• গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ,পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
    ছবি: সংগৃহীত
    #eye_news_bd #NewsUpdate #BreakingNews #Gopalganj #NCP
    গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ,পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত #eye_news_bd #NewsUpdate #BreakingNews #Gopalganj #NCP
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 27 Visualizações 0 Anterior
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা
    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বুধবার (১৬ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় হামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এমন বর্বর সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না।

    এতে আরও বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যেও যারা সাহসিকতা ও অটল মনোভাব নিয়ে পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

    এদিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

    জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

    এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
    গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (১৬ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় হামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এমন বর্বর সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না। এতে আরও বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যেও যারা সাহসিকতা ও অটল মনোভাব নিয়ে পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। এদিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 32 Visualizações 0 Anterior
  • শুধু এই সরকারকে দোষ দেব না, আমরা বহু আগেই ভীত জাতিতে পরিণত হয়ে গেছি
    শুধু এই সরকারকে দোষ দেব না, আমরা বহু আগেই ভীত জাতিতে পরিণত হয়ে গেছি
    Like
    Love
    2
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 65 Visualizações 10 0 Anterior
  • জার্মানিতে ‘হিজাব পরিধান’ পড়ায় নারীকে হত্যা

    জার্মানির হ্যানোভা শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আর্নুম এলাকায় নার্সিং প্রশিক্ষণার্থী ২৬ বছর বয়সী রহমা আয়াদ নামের আলজেরিয়ান এক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে।
    এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরব কমিউনিটি ও তার পরিবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে স্থানীয়। তাদের দাবি, এ হত্যাকাণ্ড ছিল বর্ণবিদ্বেষ ও ইসলামবিদ্বেষ প্রসূত ঘৃণাজনিত অপরাধ।

    সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই সকালে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সিঁড়িঘরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় রহমাকে।
     
    প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে তার বুক ও কাঁধে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার।

    পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ৩১ বছর বয়সী এক জার্মান নাগরিক সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি একই ভবনে থাকতেন। ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি এবং হত্যার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, নিশ্চিত করা হয়নি সেটি।

    তবে রহমা আয়াদের নির্মম হত্যাকাণ্ডয় সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার পরিবার জানিয়েছে, হত্যার অন্তত দুই মাস আগে থেকেই রহমা তার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সতর্কও করেছিলেন তিনি।

    রহমার মা আল-আরাবি টিভি চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে বলেন, ‘আমার মেয়ে জানিয়েছিল— প্রতিবেশীর আচরণে সে নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। হিজাব পরা ও আরব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হওয়ায় সে বারবার মৌখিক অপমান ও হুমকির মুখে পড়েছিল।

    আলজেরিয়ান কমিউনিটির সমাজকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে, এর আগেও অভিযুক্ত ব্যক্তি রহমার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিল এবং তার প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব প্রকাশ করেছিল।

    ঘটনার পর জার্মানির বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। আলজেরিয়ান ও আরব সংগঠনগুলো মোমবাতি প্রজ্বলন, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।
    জার্মানিতে ‘হিজাব পরিধান’ পড়ায় নারীকে হত্যা জার্মানির হ্যানোভা শহরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আর্নুম এলাকায় নার্সিং প্রশিক্ষণার্থী ২৬ বছর বয়সী রহমা আয়াদ নামের আলজেরিয়ান এক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরব কমিউনিটি ও তার পরিবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে স্থানীয়। তাদের দাবি, এ হত্যাকাণ্ড ছিল বর্ণবিদ্বেষ ও ইসলামবিদ্বেষ প্রসূত ঘৃণাজনিত অপরাধ। সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই সকালে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সিঁড়িঘরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় রহমাকে।   প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তার আর্তচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে তার বুক ও কাঁধে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ৩১ বছর বয়সী এক জার্মান নাগরিক সরাসরি জড়িত ছিলেন। তিনি একই ভবনে থাকতেন। ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি এবং হত্যার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, নিশ্চিত করা হয়নি সেটি। তবে রহমা আয়াদের নির্মম হত্যাকাণ্ডয় সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার পরিবার জানিয়েছে, হত্যার অন্তত দুই মাস আগে থেকেই রহমা তার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। সে বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সতর্কও করেছিলেন তিনি। রহমার মা আল-আরাবি টিভি চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে বলেন, ‘আমার মেয়ে জানিয়েছিল— প্রতিবেশীর আচরণে সে নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। হিজাব পরা ও আরব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ হওয়ায় সে বারবার মৌখিক অপমান ও হুমকির মুখে পড়েছিল। আলজেরিয়ান কমিউনিটির সমাজকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে, এর আগেও অভিযুক্ত ব্যক্তি রহমার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিল এবং তার প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব প্রকাশ করেছিল। ঘটনার পর জার্মানির বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। আলজেরিয়ান ও আরব সংগঠনগুলো মোমবাতি প্রজ্বলন, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 107 Visualizações 0 Anterior
  • ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণ হলো, নাটকের কিছু পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ আনা হয়েছে। নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। https://eyenewsbd.com/shorts/bjachelr-pent-natker-biruddhe-aini-notish-karn-ki-ei-prsngge-rit-kra-ainjibi-blen_zjus8IPRAXY9ymZ.html
    ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণ হলো, নাটকের কিছু পর্বে অশ্লীলতা, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক বিচ্যুতির অভিযোগ আনা হয়েছে। নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। https://eyenewsbd.com/shorts/bjachelr-pent-natker-biruddhe-aini-notish-karn-ki-ei-prsngge-rit-kra-ainjibi-blen_zjus8IPRAXY9ymZ.html
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 204 Visualizações 0 Anterior
  • ময়মনসিংহের ভালুকায় ঘরে মিলল মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ

