• সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বিবৃতি

    ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (রবিবার): গত ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মূল এবং অঙ্গসংগঠন সমূহ দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে তিন জন নিহত সহ বেশ কিছু এলাকাবাসী আহত হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এর ঘটনার এক বছর পূর্তি হিসাবে এই বছর ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল এর আয়োজন করে এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করে।

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর দাবিকৃত সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হয়। ঘটনাটির সত্যতা বিচারে আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। শয়ন শীলকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর অঙ্গসংগঠন পিসিপি এর নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর আহ্বানে খাগড়াছড়িতে অর্ধবেলা হরতাল পালিত হয়। একই সময় দেশে বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার এবং পার্বত্য অঞ্চলের কিছু দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ কর্তৃক অনলাইনে বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়।

    গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর কর্মী উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে এবং সামাজিক মাধ্যমে দেশী ও প্রবাসী ব্লগারসহ পার্বত্য জেলার কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির উস্কানিমূলক প্রচারণার প্রভাবে সমগ্র খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ এর প্ররোচনায় উশৃঙ্খল এলাকাবাসী টহলরত সেনাদলের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলশ্রুতিতে তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি এবং উসকানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য, সংযম ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।

    গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা আবারো দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে বাঙালি সহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ এবং রাস্তা অবরোধসহ নাশকতা করে সমগ্র খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায়। উক্ত দিন দুপুর নাগাদ সামগ্রিক বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালির একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। অবস্থা বিচারে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্য্যের সাথে সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং একটি অবশ্যম্ভাবী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়।

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। আজ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ইউপিডিএফ কর্মী এবং সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া তে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ০৩ জন অফিসারসহ ১০ জন সদস্য আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে রামসু বাজারের পশ্চিম দিকে অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র দলের সদস্যরা ৪/৫ বার অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পাহাড়ি, বাঙালি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে, ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর টহল দল দ্রুত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গমন করে। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় উক্ত সশস্ত্র দলটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

    সমসাময়িক সময়ে রামসু বাজার এবং ঘরবাড়িতে ইউপিডিএফ (মূল) এর বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করে এবং বাঙালিদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামসু বাজার এবং গুইমারা এলাকায় অতিরিক্ত সেনাদল নিয়োগ করা হয় এবং বিকাল ৪.৩০ মিনিটের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    বিগত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার মহিলা এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। একই সাথে পার্বত্যাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক স্থাপিত চেকপোস্টে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক পরিবহনকৃত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র যাত্রীবাহী বাস হতে জব্দ করা হয়।

    বিগত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং গুইমারা এলাকায় বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের বিষয়টি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সংরক্ষিত আছে। বিগত কয়েকদিনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে সংযত আচরণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সকল ধরণের অপপ্রচার, মিথ্যা প্রচারণা, উস্কানিমূলক কর্মকান্ড সত্ত্বেও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য এই অংশের অখন্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বিবৃতি ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (রবিবার): গত ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মূল এবং অঙ্গসংগঠন সমূহ দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে তিন জন নিহত সহ বেশ কিছু এলাকাবাসী আহত হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এর ঘটনার এক বছর পূর্তি হিসাবে এই বছর ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল এর আয়োজন করে এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর দাবিকৃত সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হয়। ঘটনাটির সত্যতা বিচারে আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। শয়ন শীলকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর অঙ্গসংগঠন পিসিপি এর নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর আহ্বানে খাগড়াছড়িতে অর্ধবেলা হরতাল পালিত হয়। একই সময় দেশে বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার এবং পার্বত্য অঞ্চলের কিছু দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ কর্তৃক অনলাইনে বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর কর্মী উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে এবং সামাজিক মাধ্যমে দেশী ও প্রবাসী ব্লগারসহ পার্বত্য জেলার কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির উস্কানিমূলক প্রচারণার প্রভাবে সমগ্র খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ এর প্ররোচনায় উশৃঙ্খল এলাকাবাসী টহলরত সেনাদলের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলশ্রুতিতে তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি এবং উসকানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য, সংযম ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা আবারো দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে বাঙালি সহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ এবং রাস্তা অবরোধসহ নাশকতা করে সমগ্র খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায়। উক্ত দিন দুপুর নাগাদ সামগ্রিক বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালির একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। অবস্থা বিচারে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্য্যের সাথে সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং একটি অবশ্যম্ভাবী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়। খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। আজ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ইউপিডিএফ কর্মী এবং সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া তে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ০৩ জন অফিসারসহ ১০ জন সদস্য আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে রামসু বাজারের পশ্চিম দিকে অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র দলের সদস্যরা ৪/৫ বার অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পাহাড়ি, বাঙালি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে, ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর টহল দল দ্রুত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গমন করে। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় উক্ত সশস্ত্র দলটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। সমসাময়িক সময়ে রামসু বাজার এবং ঘরবাড়িতে ইউপিডিএফ (মূল) এর বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করে এবং বাঙালিদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামসু বাজার এবং গুইমারা এলাকায় অতিরিক্ত সেনাদল নিয়োগ করা হয় এবং বিকাল ৪.৩০ মিনিটের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার মহিলা এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। একই সাথে পার্বত্যাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক স্থাপিত চেকপোস্টে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক পরিবহনকৃত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র যাত্রীবাহী বাস হতে জব্দ করা হয়। বিগত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং গুইমারা এলাকায় বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের বিষয়টি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সংরক্ষিত আছে। বিগত কয়েকদিনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে সংযত আচরণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সকল ধরণের অপপ্রচার, মিথ্যা প্রচারণা, উস্কানিমূলক কর্মকান্ড সত্ত্বেও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য এই অংশের অখন্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    0 Комментарии 0 Поделились 4Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • SUBSCRIBE TO SEE THIS ПРОФИЛЬ CONTENT
  • ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড তরুণ নেতৃত্বে নতুন দৃষ্টান্ত

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কৃতী সন্তান মো. খালেদ সাইফুল্লাহ অর্জন করেছেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি “ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড”। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি খালেদ সাইফুল্লাহর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, নৌপরিবহন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রতিবছর সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবছর সারাদেশ থেকে মাত্র ১২ জন তরুণকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত দুইজনের মধ্যে একজন হলেন নলছিটির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বরিশাল বিভাগ থেকে একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে সম্মান অর্জন করেছেন।




