© 2025 Eidok
English

Recent Updates
-
0 Comments 0 Shares 232 Views 0 ReviewsPlease log in to like, share and comment!
-
0 Comments 0 Shares 233 Views 0 Reviews
-
সবচেয়ে মূল্যবান প্রাচীন সম্পদ হলো পুরোনো বন্ধুরা।সবচেয়ে মূল্যবান প্রাচীন সম্পদ হলো পুরোনো বন্ধুরা।0 Comments 0 Shares 263 Views 0 Reviews
-
মাত্র পাঁচ বছর যদি নিজেকে ধরে রাখতে পারো,
নিজেকে নিয়মের মধ্যে রাখো, পরিশ্রম করো —
তাহলে আগামী ৫০ বছর তুমি এমনভাবে বাঁচবে,
যেভাবে অন্যরা শুধু কল্পনা করে।
#DisciplineForFreedom #LongTermVision #SuccessMindset
মাত্র পাঁচ বছর যদি নিজেকে ধরে রাখতে পারো, নিজেকে নিয়মের মধ্যে রাখো, পরিশ্রম করো — তাহলে আগামী ৫০ বছর তুমি এমনভাবে বাঁচবে, যেভাবে অন্যরা শুধু কল্পনা করে। #DisciplineForFreedom #LongTermVision #SuccessMindset -
-
অভিযোগ: ফেসবুক বাকস্বাধীনতা পুরোপুরি হরণ করছে?অভিযোগ: ফেসবুক বাকস্বাধীনতা পুরোপুরি হরণ করছে?
-
অভিযোগ: ফেসবুক বাকস্বাধীনতা পুরোপুরি হরণ করছে?
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে সম্প্রতি ফেসবুকের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারকারীদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করছে।
বিশেষ করে যারা সরকারের সমালোচনা করে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করে, বা রাজনৈতিক সত্য তুলে ধরে—তাদের কনটেন্ট আবারও এবং আবারও "Community Guidelines Violation" বলে মুছে ফেলা হয়, এমনকি অনেকের অ্যাকাউন্টই স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
1. ২০২৪ সালে বাংলাদেশের একাধিক সাংবাদিক ও ইউটিউবার অভিযোগ করেন—তারা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, গুম, বা রাজনৈতিক নিপীড়নের বিষয়ে সত্যভিত্তিক পোস্ট দিলে ফেসবুক তাদের কনটেন্ট মুছে দেয় অথবা শ্যাডো ব্যান করে।
2. আন্তর্জাতিকভাবে Human Rights Watch এবং Amnesty International বারবার বলেছে — ফেসবুক "selective censorship" করছে, বিশেষত রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এলাকায়।
২০২3 সালে Facebook Transparency Report অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ কনটেন্ট রিমুভ হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে।
৮০% রিপোর্টিং এসেছে রাজনৈতিক পোস্টের উপর, যার বেশিরভাগই কোনো সহিংসতা ছাড়াই ছিল।
১.৩ মিলিয়ন পোস্ট শুধু ৬ মাসে মুছে ফেলা হয় সরকারের অনুরোধে (Meta, 2023 Data)
ফেসবুক কি নিজেই পক্ষপাতদুষ্ট?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন — ফেসবুকের অ্যালগরিদম এবং রিপোর্টিং সিস্টেম এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে একটি সংগঠিত পক্ষ (যেমন সরকারপন্থী সাইবার টিম) যেকোনো সত্য পোস্টকে দ্রুত মুছে ফেলাতে পারে।
এই ধরনের কার্যকলাপ শুধু বাকস্বাধীনতা নয়, গণতান্ত্রিক চিন্তার উপরও হুমকি।
যখন ফেসবুক থামে, তখন কথা বলে Eidok
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি নতুন প্রজন্মের সামাজিক প্ল্যাটফর্ম Eidok ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে একটি আশার আলো।
এখানে ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দমন করা হয় না, বরং সম্মান করা হয়। তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে শক্তিশালী ও স্বচ্ছ নীতিমালা।
Eidok কীভাবে বাকস্বাধীনতা রক্ষা করে?
