• কুষ্টিয়ার হরিপুরে আওয়ামীলীগ নেতা রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    জাকির হোসেন।। আজ ১৫ আগস্ট সকাল দশটায়, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষরদের নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবিতে কালিমা লেপনকারী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে কুষ্টিয়ার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
    বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-উপস্থিত ছিলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সার্সচ কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম আন্টু, সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য বয়ান প্রামাণিক, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহিনুর রহমান শাহিন,কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম চমন,সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল, কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সদস্য কালাম মন্ডল সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা আহম্মেদ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের সদস্য সচিব পিয়াস, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সাকিব আল হাসান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিমেল ফকির,সদস্য সচিব ইমরান ফারাজী,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন,যুগ্ম আহ্বায়ক রকি মন্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল,আলামিন, ভন্টে,সাইদুল, পাপ্পু,সহ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী বৃন্দ।

    অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন-সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম শিপন।
    সভাপতিত্ব করেন -কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাসেল হোসেন।
    উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন - হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন সহ সারাদেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি লক্ষে এই এই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোষররা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেও এই হাসিবুর রহমান রিজু এলাকায় থাকছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।তাই তাকে সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।যদি দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।

    কুষ্টিয়ার হরিপুরে আওয়ামীলীগ নেতা রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জাকির হোসেন।। আজ ১৫ আগস্ট সকাল দশটায়, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষরদের নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবিতে কালিমা লেপনকারী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে কুষ্টিয়ার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-উপস্থিত ছিলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সার্সচ কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম আন্টু, সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য বয়ান প্রামাণিক, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহিনুর রহমান শাহিন,কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম চমন,সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল, কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সদস্য কালাম মন্ডল সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা আহম্মেদ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের সদস্য সচিব পিয়াস, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সাকিব আল হাসান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিমেল ফকির,সদস্য সচিব ইমরান ফারাজী,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন,যুগ্ম আহ্বায়ক রকি মন্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল,আলামিন, ভন্টে,সাইদুল, পাপ্পু,সহ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন-সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম শিপন। সভাপতিত্ব করেন -কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাসেল হোসেন। উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন - হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন সহ সারাদেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি লক্ষে এই এই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোষররা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেও এই হাসিবুর রহমান রিজু এলাকায় থাকছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।তাই তাকে সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।যদি দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 612 Visualizações 0 Anterior
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/sangbadik-tuhin-htjakande-bienpike-jie-opprchar-sarjiser-biruddhe-manhani-mamla_18110.html
    সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা.. https://eyenewsbd.com/articles/read/sangbadik-tuhin-htjakande-bienpike-jie-opprchar-sarjiser-biruddhe-manhani-mamla_18110.html
    EYENEWSBD.COM
    সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা.. | আই নিউজ বিডি
    সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুরে মানহানি মামলা করা হয়েছে।..
    Like
    2
    1 Comentários 0 Compartilhamentos 627 Visualizações 0 Anterior
  • সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/sangbadik-tuhin-htjakande-bienpike-jie-opprchar-sarjiser-biruddhe-manhani-mamla_18110.html
    সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা.. https://eyenewsbd.com/articles/read/sangbadik-tuhin-htjakande-bienpike-jie-opprchar-sarjiser-biruddhe-manhani-mamla_18110.html
    EYENEWSBD.COM
    সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা.. | আই নিউজ বিডি
    সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুরে মানহানি মামলা করা হয়েছে।..
    Like
    1
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 538 Visualizações 0 Anterior
  • বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন যুবদল সভাপতি
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন যুবদল সভাপতি
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 211 Visualizações 0 Anterior
  • ফ্যাসিবাদ বিদায়ের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিজয় র‍্যালিতে মুখর বিএনপি,,,
    ফ্যাসিবাদ বিদায়ের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিজয় র‍্যালিতে মুখর বিএনপি,,,
    Like
    1
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 368 Visualizações 18 0 Anterior
  • লালমনিরহাটে বন্যার্তদের মাঝে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ
    লালমনিরহাটে বন্যার্তদের মাঝে বিএনপির ত্রাণ বিতরণ
    Like
    Love
    5
    3 Comentários 0 Compartilhamentos 473 Visualizações 2 Anterior
  • ‎৪ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির চলে টানা সংঘর্ষ, না হয় ছাএ-জনতার লাশের সারি আরো দীর্ঘ হত,,,

