• বিএনপি নেতার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন ওসি, সমালোচনার ঝড়
    শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় মালা পড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যার একটি ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলছেন পুলিশ সদস্যর এমন কাজ আইনের ব্যত্যয়।

    ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে ১৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সদস্যের বিএনপি নেতাকে মালা পড়ানোর ছবিটি আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার এই একটাই গুন, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। মন জুড়ানো একটি মুহূর্ত। শুভ কামনা মামা আপনার জন্য।


    পুলিশ সদস্যের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির,তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি, দলের দাস এমনকি কোন দলের আধিপত্য বা তেলবাজি করবে এমন পুলিশ সদস্য আমরা চাই না। পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে। আমরা সব সময় চাই পুলিশের স্বাধীন কমিশন থাকবে। পুলিশ শুধুমাত্র জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং তাদের সেবা দিবে। নড়িয়ার ঘটনাটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তার সাথে (বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন) আমার আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার আমন্ত্রণে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি সেখানে একটি মামলার তদন্তও ছিলো। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন। আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে।

    এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বার্তা বাজারকে বলেন, পুলিশ সদস্য হয়ে এমন কর্মকান্ড করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এইধরনের কাজে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।


    উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শরীয়তপুরে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে আবু জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) করা হয়।
    বিএনপি নেতার গলায় মালা পড়িয়ে দিলেন ওসি, সমালোচনার ঝড় শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান রিপনের গলায় মালা পড়িয়ে দিয়েছেন। এনিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যার একটি ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে। তার এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে নিরপেক্ষতা নিয়ে। যদিও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলছেন পুলিশ সদস্যর এমন কাজ আইনের ব্যত্যয়। ফারুক আলম নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক একাউন্ট থেকে ১৮ ঘন্টা আগে পুলিশ সদস্যের বিএনপি নেতাকে মালা পড়ানোর ছবিটি আপলোড করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, মাসুদুর রহমান রিপন প্যাদার এই একটাই গুন, সে থানায় যায় না। ওসি তদন্ত স্যার তার কাছে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। মন জুড়ানো একটি মুহূর্ত। শুভ কামনা মামা আপনার জন্য। পুলিশ সদস্যের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির,তিনি বলেন, ২৪ পরবর্তী অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আমরা দলীয় লেজুড়বৃত্তি, দলের দাস এমনকি কোন দলের আধিপত্য বা তেলবাজি করবে এমন পুলিশ সদস্য আমরা চাই না। পুলিশকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে। আমরা সব সময় চাই পুলিশের স্বাধীন কমিশন থাকবে। পুলিশ শুধুমাত্র জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এবং তাদের সেবা দিবে। নড়িয়ার ঘটনাটি অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ। এবিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, তার সাথে (বিএনপি নেতা মাসুদুর রহমান রিপন) আমার আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। তার আমন্ত্রণে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি সেখানে একটি মামলার তদন্তও ছিলো। তখন দেখি অনেকেই ফুলের মালা দিচ্ছেন। আমি পাশে বসে থাকায় মালা পড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। তখন হয়তো কেউ ছবি তুলেছে। এবিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বার্তা বাজারকে বলেন, পুলিশ সদস্য হয়ে এমন কর্মকান্ড করার সুযোগ নেই। আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এইধরনের কাজে পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য ২০২৩ সালে শরীয়তপুরে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করে আবু জাফর নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে পরিদর্শক (তদন্ত) সুরুজ উদ্দিন আহমেদও ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে নড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) করা হয়।
    0 Commentaires 0 Parts 220 Vue 0 Aperçu
  • ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান
    একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তিন দেশের জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে এই ফ্ল্যাটফর্ম গঠন করা হবে।

    শুক্রবার (২০ জুন) চীনের ইউনান প্রদেশে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩টি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে।


    বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ভারচুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

    তিন পক্ষ চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে। তিন পক্ষ সুপ্রতিবেশীসুলভতা, সমতা ও পারস্পরিক বিশ্বাস, উন্মুক্ততা ও অন্তর্ভুক্তি, সাধারণ উন্নয়ন এবং উইন-উইন সহযোগিতা নীতির ওপর ভিত্তি করে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। আর এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

    শিল্প, বাণিজ্য, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স, জলসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং যুবসমাজ সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাস্তবায়ন করা।

    ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকে সব পক্ষই সহযোগিতা উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, ভালো প্রতিবেশিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের নীতি দ্বারা পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি জয়-জিতের সহযোগিতায় কাজ করবে বলে সম্মত হয়েছে।


    সেই সঙ্গে বৈঠকে উপনীত সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য তিনটি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে।

    তিন পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতা মেনে চলে, কোনো তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশে যার লক্ষ্য নয়।
    ত্রিপক্ষীয় নতুন জোটে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তিন দেশের জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে এই ফ্ল্যাটফর্ম গঠন করা হবে। শুক্রবার (২০ জুন) চীনের ইউনান প্রদেশে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩টি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ ভারচুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিন পক্ষ চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে। তিন পক্ষ সুপ্রতিবেশীসুলভতা, সমতা ও পারস্পরিক বিশ্বাস, উন্মুক্ততা ও অন্তর্ভুক্তি, সাধারণ উন্নয়ন এবং উইন-উইন সহযোগিতা নীতির ওপর ভিত্তি করে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। আর এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। শিল্প, বাণিজ্য, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স, জলসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং যুবসমাজ সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাস্তবায়ন করা। ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকে সব পক্ষই সহযোগিতা উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, ভালো প্রতিবেশিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসের নীতি দ্বারা পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি জয়-জিতের সহযোগিতায় কাজ করবে বলে সম্মত হয়েছে। সেই সঙ্গে বৈঠকে উপনীত সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য তিনটি পক্ষই যৌথ একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে। তিন পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতা মেনে চলে, কোনো তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশে যার লক্ষ্য নয়।
    0 Commentaires 0 Parts 171 Vue 0 Aperçu
  • খুলনার গর্ব! চুই ঝালের চারা এখন আপনার হাতের নাগালে!

    শতভাগ দেশি অরিজিনাল চারা - চাষ করুন নিজের বাড়ির আঙিনায়, আর উপভোগ করুন তাজা চুই ঝালের স্বাদ!

    এখনই অর্ডার করুন! - সীমিত স্টক, তাই দেরি না করে অর্ডার করুন এখনই!

    #chuijhal #chui
    #চুইঝাল
    #চুই
    #ঝাল
    #গাছের_চারা
    📣 খুলনার গর্ব! চুই ঝালের চারা এখন আপনার হাতের নাগালে! 🌱 শতভাগ দেশি অরিজিনাল চারা - চাষ করুন নিজের বাড়ির আঙিনায়, আর উপভোগ করুন তাজা চুই ঝালের স্বাদ! 🌶️ এখনই অর্ডার করুন! - সীমিত স্টক, তাই দেরি না করে অর্ডার করুন এখনই! #chuijhal #chui #চুইঝাল #চুই #ঝাল #গাছের_চারা
    0 Commentaires 0 Parts 285 Vue 0 Aperçu
  • খুলনার গর্ব! চুই ঝালের চারা এখন আপনার হাতের নাগালে!

    শতভাগ দেশি অরিজিনাল চারা - চাষ করুন নিজের বাড়ির আঙিনায়, আর উপভোগ করুন তাজা চুই ঝালের স্বাদ!

    এখনই অর্ডার করুন! - সীমিত স্টক, তাই দেরি না করে অর্ডার করুন এখনই!

    #chuijhal #chui
    #চুইঝাল
    #চুই
    #ঝাল
    #গাছের_চারা
    📣 খুলনার গর্ব! চুই ঝালের চারা এখন আপনার হাতের নাগালে! 🌱 শতভাগ দেশি অরিজিনাল চারা - চাষ করুন নিজের বাড়ির আঙিনায়, আর উপভোগ করুন তাজা চুই ঝালের স্বাদ! 🌶️ এখনই অর্ডার করুন! - সীমিত স্টক, তাই দেরি না করে অর্ডার করুন এখনই! #chuijhal #chui #চুইঝাল #চুই #ঝাল #গাছের_চারা
    0 Commentaires 0 Parts 287 Vue 0 Aperçu
  • চুইঝাল চারা #চুইঝাল #চুই #ঝাল #চারা
    চুইঝাল চারা #চুইঝাল #চুই #ঝাল #চারা
    Like
    1
    0 Commentaires 0 Parts 204 Vue 0 Aperçu
  • চুইঝাল গাছের চারা Créer
    ৳130
    En stock
    0 Aperçu
    খুলনার গর্ব! চুই ঝালের চারা এখন আপনার হাতের নাগালে!

