• আজ ৭ই ভাদ্র—২২আগষ্ট
    মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে পালিত হয়েছে মহান আধ্যাত্মিক সাধক ছৈয়দ মুজিবুল বশর (রহ.) পবিত্র খোশরোজ শরীফ---

    #মুজিববাবা
    #মাইজভাণ্ডার
    #খোশরোজশরীফ
    #SpiritOfSufism
    #BangladeshCulture
    #আধ্যাত্মিকবাংলা
    #SufiTradition
    #DarbarSharif
    #FaithAndLove
    #SpiritualJourney
    #BangladeshHeritage
    #মাইজভাণ্ডার_দরবার
    #মর্যাদারমুজিববাবা
    আজ ৭ই ভাদ্র—২২আগষ্ট মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে পালিত হয়েছে মহান আধ্যাত্মিক সাধক ছৈয়দ মুজিবুল বশর (রহ.) পবিত্র খোশরোজ শরীফ--- #মুজিববাবা #মাইজভাণ্ডার #খোশরোজশরীফ #SpiritOfSufism #BangladeshCulture #আধ্যাত্মিকবাংলা #SufiTradition #DarbarSharif #FaithAndLove #SpiritualJourney #BangladeshHeritage #মাইজভাণ্ডার_দরবার #মর্যাদারমুজিববাবা
    0 التعليقات 0 المشاركات 460 مشاهدة 5 0 معاينة
  • গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষেধ।!!
    আজ ১৪:ই আগস্ট দুপুর ২টা থেকে কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার দপ্তর প্রধান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনাব নাসিমুল গনি। আয়োজনেঃ জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অদ্য বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর থেকে প্রোগ্রামটি চলমান।কেন এ প্রবেশ আধিকার নিষেধ তা জানা যায়নি।অনেক গণমাধ্যম কর্মী এতে মনঃক্ষুণ্য বলে জানা যায় বলে যানাযায়।
    গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষেধ।!! আজ ১৪:ই আগস্ট দুপুর ২টা থেকে কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার দপ্তর প্রধান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভূমিকা পালন শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনাব নাসিমুল গনি। আয়োজনেঃ জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অদ্য বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর থেকে প্রোগ্রামটি চলমান।কেন এ প্রবেশ আধিকার নিষেধ তা জানা যায়নি।অনেক গণমাধ্যম কর্মী এতে মনঃক্ষুণ্য বলে জানা যায় বলে যানাযায়।
    0 التعليقات 0 المشاركات 163 مشاهدة 0 معاينة
  • প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Health Care - PHC) হলো একটি জনবান্ধব ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যা জনগণের নিকটবর্তী পর্যায়ে প্রদান করা হয়। এটি শুধুমাত্র রোগের চিকিৎসাই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি কার্যকর উপায়। ১৯৭৮ সালের আলমা-আটা ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য
    সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা – অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক বা সামাজিক বাধা ছাড়াই।


    রোগ প্রতিরোধ করা – সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রচারের মাধ্যমে।


    প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা – যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।


    হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো – ছোটখাটো রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা।


    কমিউনিটি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত করা।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত প্রধান সেবা
    সাধারণ রোগের চিকিৎসা: জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি।


    টিকাদান কর্মসূচি: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।


    মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা: প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা।


    পুষ্টি শিক্ষা ও পরামর্শ: অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ।


    স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ।


    প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও ফার্স্ট এইড।


    পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা।



    কেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি?
    দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা পায় – বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।


    অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী – বড় হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়।


    রোগের জটিলতা কমায় – সময়মতো চিকিৎসা পেলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।


    সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটায় – ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে।



    বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা
    বাংলাদেশে সরকারীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।
    প্রায় ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক সারা দেশে পরিচালিত হচ্ছে।


    এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।


    সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (NGO) মিলিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ
    চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি।


    আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব।


    জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার সীমাবদ্ধতা।


    বাজেট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা।



    সমাধানের উপায়
    স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি।


    ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস চালু করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছানো।


    জনসচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি – টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।


    সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো।


    নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলো-আপ সেবা নিশ্চিত করা।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সুস্থ সমাজের ভিত্তি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এতে শুধু রোগ কমবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও বাড়বে।


    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Health Care - PHC) হলো একটি জনবান্ধব ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যা জনগণের নিকটবর্তী পর্যায়ে প্রদান করা হয়। এটি শুধুমাত্র রোগের চিকিৎসাই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি কার্যকর উপায়। ১৯৭৮ সালের আলমা-আটা ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা – অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক বা সামাজিক বাধা ছাড়াই। রোগ প্রতিরোধ করা – সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রচারের মাধ্যমে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা – যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো – ছোটখাটো রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা। কমিউনিটি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত প্রধান সেবা সাধারণ রোগের চিকিৎসা: জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি। টিকাদান কর্মসূচি: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা: প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা। পুষ্টি শিক্ষা ও পরামর্শ: অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও ফার্স্ট এইড। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা। কেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি? দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা পায় – বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী – বড় হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়। রোগের জটিলতা কমায় – সময়মতো চিকিৎসা পেলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটায় – ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশে সরকারীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। প্রায় ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক সারা দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (NGO) মিলিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব। জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার সীমাবদ্ধতা। বাজেট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। সমাধানের উপায় স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি। ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস চালু করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছানো। জনসচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি – টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলো-আপ সেবা নিশ্চিত করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সুস্থ সমাজের ভিত্তি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এতে শুধু রোগ কমবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও বাড়বে।
    Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 2كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ


    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে।
    স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব
    স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে।
    স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায়
    ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
    ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি।
    ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান।
    আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা
    আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।
    নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে।
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
    বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে।
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা
    এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা।
    স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ স্বাস্থ্য সেবা মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্থ জীবনযাপন এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা অপরিহার্য। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির বিকাশ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে। স্বাস্থ্য সেবার গুরুত্ব স্বাস্থ্য সেবা মানে শুধুমাত্র রোগ নিরাময় নয়, বরং প্রতিরোধ, সচেতনতা, প্রাথমিক যত্ন এবং পুনর্বাসনও অন্তর্ভুক্ত। একটি সমাজের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান সূচক হলো তার জনগণের স্বাস্থ্য। সুস্থ মানুষই দেশ ও জাতির শক্তি। রোগমুক্ত, সতেজ এবং কর্মক্ষম জনগণ জাতির সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে। স্বাস্থ্য সেবার বিভিন্ন পর্যায় ১. প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা: এটি হলো সাধারণ চিকিৎসা, রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ২. দ্বিতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে, যেমন জেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদি। ৩. তৃতীয়ক স্বাস্থ্য সেবা: উন্নত চিকিৎসা, বিশেষায়িত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা, যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা আজকের দিনে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা (e-Health) মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন চিকিৎসা পরামর্শ, মোবাইল হেলথ অ্যাপস, টেলিমেডিসিন সেবা মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী করেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায় এই সেবা পৌঁছানোতে ডিজিটাল প্রযুক্তি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নার্সিং ও হোম কেয়ার। বিশেষত বয়স্ক, রোগী ও জরুরি রোগীদের জন্য বাসায় চিকিৎসা সেবা প্রদান মানসিক এবং শারীরিকভাবে আরামদায়ক। দক্ষ নার্স ও কেয়ারগিভাররা বাসায় গিয়ে ইনজেকশন, ড্রেসিং, ক্যাথেটার, ক্যানুলা ইত্যাদি সেবা প্রদান করে রোগীর দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে—বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধার ঘাটতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। তবে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এগুলো ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠার পথ তৈরি হচ্ছে। আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট এর ভূমিকা এই প্রেক্ষাপটে আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট তার ডিজিটাল ও অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং উন্নত চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে সমাজে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য হলো রোগীর স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনের প্রতি যত্নশীল হওয়া, প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি রোগীকে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও আরামদায়ক চিকিৎসা প্রদান করা। স্বাস্থ্যই হলো জীবনের প্রকৃত সম্পদ। সুস্থ শরীর আর সুস্থ মনই উন্নত জীবনের ভিত্তি। তাই মানসম্মত ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হলো একটি উন্নত সমাজ ও জাতির উন্নয়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা।
    Love
    2
    0 التعليقات 2 المشاركات 2كيلو بايت مشاهدة 1 معاينة

  • আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট (AL TOWFIQI PHARMACY & CONSULTANT)
    ট্রেড লাইসেন্স নং: ০০২০৪১
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর - ১৭৪৩
    যোগাযোগ নম্বর: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    প্রোপাইটর: তৌফিক সুলতান
    (প্যারামেডিক্স, ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট ইন্টার্ন-ইমারজেন্সি, ফ্যাজরালটি, মেডিসিন, সার্জারি আউটডোর - ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রেজি নং: ৬০৪৪৬)

    প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, যা কেবল ওষুধ সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং স্বাস্থ্যসেবা এবং ডিজিটাল সেবার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোগী ও গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
    তাছাড়া, এখানে শুধুমাত্র ফার্মেসি সেবা নয়, বরং রোগীর সামগ্রিক যত্নের জন্য চিকিৎসা পরামর্শ, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা হয়।

    আমাদের সেবাসমূহ
    ১. ডিজিটাল ও অনলাইন সেবা
    অনলাইন কনসাল্টেশন: অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারদের সাথে ভিডিও কলে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান।


    ই-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা: স্বল্প মূল্যে এবং সহজ উপায়ে ডাক্তারদের পরামর্শ পাওয়া যায়।


    অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট প্ল্যানিং: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য মানসম্মত অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট আয়োজনের সেবা।


    ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডোমেইন সেবা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডোমেইন-হোস্টিং সেবা।


    ডিজিটাল মার্কেটিং ও গুগল SEO: পত্রিকা বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রসার।


    বিকাশ ও সকল অনলাইন পেমেন্ট সেবা।


    চাকরি আবেদন, ভর্তি, এবং অন্যান্য অনলাইন সহায়তা।


    টিআইএন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সার্টিফিকেট সেবা।


    ২. নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা
    ICU/OT থেকে রোগী বাসায় নেওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান।


    অভিজ্ঞ নার্স ও কেয়ারগিভার দ্বারা বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান।


    ক্যানুলা, ক্যাথেটার, ইনজেকশন, এন.জি. টিউব, ড্রেসিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম হোম কেয়ার হিসেবে।


    বয়স্ক ও বিশেষ রোগীদের জন্য বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা।


    ১০০% নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা নিশ্চিত।


    দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।


    ৩. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সেবা
    BMDC রেজিস্টার্ড এমবিবিএস এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (FCPS/MD) দের সাথে সরাসরি সংযুক্ত।


    ঢাকার নামকরা হাসপাতালের ডাক্তারদের চেম্বারের মাধ্যমে রোগীদের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পরামর্শ।


    ২৪/৭ নিবেদিত কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট।



    প্রোপাইটর ও প্রতিষ্ঠাতার পরিচিতি
    তৌফিক সুলতান - যিনি একজন প্যারামেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও ইন্টার্ন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, মেডিসিন ও সার্জারি আউটডোর বিভাগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার পেশাদার দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আল তৌফিকী ফার্মেসিকে বিশেষ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তিনি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও অনলাইন মেডিকেল কনসাল্টেশন সেবা প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
    মুসলিম অনলাইন ফার্মেসি ও পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।


    আল তৌফিকী মডেল ফার্মেসি স্থাপন এবং উন্নয়ন।


    দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা বিস্তার।


    স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল সেবা একত্রিত করে রোগীদের জন্য দ্রুত ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত।


    স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ।



    আমাদের শক্তি ও বিশেষত্ব
    বৃহৎ ও অভিজ্ঞ মেডিকেল টিম।


    ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সহজ ও দ্রুত পরামর্শ।


    বিকাশ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সম্পৃক্ত।


    রোগীর আরাম ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।


    প্রতিটি সেবায় স্বাস্থ্যবিধি ও গুণগত মান বজায় রাখা।


    সর্বদা গ্রাহকসেবা প্রাধান্য।



    যোগাযোগের ঠিকানা ও সময়
    ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর — ১৭৪৩
    মোবাইল: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩
    অফিস সময়: সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (প্রয়োজনে জরুরি সেবা ২৪/৭)