    ‎#৪আগস্টফেনী #BNPপ্রতিরোধ #AwamiTerror #ShahiderSmriti #ফেনীররাজপথ #BnpYouthForce #জুলাইকান্না
    ‎৪ আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির চলে টানা সংঘর্ষ, না হয় ছাএ-জনতার লাশের সারি আরো দীর্ঘ হত,,, ‎#৪আগস্টফেনী #BNPপ্রতিরোধ #AwamiTerror #ShahiderSmriti #ফেনীররাজপথ #BnpYouthForce #জুলাইকান্না
    Like
    2
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1K Visualizações 4 0 Anterior
  • গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ফেনী সদর উপজেলা  বিএনপির বিজয় র‌্যালি
    গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ফেনী সদর উপজেলা  বিএনপির বিজয় র‌্যালি ‎
    Love
    1
    1 Comentários 0 Compartilhamentos 548 Visualizações 27 0 Anterior
  • চট্টগ্রামে বিএনপির সংঘর্ষে গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত
    https://eyenewsbd.com/articles/read/chttgrame-bienpir-sngghrshe-gias-kaderer-pd-sthgit_16332.html
    চট্টগ্রামে বিএনপির সংঘর্ষে গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত https://eyenewsbd.com/articles/read/chttgrame-bienpir-sngghrshe-gias-kaderer-pd-sthgit_16332.html
    EYENEWSBD.COM
    চট্টগ্রামে বিএনপির সংঘর্ষে গিয়াস কাদেরের পদ স্থগিত | আই নিউজ বিডি
    বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গিয়াস কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিত করেছে বিএনপি।..
    Like
    1
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 1K Visualizações 0 Anterior
  • জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ

    রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ মিলন আয়তনে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সবাত গ্রহণ এবং তৎপরবর্তী আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    এর আগে সকাল ৯টায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএইচএফপিও ডা: জিয়াউর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার রায়, বিএনপি'র প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহেদ ও সোলায়মান কবির, জামায়েত ইসলামীর প্রতিনিধি শহিদ হোসেন, রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।
    এসময় মহিলা ও শিশও বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ উপজেলার মত শ্যামনগরে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ লাখো কন্ঠের সাথে একতালে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
    এর আগে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল নাইম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: জিয়াদ আলী, সামিউল মনির, মো: শহিদ হোসেন,রেজাউল ইসলাম প্রমূখ।

    ছবি : লাখো কন্ঠের সাথে তাল মিলিয়ে শ্যামনগরের শপথ বাক্য পাঠ।
    জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শপথ গ্রহণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ মিলন আয়তনে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সবাত গ্রহণ এবং তৎপরবর্তী আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএইচএফপিও ডা: জিয়াউর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুব্রত কুমার রায়, বিএনপি'র প্রতিনিধি আব্দুল ওয়াহেদ ও সোলায়মান কবির, জামায়েত ইসলামীর প্রতিনিধি শহিদ হোসেন, রেজাউল ইসলাম প্রমূখ। এসময় মহিলা ও শিশও বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে ৬৪ জেলা ও ৪৯৫ উপজেলার মত শ্যামনগরে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ লাখো কন্ঠের সাথে একতালে শপথ বাক্য পাঠ করেন। এর আগে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এ সময় অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল নাইম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: জিয়াদ আলী, সামিউল মনির, মো: শহিদ হোসেন,রেজাউল ইসলাম প্রমূখ। ছবি : লাখো কন্ঠের সাথে তাল মিলিয়ে শ্যামনগরের শপথ বাক্য পাঠ।
    Like
    1
    0 Comentários 0 Compartilhamentos 904 Visualizações 0 Anterior
  • চাটখিলে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
    নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া বাজার এলাকায় সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণ বারবার উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানালেও এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন—এমনই দাবি ভুক্তভোগীদের।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমপাড়া মধ্য বাজার ব্রীজের পূর্ব পাশে খালের ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন প্রসাদপুর গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে মোরশেদ আলম অপু। খালটি সরকারি হলেও নির্মাণ কাজ চলছে নির্দ্বিধায়। শুধু এখানেই নয়, সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালের ওপর অবৈধভাবে দোকানঘর ও ভবন নির্মাণ করে খালের স্বাভাবিক পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছেন।

