• ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশে হাজারো জনতার উপস্থিতি কুতুবদিয়ার রাজপথে এক অভূতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি করে।
    বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দরবার রাস্তার মাথা থেকে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি বড়ঘোপ বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
    বহু বছর পর আদালতের রায়ে ফিরিয়ে আনা জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক এদিনের মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে। প্রতীকটি বহন করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিলো। ভোটবিহীন ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। একবছর আগে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়, যেখানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র শহীদ হন। কিন্তু সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।”
    তারা আরও বলেন, “আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি ও প্রতীক ফিরে পাওয়া জনগণের বিজয়। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে, এটাই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।”
    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা আবদুস সাত্তার,প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা উসমান গণী,বড়ঘোপ ইউনিয়ন সভাপতি আহমদ নূর,উপজেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আবদুর রহমান,যুব নেতা রবিউল হোসাইন,ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশে হাজারো জনতার উপস্থিতি কুতুবদিয়ার রাজপথে এক অভূতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি করে। বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দরবার রাস্তার মাথা থেকে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি বড়ঘোপ বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বহু বছর পর আদালতের রায়ে ফিরিয়ে আনা জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক এদিনের মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে। প্রতীকটি বহন করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিলো। ভোটবিহীন ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। একবছর আগে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়, যেখানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র শহীদ হন। কিন্তু সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।” তারা আরও বলেন, “আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি ও প্রতীক ফিরে পাওয়া জনগণের বিজয়। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে, এটাই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।” সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা আবদুস সাত্তার,প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা উসমান গণী,বড়ঘোপ ইউনিয়ন সভাপতি আহমদ নূর,উপজেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আবদুর রহমান,যুব নেতা রবিউল হোসাইন,ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    0 Comments 0 Shares 27 Views 0 Reviews
  • চালকের ঘুম একসঙ্গে কেড়ে নিলো একই পরিবারের ৭টি প্রাণ।
    ওমান ফেরত প্রবাসীকে আনতে গিয়েছিল পরিবার, ফেরার পথে পানিতে তলিয়ে গেল স্বপ্ন।
    ৩ নারী ও ৪ শিশু—ঘটনাস্থলেই শেষ তাদের জীবনযাত্রা।
    এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী-লক্ষীপুর সড়কে।
    একটি ভুল কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ।**

    ---

    #সড়কদুর্ঘটনা #নোয়াখালী
    #একটিভুলসাতপ্রাণ #VillageLife360BD
    #মর্মান্তিক #RoadSafety #BangladeshNews #নোয়াখালীদুর্ঘটনা
    #RoadAccident #BangladeshNews
    #মর্মান্তিক #FamilyTragedy
    #DriverSleepAccident #VillageLife360BD
    #FireServiceRescue #AccidentUpdate
    #RealStory #প্রবাসীরঘরে_শোক
    #TragicLoss #WakeUpCall
    চালকের ঘুম একসঙ্গে কেড়ে নিলো একই পরিবারের ৭টি প্রাণ। ওমান ফেরত প্রবাসীকে আনতে গিয়েছিল পরিবার, ফেরার পথে পানিতে তলিয়ে গেল স্বপ্ন। ৩ নারী ও ৪ শিশু—ঘটনাস্থলেই শেষ তাদের জীবনযাত্রা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী-লক্ষীপুর সড়কে। একটি ভুল কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ।** --- #সড়কদুর্ঘটনা #নোয়াখালী #একটিভুলসাতপ্রাণ #VillageLife360BD #মর্মান্তিক #RoadSafety #BangladeshNews #নোয়াখালীদুর্ঘটনা #RoadAccident #BangladeshNews #মর্মান্তিক #FamilyTragedy #DriverSleepAccident #VillageLife360BD #FireServiceRescue #AccidentUpdate #RealStory #প্রবাসীরঘরে_শোক #TragicLoss #WakeUpCall
    0 Comments 0 Shares 95 Views 0 Reviews
  • ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান

    ‎ফেনী প্রতিনিধি, ৬ আগস্ট ২০২৫:
    ‎ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) চলমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    ‎নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