1. অ্যালগরিদমিক সেন্সরশিপ নেই: কোন কনটেন্ট ভাইরাল হবে তা মানুষ ঠিক করবে, AI নয়।
2. নিরপেক্ষ কনটেন্ট নীতিমালা: সহিংসতা ছাড়া যেকোনো মতামত প্রকাশ করা যাবে।
3. স্থানীয় কনটেন্ট মডারেশন টিম: যারা বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝে কনটেন্ট পর্যালোচনা করে।
4. সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য ‘Verified Voice’ Badge: যেন তারা সেন্সরশিপ ছাড়া তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে পারে।
5. রেফার, পোস্ট, মার্কেটপ্লেস ও পেইড সেবা – ইনকামের নিশ্চয়তা সহ স্বাধীনতা।
🎙️ মতামত:
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন,
> “ফেসবুক এখন মত প্রকাশের জায়গা নয়, বরং কন্ট্রোলের প্ল্যাটফর্মে রূপ নিয়েছে। যারা স্বাধীনতা চায়, তাদের জন্য প্রয়োজন বিকল্প।”
Eidok সেই বিকল্প হওয়ার দাবি রাখে।
অভিযোগ: ফেসবুক বাকস্বাধীনতা পুরোপুরি হরণ করছে? বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে সম্প্রতি ফেসবুকের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারকারীদের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করছে। বিশেষ করে যারা সরকারের সমালোচনা করে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করে, বা রাজনৈতিক সত্য তুলে ধরে—তাদের কনটেন্ট আবারও এবং আবারও "Community Guidelines Violation" বলে মুছে ফেলা হয়, এমনকি অনেকের অ্যাকাউন্টই স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। 1. ২০২৪ সালে বাংলাদেশের একাধিক সাংবাদিক ও ইউটিউবার অভিযোগ করেন—তারা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, গুম, বা রাজনৈতিক নিপীড়নের বিষয়ে সত্যভিত্তিক পোস্ট দিলে ফেসবুক তাদের কনটেন্ট মুছে দেয় অথবা শ্যাডো ব্যান করে। 2. আন্তর্জাতিকভাবে Human Rights Watch এবং Amnesty International বারবার বলেছে — ফেসবুক "selective censorship" করছে, বিশেষত রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল এলাকায়। ২০২3 সালে Facebook Transparency Report অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ কনটেন্ট রিমুভ হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে। ৮০% রিপোর্টিং এসেছে রাজনৈতিক পোস্টের উপর, যার বেশিরভাগই কোনো সহিংসতা ছাড়াই ছিল। ১.৩ মিলিয়ন পোস্ট শুধু ৬ মাসে মুছে ফেলা হয় সরকারের অনুরোধে (Meta, 2023 Data) ফেসবুক কি নিজেই পক্ষপাতদুষ্ট? বিশেষজ্ঞরা বলছেন — ফেসবুকের অ্যালগরিদম এবং রিপোর্টিং সিস্টেম এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে একটি সংগঠিত পক্ষ (যেমন সরকারপন্থী সাইবার টিম) যেকোনো সত্য পোস্টকে দ্রুত মুছে ফেলাতে পারে। এই ধরনের কার্যকলাপ শুধু বাকস্বাধীনতা নয়, গণতান্ত্রিক চিন্তার উপরও হুমকি। যখন ফেসবুক থামে, তখন কথা বলে Eidok এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের তৈরি নতুন প্রজন্মের সামাজিক প্ল্যাটফর্ম Eidok ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে একটি আশার আলো। এখানে ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দমন করা হয় না, বরং সম্মান করা হয়। তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে শক্তিশালী ও স্বচ্ছ নীতিমালা। Eidok কীভাবে বাকস্বাধীনতা রক্ষা করে? 1. অ্যালগরিদমিক সেন্সরশিপ নেই: কোন কনটেন্ট ভাইরাল হবে তা মানুষ ঠিক করবে, AI নয়। 