    শতভাগ দেশি অরিজিনাল চারা - চাষ করুন নিজের বাড়ির আঙিনায়, আর উপভোগ করুন তাজা চুই ঝালের স্বাদ!

    এখনই অর্ডার করুন! - সীমিত স্টক, তাই দেরি না করে অর্ডার করুন এখনই!
    সারাদেশে হোম ডেলিভারি করা হয়।

    #chuijhal #chui
    #চুইঝাল
    #চুই
    #ঝাল
    #গাছের_চারা
    📣 খুলনার গর্ব! চুই ঝালের চারা এখন আপনার হাতের নাগালে! 🌱 শতভাগ দেশি অরিজিনাল চারা - চাষ করুন নিজের বাড়ির আঙিনায়, আর উপভোগ করুন তাজা চুই ঝালের স্বাদ! 🌶️ এখনই অর্ডার করুন! - সীমিত স্টক, তাই দেরি না করে অর্ডার করুন এখনই! সারাদেশে হোম ডেলিভারি করা হয়। #chuijhal #chui #চুইঝাল #চুই #ঝাল #গাছের_চারা
    Like
    1
    1 Commentaires 0 Parts 208 Vue 0 Aperçu
  • পাটগ্রামে পানির অভাবে আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষকেরা


    বাংলা দিনপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ় মাস শেষ হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পেরে চরম উদ্বেগে রয়েছেন। সময়মতো চারা রোপণ না হলে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

    তবে অনেক কৃষক বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটরচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার করে আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা আশানুরূপ লাভের আশা করছেন না।

    উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কৃষক তাদের জমি আমন রোপণের জন্য প্রস্তুত করলেও অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড রোদের কারণে সেই জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। জমিতে আগাছা বেড়ে গেছে, আর বীজতলায় পানি সংকটে ধানের চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় তা মরে যাওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি।

    উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাটগ্রাম উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

    বুড়িমারী ইউনিয়নের কৃষক রেজওয়ান হোসেন বলেন, “আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেল, এখনো বৃষ্টিপাত নেই। ধান লাগাতে পারছি না। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি।”

    একই এলাকার কৃষক তফিজুল ইসলাম বলেন, “কয়েকদিন ধরে কোনো বৃষ্টি নেই। বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে পানি তুলে চারা রোপণ করেছি। এতে খরচ অনেক বেশি হচ্ছে।”

    কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক শাকিল জানান, “মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি হয় না। প্রচণ্ড রোদের কারণে জমি ফেটে গেছে। বীজতলার চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কবে ধানের চারা রোপণ করব, তা নিয়েই চিন্তায় আছি।”

    এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল গাফফার বলেন, “আমন রোপণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে রোপণ হচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না। যাদের চারা ৩৫–৪০ দিন বয়স অতিক্রম করেছে, তাদেরকে সেচযন্ত্র ব্যবহার করে দ্রুত রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
    পাটগ্রামে পানির অভাবে আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না কৃষকেরা বাংলা দিনপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ় মাস শেষ হলেও এখনো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে না পেরে চরম উদ্বেগে রয়েছেন। সময়মতো চারা রোপণ না হলে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তবে অনেক কৃষক বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটরচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার করে আমন ধান রোপণ শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা আশানুরূপ লাভের আশা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কৃষক তাদের জমি আমন রোপণের জন্য প্রস্তুত করলেও অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড রোদের কারণে সেই জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। জমিতে আগাছা বেড়ে গেছে, আর বীজতলায় পানি সংকটে ধানের চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। চারার বয়স বেড়ে যাওয়ায় তা মরে যাওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক চাষি। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাটগ্রাম উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। বুড়িমারী ইউনিয়নের কৃষক রেজওয়ান হোসেন বলেন, “আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেল, এখনো বৃষ্টিপাত নেই। ধান লাগাতে পারছি না। বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি।” একই এলাকার কৃষক তফিজুল ইসলাম বলেন, “কয়েকদিন ধরে কোনো বৃষ্টি নেই। বীজতলার চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে পানি তুলে চারা রোপণ করেছি। এতে খরচ অনেক বেশি হচ্ছে।” কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক শাকিল জানান, “মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি হয় না। প্রচণ্ড রোদের কারণে জমি ফেটে গেছে। বীজতলার চারা লাল হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কবে ধানের চারা রোপণ করব, তা নিয়েই চিন্তায় আছি।” এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল গাফফার বলেন, “আমন রোপণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছুটা ধীরগতিতে রোপণ হচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না। যাদের চারা ৩৫–৪০ দিন বয়স অতিক্রম করেছে, তাদেরকে সেচযন্ত্র ব্যবহার করে দ্রুত রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
    0 Commentaires 0 Parts 171 Vue 0 Aperçu
  • যে কারণে সংঘটিত হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম হত্যাকাণ্ড?