    ‎অভিযান চলাকালে পাউবোর বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সংগ্রহ করে টিমটি।
    ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান ‎ ‎ফেনী প্রতিনিধি, ৬ আগস্ট ২০২৫: ‎ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) চলমান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ‎ ‎নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান এর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। ‎ ‎অভিযান চলাকালে পাউবোর বিভিন্ন প্রকল্পের কাগজপত্র, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি, প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ সংগ্রহ করে টিমটি।
    0 Comments 0 Shares 75 Views 0 Reviews
  • চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার

    চট্টগ্রাম, ৪ আগস্ট ২০২৫

    চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি গেস্টহাউস কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তার কক্ষের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, সাবেক সেনাপ্রধান গেস্টহাউসের কক্ষে একা অবস্থান করছিলেন। সকাল গড়িয়ে যাওয়ার পরও তিনি বের না হওয়ায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কক্ষ খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা এসে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাতে মারা গেছেন।

    ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে
    চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার 📍 চট্টগ্রাম, ৪ আগস্ট ২০২৫ চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি গেস্টহাউস কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তার কক্ষের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, সাবেক সেনাপ্রধান গেস্টহাউসের কক্ষে একা অবস্থান করছিলেন। সকাল গড়িয়ে যাওয়ার পরও তিনি বের না হওয়ায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কক্ষ খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা এসে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাতে মারা গেছেন। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে
    0 Comments 0 Shares 290 Views 0 Reviews
  • চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
    চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৫ নম্বর উপাদী গ্রামে সাপের কামড়ে রেহানা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেহানা বেগম প্রধানিয়া বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন।

    ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (রাত ১১টার দিকে)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ঘুমানোর সময় বিষাক্ত একটি সাপ গৃহবধূ রেহানা বেগমকে কামড়ে দেয়। মুহূর্তেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
    "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।"

    সাপ বিশেষজ্ঞ মো. রফিক জানান,
    "উদ্ধার করা সাপটি একটি বিষাক্ত গোখরা। সম্প্রতি এলাকায় সাপের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"

    ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মতলব ও আশপাশের গ্রামগুলোতে সম্প্রতি সাপের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
    এ পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রচারণা শুরু করেছে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
    "সাপের কামড়ের পর দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। সঠিক চিকিৎসা না পেলে বিষাক্ত সাপের কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে।"
    তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে সাপে কামড়ের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

    একইসঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা সাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে যাতে তা আর কোনো বিপদের কারণ না হয়।
    জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
    চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৫ নম্বর উপাদী গ্রামে সাপের কামড়ে রেহানা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেহানা বেগম প্রধানিয়া বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (রাত ১১টার দিকে)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ঘুমানোর সময় বিষাক্ত একটি সাপ গৃহবধূ রেহানা বেগমকে কামড়ে দেয়। মুহূর্তেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।" সাপ বিশেষজ্ঞ মো. রফিক জানান, "উদ্ধার করা সাপটি একটি বিষাক্ত গোখরা। সম্প্রতি এলাকায় সাপের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।" ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মতলব ও আশপাশের গ্রামগুলোতে সম্প্রতি সাপের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রচারণা শুরু করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "সাপের কামড়ের পর দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। সঠিক চিকিৎসা না পেলে বিষাক্ত সাপের কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে।" তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে সাপে কামড়ের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা সাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে যাতে তা আর কোনো বিপদের কারণ না হয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
    0 Comments 0 Shares 566 Views 0 Reviews
  • ১৬ বছর পর্যন্ত যারা একটা বালুর ট্রাকও সরাতে পারে নাই,এটা তাদের দেশ না
    ১৬ বছর পর্যন্ত যারা একটা বালুর ট্রাকও সরাতে পারে নাই,এটা তাদের দেশ না
    Like
    1
    0 Comments 0 Shares 472 Views 18 0 Reviews
  • ⁣শ্যামনগরে বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত

    রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ ‍‌'' মানব পাচার একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ,মানব পাচার রুখে দিন"এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার(৩০ জুলাই) সকালে শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

    অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের সহায়তায় র্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম।