2. নিরপেক্ষ কনটেন্ট নীতিমালা: সহিংসতা ছাড়া যেকোনো মতামত প্রকাশ করা যাবে। 3. স্থানীয় কনটেন্ট মডারেশন টিম: যারা বাংলাদেশের বাস্তবতা বুঝে কনটেন্ট পর্যালোচনা করে। 4. সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের জন্য ‘Verified Voice’ Badge: যেন তারা সেন্সরশিপ ছাড়া তাদের বক্তব্য প্রকাশ করতে পারে। 5. রেফার, পোস্ট, মার্কেটপ্লেস ও পেইড সেবা – ইনকামের নিশ্চয়তা সহ স্বাধীনতা। 🎙️ মতামত: অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, > “ফেসবুক এখন মত প্রকাশের জায়গা নয়, বরং কন্ট্রোলের প্ল্যাটফর্মে রূপ নিয়েছে। যারা স্বাধীনতা চায়, তাদের জন্য প্রয়োজন বিকল্প।” Eidok সেই বিকল্প হওয়ার দাবি রাখে।Welcome to EidokEidok is a next-generation social platform where your voice matters. Experience real freedom of expression, strong privacy, and a refreshing alternative to traditional social networks.0 Comments 0 Shares 739 Views 0 Reviews -
"সব সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে ব্যস্ত রাখে— Eidok আপনাকে গুরুত্ব দেয়।"
দিনশেষে, আপনি কি শুধু লাইক আর শেয়ারের সংখ্যা নিয়ে ভাববেন,
নাকি এমন একটি জায়গায় থাকতে চাইবেন,
যেখানে আপনার কথার ওজন আছে, ভাবনার মর্যাদা আছে?
Eidok তৈরি হয়েছে তাদের জন্য, যারা
চায় স্বাধীনভাবে কথা বলতে,
নিজের মতো করে ভাবতে,
আর একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ডিজিটাল জগতে বাঁচতে।
এখানে নেই শোরগোল, নেই নকল জনপ্রিয়তা—
আছে আপনি, আপনার চিন্তা, আর আপনার নিয়ন্ত্রণ।
আজই জয়েন করুন সেই নতুন পৃথিবীতে,
যেখানে সামাজিকতা মানে সংযোগ, সম্মান, এবং সত্য প্রকাশ।
👉 একাউন্ট খুলুন এখনই: https://eidok.com"সব সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে ব্যস্ত রাখে— Eidok আপনাকে গুরুত্ব দেয়।" দিনশেষে, আপনি কি শুধু লাইক আর শেয়ারের সংখ্যা নিয়ে ভাববেন, নাকি এমন একটি জায়গায় থাকতে চাইবেন, যেখানে আপনার কথার ওজন আছে, ভাবনার মর্যাদা আছে? Eidok তৈরি হয়েছে তাদের জন্য, যারা চায় স্বাধীনভাবে কথা বলতে, নিজের মতো করে ভাবতে, আর একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ডিজিটাল জগতে বাঁচতে। এখানে নেই শোরগোল, নেই নকল জনপ্রিয়তা— আছে আপনি, আপনার চিন্তা, আর আপনার নিয়ন্ত্রণ। আজই জয়েন করুন সেই নতুন পৃথিবীতে, যেখানে সামাজিকতা মানে সংযোগ, সম্মান, এবং সত্য প্রকাশ। 👉 একাউন্ট খুলুন এখনই: https://eidok.comEIDOK.COMWelcome to EidokEidok is a next-generation social platform where your voice matters. Experience real freedom of expression, strong privacy, and a refreshing alternative to traditional social networks. -
১৯৪৮ সালে রাতের আঁধারে যে রাষ্ট্রটি জন্ম নিয়েছিল, তার জন্ম কেবল একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য নয়—একটি জাতির সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার জন্য। ইতিহাস, আন্তর্জাতিক আইন, ধর্ম, মানবতা—সব কিছুকে চূর্ণ করে গঠিত সেই রাষ্ট্রটির নাম ইসরায়েল। আজ, ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে, আমরা যখন এই রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড দেখি, তখন এর প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা এক ধরনের আত্মপ্রতারণা।
ইতিহাসের পাতায় কারা ছিল আসল বাসিন্দা?