    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট হলো আপনার স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার বিশ্বস্ত সঙ্গী, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক যত্ন একসাথে মিশে রোগীদের জীবনে সুস্থতা ও শান্তি নিয়ে আসে।
    আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট (AL TOWFIQI PHARMACY & CONSULTANT) ট্রেড লাইসেন্স নং: ০০২০৪১ ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর - ১৭৪৩ যোগাযোগ নম্বর: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩ প্রোপাইটর: তৌফিক সুলতান (প্যারামেডিক্স, ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট ইন্টার্ন-ইমারজেন্সি, ফ্যাজরালটি, মেডিসিন, সার্জারি আউটডোর - ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রেজি নং: ৬০৪৪৬) প্রতিষ্ঠান পরিচিতি আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট একটি আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, যা কেবল ওষুধ সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং স্বাস্থ্যসেবা এবং ডিজিটাল সেবার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোগী ও গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। তাছাড়া, এখানে শুধুমাত্র ফার্মেসি সেবা নয়, বরং রোগীর সামগ্রিক যত্নের জন্য চিকিৎসা পরামর্শ, নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা হয়। আমাদের সেবাসমূহ ১. ডিজিটাল ও অনলাইন সেবা অনলাইন কনসাল্টেশন: অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারদের সাথে ভিডিও কলে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান। ই-ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা: স্বল্প মূল্যে এবং সহজ উপায়ে ডাক্তারদের পরামর্শ পাওয়া যায়। অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট প্ল্যানিং: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য মানসম্মত অনলাইন ক্লাস ও ইভেন্ট আয়োজনের সেবা। ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডোমেইন সেবা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডোমেইন-হোস্টিং সেবা। ডিজিটাল মার্কেটিং ও গুগল SEO: পত্রিকা বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) ও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রসার। বিকাশ ও সকল অনলাইন পেমেন্ট সেবা। চাকরি আবেদন, ভর্তি, এবং অন্যান্য অনলাইন সহায়তা। টিআইএন সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সার্টিফিকেট সেবা। ২. নার্সিং ও হোম কেয়ার সেবা ICU/OT থেকে রোগী বাসায় নেওয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান। অভিজ্ঞ নার্স ও কেয়ারগিভার দ্বারা বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান। ক্যানুলা, ক্যাথেটার, ইনজেকশন, এন.জি. টিউব, ড্রেসিংসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কার্যক্রম হোম কেয়ার হিসেবে। বয়স্ক ও বিশেষ রোগীদের জন্য বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা। ১০০% নিরাপদ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা নিশ্চিত। দ্রুত ও মানসম্মত সেবা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। ৩. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সেবা BMDC রেজিস্টার্ড এমবিবিএস এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (FCPS/MD) দের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। ঢাকার নামকরা হাসপাতালের ডাক্তারদের চেম্বারের মাধ্যমে রোগীদের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পরামর্শ। ২৪/৭ নিবেদিত কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট। প্রোপাইটর ও প্রতিষ্ঠাতার পরিচিতি তৌফিক সুলতান - যিনি একজন প্যারামেডিক্স বিশেষজ্ঞ ও ইন্টার্ন হিসেবে ঢাকা মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি, মেডিসিন ও সার্জারি আউটডোর বিভাগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার পেশাদার দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি আল তৌফিকী ফার্মেসিকে বিশেষ ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তিনি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ও অনলাইন মেডিকেল কনসাল্টেশন সেবা প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য মুসলিম অনলাইন ফার্মেসি ও পরামর্শ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা। আল তৌফিকী মডেল ফার্মেসি স্থাপন এবং উন্নয়ন। দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা বিস্তার। স্বাস্থ্যসেবা ও ডিজিটাল সেবা একত্রিত করে রোগীদের জন্য দ্রুত ও কার্যকর সেবা নিশ্চিত। স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ। আমাদের শক্তি ও বিশেষত্ব বৃহৎ ও অভিজ্ঞ মেডিকেল টিম। ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সহজ ও দ্রুত পরামর্শ। বিকাশ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সম্পৃক্ত। রোগীর আরাম ও নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। প্রতিটি সেবায় স্বাস্থ্যবিধি ও গুণগত মান বজায় রাখা। সর্বদা গ্রাহকসেবা প্রাধান্য। যোগাযোগের ঠিকানা ও সময় ঠিকানা: নরোত্তমপুর, বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুর — ১৭৪৩ মোবাইল: ০১৩০১৪৮৩৮৩৩ অফিস সময়: সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত (প্রয়োজনে জরুরি সেবা ২৪/৭) আল তৌফিকী ফার্মেসি এন্ড কনসাল্টটেন্ট হলো আপনার স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসার বিশ্বস্ত সঙ্গী, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানবিক যত্ন একসাথে মিশে রোগীদের জীবনে সুস্থতা ও শান্তি নিয়ে আসে।
    Like
    2
    0 التعليقات 3 المشاركات 2كيلو بايت مشاهدة 1 معاينة
  • শ্বেত জবা ফুল
    স্নিগ্ধ শুভ্রতায় মোড়ানো এই শ্বেত জবা ফুল সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক। সাধারণত এটি বাগানে শোভা বর্ধন করে, আবার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষঙ্গেও ব্যবহৃত হয়। পাঁচ পাপড়ির এই ফুলটি নিঃসন্দেহে প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি।

    ছবি: সুমন হাওলাদার
    শ্বেত জবা ফুল স্নিগ্ধ শুভ্রতায় মোড়ানো এই শ্বেত জবা ফুল সৌন্দর্য ও পবিত্রতার প্রতীক। সাধারণত এটি বাগানে শোভা বর্ধন করে, আবার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষঙ্গেও ব্যবহৃত হয়। পাঁচ পাপড়ির এই ফুলটি নিঃসন্দেহে প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি। ছবি: সুমন হাওলাদার
    Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 725 مشاهدة 0 معاينة
  • কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাওর থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার
    প্রতিনিধি, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
    নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের হাওর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে।

    পুলিশ ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেনু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থেকে অন্যের জমি বর্গাচাষ করতেন। হাওরের ফসলি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন বাড়িতে তার উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশিরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

    এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন হাওরে কাজ করতে গেলে কেনু মিয়ার পঁচা-গলা মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পঁচে-গলে গেছে। তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টার্স পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও ওসি জানান।

    নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।”

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বর্গা নেওয়া জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

    ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

    মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।।
    ০১৭১৬৩১৩৩৪৬

    কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাওর থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার প্রতিনিধি, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের হাওর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে। পুলিশ ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেনু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থেকে অন্যের জমি বর্গাচাষ করতেন। হাওরের ফসলি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন বাড়িতে তার উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশিরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন হাওরে কাজ করতে গেলে কেনু মিয়ার পঁচা-গলা মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পঁচে-গলে গেছে। তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টার্স পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও ওসি জানান। নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।” প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বর্গা নেওয়া জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।। ০১৭১৬৩১৩৩৪৬
    0 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • বিএনপি নেতার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন ওসি, সমালোচনার ঝড়
    শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় মালা পড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যার একটি ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলছেন পুলিশ সদস্যর এমন কাজ আইনের ব্যত্যয়।

    ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে ১৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সদস্যের বিএনপি নেতাকে মালা পড়ানোর ছবিটি আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার এই একটাই গুন, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। মন জুড়ানো একটি মুহূর্ত। শুভ কামনা মামা আপনার জন্য।


    পুলিশ সদস্যের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির,তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি, দলের দাস এমনকি কোন দলের আধিপত্য বা তেলবাজি করবে এমন পুলিশ সদস্য আমরা চাই না। পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে। আমরা সব সময় চাই পুলিশের স্বাধীন কমিশন থাকবে। পুলিশ শুধুমাত্র জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং তাদের সেবা দিবে। নড়িয়ার ঘটনাটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তার সাথে (বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন) আমার আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার আমন্ত্রণে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি সেখানে একটি মামলার তদন্তও ছিলো। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন। আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে।

    এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বার্তা বাজারকে বলেন, পুলিশ সদস্য হয়ে এমন কর্মকান্ড করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এইধরনের কাজে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।


    উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শরীয়তপুরে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে আবু জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) করা হয়।
    বিএনপি নেতার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন ওসি, সমালোচনার ঝড় শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় মালা পড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যার একটি ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলছেন পুলিশ সদস্যর এমন কাজ আইনের ব্যত্যয়। ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে ১৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সদস্যের বিএনপি নেতাকে মালা পড়ানোর ছবিটি আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার এই একটাই গুন, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। মন জুড়ানো একটি মুহূর্ত। শুভ কামনা মামা আপনার জন্য। পুলিশ সদস্যের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির,তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি, দলের দাস এমনকি কোন দলের আধিপত্য বা তেলবাজি করবে এমন পুলিশ সদস্য আমরা চাই না। পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে। আমরা সব সময় চাই পুলিশের স্বাধীন কমিশন থাকবে। পুলিশ শুধুমাত্র জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং তাদের সেবা দিবে। নড়িয়ার ঘটনাটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। এবিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তার সাথে (বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন) আমার আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার আমন্ত্রণে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি সেখানে একটি মামলার তদন্তও ছিলো। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন। আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে। এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বার্তা বাজারকে বলেন, পুলিশ সদস্য হয়ে এমন কর্মকান্ড করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এইধরনের কাজে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শরীয়তপুরে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে আবু জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) করা হয়।
    0 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেটসংলগ্ন রাস্তায় গত ৯ জুলাই বিকেলে যুবদল কর্মী ও তার্কিত ‘কেবল‑ব্যবসায়ী’ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ -কে কু‑পিয়ে, লাথি ও ইট‑পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়।

    ঘটনার ধরণ—প্রাণহীন দেহ টানাহেঁচড়া করে রাস্তায় ফেলে বহুপদক্ষেপে পাথর দিয়ে আঘাত—সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান, যা দেশ জুড়ে শোক ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। 

    সোহাগ স্থানীয় ‘স্ক্র্যাপ কেবল’ ব্যবসার পাশাপাশি ৩০ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন—২৩ ডিসেম্বর ২০২৪‑এর ওয়ার্ড‑সভায় তাঁর মঞ্চে উপস্থিতির ছবি তার প্রমাণ। তবু ঘটনার পর থেকে পুলিশের প্রাথমিক ব্রিফিং ও অধিকাংশ জাতীয় গণমাধ্যম কলামে তাঁকে শুধুই ‘ব্যবসায়ী’ বলা হচ্ছে, রাজনীতিক পরিচয় গোপন রেখে। 

    ডিএমপি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অন্তত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ধৃতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ‘মোহিন’ ও তারেক রহমান ‘রবিন’ প্রধান অভিযুক্ত, যাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কেবল‑স্ক্র্যাপ চাঁদাবাজি ও এলাকার ‘সিন্ডিকেট’ দখলের দ্বন্দ্ব—যা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। 

    ● কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস‑নোট নেই: ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাত্মতা‑ঘোষণা ও নিন্দা‑বিবৃতি আসে ১১ জুলাই রাতে—দুই দিনের ব্যবধান। ততোক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। 

    ● ‘দায় ঝেড়ে ফেলা’ নাকি সুবিচারের পদক্ষেপ? পরে জুবোদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোট পাঁচ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্র বলছে, এর উদ্দেশ্য “পাপ ধুয়ে ফেলা”; সমালোচকরা বলছেন, বহিষ্কারের ঘোষণা একটি প্রতিরক্ষামূলক ‘ড্যামেজ‑কন্ট্রোল’, পূর্ণাঙ্গ আইনি সহায়তা বা পরিবার‑সন্তুষ্ট কোনো কর্মসূচি নয়। 

    হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা, সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা এবং ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধীর রক্ষা‑কম্বল’ উঠিয়ে ফেলা। বক্তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘বিলম্বিত ও ভঙ্গুর’ সাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানান। 

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এ ঘটনাকে বিএনপি‑সংশ্লিষ্ট সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে প্রজেক্ট করছে; বিপরীতে বিএনপি দাবি করছে—“আসল অপরাধীদের বিচার না করে দলীয় নাশকতার গল্প বানানো হচ্ছে”। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় পক্ষই রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষছে, যা স্বচ্ছ তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

    সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে—“রাজনৈতিক পরিচয়ের দ্বন্দ্বে কেউ সঠিক সাপোর্ট দিচ্ছে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভিডিও ফুটেজে যেভাবে দেহ ও সম্মান লাঞ্ছিত হয়েছে, তা ‘ক্রিমিনাল সাইকোলজির’ উদাহরণ; দ্রুত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ গঠন জরুরি।

    কী করা জরুরি?

    নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন—রাজনৈতিক চাপমুক্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে।

    ভিকটিম‑সহায়তা তহবিল—পরিবারের আইনি ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে।

    দলীয় ‘চেক‑অ্যান্ড‑ব্যালান্স’ নীতি—অন্তর্দলীয় অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও আগাম শাস্তি‑কাঠামো।

    চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভাঙতে সমন্বিত অভিযান—ডিএমপি, র‍্যাব, সিটি কর্পোরেশন ও বিটিআরসি।

    পাবলিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম—মামলার অগ্রগতি অনলাইনে হালনাগাদ করে জন‑জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


    চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ‑এর রক্তাক্ত মৃত্যু কেবল একটি নৃশংস হত্যা নয়; এটি রাজধানীর বুকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধ‑ইকো‑সিস্টেমের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি‑যুবদল‑ছাত্রদল—যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলে গর্ব করত—তারাই আজ সোহাগের মৃতদেহের চেয়েও দ্রুত নিজের ‘ইমেজ’ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর শাসক‑দল একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ‘অপর‑দলীয় সন্ত্রাস’ লেবেল সেঁটে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর। এই টানাপড়েনে ন্যায়বিচার যেন ছিটকে না পড়ে—এটাই এখন সর্বজনীন দাবি।
    রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেটসংলগ্ন রাস্তায় গত ৯ জুলাই বিকেলে যুবদল কর্মী ও তার্কিত ‘কেবল‑ব্যবসায়ী’ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ -কে কু‑পিয়ে, লাথি ও ইট‑পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ধরণ—প্রাণহীন দেহ টানাহেঁচড়া করে রাস্তায় ফেলে বহুপদক্ষেপে পাথর দিয়ে আঘাত—সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান, যা দেশ জুড়ে শোক ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়।  সোহাগ স্থানীয় ‘স্ক্র্যাপ কেবল’ ব্যবসার পাশাপাশি ৩০ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন—২৩ ডিসেম্বর ২০২৪‑এর ওয়ার্ড‑সভায় তাঁর মঞ্চে উপস্থিতির ছবি তার প্রমাণ। তবু ঘটনার পর থেকে পুলিশের প্রাথমিক ব্রিফিং ও অধিকাংশ জাতীয় গণমাধ্যম কলামে তাঁকে শুধুই ‘ব্যবসায়ী’ বলা হচ্ছে, রাজনীতিক পরিচয় গোপন রেখে।  ডিএমপি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অন্তত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ধৃতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ‘মোহিন’ ও তারেক রহমান ‘রবিন’ প্রধান অভিযুক্ত, যাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কেবল‑স্ক্র্যাপ চাঁদাবাজি ও এলাকার ‘সিন্ডিকেট’ দখলের দ্বন্দ্ব—যা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।  ● কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস‑নোট নেই: ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাত্মতা‑ঘোষণা ও নিন্দা‑বিবৃতি আসে ১১ জুলাই রাতে—দুই দিনের ব্যবধান। ততোক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে।  ● ‘দায় ঝেড়ে ফেলা’ নাকি সুবিচারের পদক্ষেপ? পরে জুবোদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোট পাঁচ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্র বলছে, এর উদ্দেশ্য “পাপ ধুয়ে ফেলা”; সমালোচকরা বলছেন, বহিষ্কারের ঘোষণা একটি প্রতিরক্ষামূলক ‘ড্যামেজ‑কন্ট্রোল’, পূর্ণাঙ্গ আইনি সহায়তা বা পরিবার‑সন্তুষ্ট কোনো কর্মসূচি নয়।  হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা, সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা এবং ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধীর রক্ষা‑কম্বল’ উঠিয়ে ফেলা। বক্তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘বিলম্বিত ও ভঙ্গুর’ সাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানান।  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এ ঘটনাকে বিএনপি‑সংশ্লিষ্ট সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে প্রজেক্ট করছে; বিপরীতে বিএনপি দাবি করছে—“আসল অপরাধীদের বিচার না করে দলীয় নাশকতার গল্প বানানো হচ্ছে”। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় পক্ষই রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষছে, যা স্বচ্ছ তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে—“রাজনৈতিক পরিচয়ের দ্বন্দ্বে কেউ সঠিক সাপোর্ট দিচ্ছে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভিডিও ফুটেজে যেভাবে দেহ ও সম্মান লাঞ্ছিত হয়েছে, তা ‘ক্রিমিনাল সাইকোলজির’ উদাহরণ; দ্রুত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ গঠন জরুরি। কী করা জরুরি? নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন—রাজনৈতিক চাপমুক্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে। ভিকটিম‑সহায়তা তহবিল—পরিবারের আইনি ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে। দলীয় ‘চেক‑অ্যান্ড‑ব্যালান্স’ নীতি—অন্তর্দলীয় অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও আগাম শাস্তি‑কাঠামো। চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভাঙতে সমন্বিত অভিযান—ডিএমপি, র‍্যাব, সিটি কর্পোরেশন ও বিটিআরসি। পাবলিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম—মামলার অগ্রগতি অনলাইনে হালনাগাদ করে জন‑জবাবদিহি নিশ্চিত করা। চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ‑এর রক্তাক্ত মৃত্যু কেবল একটি নৃশংস হত্যা নয়; এটি রাজধানীর বুকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধ‑ইকো‑সিস্টেমের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি‑যুবদল‑ছাত্রদল—যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলে গর্ব করত—তারাই আজ সোহাগের মৃতদেহের চেয়েও দ্রুত নিজের ‘ইমেজ’ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর শাসক‑দল একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ‘অপর‑দলীয় সন্ত্রাস’ লেবেল সেঁটে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর। এই টানাপড়েনে ন্যায়বিচার যেন ছিটকে না পড়ে—এটাই এখন সর্বজনীন দাবি।
    0 التعليقات 0 المشاركات 770 مشاهدة 0 معاينة
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়ান তাঁরা—উপমা কবির, শৈলী কবির ও মিত্রা কবির। তাঁদের শিকড় এই বিশ্ববিদ্যালয়েই, আর সেই শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে পরিবারজুড়ে। বাবা আহমদ কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, মা নিলুফার বেগম ছিলেন ঢাকা সিটি কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের ঘর ছিল মুক্তচিন্তা আর আলোচনার আঙিনা—যেখানে শিক্ষাবিদদের উপস্থিতি আর বিদ্যার জোয়ারে গড়ে উঠেছে তাদের মনন।

    তিন বোনই পছন্দ করলেন বিজ্ঞান, যদিও বাবা-মা দুজনই ছিলেন সাহিত্যের মানুষ। তবু কোনো বাধা ছিল না। বরং ছিল অনুপ্রেরণা। একজন ভাবতেন, বিজ্ঞানেই ভবিষ্যৎ, আরেকজনের মতে, আধুনিক যুগের শিক্ষায় আধুনিক বিষয়ের প্রয়োজন। এভাবেই সাহিত্যের ঘর থেকেই জন্ম নিল তিনজন প্রকৌশল মন। মিত্রা কবির ছিলেন ছায়ানটের শিল্পীও; গান আর গণিত, দুইয়ের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে গড়ে তুলেছে বহুমাত্রিকতায়।