    পুলিশ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘর থেকে উদ্ধার করেছে মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ ।

    সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে এ ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন- রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা (৪) ও ছেলে নীরব (২)। 

    পুলিশ জানায়, ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের স্ত্রী তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘর থেকে রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম, তার দুই সন্তান রাইসা ও নীরবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের গলাকাটা মরদেহ। কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
    ময়মনসিংহের ভালুকায় ঘরে মিলল মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ পুলিশ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘর থেকে উদ্ধার করেছে মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা মরদেহ । সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়িতে এ ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেন- রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), মেয়ে রাইসা (৪) ও ছেলে নীরব (২)।  পুলিশ জানায়, ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক উদ্দিনের স্ত্রী তার দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘর থেকে রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম, তার দুই সন্তান রাইসা ও নীরবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের গলাকাটা মরদেহ। কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 129 Visualizações 0 Anterior
  • ছাত্রশিবির ‘মব’ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে, অভিযোগ ছাত্রদলের
    ইসলামী ছাত্রশিবির ‘মব’ তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির দাবি, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদলের বিপক্ষে অপপ্রচার, মব সৃষ্টি করেছে।

    দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না করতে শিবিরের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির সহযোগী এই সংগঠনটি বলেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান, অপপ্রচারের পরও ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে তারা শান্ত রেখেছেন। কারণ, তারা দেশে কোনো অস্থিতিশীলতা চান না।


    সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে গুপ্ত সংগঠনের মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে এ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি।

    পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। পরে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়, পল্টন মোড়, প্রেস ক্লাব, কার্জন হল, টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

    মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার চার মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ‘রাজকার আর স্বৈরাচার মিলে মিলে একাকার’, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে বাংলাদেশি, বাংলাদেশি’, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, সবার আগে বাংলাদেশ’, ‘এই লড়াই মুক্তির, এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘বাংলাদেশ, গণতন্ত্র হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ’সহ ইত্যাদি স্লোগান দেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।


    নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে তারা শান্ত রেখেছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ার পরও নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা হয়েছে। কারণ, তারা দেশে কোনো অস্থিতিশীলতা চান না।

    ‘মব’ কালচারের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি- আগামীতে এ ধরনের অস্থিতিশীল কোনো ঘটনায় যদি ‘ক্যাম্পাস ক্রস’ ইস্যু করা হয় এবং মব ক্রিয়েট করা হয়, এর দায়-দায়িত্ব গুপ্ত সংগঠনকে বহন করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর পর যখন এই সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, মব নিয়ে জাতির সামনে যখন প্রশ্ন আসবে, ছাত্রশিবির এবং বর্তমান সরকারকে এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে।

    রাকিব বলেন, গুটিকয়েক শিক্ষার্থী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি এবং সম্মানহানি করেছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি ছাত্রসমাজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদান সম্পর্কে জানে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব অবশ্যম্ভাবী, সেটি ছাত্রসমাজ অনুভব করে বিধায় এ ফাঁদে পা দেয়নি।


    মিছিল শুরুর আগে নয়াপল্টনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ‘কথিত’ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদলের বিপক্ষে মব সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, তারা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামেও বিভিন্ন অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা তৈরি করেছে। গত এক সপ্তাহে আরও কয়েকটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু এগুলো নিয়ে তারা কোনো শিক্ষার্থীকে বিভ্রান্ত করেনি। শুধু মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা মব সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।

    তিনি বলেন, এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল। আমরা এর মাধ্যমে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই। কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাই না।