    স্থানীয় সামাজিক সংগঠন "তারুণ্যের আলো" খাল পরিষ্কারের কাজ করতে গিয়ে এসব দখলের বিষয়টি সামনে আনে। সংগঠনের মুখপাত্র মোঃ সুমন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে তারা খাল দখলের ভয়াবহ চিত্র দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে অবহিত করেন।

    সোমপাড়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বিএনপি নেতা জানান, গত বছরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার অন্যতম কারণ ছিল খাল দখল। তারা দ্রুত খাল দখলমুক্ত করার দাবি জানান।

    এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী মোঃ গোলাম সারোয়ার জুয়েল বলেন, “এলাকার স্বার্থে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খালটি অবিলম্বে দখলমুক্ত করা জরুরি। আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

    অভিযুক্ত মোরশেদ আলম অপু দাবি করেন, “খাল পাড়ে আমাদের ভোগদখলীয় জায়গাতেই নির্মাণকাজ চলছে, খাল দখল করার প্রশ্নই আসে না।”

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সরজমিনে গিয়ে নিরপেক্ষ পরিমাপ করে খালের ওপর নির্মিত অংশ ভেঙে ফেলা হবে।”

    এলাকাবাসী এখন দেখছে প্রশাসনের দিকে—সরকারি খাল রক্ষা করে জলাবদ্ধতা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার আশায়।
    চাটখিলে সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া বাজার এলাকায় সরকারি খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনগণ বারবার উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানালেও এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন—এমনই দাবি ভুক্তভোগীদের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমপাড়া মধ্য বাজার ব্রীজের পূর্ব পাশে খালের ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন প্রসাদপুর গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে মোরশেদ আলম অপু। খালটি সরকারি হলেও নির্মাণ কাজ চলছে নির্দ্বিধায়। শুধু এখানেই নয়, সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর বাজার, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালের ওপর অবৈধভাবে দোকানঘর ও ভবন নির্মাণ করে খালের স্বাভাবিক পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছেন। স্থানীয় সামাজিক সংগঠন "তারুণ্যের আলো" খাল পরিষ্কারের কাজ করতে গিয়ে এসব দখলের বিষয়টি সামনে আনে। সংগঠনের মুখপাত্র মোঃ সুমন জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে তারা খাল দখলের ভয়াবহ চিত্র দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনকে অবহিত করেন। সোমপাড়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বিএনপি নেতা জানান, গত বছরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার অন্যতম কারণ ছিল খাল দখল। তারা দ্রুত খাল দখলমুক্ত করার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার কর্মী মোঃ গোলাম সারোয়ার জুয়েল বলেন, “এলাকার স্বার্থে এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খালটি অবিলম্বে দখলমুক্ত করা জরুরি। আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” অভিযুক্ত মোরশেদ আলম অপু দাবি করেন, “খাল পাড়ে আমাদের ভোগদখলীয় জায়গাতেই নির্মাণকাজ চলছে, খাল দখল করার প্রশ্নই আসে না।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সরজমিনে গিয়ে নিরপেক্ষ পরিমাপ করে খালের ওপর নির্মিত অংশ ভেঙে ফেলা হবে।” এলাকাবাসী এখন দেখছে প্রশাসনের দিকে—সরকারি খাল রক্ষা করে জলাবদ্ধতা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার আশায়।
    Like
    Love
    3
    1 Comentários 1 Compartilhamentos 858 Visualizações 0 Anterior
  • সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী।

    সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়।

    এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে।

    এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে।

    এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী?

    এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে।

    এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

    সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়। এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে। এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে। এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী? এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে। এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।
    Like
    Love
    2
    1 Comentários 0 Compartilhamentos 2K Visualizações 0 Anterior
Páginas Impulsionadas
Eidok App https://eidok.com