• জবি ছাত্রদল নেতার জানাজায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নেতৃবৃন্দ.. | আই নিউজ বিডি
    জবি ছাত্রদল নেতার জানাজায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নেতৃবৃন্দ.. | আই নিউজ বিডি
    EYENEWSBD.COM
    জবি ছাত্রদল নেতার জানাজায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নেতৃবৃন্দ.. | আই নিউজ বিডি
    The death of Hasibur Rahman, a key leader of Jagannath University’s Chhatra Dal, has plunged the campus into mourning. Top leaders of Chhatra Dal, Chhatra Shibir, and DUCSU attended his funeral, payin..
    0 Commentarii 0 Distribuiri 520 Views 0 previzualizare
  • সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

    খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বিবৃতি

    ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (রবিবার): গত ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মূল এবং অঙ্গসংগঠন সমূহ দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে তিন জন নিহত সহ বেশ কিছু এলাকাবাসী আহত হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এর ঘটনার এক বছর পূর্তি হিসাবে এই বছর ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল এর আয়োজন করে এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করে।

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর দাবিকৃত সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হয়। ঘটনাটির সত্যতা বিচারে আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। শয়ন শীলকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর অঙ্গসংগঠন পিসিপি এর নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর আহ্বানে খাগড়াছড়িতে অর্ধবেলা হরতাল পালিত হয়। একই সময় দেশে বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার এবং পার্বত্য অঞ্চলের কিছু দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ কর্তৃক অনলাইনে বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়।

    গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর কর্মী উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে এবং সামাজিক মাধ্যমে দেশী ও প্রবাসী ব্লগারসহ পার্বত্য জেলার কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির উস্কানিমূলক প্রচারণার প্রভাবে সমগ্র খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ এর প্ররোচনায় উশৃঙ্খল এলাকাবাসী টহলরত সেনাদলের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলশ্রুতিতে তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি এবং উসকানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য, সংযম ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।

    গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা আবারো দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে বাঙালি সহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ এবং রাস্তা অবরোধসহ নাশকতা করে সমগ্র খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায়। উক্ত দিন দুপুর নাগাদ সামগ্রিক বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালির একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। অবস্থা বিচারে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্য্যের সাথে সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং একটি অবশ্যম্ভাবী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়।

    খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। আজ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ইউপিডিএফ কর্মী এবং সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া তে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ০৩ জন অফিসারসহ ১০ জন সদস্য আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে রামসু বাজারের পশ্চিম দিকে অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র দলের সদস্যরা ৪/৫ বার অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পাহাড়ি, বাঙালি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে, ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর টহল দল দ্রুত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গমন করে। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় উক্ত সশস্ত্র দলটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

    সমসাময়িক সময়ে রামসু বাজার এবং ঘরবাড়িতে ইউপিডিএফ (মূল) এর বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করে এবং বাঙালিদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামসু বাজার এবং গুইমারা এলাকায় অতিরিক্ত সেনাদল নিয়োগ করা হয় এবং বিকাল ৪.৩০ মিনিটের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    বিগত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার মহিলা এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। একই সাথে পার্বত্যাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক স্থাপিত চেকপোস্টে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক পরিবহনকৃত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র যাত্রীবাহী বাস হতে জব্দ করা হয়।