    আদিপিতা হজরত আদম (আ.)-এর দুই সন্তান হাবিল ও কাবিলের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল । হাবিল কাবিল দুই ভাই ছিলেন। কাবিল ছিলেন বড়, হাবিল ছিলেন ছোট। 

    দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন এই দুই ভাই। সমাধানের জন্য কোরবানির আয়োজন করেন তারা। তাদের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা হাবিলের কোরবানী কবুল করেন আর কাবিলেরটি গ্রহণ হয়নি আল্লাহর দরবারে। এই ঘটনাকে নিজের জন্য লজ্জা ও অপমানজনক মনে করেন কাবিল। লজ্জা থেকে বাঁচতে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে কাবিল নিজের ভাইকে হত্যা করেন।

    হাবিল কাবিল এই দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ কী ছিল তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি । বেশির ভাগ ঐতিহাসিক এর পেছনে নারীঘটিত কারণ বর্ণনা করেন। এর ওপর ভিত্তি করে বলা হয়, ইতিহাসের প্রথম হত্যাকাণ্ডের পেছনে আছে একজন নারী। তবে গবেষক আলেমদের অনেকেই নারীঘটিত বিষয়টিকে বলেছেন ভিত্তিহীন।

    আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, আদম পুত্রদ্বয়ের দ্বন্দ্বের কারণ নারীঘটিত বিষয় না। এর প্রকৃত কারণ ছিল হিংসা বা পরশ্রীকাতরতা। 

    পবিত্র কোরআনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে এভাবে-
     
    ‘আপনি তাদের আদম পুত্রদ্বয়ের যথার্থ ঘটনা শুনিয়ে দিন। যখন তারা উভয়ে কোরবানি পেশ করল। অতঃপর তাদের একজনের কোরবানি কবুল হলো। কিন্তু অপরজনের কোরবানি কবুল হলো না।

    তখন একজন বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। জবাবে অপরজন বলল, আল্লাহ কেবল আল্লাহভীরুদের থেকেই কবুল করেন। যদি তুমি আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত বাড়াও, আমি তোমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত বাড়াব না। আমি বিশ্বপ্রভু আল্লাহকে ভয় করি। আমি মনে করি, এর ফলে তুমি আমাকে হত্যার পাপ ও তোমার অন্য পাপগুলোর বোঝা নিয়ে জাহান্নামবাসী হবে।