    এর আগে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ছিলো সরব উপস্থিতি। ব্যানার, ফেস্টুন, স্লোগানে মুখর ছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনের এলাকা। বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা নেতাকর্মীদের চোখে-মুখে ছিল ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ছাপ। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ।

    একই দাবিতে এ দিন ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল, ভৈরবে যৌথভাবে উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল; গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, নওগাঁ জেলা ছাত্রদল, নীলফামারী জেলা ছাত্রদল, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদল, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদল, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদল, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল, নড়াইল জেলা ছাত্রদল, লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল, ফেনী জেলা ছাত্রদল, দিনাজপুর জেলা ছাত্রদল, ভোলা জেলা ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল অন্যতম।

    মিছিলপরবর্তী সমাবেশে ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াকে আশ্রয় করে একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রচারণা যে শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে, তা নয়। বিভিন্ন টেলিভিশনে নানা ধরনের ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল ব্যক্তিত্ব যখন বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ করেন, তখনই একটা পক্ষ এসে তাদেরকে বিশ্রি ভাষায় গালাগাল করে। এই গালাগাল শেখাল কে?
    ছাত্রশিবির ‘মব’ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে, অভিযোগ ছাত্রদলের ইসলামী ছাত্রশিবির ‘মব’ তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির দাবি, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শিবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদলের বিপক্ষে অপপ্রচার, মব সৃষ্টি করেছে। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না করতে শিবিরের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির সহযোগী এই সংগঠনটি বলেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান, অপপ্রচারের পরও ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে তারা শান্ত রেখেছেন। কারণ, তারা দেশে কোনো অস্থিতিশীলতা চান না। সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে গুপ্ত সংগঠনের মব সৃষ্টির অপচেষ্টা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে এ দিন রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। পরে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়, পল্টন মোড়, প্রেস ক্লাব, কার্জন হল, টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার চার মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ‘রাজকার আর স্বৈরাচার মিলে মিলে একাকার’, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে বাংলাদেশি, বাংলাদেশি’, ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, সবার আগে বাংলাদেশ’, ‘এই লড়াই মুক্তির, এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘বাংলাদেশ, গণতন্ত্র হয়নি শেষ, সজাগ থাকো বাংলাদেশ’সহ ইত্যাদি স্লোগান দেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে তারা শান্ত রেখেছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিয়ে অশ্লীল স্লোগান দেওয়ার পরও নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা হয়েছে। কারণ, তারা দেশে কোনো অস্থিতিশীলতা চান না। ‘মব’ কালচারের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি- আগামীতে এ ধরনের অস্থিতিশীল কোনো ঘটনায় যদি ‘ক্যাম্পাস ক্রস’ ইস্যু করা হয় এবং মব ক্রিয়েট করা হয়, এর দায়-দায়িত্ব গুপ্ত সংগঠনকে বহন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর পর যখন এই সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, মব নিয়ে জাতির সামনে যখন প্রশ্ন আসবে, ছাত্রশিবির এবং বর্তমান সরকারকে এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। রাকিব বলেন, গুটিকয়েক শিক্ষার্থী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি এবং সম্মানহানি করেছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেনি। আমরা বিশ্বাস করি ছাত্রসমাজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদান সম্পর্কে জানে। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারেক রহমানের নেতৃত্ব অবশ্যম্ভাবী, সেটি ছাত্রসমাজ অনুভব করে বিধায় এ ফাঁদে পা দেয়নি। মিছিল শুরুর আগে নয়াপল্টনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ‘কথিত’ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদলের বিপক্ষে মব সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, তারা আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামেও বিভিন্ন অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা তৈরি করেছে। গত এক সপ্তাহে আরও কয়েকটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু এগুলো নিয়ে তারা কোনো শিক্ষার্থীকে বিভ্রান্ত করেনি। শুধু মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে শিবিরের গুপ্ত কর্মীরা মব সৃষ্টি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল। আমরা এর মাধ্যমে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই। কিন্তু এর মাধ্যমে আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাই না। এর আগে সকাল থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ছিলো সরব উপস্থিতি। ব্যানার, ফেস্টুন, স্লোগানে মুখর ছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনের এলাকা। বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা নেতাকর্মীদের চোখে-মুখে ছিল ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ছাপ। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ। একই দাবিতে এ দিন ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল, ভৈরবে যৌথভাবে উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল; গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, নওগাঁ জেলা ছাত্রদল, নীলফামারী জেলা ছাত্রদল, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদল, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদল, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রদল, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল, নড়াইল জেলা ছাত্রদল, লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল, ফেনী জেলা ছাত্রদল, দিনাজপুর জেলা ছাত্রদল, ভোলা জেলা ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল অন্যতম। মিছিলপরবর্তী সমাবেশে ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াকে আশ্রয় করে একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন রকম কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রচারণা যে শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে, তা নয়। বিভিন্ন টেলিভিশনে নানা ধরনের ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল ব্যক্তিত্ব যখন বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ করেন, তখনই একটা পক্ষ এসে তাদেরকে বিশ্রি ভাষায় গালাগাল করে। এই গালাগাল শেখাল কে?
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 182 Visualizações 0 Anterior
  • চরমোনাই দরবার শরীফে এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
    দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বর্তমানে বরিশাল বিভাগে পদযাত্রা করছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে এনসিপির নেতৃবৃন্দরা চরমোনাই দরবার শরীফ পরিদর্শন করেছেন।