    বিগত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং গুইমারা এলাকায় বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের বিষয়টি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সংরক্ষিত আছে। বিগত কয়েকদিনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে সংযত আচরণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সকল ধরণের অপপ্রচার, মিথ্যা প্রচারণা, উস্কানিমূলক কর্মকান্ড সত্ত্বেও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য এই অংশের অখন্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কে সেনাবাহিনীর বিবৃতি ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (রবিবার): গত ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চালক মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) মূল এবং অঙ্গসংগঠন সমূহ দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ফলশ্রুতিতে তিন জন নিহত সহ বেশ কিছু এলাকাবাসী আহত হয়। গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এর ঘটনার এক বছর পূর্তি হিসাবে এই বছর ইউপিডিএফ এবং এর সহযোগী সংগঠনসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল এর আয়োজন করে এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রাতে খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালা এলাকায় এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর দাবিকৃত সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হয়। ঘটনাটির সত্যতা বিচারে আইনি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। শয়ন শীলকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও ইউপিডিএফ এর অঙ্গসংগঠন পিসিপি এর নেতা উখ্যানু মারমা ‘জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর আহ্বানে খাগড়াছড়িতে অর্ধবেলা হরতাল পালিত হয়। একই সময় দেশে বিদেশে অবস্থানরত ব্লগার এবং পার্বত্য অঞ্চলের কিছু দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গ কর্তৃক অনলাইনে বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এর কর্মী উখ্যানু মারমার নেতৃত্বে এবং সামাজিক মাধ্যমে দেশী ও প্রবাসী ব্লগারসহ পার্বত্য জেলার কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির উস্কানিমূলক প্রচারণার প্রভাবে সমগ্র খাগড়াছড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধ চলাকালে এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ এর প্ররোচনায় উশৃঙ্খল এলাকাবাসী টহলরত সেনাদলের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলশ্রুতিতে তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়। সার্বিক পরিস্থিতি এবং উসকানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য্য, সংযম ও মানবিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ইউপিডিএফ এবং অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা আবারো দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় এবং বিভিন্ন স্থানে বাঙালি সহ সাধারণ মানুষের উপর গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ এবং রাস্তা অবরোধসহ নাশকতা করে সমগ্র খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটায়। উক্ত দিন দুপুর নাগাদ সামগ্রিক বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালির একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। অবস্থা বিচারে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাগড়াছড়ি ও গুইমারা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্য্যের সাথে সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং একটি অবশ্যম্ভাবী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভবপর হয়। খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ আজ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। আজ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ইউপিডিএফ কর্মী এবং সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া তে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ০৩ জন অফিসারসহ ১০ জন সদস্য আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে রামসু বাজারের পশ্চিম দিকে অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র দলের সদস্যরা ৪/৫ বার অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত পাহাড়ি, বাঙালি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে, ঘটনাস্থলে সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। এমতাবস্থায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর টহল দল দ্রুত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করার লক্ষ্যে উক্ত এলাকায় গমন করে। সেনাবাহিনীর তৎপরতায় উক্ত সশস্ত্র দলটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। সমসাময়িক সময়ে রামসু বাজার এবং ঘরবাড়িতে ইউপিডিএফ (মূল) এর বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করে এবং বাঙালিদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রামসু বাজার এবং গুইমারা এলাকায় অতিরিক্ত সেনাদল নিয়োগ করা হয় এবং বিকাল ৪.৩০ মিনিটের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে এটি স্পষ্ট যে, ইউপিডিএফ এবং তার অঙ্গসংগঠন সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে এলাকার মহিলা এবং স্কুলগামী কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পন্থায় তাদের নাশকতামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে বাধ্য করছে। একই সাথে পার্বত্যাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে বিজিবির কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক স্থাপিত চেকপোস্টে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক পরিবহনকৃত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র যাত্রীবাহী বাস হতে জব্দ করা হয়। বিগত ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি এবং গুইমারা এলাকায় বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠনের বিষয়টি একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণাদি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সংরক্ষিত আছে। বিগত কয়েকদিনের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জাতিগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণকে সংযত আচরণ করার জন্য আহবান জানাচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগীতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সকল ধরণের অপপ্রচার, মিথ্যা প্রচারণা, উস্কানিমূলক কর্মকান্ড সত্ত্বেও সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য এই অংশের অখন্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী যে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • জবানবন্দি পেশ করলো নাহিদ ইসলাম
    https://eyenewsbd.com/articles/read/jbanbndi-pesh-krlo-nahid-islam_22417.html
    জবানবন্দি পেশ করলো নাহিদ ইসলাম https://eyenewsbd.com/articles/read/jbanbndi-pesh-krlo-nahid-islam_22417.html
    EYENEWSBD.COM
    জবানবন্দি পেশ করলো নাহিদ ইসলাম | আই নিউজ বিডি
    ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ..
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 0 previzualizare
  • আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

    আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।

    ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

    দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে।

    কনটেন্টের গুণগত মান:

    ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা:

    অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে।

    থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।

    বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে।

    ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা:

    বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না।

    শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

    ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা।

    কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    চূড়ান্ত সতর্কতা:

    প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

    আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

    আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই।

    এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

    কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে। কনটেন্টের গুণগত মান: ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা: অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে। থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে। বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে। ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা: বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না। শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম। তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা। কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 🚫 চূড়ান্ত সতর্কতা: প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে। আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    Love
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 4K Views 0 previzualizare
  • গোবিন্দগঞ্জের কৃতি সন্তান ডা. সুজাউদ্দৌলা
    সুজার নামাযে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন
    রিপোর্টার: খায়রুল ইসলাম চীফ রিপোর্টার
    গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান প্রখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.সুজাউদ্দৌলা সুজার প্রথম নামাযে জানাযা রংপুর মেডিকেল কলেজ চত্তরে আজ সকাল ১০ টায় ও ২ য় নামাযে জানাযা দুপুর ২টায় দরবস্ত ইউনিয়নের কালিতলা দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মরহুম ডা. সুজাউদ্দৌলা নীলফামারী মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
    ২০ আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮টায় হার্ডঅ্যাটাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃ'ত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার নামাজে জানাজা শেষে দরবস্ত ইউনিয়নের দূর্গাপুর কালিতলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
    মরহুমের নামাযে জানাযায় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপ্রান মুসল্লী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    মহান আল্লাহ যেন, তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নাসিব করেন, এজন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, ডা. সুজাউদ্দৌলা সুজা সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম আলহাজ্ব জব্বার আলী মাস্টারের দ্বিতীয় সন্তান এবং দরবস্ত ইউপির চেয়ারম্যান আ.র.ম শরিফুল ইসলামের বড় ভাই। তিনি গোবিন্দগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি ১৯৮০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
    গোবিন্দগঞ্জের কৃতি সন্তান ডা. সুজাউদ্দৌলা সুজার নামাযে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন রিপোর্টার: খায়রুল ইসলাম চীফ রিপোর্টার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃতিসন্তান প্রখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.সুজাউদ্দৌলা সুজার প্রথম নামাযে জানাযা রংপুর মেডিকেল কলেজ চত্তরে আজ সকাল ১০ টায় ও ২ য় নামাযে জানাযা দুপুর ২টায় দরবস্ত ইউনিয়নের কালিতলা দূর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরহুম ডা. সুজাউদ্দৌলা নীলফামারী মেডিকেল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রংপুর মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ২০ আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮টায় হার্ডঅ্যাটাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃ'ত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার নামাজে জানাজা শেষে দরবস্ত ইউনিয়নের দূর্গাপুর কালিতলা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। মরহুমের নামাযে জানাযায় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপ্রান মুসল্লী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মহান আল্লাহ যেন, তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নাসিব করেন, এজন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডা. সুজাউদ্দৌলা সুজা সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম আলহাজ্ব জব্বার আলী মাস্টারের দ্বিতীয় সন্তান এবং দরবস্ত ইউপির চেয়ারম্যান আ.র.ম শরিফুল ইসলামের বড় ভাই। তিনি গোবিন্দগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি ১৯৮০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন।।