    তিন বোনই সুযোগ পেয়েছিলেন মেডিকেল বা বুয়েটের মতো জায়গায় পড়ার, কিন্তু তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই ক্যাম্পাসের উদার আবহাওয়া, মুক্ত চিন্তা আর বড় হওয়ার অনুভব তাঁদের আকর্ষণ করেছিল সবচেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় যেন শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, বরং দৃষ্টিভঙ্গির প্রশস্ত এক প্রাঙ্গণ।

    তিনজনই নারী প্রকৌশল শিক্ষার্থী হিসেবে কখনো তেমন বাধার সম্মুখীন হননি। তাঁদের পরিবারে কখনো এই প্রশ্ন তোলা হয়নি—“প্রকৌশলে কেন পড়বে?” বরং ছিল বিশ্বাস আর স্বাধীনতার পরিবেশ। রাতে রিকশায় ঘোরা, গলা ছেড়ে গান গাওয়া, বন্ধুদের আনাগোনা—সবই ছিল স্বাভাবিক। এমন স্বাধীনতাই জন্ম দিয়েছে সাহসী সিদ্ধান্তের।

    তাঁদের শিক্ষকতার পথ সব সময় একসঙ্গে হয়নি। কেউ না কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য ছিলেন দেশের বাইরে। তবু একদিন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে, একসঙ্গে ছয়জন—তিন বোন, তাঁদের বাবা ও দুজন স্বামী—ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেটি হয়ে উঠেছিল তাঁদের পরিবারের এক গর্বের মুহূর্ত।

    এই পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মও কি একই পথ ধরে হাঁটবে? প্রশ্নটির উত্তরে উত্তর পাওয়া যায় মূল্যবোধের গভীরতায়। শিক্ষকতা তাঁদের কাছে শুধু একটি পেশা নয়, বরং জাতি গঠনের দায়িত্ব। তাই নতুনদের উদ্দেশে তাঁদের প্রত্যাশা—যোগ্যতার ভিত্তিতে গড়ে উঠুক এমন একটি সম্মানজনক জায়গা।

    সবশেষে, এই গল্পের মূলে রয়েছে পরিবার—যেখানে মা-বাবা ছিলেন কেবল অভিভাবক নন, ছিলেন সন্তানদের বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার জায়গা থেকেই জন্ম নিয়েছে আত্মবিশ্বাস, এবং সেই আত্মবিশ্বাসই তিন বোনকে দাঁড় করিয়েছে আজকের এই উচ্চতায়।
    ২৭/০৬/২০২৫, শুক্রবার। সৌজন্যে - প্রথম আলো।

    #ঢাবি #viralpost #viralpost2025 #virals #trendingpost #trendingnow #CampusLife
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়ান তাঁরা—উপমা কবির, শৈলী কবির ও মিত্রা কবির। তাঁদের শিকড় এই বিশ্ববিদ্যালয়েই, আর সেই শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে পরিবারজুড়ে। বাবা আহমদ কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, মা নিলুফার বেগম ছিলেন ঢাকা সিটি কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক। ছোটবেলা থেকেই তাঁদের ঘর ছিল মুক্তচিন্তা আর আলোচনার আঙিনা—যেখানে শিক্ষাবিদদের উপস্থিতি আর বিদ্যার জোয়ারে গড়ে উঠেছে তাদের মনন। তিন বোনই পছন্দ করলেন বিজ্ঞান, যদিও বাবা-মা দুজনই ছিলেন সাহিত্যের মানুষ। তবু কোনো বাধা ছিল না। বরং ছিল অনুপ্রেরণা। একজন ভাবতেন, বিজ্ঞানেই ভবিষ্যৎ, আরেকজনের মতে, আধুনিক যুগের শিক্ষায় আধুনিক বিষয়ের প্রয়োজন। এভাবেই সাহিত্যের ঘর থেকেই জন্ম নিল তিনজন প্রকৌশল মন। মিত্রা কবির ছিলেন ছায়ানটের শিল্পীও; গান আর গণিত, দুইয়ের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে গড়ে তুলেছে বহুমাত্রিকতায়। তিন বোনই সুযোগ পেয়েছিলেন মেডিকেল বা বুয়েটের মতো জায়গায় পড়ার, কিন্তু তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই ক্যাম্পাসের উদার আবহাওয়া, মুক্ত চিন্তা আর বড় হওয়ার অনুভব তাঁদের আকর্ষণ করেছিল সবচেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় যেন শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, বরং দৃষ্টিভঙ্গির প্রশস্ত এক প্রাঙ্গণ। তিনজনই নারী প্রকৌশল শিক্ষার্থী হিসেবে কখনো তেমন বাধার সম্মুখীন হননি। তাঁদের পরিবারে কখনো এই প্রশ্ন তোলা হয়নি—“প্রকৌশলে কেন পড়বে?” বরং ছিল বিশ্বাস আর স্বাধীনতার পরিবেশ। রাতে রিকশায় ঘোরা, গলা ছেড়ে গান গাওয়া, বন্ধুদের আনাগোনা—সবই ছিল স্বাভাবিক। এমন স্বাধীনতাই জন্ম দিয়েছে সাহসী সিদ্ধান্তের। তাঁদের শিক্ষকতার পথ সব সময় একসঙ্গে হয়নি। কেউ না কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য ছিলেন দেশের বাইরে। তবু একদিন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে, একসঙ্গে ছয়জন—তিন বোন, তাঁদের বাবা ও দুজন স্বামী—ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেটি হয়ে উঠেছিল তাঁদের পরিবারের এক গর্বের মুহূর্ত। এই পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মও কি একই পথ ধরে হাঁটবে? প্রশ্নটির উত্তরে উত্তর পাওয়া যায় মূল্যবোধের গভীরতায়। শিক্ষকতা তাঁদের কাছে শুধু একটি পেশা নয়, বরং জাতি গঠনের দায়িত্ব। তাই নতুনদের উদ্দেশে তাঁদের প্রত্যাশা—যোগ্যতার ভিত্তিতে গড়ে উঠুক এমন একটি সম্মানজনক জায়গা। সবশেষে, এই গল্পের মূলে রয়েছে পরিবার—যেখানে মা-বাবা ছিলেন কেবল অভিভাবক নন, ছিলেন সন্তানদের বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার জায়গা থেকেই জন্ম নিয়েছে আত্মবিশ্বাস, এবং সেই আত্মবিশ্বাসই তিন বোনকে দাঁড় করিয়েছে আজকের এই উচ্চতায়। ২৭/০৬/২০২৫, শুক্রবার। সৌজন্যে - প্রথম আলো। #ঢাবি #viralpost #viralpost2025 #virals #trendingpost #trendingnow #CampusLife
    Love
    1
    3 التعليقات 0 المشاركات 4كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • ইসরায়েল: একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতীক, নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী

    ইসরায়েল — একটি নাম, কিন্তু একইসঙ্গে একটি রক্তমাখা ইতিহাস, নিপীড়নের প্রতীক এবং নিঃশব্দ গণহত্যার নিরব দর্শক। এ রাষ্ট্রটি আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে 'গণতান্ত্রিক' বলে দাবি করলেও, এর উত্থান, বিস্তার এবং টিকে থাকা রচিত হয়েছে অন্য এক ইতিহাসে— যে ইতিহাস হিংসা, দখল, অপমান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস।

    ক্ষমতার উৎস: সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র আর লবির খেলাঘর

    ইসরায়েলের ক্ষমতার মূল উৎস দুটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে:

    1. যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন
    প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এমনকি জাতিসংঘে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষের কোনো প্রস্তাব ওঠে, তখনও আমেরিকা ভেটো দেয় ইসরায়েলের স্বার্থে। একে যদি আপনি “রাষ্ট্রীয় গডফাদারশিপ” বলেন, ভুল হবে না।

    2. ইহুদি লবি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ
    বিশ্বের বহু প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাজনীতিকদের পেছনে রয়েছে ইহুদি পুঁজির শক্তি। এটাই ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে দণ্ডমুক্তির সুবিধা দেয়। ফিলিস্তিনি শিশু মরলেও শিরোনামে উঠে না, কারণ খবরের ভাষা ও ভঙ্গি নির্ধারণ করে সেই ক্ষমতা।

    ইতিহাসের কালো অধ্যায়: সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা

    ইসরায়েলের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, কিন্তু তার আগেই “ইহুদি সন্ত্রাস” শুরু হয়ে যায়। নিচে তুলে ধরা হলো কিছু স্পষ্ট বর্বরতার অধ্যায়:

    ১. দেয়ির ইয়াসিন গণহত্যা (১৯৪৮)

    ইসরায়েলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইরগুন’ ও ‘লেহি’ মিলে ১০০-র বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। এটিই ছিল “সন্ত্রাস দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের সূচনা”।

    ২. সাবরা ও শাতিলা হত্যাযজ্ঞ (১৯৮২)

    ইসরায়েলি মিত্র লেবাননের ফালাঞ্জিস্ট বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রবেশ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল—তাদের চুপচাপ থাকা ছিল অংশগ্রহণের সমান।

    ৩. গাজা যুদ্ধ (২০০৮, ২০১4, ২০২১ এবং ২০২৩)

    প্রতিবার যুদ্ধের নামে ইসরায়েল হামলা চালায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও জনবসতিতে। ইউএন রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ নিহত ছিল বেসামরিক মানুষ এবং শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। এ যেন এক অঘোষিত শিশু-গণহত্যা।

    নেতানিয়াহু: একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একাধারে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, আবার অন্যদিকে একজন যুদ্ধাপরাধী ও ফ্যাসিবাদী নীতির প্রবক্তা। তাঁর শাসনামলে ইসরায়েল:

    আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে।

    গাজার অবরোধ চালিয়ে একে পৃথিবীর "সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার"-এ পরিণত করে।

    আল-আকসা মসজিদে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

    নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইসরায়েল যেকোনো মূল্যে টিকে থাকবে।” এর মানে হলো, মানবতা, আইন, শিশু, নারী—সবকিছু ধ্বংস করেও যদি প্রভাব বিস্তার করা যায়, সেটাই তাঁর নীতি। আর এটিই একজন “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর” সংজ্ঞা।

    জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের নীরবতা: এক ধরনের সম্মতি?

    কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না? কারণ:

    আমেরিকার ভেটো ক্ষমতা

    ইউরোপের দ্বিমুখী নীতি

    মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি ও নিরবতা

    উপসংহার: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে যাক

    ইসরায়েল কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়। এটি আধুনিক বিশ্বে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে—যেখানে রাষ্ট্র নিজেই বোমা ফেলে, শিশু হত্যা করে, আবার মিথ্যে মিডিয়া দিয়ে নিজেকে "ভিক্টিম" সাজায়।

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী। তার বিচার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। কারণ রক্তচক্ষু, পুঁজির জোর আর মিডিয়ার খেলায় সে হাজারো প্রাণ নিয়ে খেলেছে, ইতিহাস যাকে কখনো ক্ষমা করবে না।

    ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ। মানবতা জিন্দাবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমে-স্বরেই হোক প্রতিরোধ।
    ইসরায়েল: একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতীক, নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী ইসরায়েল — একটি নাম, কিন্তু একইসঙ্গে একটি রক্তমাখা ইতিহাস, নিপীড়নের প্রতীক এবং নিঃশব্দ গণহত্যার নিরব দর্শক। এ রাষ্ট্রটি আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে 'গণতান্ত্রিক' বলে দাবি করলেও, এর উত্থান, বিস্তার এবং টিকে থাকা রচিত হয়েছে অন্য এক ইতিহাসে— যে ইতিহাস হিংসা, দখল, অপমান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস। 🔥 ক্ষমতার উৎস: সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র আর লবির খেলাঘর ইসরায়েলের ক্ষমতার মূল উৎস দুটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে: 1. যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এমনকি জাতিসংঘে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষের কোনো প্রস্তাব ওঠে, তখনও আমেরিকা ভেটো দেয় ইসরায়েলের স্বার্থে। একে যদি আপনি “রাষ্ট্রীয় গডফাদারশিপ” বলেন, ভুল হবে না। 2. ইহুদি লবি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ বিশ্বের বহু প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাজনীতিকদের পেছনে রয়েছে ইহুদি পুঁজির শক্তি। এটাই ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে দণ্ডমুক্তির সুবিধা দেয়। ফিলিস্তিনি শিশু মরলেও শিরোনামে উঠে না, কারণ খবরের ভাষা ও ভঙ্গি নির্ধারণ করে সেই ক্ষমতা। 📚 ইতিহাসের কালো অধ্যায়: সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা ইসরায়েলের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, কিন্তু তার আগেই “ইহুদি সন্ত্রাস” শুরু হয়ে যায়। নিচে তুলে ধরা হলো কিছু স্পষ্ট বর্বরতার অধ্যায়: ১. দেয়ির ইয়াসিন গণহত্যা (১৯৪৮) ইসরায়েলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইরগুন’ ও ‘লেহি’ মিলে ১০০-র বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। এটিই ছিল “সন্ত্রাস দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের সূচনা”। ২. সাবরা ও শাতিলা হত্যাযজ্ঞ (১৯৮২) ইসরায়েলি মিত্র লেবাননের ফালাঞ্জিস্ট বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রবেশ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল—তাদের চুপচাপ থাকা ছিল অংশগ্রহণের সমান। ৩. গাজা যুদ্ধ (২০০৮, ২০১4, ২০২১ এবং ২০২৩) প্রতিবার যুদ্ধের নামে ইসরায়েল হামলা চালায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও জনবসতিতে। ইউএন রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ নিহত ছিল বেসামরিক মানুষ এবং শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। এ যেন এক অঘোষিত শিশু-গণহত্যা। 😡 নেতানিয়াহু: একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একাধারে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, আবার অন্যদিকে একজন যুদ্ধাপরাধী ও ফ্যাসিবাদী নীতির প্রবক্তা। তাঁর শাসনামলে ইসরায়েল: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে। গাজার অবরোধ চালিয়ে একে পৃথিবীর "সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার"-এ পরিণত করে। আল-আকসা মসজিদে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইসরায়েল যেকোনো মূল্যে টিকে থাকবে।” এর মানে হলো, মানবতা, আইন, শিশু, নারী—সবকিছু ধ্বংস করেও যদি প্রভাব বিস্তার করা যায়, সেটাই তাঁর নীতি। আর এটিই একজন “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর” সংজ্ঞা। 🔎 জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের নীরবতা: এক ধরনের সম্মতি? কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না? কারণ: আমেরিকার ভেটো ক্ষমতা ইউরোপের দ্বিমুখী নীতি মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি ও নিরবতা 🚨 উপসংহার: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে যাক ইসরায়েল কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়। এটি আধুনিক বিশ্বে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে—যেখানে রাষ্ট্র নিজেই বোমা ফেলে, শিশু হত্যা করে, আবার মিথ্যে মিডিয়া দিয়ে নিজেকে "ভিক্টিম" সাজায়। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী। তার বিচার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। কারণ রক্তচক্ষু, পুঁজির জোর আর মিডিয়ার খেলায় সে হাজারো প্রাণ নিয়ে খেলেছে, ইতিহাস যাকে কখনো ক্ষমা করবে না। ✊ ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ। মানবতা জিন্দাবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমে-স্বরেই হোক প্রতিরোধ।
    Like
    2
    0 التعليقات 0 المشاركات 967 مشاهدة 0 معاينة
  • বরিশাল বিভাগ — নদী-নালার শহর,
    ভাত-ইলিশের অঞ্চল

    বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বরিশাল বিভাগ নদীমাতৃক সৌন্দর্য, কৃষি, ইলিশ মাছ ও ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত।

    *জেলা:* ৬টি
    (বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর)

    *উপজেলা/থানা:* প্রায় ৪২টি
    *গ্রাম:* প্রায় ৬,৫০০+
    *আয়তন:* আনুমানিক ১৩,২২৫ বর্গকিমি
    *জনসংখ্যা:* প্রায় ৮০ লাখ (২০২৪ অনুযায়ী আনুমানিক)
    *স্কুল:* ১০,০০০+ (সরকারি-বেসরকারি)
    *কলেজ:* ৮০০+
    *হাসপাতাল:* সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১০০+
    *দর্শনীয় স্থান:* ৫০+
    – কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, দুর্গাসাগর দীঘি, লেবুখালী ব্রিজ, কাঁকড়াবুনিয়া ম্যানগ্রোভ বন, গুঠিয়া মসজিদ, চর কুকরিমুকরি
    *হোটেল ও রিসোর্ট:* প্রায় ১০০+, কুয়াকাটায় আধুনিক মানের হোটেল বেশি

    *বিখ্যাত:*
    – *ইলিশ মাছ*, কুয়াকাটা দ্বৈত সুর্যোদয়-সুর্যাস্ত
    – বরিশালের *ভূমিকম্প-নিরাপদ মাটি*
    – *নদী বন্দর ও লঞ্চ ভ্রমণ*
    – সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রা

    ---

    *বরিশাল বিভাগ—নদী, ইলিশ, প্রকৃতি আর ঐতিহ্যের মিলনস্থল।*

    #BarishalDivision #বাংলাদেশ #তথ্যভিত্তিক #পর্যটন #ইলিশ_রাজ্য #নদীর_দেশ

    আরো নির্দিষ্ট জেলা বা কোন তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন।
    বরিশাল বিভাগ — নদী-নালার শহর, ভাত-ইলিশের অঞ্চল 🐟🚤 বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বরিশাল বিভাগ নদীমাতৃক সৌন্দর্য, কৃষি, ইলিশ মাছ ও ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। 🔹 *জেলা:* ৬টি (বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর) 🔹 *উপজেলা/থানা:* প্রায় ৪২টি 🔹 *গ্রাম:* প্রায় ৬,৫০০+ 🔹 *আয়তন:* আনুমানিক ১৩,২২৫ বর্গকিমি 🔹 *জনসংখ্যা:* প্রায় ৮০ লাখ (২০২৪ অনুযায়ী আনুমানিক) 🔹 *স্কুল:* ১০,০০০+ (সরকারি-বেসরকারি) 🔹 *কলেজ:* ৮০০+ 🔹 *হাসপাতাল:* সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১০০+ 🔹 *দর্শনীয় স্থান:* ৫০+ – কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, দুর্গাসাগর দীঘি, লেবুখালী ব্রিজ, কাঁকড়াবুনিয়া ম্যানগ্রোভ বন, গুঠিয়া মসজিদ, চর কুকরিমুকরি 🔹 *হোটেল ও রিসোর্ট:* প্রায় ১০০+, কুয়াকাটায় আধুনিক মানের হোটেল বেশি 🔸 *বিখ্যাত:* – *ইলিশ মাছ*, কুয়াকাটা দ্বৈত সুর্যোদয়-সুর্যাস্ত – বরিশালের *ভূমিকম্প-নিরাপদ মাটি* – *নদী বন্দর ও লঞ্চ ভ্রমণ* – সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রা --- *বরিশাল বিভাগ—নদী, ইলিশ, প্রকৃতি আর ঐতিহ্যের মিলনস্থল।* #BarishalDivision #বাংলাদেশ #তথ্যভিত্তিক #পর্যটন #ইলিশ_রাজ্য #নদীর_দেশ আরো নির্দিষ্ট জেলা বা কোন তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন।
    Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 2كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
الصفحات المعززة
Eidok App https://eidok.com