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আজ ১৪ জুলাই দিবাগত রাতে বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফে আসার পর তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের এবং দলের সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দরা।

    পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। পরে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
    চরমোনাই দরবার শরীফে এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বর্তমানে বরিশাল বিভাগে পদযাত্রা করছেন। তারই অংশ হিসেবে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে এনসিপির নেতৃবৃন্দরা চরমোনাই দরবার শরীফ পরিদর্শন করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল আজ ১৪ জুলাই দিবাগত রাতে বরিশালের চরমোনাই দরবার শরীফে আসার পর তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের এবং দলের সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দরা। পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। পরে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
    Like
    1
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 160 Visualizações 0 Anterior
  • আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনি কোন দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে দেখতে চান?
    🗳️ আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনি কোন দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে দেখতে চান?
    1
    1
    0
    2
    0
    1 Comentários 0 Compartilhamentos 865 Visualizações 0 Anterior
  • বিএনপি নেতার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন ওসি, সমালোচনার ঝড়
    শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় মালা পড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যার একটি ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলছেন পুলিশ সদস্যর এমন কাজ আইনের ব্যত্যয়।

    ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে ১৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সদস্যের বিএনপি নেতাকে মালা পড়ানোর ছবিটি আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার এই একটাই গুন, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। মন জুড়ানো একটি মুহূর্ত। শুভ কামনা মামা আপনার জন্য।


    পুলিশ সদস্যের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির,তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি, দলের দাস এমনকি কোন দলের আধিপত্য বা তেলবাজি করবে এমন পুলিশ সদস্য আমরা চাই না। পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে। আমরা সব সময় চাই পুলিশের স্বাধীন কমিশন থাকবে। পুলিশ শুধুমাত্র জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং তাদের সেবা দিবে। নড়িয়ার ঘটনাটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তার সাথে (বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন) আমার আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার আমন্ত্রণে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি সেখানে একটি মামলার তদন্তও ছিলো। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন। আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে।

    এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বার্তা বাজারকে বলেন, পুলিশ সদস্য হয়ে এমন কর্মকান্ড করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এইধরনের কাজে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।


    উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শরীয়তপুরে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে আবু জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) করা হয়।
    বিএনপি নেতার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন ওসি, সমালোচনার ঝড় শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় মালা পড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যার একটি ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলছেন পুলিশ সদস্যর এমন কাজ আইনের ব্যত্যয়। ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে ১৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সদস্যের বিএনপি নেতাকে মালা পড়ানোর ছবিটি আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার এই একটাই গুন, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। মন জুড়ানো একটি মুহূর্ত। শুভ কামনা মামা আপনার জন্য। পুলিশ সদস্যের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির,তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি, দলের দাস এমনকি কোন দলের আধিপত্য বা তেলবাজি করবে এমন পুলিশ সদস্য আমরা চাই না। পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে। আমরা সব সময় চাই পুলিশের স্বাধীন কমিশন থাকবে। পুলিশ শুধুমাত্র জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং তাদের সেবা দিবে। নড়িয়ার ঘটনাটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। এবিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তার সাথে (বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন) আমার আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার আমন্ত্রণে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি সেখানে একটি মামলার তদন্তও ছিলো। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন। আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে। এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বার্তা বাজারকে বলেন, পুলিশ সদস্য হয়ে এমন কর্মকান্ড করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এইধরনের কাজে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শরীয়তপুরে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে আবু জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) করা হয়।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 300 Visualizações 0 Anterior
  • ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান
    একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তিন দেশের জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে এই ফ্ল্যাটফর্ম গঠন করা হবে।

    শুক্রবার (২০ জুন) চীনের ইউনান প্রদেশে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩টি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে।


    বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ভারচুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