ইসরায়েলের দাবিকৃত ভূমি, আজকের ফিলিস্তিন, হাজার বছরের ইতিহাসে বহু জাতি ও ধর্মের মানুষ দ্বারা শাসিত হয়েছে। তবে ইসলামী খিলাফত ও অটোমান শাসনামলে দীর্ঘ সময় ধরে এটি ছিল মুসলিম ও খ্রিস্টান আরবদের ভূমি। তারা এখানে জন্মেছে, বড় হয়েছে, দাফন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাইরের থেকে আসা ইউরোপীয় ইহুদিদের একটি গোষ্ঠী এই জমির ওপর ধর্মীয় দাবিতে রাষ্ট্র দাবি করে।
ইহুদি জাতির ধর্মগ্রন্থ "তোরাহ"-এর উপর ভর করে তাদের দাবিকে বৈধতা দিতে চেয়েছে জায়োনিস্টরা, অথচ তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী সেই জমিতে অনুপস্থিত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে যখন জাতিসংঘ "দুই রাষ্ট্র সমাধান" দেয়, ততক্ষণে ইহুদিরা কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে সেই ভূমির বড় অংশ দখলে নিতে শুরু করেছে।
উচ্ছেদ, গণহত্যা ও নিধনের একান্ত ইতিহাস
ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরে প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় দমনপীড়ন, বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া, কৃষিজমি দখল, জল-বিদ্যুৎ-চিকিৎসা অবরোধ।
২০০৮ থেকে ২০২4 পর্যন্ত গাজার উপরে ইসরায়েল ৫টি বড় মাপের হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৩-২৪ এর যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের নৃশংসতম অধ্যায়। শুধুমাত্র এই যুদ্ধেই ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। শিশুর মুখে অক্সিজেনের পাইপ, ধ্বংসস্তূপে কাটা হাত-পা, মাটির নিচে চাপা পড়া পরিবার—এগুলো কেবল ট্র্যাজেডি নয়, বর্বরতা।
আন্তর্জাতিক নীরবতা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখিতা
ইসরায়েলের বর্বরতা আন্তর্জাতিকভাবে বারবার নিন্দিত হলেও, সেই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আজও দেখা যায়নি। এর কারণ—ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় তারা। কেন?
১. যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি (AIPAC)-এর ব্যাপক প্রভাব। ২. মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগত প্রয়াস। ৩. মুসলিম বিশ্বের ঐক্যহীনতা ও পরনির্ভরতা।
ইসরায়েল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার নামে যেসব অপরাধ করে আসছে, সেগুলো এককথায় যুদ্ধাপরাধ। স্কুল, হাসপাতাল, সংবাদ অফিস বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয়া কেবল "আত্মরক্ষা" হতে পারে না। এই একই যুক্তিতে যদি ফিলিস্তিন প্রতিরোধ করে, তখন তাদের বলা হয় "সন্ত্রাসী"।
ধর্মের নামে রাজনীতি, মানবতার নামে ধোঁকা
ইসরায়েলের অস্তিত্ব ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি, অথচ তাদের দমননীতির শিকার অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসলমান ও খ্রিস্টান। ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম বা ইহুদি ধর্ম—কোনোটিই শিশু হত্যা, বাড়ি ধ্বংস, খাদ্য অবরোধ সমর্থন করে না। তাই বোঝা যায়, ইসরায়েল ধর্ম নয়, শক্তি ও আধিপত্য-কে কেন্দ্র করে কাজ করছে।
কীভাবে সাংবাদিকতা ও নৈতিকতার চোখে দেখা উচিত?
একজন সাংবাদিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ থেকে সত্য তুলে ধরা। কিন্তু যখন একটি পক্ষ নিরন্তর মিথ্যা প্রচার করে, সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা তখন দাঁড়ায় অন্যায়ের পক্ষে মৌন সমর্থনের সমান।
ইসরায়েল যদি সত্যিই আত্মরক্ষা করতো, তাহলে:
কেন তারা ফিলিস্তিনিদের খাবার-পানি বন্ধ করে?