    খালেদ সাইফুল্লাহ ২০২০ সালে “তারুণ্যের নলছিটি” নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সংগঠনটি শিক্ষা, বিজ্ঞান, সচেতনতা, মানবিকতা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তার নেতৃত্বে Team STEM স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি “CARO” প্রতিষ্ঠা করে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ ও বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার নতুন মডেল তৈরিতে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত Youth Political Leadership Simulation Model তরুণদের হাতে-কলমে নীতি, নেতৃত্ব ও এডভোকেসি শেখাচ্ছে।




    পুরস্কার গ্রহণের পর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই তিনি দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চেতনায় বন্ধুদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ অর্জন তার একার নয়, বরং যারা সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তিনি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের নামে।




    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে বলেন, তরুণ ও যুবকরা দেশের মূল চালিকাশক্তি। তারা যখন জেগে ওঠে তখন কোনো শক্তি তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারই প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবা কেবল মানবকল্যাণ নয়, এটি আত্মউন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তরুণদের মেধা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।




    অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ এবং গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, জনসেবা, দেশপ্রেম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্যও বিভিন্ন জেলার তরুণদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকা, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সরকারি সনদপত্র।




    খালেদ সাইফুল্লাহ তার বক্তব্যে জানান, ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যে পথচলা শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে উপজেলা, জেলা হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছেছে। “তারুণ্যের নলছিটি”, “CARO” ও “Team STEM”–এর ব্যানারে তার কাজ স্থানীয় থেকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তরুণদের শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নেতৃত্ব বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।




    বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের মাধ্যমে খালেদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন থেকেই তার কাজগুলো নিবিড়ভাবে দেখেছি। তার একাগ্রতা, মেধা ও সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। লেখালেখি, সংগঠন গড়ে তোলা এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার অগ্রগতি অনুকরণীয়।




    এ অর্জন শুধু খালেদ সাইফুল্লাহর নয়, বরং ঝালকাঠি তথা সমগ্র বরিশাল বিভাগের গৌরব। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন প্রেরণার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় এ স্বীকৃতি প্রমাণ করে, নিষ্ঠা ও কর্মনিষ্ঠা থাকলে তরুণরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম।




    শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল

    — তৌফিক সুলতান
    Bangladesh Youth Award,
    ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড তরুণ নেতৃত্বে নতুন দৃষ্টান্ত ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কৃতী সন্তান মো. খালেদ সাইফুল্লাহ অর্জন করেছেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি “ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড”। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি খালেদ সাইফুল্লাহর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, নৌপরিবহন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রতিবছর সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবছর সারাদেশ থেকে মাত্র ১২ জন তরুণকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত দুইজনের মধ্যে একজন হলেন নলছিটির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বরিশাল বিভাগ থেকে একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে সম্মান অর্জন করেছেন। খালেদ সাইফুল্লাহ ২০২০ সালে “তারুণ্যের নলছিটি” নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সংগঠনটি শিক্ষা, বিজ্ঞান, সচেতনতা, মানবিকতা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তার নেতৃত্বে Team STEM স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি “CARO” প্রতিষ্ঠা করে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ ও বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার নতুন মডেল তৈরিতে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত Youth Political Leadership Simulation Model তরুণদের হাতে-কলমে নীতি, নেতৃত্ব ও এডভোকেসি শেখাচ্ছে। পুরস্কার গ্রহণের পর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই তিনি দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চেতনায় বন্ধুদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ অর্জন তার একার নয়, বরং যারা সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তিনি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের নামে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে বলেন, তরুণ ও যুবকরা দেশের মূল চালিকাশক্তি। তারা যখন জেগে ওঠে তখন কোনো শক্তি তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারই প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবা কেবল মানবকল্যাণ নয়, এটি আত্মউন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তরুণদের মেধা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ এবং গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, জনসেবা, দেশপ্রেম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্যও বিভিন্ন জেলার তরুণদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকা, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সরকারি সনদপত্র। খালেদ সাইফুল্লাহ তার বক্তব্যে জানান, ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যে পথচলা শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে উপজেলা, জেলা হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছেছে। “তারুণ্যের নলছিটি”, “CARO” ও “Team STEM”–এর ব্যানারে তার কাজ স্থানীয় থেকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তরুণদের শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নেতৃত্ব বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের মাধ্যমে খালেদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন থেকেই তার কাজগুলো নিবিড়ভাবে দেখেছি। তার একাগ্রতা, মেধা ও সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। লেখালেখি, সংগঠন গড়ে তোলা এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার অগ্রগতি অনুকরণীয়। এ অর্জন শুধু খালেদ সাইফুল্লাহর নয়, বরং ঝালকাঠি তথা সমগ্র বরিশাল বিভাগের গৌরব। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন প্রেরণার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় এ স্বীকৃতি প্রমাণ করে, নিষ্ঠা ও কর্মনিষ্ঠা থাকলে তরুণরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল — তৌফিক সুলতান Bangladesh Youth Award,
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 5Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • আপনাকে কারো নাম বলতে হবে না। শুধুমাত্র আপনার এলাকার নাম বলুন।

    খুব শীঘ্রই অভি/যান চালাবে বাংলাদেশ সেনা/বাহি/নী

    জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন
    আপনাকে কারো নাম বলতে হবে না। শুধুমাত্র আপনার এলাকার নাম বলুন। খুব শীঘ্রই অভি/যান চালাবে বাংলাদেশ সেনা/বাহি/নী জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করুন
    Love
    2
    0 Комментарии 0 Поделились 372 Просмотры 0 предпросмотр
  • আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

    আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।

    ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

    দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে।

    কনটেন্টের গুণগত মান:

    ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা:

    অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে।

    থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।

    বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে।

    ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা:

    বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না।

    শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

    ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা।

    কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    চূড়ান্ত সতর্কতা:

    প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

    আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

    আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই।

    এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

    কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে। কনটেন্টের গুণগত মান: ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা: অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে। থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে। বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে। ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা: বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না। শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম। তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা। কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 🚫 চূড়ান্ত সতর্কতা: প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে। আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 5Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • মোংলায় ভুয়া রিয়েল এস্টেট সংস্থার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
    বাগেরহাটের মোংলায় সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে 'নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রযোজনা লিমিটেড' নামে একটি ভুয়া সংস্থার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ ওরফে মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং রুহুল আমিন ওরফে মাওলানা রুহুল আমিন ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে হাজারো পরিবারের সর্বস্ব লুট করেছেন।প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ করে পেনশনভোগী সরকারি কর্মচারী, জমি বিক্রির টাকায় নির্ভরশীল পরিবার, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নিম্নআয়ের মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রতারণা করে। এদের মধ্যে অনেকেই তাদের জীবনের সঞ্চয় হারিয়েছেন, এমনকি কয়েকটি পরিবার আর্থিক ধ্বংসযজ্ঞে মানসিক যন্ত্রণায় নিঃশব্দে মৃত্যুবরণ করেছেন।এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, যিনি তার জীবন সঞ্চয় হারিয়েছেন, কাঁদতে কাঁদতে জানান, "এগুলো শুধু টাকা নয়—হাজার পরিবারের স্বপ্ন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে অর্জিত সঞ্চয়। মাওলানাদের মুখে স্বর্গের লোভ দেখিয়ে আমাদের নরকে ঠেলে দিয়েছে!" আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, "ওরা শুধু টাকা নেয়নি, আমাদের সম্মানও কেড়ে নিয়েছে।"স্থানীয়রা সরকারের কাছে দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, আত্মসাত্কৃত টাকা ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা চেয়েছেন। তাদের দাবি, "প্রতারকরা এখনও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে—সাধারণ খেটে খাওয়া হাজারো পরিবারের প্রাণের দাবি।"এই প্রতারণার ঘটনা শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, এটি সমাজের নৈতিক ভিত্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মংলার প্রতারিত সাধারণ খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর চোখে এখন একটাই প্রশ্ন: "জনগণের সরকার কি তাদের রক্ত-ঘামে অর্জিত সম্পদ ফেরত দিতে পারবে?"এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যা ভুক্তভোগীদের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে এই ধরনের প্রতারণা আরও বাড়তে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হলে সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।


    #বাগেরহাট
    #প্রতারণা #অর্থনীতি
    #রিয়েলএস্টেট #দুর্নীতি
    মোংলায় ভুয়া রিয়েল এস্টেট সংস্থার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। বাগেরহাটের মোংলায় সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে 'নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট প্রযোজনা লিমিটেড' নামে একটি ভুয়া সংস্থার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ ওরফে মাওলানা আব্দুল আজিজ এবং রুহুল আমিন ওরফে মাওলানা রুহুল আমিন ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করে হাজারো পরিবারের সর্বস্ব লুট করেছেন।প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ করে পেনশনভোগী সরকারি কর্মচারী, জমি বিক্রির টাকায় নির্ভরশীল পরিবার, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নিম্নআয়ের মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে প্রতারণা করে। এদের মধ্যে অনেকেই তাদের জীবনের সঞ্চয় হারিয়েছেন, এমনকি কয়েকটি পরিবার আর্থিক ধ্বংসযজ্ঞে মানসিক যন্ত্রণায় নিঃশব্দে মৃত্যুবরণ করেছেন।এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, যিনি তার জীবন সঞ্চয় হারিয়েছেন, কাঁদতে কাঁদতে জানান, "এগুলো শুধু টাকা নয়—হাজার পরিবারের স্বপ্ন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে অর্জিত সঞ্চয়। মাওলানাদের মুখে স্বর্গের লোভ দেখিয়ে আমাদের নরকে ঠেলে দিয়েছে!" আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, "ওরা শুধু টাকা নেয়নি, আমাদের সম্মানও কেড়ে নিয়েছে।"স্থানীয়রা সরকারের কাছে দ্রুত তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, আত্মসাত্কৃত টাকা ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা চেয়েছেন। তাদের দাবি, "প্রতারকরা এখনও অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে—সাধারণ খেটে খাওয়া হাজারো পরিবারের প্রাণের দাবি।"এই প্রতারণার ঘটনা শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, এটি সমাজের নৈতিক ভিত্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মংলার প্রতারিত সাধারণ খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর চোখে এখন একটাই প্রশ্ন: "জনগণের সরকার কি তাদের রক্ত-ঘামে অর্জিত সম্পদ ফেরত দিতে পারবে?"এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, যা ভুক্তভোগীদের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে এই ধরনের প্রতারণা আরও বাড়তে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হলে সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। #বাগেরহাট #প্রতারণা #অর্থনীতি #রিয়েলএস্টেট #দুর্নীতি
    0 Комментарии 2 Поделились 3Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!...

    শাহাদাত হোসেন (রাকিব)::
    পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।

    ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।

    ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’
    ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’

    সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের:
    অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়।

    ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না:
    অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।

    স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার:
    ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

    নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান:

    ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন।

    ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
    ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’
    অভিযোগ দায়ের

    ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন।

    অপরাধ ও শাস্তি

    অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।

    সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা

    ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’

    অপরাধের বিচার

    ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।

    ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।

    মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি

    কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক

    ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!... শাহাদাত হোসেন (রাকিব):: পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব। ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’ ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের: অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়। ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার: ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান: ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’ অভিযোগ দায়ের ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন। অপরাধ ও শাস্তি অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে। সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ অপরাধের বিচার ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    Like
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 3Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • আই নিউজ বিডি – বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    আই নিউজ বিডি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নির্ভীক ও নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠতা ও জনস্বার্থের পক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে আসছি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অন্যায় এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলম ও ক্যামেরা চালিয়ে যাচ্ছি।

    আমাদের সংবাদ কার্যক্রমকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও পেশাদারভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) নিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছি।

    এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, বরং একটি দায়িত্ব, একটি নেতৃত্বের আসন এবং সত্যের পক্ষে আজীবন লড়াইয়ের অঙ্গীকার।

    পদবী
    বিভাগীয় প্রধান (Division Chief)

    বিভাগীয় প্রধানের মূল দায়িত্ব
    সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা।