    আর সেটাই হলো অত্যাচারীদের কর্মফল। অতঃপর তার মন তাকে ভ্রাতৃহত্যায় প্ররোচিত করল এবং সে তাকে হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো। অতঃপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। যে মাটি খনন করতে লাগল এটা দেখানোর জন্য যে কিভাবে সে তার ভাইয়ের মৃতদেহ দাফন করবে। সে বলল, হায়! আমি কি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না, যাতে আমি আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দাফন করতে পারি। অতঃপর সে অনুতপ্ত হলো।
    (সুরা মায়িদা, আয়াত : ২৭-৩১)
    যে কারণে সংঘটিত হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম হত্যাকাণ্ড? আদিপিতা হজরত আদম (আ.)-এর দুই সন্তান হাবিল ও কাবিলের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল । হাবিল কাবিল দুই ভাই ছিলেন। কাবিল ছিলেন বড়, হাবিল ছিলেন ছোট।  দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন এই দুই ভাই। সমাধানের জন্য কোরবানির আয়োজন করেন তারা। তাদের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা হাবিলের কোরবানী কবুল করেন আর কাবিলেরটি গ্রহণ হয়নি আল্লাহর দরবারে। এই ঘটনাকে নিজের জন্য লজ্জা ও অপমানজনক মনে করেন কাবিল। লজ্জা থেকে বাঁচতে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে কাবিল নিজের ভাইকে হত্যা করেন। হাবিল কাবিল এই দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ কী ছিল তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি । বেশির ভাগ ঐতিহাসিক এর পেছনে নারীঘটিত কারণ বর্ণনা করেন। এর ওপর ভিত্তি করে বলা হয়, ইতিহাসের প্রথম হত্যাকাণ্ডের পেছনে আছে একজন নারী। তবে গবেষক আলেমদের অনেকেই নারীঘটিত বিষয়টিকে বলেছেন ভিত্তিহীন। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, আদম পুত্রদ্বয়ের দ্বন্দ্বের কারণ নারীঘটিত বিষয় না। এর প্রকৃত কারণ ছিল হিংসা বা পরশ্রীকাতরতা।  পবিত্র কোরআনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে এভাবে-   ‘আপনি তাদের আদম পুত্রদ্বয়ের যথার্থ ঘটনা শুনিয়ে দিন। যখন তারা উভয়ে কোরবানি পেশ করল। অতঃপর তাদের একজনের কোরবানি কবুল হলো। কিন্তু অপরজনের কোরবানি কবুল হলো না। তখন একজন বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। জবাবে অপরজন বলল, আল্লাহ কেবল আল্লাহভীরুদের থেকেই কবুল করেন। যদি তুমি আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত বাড়াও, আমি তোমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত বাড়াব না। আমি বিশ্বপ্রভু আল্লাহকে ভয় করি। আমি মনে করি, এর ফলে তুমি আমাকে হত্যার পাপ ও তোমার অন্য পাপগুলোর বোঝা নিয়ে জাহান্নামবাসী হবে। আর সেটাই হলো অত্যাচারীদের কর্মফল। অতঃপর তার মন তাকে ভ্রাতৃহত্যায় প্ররোচিত করল এবং সে তাকে হত্যা করল। ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো। অতঃপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। যে মাটি খনন করতে লাগল এটা দেখানোর জন্য যে কিভাবে সে তার ভাইয়ের মৃতদেহ দাফন করবে। সে বলল, হায়! আমি কি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না, যাতে আমি আমার ভাইয়ের মৃতদেহ দাফন করতে পারি। অতঃপর সে অনুতপ্ত হলো। (সুরা মায়িদা, আয়াত : ২৭-৩১)
    0 Commentaires 0 Parts 348 Vue 0 Aperçu
  • রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেটসংলগ্ন রাস্তায় গত ৯ জুলাই বিকেলে যুবদল কর্মী ও তার্কিত ‘কেবল‑ব্যবসায়ী’ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ -কে কু‑পিয়ে, লাথি ও ইট‑পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়।

    ঘটনার ধরণ—প্রাণহীন দেহ টানাহেঁচড়া করে রাস্তায় ফেলে বহুপদক্ষেপে পাথর দিয়ে আঘাত—সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান, যা দেশ জুড়ে শোক ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। 

    সোহাগ স্থানীয় ‘স্ক্র্যাপ কেবল’ ব্যবসার পাশাপাশি ৩০ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন—২৩ ডিসেম্বর ২০২৪‑এর ওয়ার্ড‑সভায় তাঁর মঞ্চে উপস্থিতির ছবি তার প্রমাণ। তবু ঘটনার পর থেকে পুলিশের প্রাথমিক ব্রিফিং ও অধিকাংশ জাতীয় গণমাধ্যম কলামে তাঁকে শুধুই ‘ব্যবসায়ী’ বলা হচ্ছে, রাজনীতিক পরিচয় গোপন রেখে। 

    ডিএমপি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অন্তত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ধৃতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ‘মোহিন’ ও তারেক রহমান ‘রবিন’ প্রধান অভিযুক্ত, যাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কেবল‑স্ক্র্যাপ চাঁদাবাজি ও এলাকার ‘সিন্ডিকেট’ দখলের দ্বন্দ্ব—যা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। 

    ● কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস‑নোট নেই: ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাত্মতা‑ঘোষণা ও নিন্দা‑বিবৃতি আসে ১১ জুলাই রাতে—দুই দিনের ব্যবধান। ততোক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। 