    উপজেলা সমাজসেবা অফিসের এফএসএস আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আহসান হাবিব, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জনিরুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসের এফ এ মুজিবর রহমান,ওকাপ শ্যামনগরে ফিল্ড অফিসার আল আমিন প্রমুখ।
    ⁣শ্যামনগরে বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ ‍‌'' মানব পাচার একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ,মানব পাচার রুখে দিন"এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার(৩০ জুলাই) সকালে শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের সহায়তায় র্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের এফএসএস আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আহসান হাবিব, উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ জনিরুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসের এফ এ মুজিবর রহমান,ওকাপ শ্যামনগরে ফিল্ড অফিসার আল আমিন প্রমুখ।
    Like
    1
    0 Comments 0 Shares 893 Views 10 0 Reviews
  • এসো একটি সুন্দর আগামীর জন্য স্থাপন করি,
    নিজেকে গড়ে তুলি দেশপ্রেমিক হিসেবে।
    প্রতিটা নাগরিক যদি তার নিজের থেকে সচেতন হয়, তবেই শান্তি সুখের সমৃদ্ধশালী দেশ হবে, আমাদের বাংলাদেশ।
    #Bangladesh
    Alqoma Bin
    এসো একটি সুন্দর আগামীর জন্য স্থাপন করি, নিজেকে গড়ে তুলি দেশপ্রেমিক হিসেবে। প্রতিটা নাগরিক যদি তার নিজের থেকে সচেতন হয়, তবেই শান্তি সুখের সমৃদ্ধশালী দেশ হবে, আমাদের বাংলাদেশ। #Bangladesh [Ramzan]
    0 Comments 0 Shares 697 Views 0 Reviews
  • সুন্দরবনের নদী থেকে আহত কচ্ছপ উদ্ধার চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করল কোস্টগার্ড
    রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ পশ্চিম সুন্দরবনের নদী থেকে একটি বিরল প্রজাতির আহত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষে নদীতে অবমুক্ত করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
    শুক্রবার(২৫ জুলাই) সকালে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী থেকে আহত কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ।
    কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান সকালে রুটিন টহলের সময় কচছপটিকে ভেসে থাকতে দেখে সদস্যরা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত কচ্ছপটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং এটি চলাফেরাতেও দুর্বলতা দেখাচ্ছিল।
    প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বনবিভাগের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
    এদিকে স্থানীয়রা জানান চুনকুড়ি নদী ও আশেপাশের জলজ পরিবেশে কচ্ছপসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণি বসবাস করে।তবে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরা ও প্লাস্টিক দূষণের কারণে এসব প্রাণি আজ হুমকির মুখে।
    এদিকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো কোস্টগার্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এ ধরনের কার্যক্রম শুধু একটি প্রাণি বাঁচায়না বরং পুরো বাস্ততন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
    সুন্দরবনের নদী থেকে আহত কচ্ছপ উদ্ধার চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করল কোস্টগার্ড রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ পশ্চিম সুন্দরবনের নদী থেকে একটি বিরল প্রজাতির আহত কচ্ছপ উদ্ধার করেছে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা শেষে নদীতে অবমুক্ত করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। শুক্রবার(২৫ জুলাই) সকালে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদী থেকে আহত কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড । কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান সকালে রুটিন টহলের সময় কচছপটিকে ভেসে থাকতে দেখে সদস্যরা উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত কচ্ছপটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং এটি চলাফেরাতেও দুর্বলতা দেখাচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বনবিভাগের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে সুন্দরবনের চুনকুড়ি নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এদিকে স্থানীয়রা জানান চুনকুড়ি নদী ও আশেপাশের জলজ পরিবেশে কচ্ছপসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণি বসবাস করে।তবে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরা ও প্লাস্টিক দূষণের কারণে এসব প্রাণি আজ হুমকির মুখে। এদিকে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো কোস্টগার্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এ ধরনের কার্যক্রম শুধু একটি প্রাণি বাঁচায়না বরং পুরো বাস্ততন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা রাখে।
    Like
    1
    0 Comments 0 Shares 648 Views 0 Reviews
  • সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী।

    সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়।

    এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে।

    এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে।

    এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী?

    এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে।

    এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

    সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়। এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে। এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে। এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী? এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে। এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।
    Like
    Love
    2
    1 Comments 0 Shares 945 Views 0 Reviews
  • ফুলের নাম: আপরাজিতা (Butterfly Pea)
    বৈজ্ঞানিক নাম: Clitoria ternatea
    পরিবার: Fabaceae (ডাল জাতীয় উদ্ভিদের পরিবার)
    ছবি: সুমন হাওলাদার

    পরিচিতি:
    আপরাজিতা একটি জনপ্রিয় ও সুদৃশ্য ফুল, যা প্রধানত বেগুনি, নীল কিংবা কখনও সাদা রঙের হয়ে থাকে। এর পাপড়ির গঠন দেখতে অনেকটা প্রজাপতির ডানার মতো, তাই ইংরেজিতে একে বলা হয় “Butterfly Pea”। এটি একটি লতানো উদ্ভিদ, সাধারণত বেড়া, খুঁটি বা গাছের গায়ে জড়িয়ে বাড়ে।

    ব্যবহার ও উপকারিতা:

    আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় এই ফুল ও গাছের নানা অংশ ব্যবহৃত হয়।

    এর ফুল থেকে প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করা যায়, যা খাবার বা পানীয়তে ব্যবহৃত হয়।

    এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি, মানসিক চাপ ও চুলের যত্নে সহায়ক।


    সংক্ষিপ্ত তথ্য:
    আপরাজিতা শুধু একটি শোভাদায়ক ফুলই নয়, এটি স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ।
    ফুলের নাম: আপরাজিতা (Butterfly Pea) বৈজ্ঞানিক নাম: Clitoria ternatea পরিবার: Fabaceae (ডাল জাতীয় উদ্ভিদের পরিবার) ছবি: সুমন হাওলাদার পরিচিতি: আপরাজিতা একটি জনপ্রিয় ও সুদৃশ্য ফুল, যা প্রধানত বেগুনি, নীল কিংবা কখনও সাদা রঙের হয়ে থাকে। এর পাপড়ির গঠন দেখতে অনেকটা প্রজাপতির ডানার মতো, তাই ইংরেজিতে একে বলা হয় “Butterfly Pea”। এটি একটি লতানো উদ্ভিদ, সাধারণত বেড়া, খুঁটি বা গাছের গায়ে জড়িয়ে বাড়ে। ব্যবহার ও উপকারিতা: আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় এই ফুল ও গাছের নানা অংশ ব্যবহৃত হয়। এর ফুল থেকে প্রাকৃতিক রঙ তৈরি করা যায়, যা খাবার বা পানীয়তে ব্যবহৃত হয়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি, মানসিক চাপ ও চুলের যত্নে সহায়ক। সংক্ষিপ্ত তথ্য: আপরাজিতা শুধু একটি শোভাদায়ক ফুলই নয়, এটি স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উদ্ভিদ।
    Love
    1
    0 Comments 0 Shares 381 Views 0 Reviews
  • কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাওর থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার
    প্রতিনিধি, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
    নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের হাওর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে।

    পুলিশ ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেনু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থেকে অন্যের জমি বর্গাচাষ করতেন। হাওরের ফসলি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন বাড়িতে তার উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশিরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

    এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন হাওরে কাজ করতে গেলে কেনু মিয়ার পঁচা-গলা মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পঁচে-গলে গেছে। তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টার্স পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও ওসি জানান।

    নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।”

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বর্গা নেওয়া জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

    ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

    মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।।
    ০১৭১৬৩১৩৩৪৬

    কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৫ দিন পর হাওর থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার প্রতিনিধি, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের ৫ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের হাওর থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া টিপ্রা গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে। পুলিশ ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেনু মিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা জীবিকার উদ্দেশ্যে ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থেকে অন্যের জমি বর্গাচাষ করতেন। হাওরের ফসলি জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর বাড়ি ফিরেননি। পরদিন বাড়িতে তার উপস্থিতি দেখতে না পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশিরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এদিকে সোমবার দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন হাওরে কাজ করতে গেলে কেনু মিয়ার পঁচা-গলা মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পঁচে-গলে গেছে। তা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টার্স পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও ওসি জানান। নিহতের চাচা আমজাত হোসেন বাচ্চু মিয়া জানান, “কেনু মিয়া আমার ভাতিজা। নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে আজ হাওরে তার মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।” প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেনু মিয়া তার বর্গা নেওয়া জমিতে কাজ করতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া না পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, অসুস্থতা বা আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেনু মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন। মো: হুমায়ুন কবির কেন্দুয়া নেত্রকোনা থেকে।। ০১৭১৬৩১৩৩৪৬
    0 Comments 0 Shares 762 Views 0 Reviews
More Results
Eidok App https://eidok.com