কেন শিশুর মাথায় বুলেট বসায়?
কেন তারা সারা বিশ্বের মুসলিমদের ইবাদতের স্থান আল-আকসায় আক্রমণ করে?
এই প্রশ্নগুলো আজও বেহিসেবি।
উপসংহার: সময় এসেছে মুখোশ খোলার
ইসরায়েল এক ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। এটি একটি দখলদার রাষ্ট্র, একটি দমননীতি নির্ভর শাসনব্যবস্থা, একটি জাতিগত নিধনের নাম। এর পক্ষে দাঁড়ানো মানে মানবতা, সাংবাদিকতা, ইতিহাস ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।
আজ, সময় এসেছে জাতিসংঘ, ওআইসি, মুসলিম বিশ্ব, এমনকি মানবতা নির্ভর প্রতিটি মানুষ যেন জেগে ওঠে। ইসরায়েলকে আর ধোঁকার ছায়ায় ছাড় দেয়া যাবে না। সাংবাদিকতা যদি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চায়, তাহলে প্রথম শব্দটি হোক—"দখলদার ইসরায়েল, মানবতার কলঙ্ক।"
লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন১৯৪৮ সালে রাতের আঁধারে যে রাষ্ট্রটি জন্ম নিয়েছিল, তার জন্ম কেবল একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য নয়—একটি জাতির সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার জন্য। ইতিহাস, আন্তর্জাতিক আইন, ধর্ম, মানবতা—সব কিছুকে চূর্ণ করে গঠিত সেই রাষ্ট্রটির নাম ইসরায়েল। আজ, ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে, আমরা যখন এই রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড দেখি, তখন এর প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা এক ধরনের আত্মপ্রতারণা। ইতিহাসের পাতায় কারা ছিল আসল বাসিন্দা? ইসরায়েলের দাবিকৃত ভূমি, আজকের ফিলিস্তিন, হাজার বছরের ইতিহাসে বহু জাতি ও ধর্মের মানুষ দ্বারা শাসিত হয়েছে। তবে ইসলামী খিলাফত ও অটোমান শাসনামলে দীর্ঘ সময় ধরে এটি ছিল মুসলিম ও খ্রিস্টান আরবদের ভূমি। তারা এখানে জন্মেছে, বড় হয়েছে, দাফন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাইরের থেকে আসা ইউরোপীয় ইহুদিদের একটি গোষ্ঠী এই জমির ওপর ধর্মীয় দাবিতে রাষ্ট্র দাবি করে। ইহুদি জাতির ধর্মগ্রন্থ "তোরাহ"-এর উপর ভর করে তাদের দাবিকে বৈধতা দিতে চেয়েছে জায়োনিস্টরা, অথচ তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী সেই জমিতে অনুপস্থিত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে যখন জাতিসংঘ "দুই রাষ্ট্র সমাধান" দেয়, ততক্ষণে ইহুদিরা কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে সেই ভূমির বড় অংশ দখলে নিতে শুরু করেছে। উচ্ছেদ, গণহত্যা ও নিধনের একান্ত ইতিহাস ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরে প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় দমনপীড়ন, বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া, কৃষিজমি দখল, জল-বিদ্যুৎ-চিকিৎসা অবরোধ। ২০০৮ থেকে ২০২4 পর্যন্ত গাজার উপরে ইসরায়েল ৫টি বড় মাপের হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৩-২৪ এর যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের নৃশংসতম অধ্যায়। শুধুমাত্র এই যুদ্ধেই ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। শিশুর মুখে অক্সিজেনের পাইপ, ধ্বংসস্তূপে কাটা হাত-পা, মাটির নিচে চাপা পড়া পরিবার—এগুলো কেবল ট্র্যাজেডি নয়, বর্বরতা। আন্তর্জাতিক