    ● ‘দায় ঝেড়ে ফেলা’ নাকি সুবিচারের পদক্ষেপ? পরে জুবোদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোট পাঁচ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্র বলছে, এর উদ্দেশ্য “পাপ ধুয়ে ফেলা”; সমালোচকরা বলছেন, বহিষ্কারের ঘোষণা একটি প্রতিরক্ষামূলক ‘ড্যামেজ‑কন্ট্রোল’, পূর্ণাঙ্গ আইনি সহায়তা বা পরিবার‑সন্তুষ্ট কোনো কর্মসূচি নয়। 

    হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা, সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা এবং ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধীর রক্ষা‑কম্বল’ উঠিয়ে ফেলা। বক্তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘বিলম্বিত ও ভঙ্গুর’ সাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানান। 

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এ ঘটনাকে বিএনপি‑সংশ্লিষ্ট সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে প্রজেক্ট করছে; বিপরীতে বিএনপি দাবি করছে—“আসল অপরাধীদের বিচার না করে দলীয় নাশকতার গল্প বানানো হচ্ছে”। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় পক্ষই রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষছে, যা স্বচ্ছ তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

    সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে—“রাজনৈতিক পরিচয়ের দ্বন্দ্বে কেউ সঠিক সাপোর্ট দিচ্ছে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভিডিও ফুটেজে যেভাবে দেহ ও সম্মান লাঞ্ছিত হয়েছে, তা ‘ক্রিমিনাল সাইকোলজির’ উদাহরণ; দ্রুত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ গঠন জরুরি।

    কী করা জরুরি?

    নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন—রাজনৈতিক চাপমুক্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে।

    ভিকটিম‑সহায়তা তহবিল—পরিবারের আইনি ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে।

    দলীয় ‘চেক‑অ্যান্ড‑ব্যালান্স’ নীতি—অন্তর্দলীয় অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও আগাম শাস্তি‑কাঠামো।

    চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভাঙতে সমন্বিত অভিযান—ডিএমপি, র‍্যাব, সিটি কর্পোরেশন ও বিটিআরসি।

    পাবলিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম—মামলার অগ্রগতি অনলাইনে হালনাগাদ করে জন‑জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


    চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ‑এর রক্তাক্ত মৃত্যু কেবল একটি নৃশংস হত্যা নয়; এটি রাজধানীর বুকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধ‑ইকো‑সিস্টেমের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি‑যুবদল‑ছাত্রদল—যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলে গর্ব করত—তারাই আজ সোহাগের মৃতদেহের চেয়েও দ্রুত নিজের ‘ইমেজ’ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর শাসক‑দল একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ‘অপর‑দলীয় সন্ত্রাস’ লেবেল সেঁটে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর। এই টানাপড়েনে ন্যায়বিচার যেন ছিটকে না পড়ে—এটাই এখন সর্বজনীন দাবি।
    রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেটসংলগ্ন রাস্তায় গত ৯ জুলাই বিকেলে যুবদল কর্মী ও তার্কিত ‘কেবল‑ব্যবসায়ী’ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ -কে কু‑পিয়ে, লাথি ও ইট‑পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ধরণ—প্রাণহীন দেহ টানাহেঁচড়া করে রাস্তায় ফেলে বহুপদক্ষেপে পাথর দিয়ে আঘাত—সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান, যা দেশ জুড়ে শোক ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়।  সোহাগ স্থানীয় ‘স্ক্র্যাপ কেবল’ ব্যবসার পাশাপাশি ৩০ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন—২৩ ডিসেম্বর ২০২৪‑এর ওয়ার্ড‑সভায় তাঁর মঞ্চে উপস্থিতির ছবি তার প্রমাণ। তবু ঘটনার পর থেকে পুলিশের প্রাথমিক ব্রিফিং ও অধিকাংশ জাতীয় গণমাধ্যম কলামে তাঁকে শুধুই ‘ব্যবসায়ী’ বলা হচ্ছে, রাজনীতিক পরিচয় গোপন রেখে।  ডিএমপি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অন্তত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ধৃতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ‘মোহিন’ ও তারেক রহমান ‘রবিন’ প্রধান অভিযুক্ত, যাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কেবল‑স্ক্র্যাপ চাঁদাবাজি ও এলাকার ‘সিন্ডিকেট’ দখলের দ্বন্দ্ব—যা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।  ● কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস‑নোট নেই: ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাত্মতা‑ঘোষণা ও নিন্দা‑বিবৃতি আসে ১১ জুলাই রাতে—দুই দিনের ব্যবধান। ততোক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে।  ● ‘দায় ঝেড়ে ফেলা’ নাকি সুবিচারের পদক্ষেপ? পরে জুবোদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোট পাঁচ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্র বলছে, এর উদ্দেশ্য “পাপ ধুয়ে ফেলা”; সমালোচকরা বলছেন, বহিষ্কারের ঘোষণা একটি প্রতিরক্ষামূলক ‘ড্যামেজ‑কন্ট্রোল’, পূর্ণাঙ্গ আইনি সহায়তা বা পরিবার‑সন্তুষ্ট কোনো কর্মসূচি নয়।  হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা, সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা এবং ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধীর রক্ষা‑কম্বল’ উঠিয়ে ফেলা। বক্তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘বিলম্বিত ও ভঙ্গুর’ সাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানান।  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এ ঘটনাকে বিএনপি‑সংশ্লিষ্ট সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে প্রজেক্ট করছে; বিপরীতে বিএনপি দাবি করছে—“আসল অপরাধীদের বিচার না করে দলীয় নাশকতার গল্প বানানো হচ্ছে”। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় পক্ষই রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষছে, যা স্বচ্ছ তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে—“রাজনৈতিক পরিচয়ের দ্বন্দ্বে কেউ সঠিক সাপোর্ট দিচ্ছে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভিডিও ফুটেজে যেভাবে দেহ ও সম্মান লাঞ্ছিত হয়েছে, তা ‘ক্রিমিনাল সাইকোলজির’ উদাহরণ; দ্রুত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ গঠন জরুরি। কী করা জরুরি? নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন—রাজনৈতিক চাপমুক্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে। ভিকটিম‑সহায়তা তহবিল—পরিবারের আইনি ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে। দলীয় ‘চেক‑অ্যান্ড‑ব্যালান্স’ নীতি—অন্তর্দলীয় অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও আগাম শাস্তি‑কাঠামো। চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভাঙতে সমন্বিত অভিযান—ডিএমপি, র‍্যাব, সিটি কর্পোরেশন ও বিটিআরসি। পাবলিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম—মামলার অগ্রগতি অনলাইনে হালনাগাদ করে জন‑জবাবদিহি নিশ্চিত করা। চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ‑এর রক্তাক্ত মৃত্যু কেবল একটি নৃশংস হত্যা নয়; এটি রাজধানীর বুকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধ‑ইকো‑সিস্টেমের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি‑যুবদল‑ছাত্রদল—যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলে গর্ব করত—তারাই আজ সোহাগের মৃতদেহের চেয়েও দ্রুত নিজের ‘ইমেজ’ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর শাসক‑দল একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ‘অপর‑দলীয় সন্ত্রাস’ লেবেল সেঁটে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর। এই টানাপড়েনে ন্যায়বিচার যেন ছিটকে না পড়ে—এটাই এখন সর্বজনীন দাবি।
    0 Commentaires 0 Parts 291 Vue 0 Aperçu
  • আগৈলঝাড়ায় ইউএনও অফিসে ‘মালি’র দাপট! জন্মনিবন্ধন থেকে গোপন নথি—সবকিছুতেই হাত
    আগৈলঝাড়ায় ইউএনও অফিসে ‘মালি’র দাপট! জন্মনিবন্ধন থেকে গোপন নথি—সবকিছুতেই হাত
    0 Commentaires 0 Parts 145 Vue 0 Aperçu
  • পাবনার আটঘরিয়ায় ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার আশ্বাসে এক নারীকে জামায়াত নেতার কু-প্রস্তাব! এলাকায় সমালোচনার ঝড়।
    পাবনার আটঘরিয়ায় ভিজিএফ কার্ড দেওয়ার আশ্বাসে এক নারীকে জামায়াত নেতার কু-প্রস্তাব! এলাকায় সমালোচনার ঝড়।
    0 Commentaires 0 Parts 216 Vue 18 0 Aperçu
  • দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
    দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
    Like
    1
    0 Commentaires 0 Parts 285 Vue 0 Aperçu
Plus de résultats
Eidok App https://eidok.com