতা
    ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে।

    ৬.৩ সময়োপযোগী ও নিয়মিত রিপোর্টিং
    ঘটনার সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবেদন পাঠানো জরুরি। আই নিউজ বিডি নিয়মিত আপডেট ও সতর্ক সাংবাদিক চাই।

    ৬.৪ ভিডিও ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং
    শুধুমাত্র লিখিত প্রতিবেদন নয়, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনাবলী প্রমাণ সহকারে পরিবেশন করতে হবে, যা পাঠক ও দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।

    ৬.৫ আইনি ও নৈতিকতা মেনে চলা
    সবসময় দেশের আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা নীতিমালা মেনে চলতে হবে।


    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ সংবাদ পরিবেশন একটি কঠিন ও দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সাংবাদিকতা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই নিউজ বিডি এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, নিষ্ঠাবান ও সতর্ক সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেবে।

    সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও দৃষ্টান্তমূলক করতে চাই।
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং: নিয়ম-কানুন, আইন ও কার্যকর টিপস বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ অপরাধের খবর জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের খবর প্রকাশ পেলে তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন সঠিকভাবে ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্ট করার নিয়ম-কানুন, আইনগত দিক, সতর্কতা ও কার্যকর টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আই নিউজ বিডি এর পক্ষ থেকে এই ধরণের প্রতিবেদনগুলোতে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটিও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ১. অপরাধ রিপোর্টিং এর গুরুত্ব অপরাধ রিপোর্টিং শুধুমাত্র ঘটনা তুলে ধরা নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, নির্যাতিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের সঠিক ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন স্থানীয় মানুষকে আরো সুসংহত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে। ২. অপরাধ রিপোর্টিং এর আইনি নিয়ম-কানুন ২.১ তথ্য সংগ্রহের সতর্কতা তথ্য যাচাই: অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার সময় নিশ্চিত হতে হবে তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করা যাবে না। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র ব্যবহার করুন, যেমন পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইত্যাদি। ২.২ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষা অপরাধীর নাম, ছবি, ঠিকানা প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আদালত বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়া জরুরি হতে পারে। অপরাধের শিকার বা ভুক্তভোগীদের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে করে কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। ২.৩ মামলার পর্যায় বিবেচনা মামলার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মামলার সুষ্ঠু বিচারে প্রভাব না পড়ে বা পক্ষপাতিত্ব না হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়া আবশ্যক। ২.৪ আইনি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত অন্যান্য আইন সম্পর্কে অবগত থাকা আবশ্যক। অবৈধ তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বাকস্বাধীনতার সীমারেখা ও দায়িত্বের মধ্যে থেকে রিপোর্ট করা উচিত। ৩. অপরাধ রিপোর্টিং এর প্রাথমিক ধাপসমূহ ৩.১ ঘটনা তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে ঘটনা দেখা। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে নির্ভুল তথ্য গ্রহণ। পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ। যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই। ৩.২ রিপোর্ট লেখা ও সংবাদ তৈরি সংক্ষিপ্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ ভাষায় রিপোর্ট লেখা। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, সময় ও স্থান উল্লেখ। সংযুক্তি হিসেবে ছবি বা ভিডিও থাকলে তা অবশ্যই সত্যতা সম্পন্ন হতে হবে। ৩.৩ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই সব তথ্য পুনরায় যাচাই করা। অপেক্ষাকৃত নাজুক তথ্য ও বিবরণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পরামর্শ নেওয়া। ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং এর চ্যালেঞ্জ ও সুরক্ষা ৪.১ নিরাপত্তা ঝুঁকি অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হতে হতে পারে হুমকি, বাধা ও আক্রমণের সম্ভাবনা। তাই নিজ ও পরিবার ও তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ৪.২ আইনি জটিলতা ও বিচারাধীন বিষয় আদালতের নির্দেশনা বা আইনগত বিধিনিষেধে সংবাদ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ হতে পারে। ৪.৩ তথ্যের অভাব ও গুজব সঠিক তথ্য সংগ্রহে সময়সাপেক্ষতা ও উৎস সংকট হতে পারে। গুজব ও ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি। ৫. কার্যকর অপরাধ রিপোর্টিংয়ের টিপস ৫.১ নোট নেওয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ও সঠিক নোট নিতে হবে। নাম, স্থান, সময়, সাক্ষীদের নাম ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে। ৫.২ সাক্ষাৎকার নেওয়া সন্দেহভাজন, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য। ৫.৩ দৃশ্যমান প্রমাণ সংগ্রহ ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি। ৫.৪ নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ অপরাধীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা। ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা। ৫.৫ রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকা নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ৬. আই নিউজ বিডি কী চায় অপরাধ রিপোর্টে? ৬.১ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য আই নিউজ বিডি প্রত্যাশা করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনগুলো সর্বদা সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা অবিশ্বাস্য তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা যাবে না। ৬.২ মানবিক ও নৈতিক সাংবাদিকতা ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে। ৬.৩ সময়োপযোগী ও নিয়মিত রিপোর্টিং ঘটনার সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবেদন পাঠানো জরুরি। আই নিউজ বিডি নিয়মিত আপডেট ও সতর্ক সাংবাদিক চাই। ৬.৪ ভিডিও ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং শুধুমাত্র লিখিত প্রতিবেদন নয়, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনাবলী প্রমাণ সহকারে পরিবেশন করতে হবে, যা পাঠক ও দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। ৬.৫ আইনি ও নৈতিকতা মেনে চলা সবসময় দেশের আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ সংবাদ পরিবেশন একটি কঠিন ও দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সাংবাদিকতা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই নিউজ বিডি এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, নিষ্ঠাবান ও সতর্ক সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেবে। সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও দৃষ্টান্তমূলক করতে চাই।
    Love
    Like
    7
    6 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры 1 предпросмотр
Расширенные страницы
Eidok App https://eidok.com