নীরবতা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখিতা ইসরায়েলের বর্বরতা আন্তর্জাতিকভাবে বারবার নিন্দিত হলেও, সেই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আজও দেখা যায়নি। এর কারণ—ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় তারা। কেন? ১. যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি (AIPAC)-এর ব্যাপক প্রভাব। ২. মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগত প্রয়াস। ৩. মুসলিম বিশ্বের ঐক্যহীনতা ও পরনির্ভরতা। ইসরায়েল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার নামে যেসব অপরাধ করে আসছে, সেগুলো এককথায় যুদ্ধাপরাধ। স্কুল, হাসপাতাল, সংবাদ অফিস বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয়া কেবল "আত্মরক্ষা" হতে পারে না। এই একই যুক্তিতে যদি ফিলিস্তিন প্রতিরোধ করে, তখন তাদের বলা হয় "সন্ত্রাসী"। ধর্মের নামে রাজনীতি, মানবতার নামে ধোঁকা ইসরায়েলের অস্তিত্ব ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি, অথচ তাদের দমননীতির শিকার অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসলমান ও খ্রিস্টান। ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম বা ইহুদি ধর্ম—কোনোটিই শিশু হত্যা, বাড়ি ধ্বংস, খাদ্য অবরোধ সমর্থন করে না। তাই বোঝা যায়, ইসরায়েল ধর্ম নয়, শক্তি ও আধিপত্য-কে কেন্দ্র করে কাজ করছে। কীভাবে সাংবাদিকতা ও নৈতিকতার চোখে দেখা উচিত? একজন সাংবাদিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ থেকে সত্য তুলে ধরা। কিন্তু যখন একটি পক্ষ নিরন্তর মিথ্যা প্রচার করে, সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা তখন দাঁড়ায় অন্যায়ের পক্ষে মৌন সমর্থনের সমান। ইসরায়েল যদি সত্যিই আত্মরক্ষা করতো, তাহলে: কেন তারা ফিলিস্তিনিদের খাবার-পানি বন্ধ করে? কেন শিশুর মাথায় বুলেট বসায়? কেন তারা সারা বিশ্বের মুসলিমদের ইবাদতের স্থান আল-আকসায় আক্রমণ করে? এই প্রশ্নগুলো আজও বেহিসেবি। উপসংহার: সময় এসেছে মুখোশ খোলার ইসরায়েল এক ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। এটি একটি দখলদার রাষ্ট্র, একটি দমননীতি নির্ভর শাসনব্যবস্থা, একটি জাতিগত নিধনের নাম। এর পক্ষে দাঁড়ানো মানে মানবতা, সাংবাদিকতা, ইতিহাস ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আজ, সময় এসেছে জাতিসংঘ, ওআইসি, মুসলিম বিশ্ব, এমনকি মানবতা নির্ভর প্রতিটি মানুষ যেন জেগে ওঠে। ইসরায়েলকে আর ধোঁকার ছায়ায় ছাড় দেয়া যাবে না। সাংবাদিকতা যদি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চায়, তাহলে প্রথম শব্দটি হোক—"দখলদার ইসরায়েল, মানবতার কলঙ্ক।" লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন -
-
খাওয়া, ঘুম আর আদর—এই নিয়েই তার রাজত্ব।
কেউ বিরক্ত করলে চোখ কুঁচকে তাকায়, আর পছন্দের মানুষ দেখলে গুঁতিয়ে আদর চায়!খাওয়া, ঘুম আর আদর—এই নিয়েই তার রাজত্ব। কেউ বিরক্ত করলে চোখ কুঁচকে তাকায়, আর পছন্দের মানুষ দেখলে গুঁতিয়ে আদর চায়! -
বৃষ্টি শুধু মাটি ভেজায় না, মনে জমে থাকা ক্লান্তিও ধুয়ে নিয়ে যায়। 🌧️🍃বৃষ্টি শুধু মাটি ভেজায় না, মনে জমে থাকা ক্লান্তিও ধুয়ে নিয়ে যায়। 🌧️🍃0 Comments 0 Shares 536 Views 0 Reviews
More Stories