    নিউজ সংগ্রহ, যাচাই এবং দ্রুততম সময়ে আই নিউজ বিডি সিস্টেমে আপলোড নিশ্চিত করা।

    বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রদান।

    স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলের সাথে পেশাদার যোগাযোগ রক্ষা করা।

    আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তা দলের মধ্যে বাস্তবায়ন করা।

    যোগ্যতা ও শর্তাবলী
    শুধুমাত্র যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে:

    সদস্যপদ অভিজ্ঞতা – ন্যূনতম ১ মাস সক্রিয়ভাবে আই নিউজ বিডির সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা।

    সাংবাদিকতার পটভূমি – কমপক্ষে ২ বছরের ফিল্ড রিপোর্টিং, সম্পাদনা বা মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা।

    নেতৃত্বের দক্ষতা – একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা।

    তৎপরতা ও গতিশীলতা – ব্রেকিং নিউজ কভার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ও সময়নিষ্ঠা।

    প্রযুক্তিগত দক্ষতা – ক্যামেরা/মোবাইল দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ, নিউজ আপলোড সিস্টেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পারদর্শিতা।

    আই নিউজ বিডি সিস্টেমে পূর্ণ দক্ষতা – নিউজ আপলোড, এডিটিং, ফটো যুক্ত করা, এবং তাৎক্ষণিক পাবলিশ করার নিয়ম জানা।

    উপস্থাপনা দক্ষতা – ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল উপস্থাপনার যোগ্যতা।

    প্রমাণপত্র – পূর্বে করা উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে।

    নৈতিকতা ও সততা – সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি। কোনোভাবেই পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না।

    অঙ্গীকার – আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

    আবেদনের সাথে যা যা জমা দিতে হবে
    পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর

    সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতি (Bio)

    সাংবাদিকতা ও নেতৃত্ব সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ

    পূর্ববর্তী উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক (যদি থাকে)

    বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণ ও আপনার যোগ্যতার লিখিত ব্যাখ্যা

    গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
    আই নিউজ বিডি কোনো অর্থের বিনিময়ে আইডি কার্ড, প্রেস কার্ড, মাইক্রোফোন স্টিকার বা সরঞ্জাম প্রদান করে না। সমস্ত সরঞ্জাম যোগ্য ও অনুমোদিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

    কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে পদ বাতিল হবে।

    আবেদন পাঠানোর ঠিকানা
    ই-মেইল: eyenewsbdinfo@gmail.com

    আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৮/২০২৫
    আই নিউজ বিডি – বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আই নিউজ বিডি ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নির্ভীক ও নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সত্য, ন্যায়, বস্তুনিষ্ঠতা ও জনস্বার্থের পক্ষে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে আসছি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অন্যায় এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলম ও ক্যামেরা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সংবাদ কার্যক্রমকে আরও দ্রুত, শক্তিশালী ও পেশাদারভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) নিয়োগের ঘোষণা দিচ্ছি। এটি শুধুমাত্র একটি পদ নয়, বরং একটি দায়িত্ব, একটি নেতৃত্বের আসন এবং সত্যের পক্ষে আজীবন লড়াইয়ের অঙ্গীকার। পদবী বিভাগীয় প্রধান (Division Chief) বিভাগীয় প্রধানের মূল দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের সঠিকভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করা। নিউজ সংগ্রহ, যাচাই এবং দ্রুততম সময়ে আই নিউজ বিডি সিস্টেমে আপলোড নিশ্চিত করা। বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর উপর দ্রুত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা প্রদান। স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক মহলের সাথে পেশাদার যোগাযোগ রক্ষা করা। আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা কঠোরভাবে মেনে চলা এবং তা দলের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। যোগ্যতা ও শর্তাবলী শুধুমাত্র যোগ্য, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পেশাদার ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে: সদস্যপদ অভিজ্ঞতা – ন্যূনতম ১ মাস সক্রিয়ভাবে আই নিউজ বিডির সাথে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা। সাংবাদিকতার পটভূমি – কমপক্ষে ২ বছরের ফিল্ড রিপোর্টিং, সম্পাদনা বা মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতা। নেতৃত্বের দক্ষতা – একটি টিমকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা। তৎপরতা ও গতিশীলতা – ব্রেকিং নিউজ কভার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ও সময়নিষ্ঠা। প্রযুক্তিগত দক্ষতা – ক্যামেরা/মোবাইল দিয়ে ভিডিও ও ছবি ধারণ, নিউজ আপলোড সিস্টেম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে পারদর্শিতা। আই নিউজ বিডি সিস্টেমে পূর্ণ দক্ষতা – নিউজ আপলোড, এডিটিং, ফটো যুক্ত করা, এবং তাৎক্ষণিক পাবলিশ করার নিয়ম জানা। উপস্থাপনা দক্ষতা – ক্যামেরার সামনে আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল উপস্থাপনার যোগ্যতা। প্রমাণপত্র – পূর্বে করা উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করতে হবে। নৈতিকতা ও সততা – সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতার প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতি। কোনোভাবেই পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। অঙ্গীকার – আই নিউজ বিডির নীতি ও নৈতিকতা থেকে এক ইঞ্চি বিচ্যুত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। আবেদনের সাথে যা যা জমা দিতে হবে পূর্ণ নাম, ঠিকানা ও সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর সংক্ষিপ্ত ব্যক্তিগত পরিচিতি (Bio) সাংবাদিকতা ও নেতৃত্ব সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ পূর্ববর্তী উপস্থাপনার ভিডিও বা লিঙ্ক (যদি থাকে) বিভাগীয় প্রধান হওয়ার কারণ ও আপনার যোগ্যতার লিখিত ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি কোনো অর্থের বিনিময়ে আইডি কার্ড, প্রেস কার্ড, মাইক্রোফোন স্টিকার বা সরঞ্জাম প্রদান করে না। সমস্ত সরঞ্জাম যোগ্য ও অনুমোদিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত স্বার্থে সাংবাদিকতার ক্ষমতা ব্যবহার বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে পদ বাতিল হবে। আবেদন পাঠানোর ঠিকানা ই-মেইল: eyenewsbdinfo@gmail.com আবেদনের শেষ তারিখ: ২০/০৮/২০২৫
    Like
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 4Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Health Care - PHC) হলো একটি জনবান্ধব ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যা জনগণের নিকটবর্তী পর্যায়ে প্রদান করা হয়। এটি শুধুমাত্র রোগের চিকিৎসাই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি কার্যকর উপায়। ১৯৭৮ সালের আলমা-আটা ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য
    সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা – অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক বা সামাজিক বাধা ছাড়াই।