    জাকির হোসেন।। ।আজ (১৯ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের থানা মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুষ্টিয়া জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুন নাহার সীমা ও সাধারণ সম্পাদক মীর রকিবুল ইসলাম। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব খুলনা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি স্বপন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এন এইস সোহান, সহ-সভাপতি জীবন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রাজু ,কুমারখালী উপজেলা শাখার সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন হারুন আর রশিদ কুষ্টিয়া জেলা বি.এন এফ সংগঠনিক সম্পাদক ও এই দেশ পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক প্রতিজ্ঞা পত্রিকার শহর প্রতিনিধি মোঃ বক্কর হোসেন বাপ্পি
    এছাড়া বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম হাসান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ, বাংলাদেশ পোষ্ট এর সাংবাদিক দেলোয়ার কবির সহ আরও অনেকে। উপস্থাপনা করেন এস এস রুশদী, বিসনেস ফাইলের সহ সম্পাদক

    বক্তারা বলেন, সাংবাদিক তুহিনকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা শুধু একজন সংবাদকর্মীকে হারানো নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলা, হত্যা, মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সত্যকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র চরম সংকটে পড়বে।”

    তারা অবিলম্বে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন এবং দেশব্যাপী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। একইসাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগানে স্লোগানে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
    গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন।। জাকির হোসেন।। ।আজ (১৯ আগস্ট ২০২৫) সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুষ্টিয়া জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের থানা মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুষ্টিয়া জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুন নাহার সীমা ও সাধারণ সম্পাদক মীর রকিবুল ইসলাম। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব খুলনা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি স্বপন মাহমুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি এন এইস সোহান, সহ-সভাপতি জীবন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক নাজিম উদ্দিন রাজু ,কুমারখালী উপজেলা শাখার সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন হারুন আর রশিদ কুষ্টিয়া জেলা বি.এন এফ সংগঠনিক সম্পাদক ও এই দেশ পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক প্রতিজ্ঞা পত্রিকার শহর প্রতিনিধি মোঃ বক্কর হোসেন বাপ্পি এছাড়া বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম হাসান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ, বাংলাদেশ পোষ্ট এর সাংবাদিক দেলোয়ার কবির সহ আরও অনেকে। উপস্থাপনা করেন এস এস রুশদী, বিসনেস ফাইলের সহ সম্পাদক বক্তারা বলেন, সাংবাদিক তুহিনকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা শুধু একজন সংবাদকর্মীকে হারানো নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। সাংবাদিকদের উপর একের পর এক হামলা, হত্যা, মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে সত্যকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র চরম সংকটে পড়বে।” তারা অবিলম্বে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন এবং দেশব্যাপী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। একইসাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগানে স্লোগানে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
    Angry
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ৪,৩৭৫ পিস ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    জাকির হোসেন।। র‌্যাব-১২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ায় বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪,৩৭৫ পিস ইয়াবা সহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

    বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, পিপিএম এর নেতৃত্বে সদর থানাধীন এনএস রোড এবং এসবিপি রোড এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

    অভিযানে ৪,৩৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৩,১২,৫০০/- (তেরো লক্ষ বারো হাজার পাঁচশত) টাকা। এছাড়াও আসামির কাছ থেকে ০২টি মোবাইল ফোন, ০৩টি সিমকার্ড এবং নগদ ১০,১২০/- (দশ হাজার একশ বিশ) টাকা জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মোঃ সনি (৩৭), পিতা মোঃ আব্দুস সাত্তার, মাতা মোছাঃ নাছিমা খাতুন, সাং - কুলনিয়া, পোস্ট - দোগাছী, থানা - পাবনা সদর, জেলা - পাবনা।

    পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কুষ্টিয়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    র‌্যাবের এই সফল অভিযানে মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতা আরও জোরদার হলো। র‌্যাব জানায়, সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে তাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
    কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ৪,৩৭৫ পিস ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার। জাকির হোসেন।। র‌্যাব-১২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ায় বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪,৩৭৫ পিস ইয়াবা সহ এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, পিপিএম এর নেতৃত্বে সদর থানাধীন এনএস রোড এবং এসবিপি রোড এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৪,৩৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৩,১২,৫০০/- (তেরো লক্ষ বারো হাজার পাঁচশত) টাকা। এছাড়াও আসামির কাছ থেকে ০২টি মোবাইল ফোন, ০৩টি সিমকার্ড এবং নগদ ১০,১২০/- (দশ হাজার একশ বিশ) টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মোঃ সনি (৩৭), পিতা মোঃ আব্দুস সাত্তার, মাতা মোছাঃ নাছিমা খাতুন, সাং - কুলনিয়া, পোস্ট - দোগাছী, থানা - পাবনা সদর, জেলা - পাবনা। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কুষ্টিয়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। র‌্যাবের এই সফল অভিযানে মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতা আরও জোরদার হলো। র‌্যাব জানায়, সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে তাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 892 Views 0 previzualizare
  • টাঙ্গাইলে প্রকাশ্যে আজকে বিকেলে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে, ঘটনাস্থল যৌথ বাহিনী ঘিরে রেখেছে...
    সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাহ কি চমৎকার
    টাঙ্গাইলে প্রকাশ্যে আজকে বিকেলে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে, ঘটনাস্থল যৌথ বাহিনী ঘিরে রেখেছে... সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাহ কি চমৎকার 😭😭😭
    0 Commentarii 0 Distribuiri 618 Views 17 0 previzualizare
  • সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!...

    শাহাদাত হোসেন (রাকিব)::
    পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।

    ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।

    ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’
    ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’

    সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের:
    অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়।

    ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না:
    অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।

    স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার:
    ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

    নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান:

    ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন।

    ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
    ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’
    অভিযোগ দায়ের

    ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন।

    অপরাধ ও শাস্তি

    অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।

    সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা

    ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’

    অপরাধের বিচার

    ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।

    ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।

    মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি

    কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক

    ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!... শাহাদাত হোসেন (রাকিব):: পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব। ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’ ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের: অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়। ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার: ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান: ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’ অভিযোগ দায়ের ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন। অপরাধ ও শাস্তি অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে। সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ অপরাধের বিচার ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    Like
    1
    1 Commentarii 0 Distribuiri 3K Views 0 previzualizare
  • গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাহসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নাগরপুর প্রেসক্লাবের  উদ্যোগে আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলা গেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    গাজীপুরে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সাহসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নাগরপুর প্রেসক্লাবের  উদ্যোগে আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলা গেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 823 Views 10 0 previzualizare
  • নিউজের ভাষা: আদর্শ, গুরুত্ব এবং আই নিউজ বিডি’র প্রত্যাশা

    সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দিক হলো ‘ভাষা’। সংবাদ হলো তথ্যের ভাষান্তর এবং এর মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের কাছে সত্য ও তথ্য পৌঁছায়। সুতরাং সংবাদ ভাষার গুণগত মান, প্রাসঙ্গিকতা ও সামঞ্জস্য অপরিহার্য।

    নিউজের ভাষা শুধুমাত্র শব্দ ও বাক্যের সমষ্টি নয়, এটি সমাজ ও মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সঠিক ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    আই নিউজ বিডি, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের কথা তুলে ধরতে কাজ করে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমাদের নিউজের ভাষা হবে স্পষ্ট, সরল, প্রাসঙ্গিক ও মানুষের হৃদয়স্পর্শী।

    ১। নিউজের ভাষার গুরুত্ব
    ১.১ তথ্যের স্পষ্টতা এবং সহজবোধ্যতা
    সংবাদ পাঠক বা দর্শকের কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম। যদি ভাষা কঠিন বা জটিল হয়, তাহলে পাঠক তার বার্তা বুঝতে পারেনা। তাই নিউজের ভাষা সহজ ও পরিষ্কার হতে হবে।

    ১.২ বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা
    ভাষার স্বচ্ছতা ও স্বাভাবিকতা সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। শব্দের যথার্থ ব্যবহার পাঠককে প্রভাবিত করে, তাদের মনে স্বচ্ছন্দ বোধ তৈরি করে।

    ১.৩ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব
    ভাষার ব্যবহারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা থাকে। সরল ভাষায় লেখা সংবাদ জনগণকে সচেতন করে, সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে।

    ২। নিউজে ভাষার আদর্শ বৈশিষ্ট্য
    ২.১ সরলতা (Simplicity)
    সহজ ও পরিষ্কার শব্দ ব্যবহার।