    তিন পক্ষ চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে। তিন পক্ষ সুপ্রতিবেশীসুলভতা, সমতা ও পারস্পরিক বিশ্বাস, উন্মুক্ততা ও অন্তর্ভুক্তি, সাধারণ উন্নয়ন এবং উইন-উইন সহযোগিতা নীতির ওপর ভিত্তি করে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। আর এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

    শিল্প, বাণিজ্য, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স, জলসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং যুবসমাজ সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাস্তবায়ন করা।

    ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকে সব পক্ষই সহযোগিতা উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, ভালো প্রতিবেশিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের নীতি দ্বারা পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি জয়-জিতের সহযোগিতায় কাজ করবে বলে সম্মত হয়েছে।


    সেই সঙ্গে বৈঠকে উপনীত সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য তিনটি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে।

    তিন পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতা মেনে চলে, কোনো তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশে যার লক্ষ্য নয়।
    ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তিন দেশের জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে এই ফ্ল্যাটফর্ম গঠন করা হবে। শুক্রবার (২০ জুন) চীনের ইউনান প্রদেশে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩টি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ভারচুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিন পক্ষ চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে। তিন পক্ষ সুপ্রতিবেশীসুলভতা, সমতা ও পারস্পরিক বিশ্বাস, উন্মুক্ততা ও অন্তর্ভুক্তি, সাধারণ উন্নয়ন এবং উইন-উইন সহযোগিতা নীতির ওপর ভিত্তি করে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। আর এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। শিল্প, বাণিজ্য, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স, জলসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং যুবসমাজ সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাস্তবায়ন করা। ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকে সব পক্ষই সহযোগিতা উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, ভালো প্রতিবেশিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের নীতি দ্বারা পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি জয়-জিতের সহযোগিতায় কাজ করবে বলে সম্মত হয়েছে। সেই সঙ্গে বৈঠকে উপনীত সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য তিনটি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে। তিন পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতা মেনে চলে, কোনো তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশে যার লক্ষ্য নয়।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 229 Visualizações 0 Anterior
  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ ২০টির বেশি দেশ ‘পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে

    দখলদার ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ আগামী সপ্তাহে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতাতে আগামী ১৫ থেকে ১৬ জুলাই ‘জরুরি সম্মেলন’ হবে। সেখানেই দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে।

    এটির আয়োজক ‘দ্য হেগ গ্র“প’। কলম্বিয়ার সরকার সহ-আয়োজক। ‘দ্য হেগ গ্র“প’-এর সহ-সভাপতি হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

    দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী রোল্যান্ড লামোলা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে বার্তা দেওয়া হবে কোনো দেশ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনো অপরাধ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না।

    ‘দ্য হেগ গ্রপে’ প্রতিষ্ঠাকালীন দেশ হলো- বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সঙ্গে এই সম্মেলনে যোগ দেবে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চিলি, চীন, জিবুতি, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লেবানন, নিকারাগুয়া, ওমান, পর্তুগাল, স্পেন, কাতার, তুরস্ক, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, উরুগুয়ে এবং ফিলিস্তিন।

    এছাড়া জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ফ্রান্সেসকা আলবানিস, ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফিলিপে লাজ্জারিনি, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ত্লালেং মোফোকেংসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যম দ্য মিডেল ইস্ট আই শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। 
    সূত্র: দ্য মিডেল ইস্ট আই।
    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ ২০টির বেশি দেশ ‘পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে দখলদার ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ আগামী সপ্তাহে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতাতে আগামী ১৫ থেকে ১৬ জুলাই ‘জরুরি সম্মেলন’ হবে। সেখানেই দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। এটির আয়োজক ‘দ্য হেগ গ্র“প’। কলম্বিয়ার সরকার সহ-আয়োজক। ‘দ্য হেগ গ্র“প’-এর সহ-সভাপতি হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী রোল্যান্ড লামোলা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে বার্তা দেওয়া হবে কোনো দেশ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনো অপরাধ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না। ‘দ্য হেগ গ্রপে’ প্রতিষ্ঠাকালীন দেশ হলো- বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সঙ্গে এই সম্মেলনে যোগ দেবে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চিলি, চীন, জিবুতি, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লেবানন, নিকারাগুয়া, ওমান, পর্তুগাল, স্পেন, কাতার, তুরস্ক, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, উরুগুয়ে এবং ফিলিস্তিন। এছাড়া জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ফ্রান্সেসকা আলবানিস, ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফিলিপে লাজ্জারিনি, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ত্লালেং মোফোকেংসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যম দ্য মিডেল ইস্ট আই শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।  সূত্র: দ্য মিডেল ইস্ট আই।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 114 Visualizações 0 Anterior
Páginas impulsionada
Eidok App https://eidok.com