    রোগ প্রতিরোধ করা – সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রচারের মাধ্যমে।


    প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা – যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়।


    হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো – ছোটখাটো রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা।


    কমিউনিটি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত করা।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত প্রধান সেবা
    সাধারণ রোগের চিকিৎসা: জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি।


    টিকাদান কর্মসূচি: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।


    মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা: প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা।


    পুষ্টি শিক্ষা ও পরামর্শ: অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ।


    স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ।


    প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও ফার্স্ট এইড।


    পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা।



    কেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি?
    দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা পায় – বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।


    অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী – বড় হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়।


    রোগের জটিলতা কমায় – সময়মতো চিকিৎসা পেলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।


    সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটায় – ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে।



    বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা
    বাংলাদেশে সরকারীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।
    প্রায় ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক সারা দেশে পরিচালিত হচ্ছে।


    এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।


    সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (NGO) মিলিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ
    চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি।


    আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব।


    জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার সীমাবদ্ধতা।


    বাজেট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা।



    সমাধানের উপায়
    স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি।


    ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস চালু করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছানো।


    জনসচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি – টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।


    সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো।


    নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলো-আপ সেবা নিশ্চিত করা।



    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সুস্থ সমাজের ভিত্তি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এতে শুধু রোগ কমবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও বাড়বে।


    প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা – সুস্থ জীবনের প্রথম ধাপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা (Primary Health Care - PHC) হলো একটি জনবান্ধব ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা যা জনগণের নিকটবর্তী পর্যায়ে প্রদান করা হয়। এটি শুধুমাত্র রোগের চিকিৎসাই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি উন্নয়ন, এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি কার্যকর উপায়। ১৯৭৮ সালের আলমা-আটা ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সকল মানুষের জন্য সহজলভ্য, গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল উদ্দেশ্য সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা – অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক বা সামাজিক বাধা ছাড়াই। রোগ প্রতিরোধ করা – সচেতনতা বৃদ্ধি, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা প্রচারের মাধ্যমে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা – যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। হাসপাতালের ওপর চাপ কমানো – ছোটখাটো রোগ প্রাথমিক পর্যায়েই নিরাময় করা। কমিউনিটি অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – জনগণকে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে যুক্ত করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত প্রধান সেবা সাধারণ রোগের চিকিৎসা: জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি। টিকাদান কর্মসূচি: শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা: প্রসবপূর্ব ও প্রসব-পরবর্তী সেবা। পুষ্টি শিক্ষা ও পরামর্শ: অপুষ্টি প্রতিরোধ এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে উৎসাহ। স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতকরণ। প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ও ফার্স্ট এইড। পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা। কেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জরুরি? দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষও সহজে সেবা পায় – বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী – বড় হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পাওয়া যায়। রোগের জটিলতা কমায় – সময়মতো চিকিৎসা পেলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটায় – ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশে সরকারীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। প্রায় ১৪,০০০-এর বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক সারা দেশে পরিচালিত হচ্ছে। এসব কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থা (NGO) মিলিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিস্তার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব। জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতার সীমাবদ্ধতা। বাজেট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। সমাধানের উপায় স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও সংখ্যা বৃদ্ধি। ডিজিটাল হেলথ সার্ভিস চালু করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছানো। জনসচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধি – টিভি, রেডিও, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানো। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলো-আপ সেবা নিশ্চিত করা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হলো সুস্থ সমাজের ভিত্তি। সঠিক পরিকল্পনা, পর্যাপ্ত অর্থায়ন, এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও শক্তিশালী করা সম্ভব। এতে শুধু রোগ কমবে না, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও বাড়বে।
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 3Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • নিউজের ভাষা: আদর্শ, গুরুত্ব এবং আই নিউজ বিডি’র প্রত্যাশা

    সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দিক হলো ‘ভাষা’। সংবাদ হলো তথ্যের ভাষান্তর এবং এর মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের কাছে সত্য ও তথ্য পৌঁছায়। সুতরাং সংবাদ ভাষার গুণগত মান, প্রাসঙ্গিকতা ও সামঞ্জস্য অপরিহার্য।

    নিউজের ভাষা শুধুমাত্র শব্দ ও বাক্যের সমষ্টি নয়, এটি সমাজ ও মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সঠিক ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    আই নিউজ বিডি, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের কথা তুলে ধরতে কাজ করে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমাদের নিউজের ভাষা হবে স্পষ্ট, সরল, প্রাসঙ্গিক ও মানুষের হৃদয়স্পর্শী।

    ১। নিউজের ভাষার গুরুত্ব
    ১.১ তথ্যের স্পষ্টতা এবং সহজবোধ্যতা
    সংবাদ পাঠক বা দর্শকের কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম। যদি ভাষা কঠিন বা জটিল হয়, তাহলে পাঠক তার বার্তা বুঝতে পারেনা। তাই নিউজের ভাষা সহজ ও পরিষ্কার হতে হবে।

    ১.২ বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা
    ভাষার স্বচ্ছতা ও স্বাভাবিকতা সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। শব্দের যথার্থ ব্যবহার পাঠককে প্রভাবিত করে, তাদের মনে স্বচ্ছন্দ বোধ তৈরি করে।

    ১.৩ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব
    ভাষার ব্যবহারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা থাকে। সরল ভাষায় লেখা সংবাদ জনগণকে সচেতন করে, সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে।

    ২। নিউজে ভাষার আদর্শ বৈশিষ্ট্য
    ২.১ সরলতা (Simplicity)
    সহজ ও পরিষ্কার শব্দ ব্যবহার।

    কমপ্লেক্স বাক্য এড়িয়ে চলা।

    টেকনিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ সীমিত করা।

    ২.২ নিরপেক্ষতা (Neutrality)
    সংবাদ ভাষায় ব্যক্তিগত মতামত বা পক্ষপাত দেখানো যাবে না।

    পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    ২.৩ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    সংবাদ বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন।