    কমপ্লেক্স বাক্য এড়িয়ে চলা।

    টেকনিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ সীমিত করা।

    ২.২ নিরপেক্ষতা (Neutrality)
    সংবাদ ভাষায় ব্যক্তিগত মতামত বা পক্ষপাত দেখানো যাবে না।

    পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    ২.৩ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    সংবাদ বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন।

    জনসাধারণের বোঝার উপযোগী ভাষা।

    ২.৪ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা পরিহার।

    তথ্যের সঠিক পরিমাণ উপস্থাপন।

    ২.৫ প্রাঞ্জলতা (Clarity)
    পরিষ্কার বাক্যগঠন।

    তথ্যের সঠিক বিন্যাস।

    ২.৬ পাঠক বান্ধবতা (Readability)
    বাক্যের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা।

    সংযমিত শব্দচয়ন।

    ৩। নিউজে ভাষার ভুল ও ঝুঁকি
    ৩.১ অতিরিক্ত প্রচ্ছদ (Sensationalism)
    অতিরঞ্জিত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন যা সত্যতা ক্ষুণ্ণ করে।

    মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি।

    ৩.২ পক্ষপাতিত্ব ও অশালীন ভাষা
    নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাওয়া।

    অপপ্রচার ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি।

    ৩.৩ ভাষাগত ভুল ও বানান ভুল
    ভুল বানান, বাক্যগঠন পাঠকের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে।

    ৪। আই নিউজ বিডি’তে নিউজের ভাষা নিয়ে প্রত্যাশা
    ৪.১ জনগণের ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন
    আই নিউজ বিডি চায়, সংবাদ যেন জনগণের ভাষায় হয়।

    কঠিন কিংবা উচ্চাঙ্গীভাষা নয়, জনসাধারণের বোঝার ভাষায়।

    ৪.২ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব
    দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সম্মান।

    আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশনের প্রতি উৎসাহ প্রদান।

    ৪.৩ তথ্যভিত্তিক ও মানবিক ভাষা
    তথ্যের যথার্থতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ।

    দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা।

    ৪.৪ সঠিক ও দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার
    খবর প্রকাশে সঠিক শব্দচয়ন।

    বিভ্রান্তি এড়ানো এবং নৈতিকতা রক্ষা।

    ৫। কিভাবে আই নিউজ বিডির রিপোর্টাররা নিউজের ভাষায় উৎকর্ষতা আনবেন?
    ৫.১ ভাষার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন
    নিয়মিত ভাষাগত প্রশিক্ষণ।

    লেখার ওপর ফোকাস।

    ৫.২ রিভিউ ও সম্পাদনার গুরুত্ব
    রিপোর্ট পাঠানোর আগে সম্পাদনা।

    সহকর্মী ও সম্পাদকদের পরামর্শ গ্রহণ।

    ৫.৩ ফিডব্যাক গ্রহণ ও উন্নয়ন
    পাঠক ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ।