    জনসাধারণের বোঝার উপযোগী ভাষা।

    ২.৪ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা পরিহার।

    তথ্যের সঠিক পরিমাণ উপস্থাপন।

    ২.৫ প্রাঞ্জলতা (Clarity)
    পরিষ্কার বাক্যগঠন।

    তথ্যের সঠিক বিন্যাস।

    ২.৬ পাঠক বান্ধবতা (Readability)
    বাক্যের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা।

    সংযমিত শব্দচয়ন।

    ৩। নিউজে ভাষার ভুল ও ঝুঁকি
    ৩.১ অতিরিক্ত প্রচ্ছদ (Sensationalism)
    অতিরঞ্জিত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন যা সত্যতা ক্ষুণ্ণ করে।

    মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি।

    ৩.২ পক্ষপাতিত্ব ও অশালীন ভাষা
    নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাওয়া।

    অপপ্রচার ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি।

    ৩.৩ ভাষাগত ভুল ও বানান ভুল
    ভুল বানান, বাক্যগঠন পাঠকের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে।

    ৪। আই নিউজ বিডি’তে নিউজের ভাষা নিয়ে প্রত্যাশা
    ৪.১ জনগণের ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন
    আই নিউজ বিডি চায়, সংবাদ যেন জনগণের ভাষায় হয়।

    কঠিন কিংবা উচ্চাঙ্গীভাষা নয়, জনসাধারণের বোঝার ভাষায়।

    ৪.২ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব
    দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সম্মান।

    আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশনের প্রতি উৎসাহ প্রদান।

    ৪.৩ তথ্যভিত্তিক ও মানবিক ভাষা
    তথ্যের যথার্থতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ।

    দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা।

    ৪.৪ সঠিক ও দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার
    খবর প্রকাশে সঠিক শব্দচয়ন।

    বিভ্রান্তি এড়ানো এবং নৈতিকতা রক্ষা।

    ৫। কিভাবে আই নিউজ বিডির রিপোর্টাররা নিউজের ভাষায় উৎকর্ষতা আনবেন?
    ৫.১ ভাষার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন
    নিয়মিত ভাষাগত প্রশিক্ষণ।

    লেখার ওপর ফোকাস।

    ৫.২ রিভিউ ও সম্পাদনার গুরুত্ব
    রিপোর্ট পাঠানোর আগে সম্পাদনা।

    সহকর্মী ও সম্পাদকদের পরামর্শ গ্রহণ।

    ৫.৩ ফিডব্যাক গ্রহণ ও উন্নয়ন
    পাঠক ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ।

    ভাষাগত উন্নয়নে নিজেকে সাজানো।

    নিউজের ভাষা হলো সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। স্পষ্ট, সহজ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভাষার মাধ্যমে সংবাদ শুধু তথ্য পৌঁছে দেয় না, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আই নিউজ বিডি’র জন্য নিউজের ভাষা মানে কেবল শব্দ নয়, এটি হলো আমাদের দায়িত্ব, সেবা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
    নিউজের ভাষা: আদর্শ, গুরুত্ব এবং আই নিউজ বিডি’র প্রত্যাশা সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দিক হলো ‘ভাষা’। সংবাদ হলো তথ্যের ভাষান্তর এবং এর মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের কাছে সত্য ও তথ্য পৌঁছায়। সুতরাং সংবাদ ভাষার গুণগত মান, প্রাসঙ্গিকতা ও সামঞ্জস্য অপরিহার্য। নিউজের ভাষা শুধুমাত্র শব্দ ও বাক্যের সমষ্টি নয়, এটি সমাজ ও মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সঠিক ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আই নিউজ বিডি, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের কথা তুলে ধরতে কাজ করে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমাদের নিউজের ভাষা হবে স্পষ্ট, সরল, প্রাসঙ্গিক ও মানুষের হৃদয়স্পর্শী। ১। নিউজের ভাষার গুরুত্ব ১.১ তথ্যের স্পষ্টতা এবং সহজবোধ্যতা সংবাদ পাঠক বা দর্শকের কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম। যদি ভাষা কঠিন বা জটিল হয়, তাহলে পাঠক তার বার্তা বুঝতে পারেনা। তাই নিউজের ভাষা সহজ ও পরিষ্কার হতে হবে। ১.২ বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা ভাষার স্বচ্ছতা ও স্বাভাবিকতা সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। শব্দের যথার্থ ব্যবহার পাঠককে প্রভাবিত করে, তাদের মনে স্বচ্ছন্দ বোধ তৈরি করে। ১.৩ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ভাষার ব্যবহারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা থাকে। সরল ভাষায় লেখা সংবাদ জনগণকে সচেতন করে, সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে। ২। নিউজে ভাষার আদর্শ বৈশিষ্ট্য ২.১ সরলতা (Simplicity) সহজ ও পরিষ্কার শব্দ ব্যবহার। কমপ্লেক্স বাক্য এড়িয়ে চলা। টেকনিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ সীমিত করা। ২.২ নিরপেক্ষতা (Neutrality) সংবাদ ভাষায় ব্যক্তিগত মতামত বা পক্ষপাত দেখানো যাবে না। পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলা। ২.৩ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) সংবাদ বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন। জনসাধারণের বোঝার উপযোগী ভাষা। ২.৪ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা পরিহার। তথ্যের সঠিক পরিমাণ উপস্থাপন। ২.৫ প্রাঞ্জলতা (Clarity) পরিষ্কার বাক্যগঠন। তথ্যের সঠিক বিন্যাস। ২.৬ পাঠক বান্ধবতা (Readability) বাক্যের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। সংযমিত শব্দচয়ন। ৩। নিউজে ভাষার ভুল ও ঝুঁকি ৩.১ অতিরিক্ত প্রচ্ছদ (Sensationalism) অতিরঞ্জিত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন যা সত্যতা ক্ষুণ্ণ করে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি। ৩.২ পক্ষপাতিত্ব ও অশালীন ভাষা নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাওয়া। অপপ্রচার ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি। ৩.৩ ভাষাগত ভুল ও বানান ভুল ভুল বানান, বাক্যগঠন পাঠকের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে। ৪। আই নিউজ বিডি’তে নিউজের ভাষা নিয়ে প্রত্যাশা ৪.১ জনগণের ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন আই নিউজ বিডি চায়, সংবাদ যেন জনগণের ভাষায় হয়। কঠিন কিংবা উচ্চাঙ্গীভাষা নয়, জনসাধারণের বোঝার ভাষায়। ৪.২ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সম্মান। আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশনের প্রতি উৎসাহ প্রদান। ৪.৩ তথ্যভিত্তিক ও মানবিক ভাষা তথ্যের যথার্থতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ। দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। ৪.৪ সঠিক ও দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার খবর প্রকাশে সঠিক শব্দচয়ন। বিভ্রান্তি এড়ানো এবং নৈতিকতা রক্ষা। ৫। কিভাবে আই নিউজ বিডির রিপোর্টাররা নিউজের ভাষায় উৎকর্ষতা আনবেন? ৫.১ ভাষার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন নিয়মিত ভাষাগত প্রশিক্ষণ। লেখার ওপর ফোকাস। ৫.২ রিভিউ ও সম্পাদনার গুরুত্ব রিপোর্ট পাঠানোর আগে সম্পাদনা। সহকর্মী ও সম্পাদকদের পরামর্শ গ্রহণ। ৫.৩ ফিডব্যাক গ্রহণ ও উন্নয়ন পাঠক ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ। ভাষাগত উন্নয়নে নিজেকে সাজানো। নিউজের ভাষা হলো সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। স্পষ্ট, সহজ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভাষার মাধ্যমে সংবাদ শুধু তথ্য পৌঁছে দেয় না, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আই নিউজ বিডি’র জন্য নিউজের ভাষা মানে কেবল শব্দ নয়, এটি হলো আমাদের দায়িত্ব, সেবা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
    Love
    3
    0 Комментарии 0 Поделились 3Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা

    জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।

    ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য
    ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy)
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে।

    তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে।

    ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

    গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে।

    ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity)
    রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

    সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত।

    প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি।

    সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত।

    ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness)
    রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে।

    কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H)

    ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন।

    ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত।

    খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে।

    জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত।

    ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability)
    সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা।

    কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা।

    ১.৬ গঠন (Structure)
    একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে।

    পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু।

    মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে।

    উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ।

    ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে।

    বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা।

    ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics)
    কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।

    ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
    ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি
    কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা।

    প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি।

    ২.২ তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ।

    সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ।

    প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ।

    ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই
    তথ্যের সত্যতা যাচাই।

    বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা।

    ২.৪ প্রতিবেদন লেখা
    সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা।

    মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন।

    ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা
    বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা।

    সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং।

    ২.৬ প্রকাশ
    সময়োপযোগী প্রকাশ।

    মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)।

    ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়?
    আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে:

    ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা
    তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা।

    কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না।

    নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন
    নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা।

    নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো।

    হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া।

    ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ
    শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

    পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা।

    ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
    মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা।

    সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা।

    ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা
    ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন।

    ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা
    ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা
    অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা।

    ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার
    কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা।

    ৪.৩ দায়িত্বশীলতা
    ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।

    ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা।

    ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা
    আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

    একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়। আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন। ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy) একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে। তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে। ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে। ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity) রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না। সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত। প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি। সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত। ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness) রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে। কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H) ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন। ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত। খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে। জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত। ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability) সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা। কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা। প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা। ১.৬ গঠন (Structure) একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে। পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু। মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে। উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ। ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে। বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা। ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics) কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা। প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি। ২.২ তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ। সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ। ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই তথ্যের সত্যতা যাচাই। বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা। ২.৪ প্রতিবেদন লেখা সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা। মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন। ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা। সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং। ২.৬ প্রকাশ সময়োপযোগী প্রকাশ। মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)। ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়? আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে: ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা। কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না। নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা। নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো। হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া। ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা। ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন। ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা। ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা। ৪.৩ দায়িত্বশীলতা ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা। ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা। ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    Love
    Like
    6
    8 Комментарии 0 Поделились 4Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতার কার্যক্রম: দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা

    বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা দেশের সবচেয়ে নিকটতম সংবাদ পরিবেশক যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছে দেন জাতীয় পর্যায়ে। তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্ট, আনন্দ, সমস্যা, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন দেশের সব শ্রেণী ও অংশে পৌঁছায়।

    তাই উপজেলায় একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন ও কর্মপদ্ধতি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আই নিউজ বিডি তাদেরকে নিখুঁত ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা, মানদণ্ড ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে।

    ১. উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকের কাজের ধরন
    উপজেলা সাংবাদিকতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো—

    স্থানীয় ঘটনার সরাসরি কাভারেজ: উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অপরাধ, বন্যা, দুর্যোগ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিবেদন: দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরা।

    স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ।

    জেলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ।

    কাজের প্রকৃতি
    রিপোর্টিং: স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সত্যতা যাচাই।

    নিউজ রাইটিং: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন লেখা।

    ভিডিও নিউজ: ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি।

    ফলো আপ: একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার জন্য পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ।

    মতামত সংগ্রহ: বিভিন্ন পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া।

    ২. উপজেলা সাংবাদিকের কাজের আদর্শ পদ্ধতি
    ২.১ সময়ানুবর্তিতা
    উপজেলা সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন প্রকাশ জরুরি।

    ২.২ নিরপেক্ষতা ও সততা
    সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। তথ্য যাচাই করা হবে যত্নসহকারে।

    ২.৩ পেশাদারিত্ব
    গোপনীয়তা রক্ষা করা।

    ব্যক্তিগত মতামত থেকে বিরত থাকা।

    সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা।

    দায়িত্বশীল আচরণ।

    ২.৪ তথ্য সংগ্রহের নৈতিকতা
    সঠিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, অনুমতি নিয়ে ছবি ও ভিডিও গ্রহণ, ব্যাক্তির সম্মতি থাকা।

    ৩. উপজেলা সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কাজ
    ৩.১ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন
    সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষেবা ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং জনসাধারণের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

    ৩.২ সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ
    দুর্ভোগ, অবহেলা, অপরাধ, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংকটের খবর তুলে ধরা।

    ৩.৩ প্রতিবেদন তৈরি
    পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন লেখা।

    ৩.৪ ভিডিও ও ফটো রিপোর্টিং
    গ্রামের ঘটনাবলি, অনুষ্টান, সভা, মিছিল, দুঃখ, দুর্ঘটনা সহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা।

    ৪. কাজের কৌশল: কীভাবে কাজ করা উচিত?
    ৪.১ প্রস্তুতি
    আগাম বিষয়বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

    প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা (মোবাইল, ক্যামেরা, নোটবুক)।

    স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।

    ৪.২ কার্যক্ষেত্রে সতর্কতা
    ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বজায় রাখা।

    পক্ষপাতমুক্ত থাকার চেষ্টা।

    তথ্য সংগ্রহে ধৈর্যশীল হওয়া।

    ৪.৩ তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ
    একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।

    প্রাসঙ্গিক ও নির্ভুল তথ্য নির্বাচন।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই করা।

    ৪.৪ রিপোর্টিং ও প্রকাশনা
    ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল রাখা।

    তথ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন।

    সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো।

    ৫. আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা ও নির্দেশনা
    ৫.১ নিয়মিততা
    প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো।

    ৫.২ মানসম্মত প্রতিবেদন
    তথ্যসমৃদ্ধ, নিরপেক্ষ ও প্রাঞ্জল ভাষায় প্রতিবেদন লেখা।

    ৫.৩ ভিডিও নিউজে মনোযোগ
    ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা।

    ৫.৪ নৈতিকতা ও সততা
    কেউ টাকা নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না।

    কোন প্রকার বিকৃত তথ্য বা গুজব প্রচার করা যাবে না।

    মানবাধিকার ও গণমাধ্যম নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

    ৫.৫ যোগাযোগ ও সহযোগিতা
    অফিসের নির্দেশনা ও প্ল্যানিং মেনে চলা, সহযোগীতা প্রদান ও রিপোর্টারদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি করা।

    ৬. দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সিঁড়ি
    উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে বাংলাদেশের সঠিক তথ্য পরিবেশনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আই নিউজ বিডি এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলতে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক সাংবাদিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের কাজে রূপান্তর করবে। এতে শুধু নিজের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না, দেশ ও সমাজও লাভবান হবে।
    উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতার কার্যক্রম: দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা দেশের সবচেয়ে নিকটতম সংবাদ পরিবেশক যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছে দেন জাতীয় পর্যায়ে। তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্ট, আনন্দ, সমস্যা, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন দেশের সব শ্রেণী ও অংশে পৌঁছায়। তাই উপজেলায় একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন ও কর্মপদ্ধতি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আই নিউজ বিডি তাদেরকে নিখুঁত ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা, মানদণ্ড ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে। ১. উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকের কাজের ধরন উপজেলা সাংবাদিকতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো— স্থানীয় ঘটনার সরাসরি কাভারেজ: উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অপরাধ, বন্যা, দুর্যোগ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিবেদন: দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরা। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ। জেলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ। কাজের প্রকৃতি রিপোর্টিং: স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সত্যতা যাচাই। নিউজ রাইটিং: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন লেখা। ভিডিও নিউজ: ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি। ফলো আপ: একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার জন্য পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ। মতামত সংগ্রহ: বিভিন্ন পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া। ২. উপজেলা সাংবাদিকের কাজের আদর্শ পদ্ধতি ২.১ সময়ানুবর্তিতা উপজেলা সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন প্রকাশ জরুরি। ২.২ নিরপেক্ষতা ও সততা সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। তথ্য যাচাই করা হবে যত্নসহকারে। ২.৩ পেশাদারিত্ব গোপনীয়তা রক্ষা করা। ব্যক্তিগত মতামত থেকে বিরত থাকা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা। দায়িত্বশীল আচরণ। ২.৪ তথ্য সংগ্রহের নৈতিকতা সঠিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, অনুমতি নিয়ে ছবি ও ভিডিও গ্রহণ, ব্যাক্তির সম্মতি থাকা। ৩. উপজেলা সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কাজ ৩.১ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষেবা ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং জনসাধারণের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। ৩.২ সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ দুর্ভোগ, অবহেলা, অপরাধ, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংকটের খবর তুলে ধরা। ৩.৩ প্রতিবেদন তৈরি পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন লেখা। ৩.৪ ভিডিও ও ফটো রিপোর্টিং গ্রামের ঘটনাবলি, অনুষ্টান, সভা, মিছিল, দুঃখ, দুর্ঘটনা সহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা। ৪. কাজের কৌশল: কীভাবে কাজ করা উচিত? ৪.১ প্রস্তুতি আগাম বিষয়বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা (মোবাইল, ক্যামেরা, নোটবুক)। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। ৪.২ কার্যক্ষেত্রে সতর্কতা ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বজায় রাখা। পক্ষপাতমুক্ত থাকার চেষ্টা। তথ্য সংগ্রহে ধৈর্যশীল হওয়া। ৪.৩ তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ। প্রাসঙ্গিক ও নির্ভুল তথ্য নির্বাচন। তথ্যের সত্যতা যাচাই করা। ৪.৪ রিপোর্টিং ও প্রকাশনা ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল রাখা। তথ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন। সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো। ৫. আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা ও নির্দেশনা ৫.১ নিয়মিততা প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো। ৫.২ মানসম্মত প্রতিবেদন তথ্যসমৃদ্ধ, নিরপেক্ষ ও প্রাঞ্জল ভাষায় প্রতিবেদন লেখা। ৫.৩ ভিডিও নিউজে মনোযোগ ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা। ৫.৪ নৈতিকতা ও সততা কেউ টাকা নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না। কোন প্রকার বিকৃত তথ্য বা গুজব প্রচার করা যাবে না। মানবাধিকার ও গণমাধ্যম নীতিমালা মেনে চলতে হবে। ৫.৫ যোগাযোগ ও সহযোগিতা অফিসের নির্দেশনা ও প্ল্যানিং মেনে চলা, সহযোগীতা প্রদান ও রিপোর্টারদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি করা। ৬. দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সিঁড়ি উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে বাংলাদেশের সঠিক তথ্য পরিবেশনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আই নিউজ বিডি এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলতে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক সাংবাদিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের কাজে রূপান্তর করবে। এতে শুধু নিজের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না, দেশ ও সমাজও লাভবান হবে।
    Love
    2
    0 Комментарии 0 Поделились 4Кб Просмотры 0 предпросмотр
Расширенные страницы
Eidok App https://eidok.com