    ভাষাগত উন্নয়নে নিজেকে সাজানো।

    নিউজের ভাষা হলো সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। স্পষ্ট, সহজ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভাষার মাধ্যমে সংবাদ শুধু তথ্য পৌঁছে দেয় না, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আই নিউজ বিডি’র জন্য নিউজের ভাষা মানে কেবল শব্দ নয়, এটি হলো আমাদের দায়িত্ব, সেবা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
    নিউজের ভাষা: আদর্শ, গুরুত্ব এবং আই নিউজ বিডি’র প্রত্যাশা সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দিক হলো ‘ভাষা’। সংবাদ হলো তথ্যের ভাষান্তর এবং এর মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের কাছে সত্য ও তথ্য পৌঁছায়। সুতরাং সংবাদ ভাষার গুণগত মান, প্রাসঙ্গিকতা ও সামঞ্জস্য অপরিহার্য। নিউজের ভাষা শুধুমাত্র শব্দ ও বাক্যের সমষ্টি নয়, এটি সমাজ ও মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সঠিক ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আই নিউজ বিডি, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের কথা তুলে ধরতে কাজ করে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমাদের নিউজের ভাষা হবে স্পষ্ট, সরল, প্রাসঙ্গিক ও মানুষের হৃদয়স্পর্শী। ১। নিউজের ভাষার গুরুত্ব ১.১ তথ্যের স্পষ্টতা এবং সহজবোধ্যতা সংবাদ পাঠক বা দর্শকের কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম। যদি ভাষা কঠিন বা জটিল হয়, তাহলে পাঠক তার বার্তা বুঝতে পারেনা। তাই নিউজের ভাষা সহজ ও পরিষ্কার হতে হবে। ১.২ বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা ভাষার স্বচ্ছতা ও স্বাভাবিকতা সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। শব্দের যথার্থ ব্যবহার পাঠককে প্রভাবিত করে, তাদের মনে স্বচ্ছন্দ বোধ তৈরি করে। ১.৩ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ভাষার ব্যবহারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা থাকে। সরল ভাষায় লেখা সংবাদ জনগণকে সচেতন করে, সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে। ২। নিউজে ভাষার আদর্শ বৈশিষ্ট্য ২.১ সরলতা (Simplicity) সহজ ও পরিষ্কার শব্দ ব্যবহার। কমপ্লেক্স বাক্য এড়িয়ে চলা। টেকনিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ সীমিত করা। ২.২ নিরপেক্ষতা (Neutrality) সংবাদ ভাষায় ব্যক্তিগত মতামত বা পক্ষপাত দেখানো যাবে না। পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলা। ২.৩ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) সংবাদ বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন। জনসাধারণের বোঝার উপযোগী ভাষা। ২.৪ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা পরিহার। তথ্যের সঠিক পরিমাণ উপস্থাপন। ২.৫ প্রাঞ্জলতা (Clarity) পরিষ্কার বাক্যগঠন। তথ্যের সঠিক বিন্যাস। ২.৬ পাঠক বান্ধবতা (Readability) বাক্যের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। সংযমিত শব্দচয়ন। ৩। নিউজে ভাষার ভুল ও ঝুঁকি ৩.১ অতিরিক্ত প্রচ্ছদ (Sensationalism) অতিরঞ্জিত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন যা সত্যতা ক্ষুণ্ণ করে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি। ৩.২ পক্ষপাতিত্ব ও অশালীন ভাষা নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাওয়া। অপপ্রচার ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি। ৩.৩ ভাষাগত ভুল ও বানান ভুল ভুল বানান, বাক্যগঠন পাঠকের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে। ৪। আই নিউজ বিডি’তে নিউজের ভাষা নিয়ে প্রত্যাশা ৪.১ জনগণের ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন আই নিউজ বিডি চায়, সংবাদ যেন জনগণের ভাষায় হয়। কঠিন কিংবা উচ্চাঙ্গীভাষা নয়, জনসাধারণের বোঝার ভাষায়। ৪.২ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সম্মান। আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশনের প্রতি উৎসাহ প্রদান। ৪.৩ তথ্যভিত্তিক ও মানবিক ভাষা তথ্যের যথার্থতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ। দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। ৪.৪ সঠিক ও দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার খবর প্রকাশে সঠিক শব্দচয়ন। বিভ্রান্তি এড়ানো এবং নৈতিকতা রক্ষা। ৫। কিভাবে আই নিউজ বিডির রিপোর্টাররা নিউজের ভাষায় উৎকর্ষতা আনবেন? ৫.১ ভাষার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন নিয়মিত ভাষাগত প্রশিক্ষণ। লেখার ওপর ফোকাস। ৫.২ রিভিউ ও সম্পাদনার গুরুত্ব রিপোর্ট পাঠানোর আগে সম্পাদনা। সহকর্মী ও সম্পাদকদের পরামর্শ গ্রহণ। ৫.৩ ফিডব্যাক গ্রহণ ও উন্নয়ন পাঠক ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ। ভাষাগত উন্নয়নে নিজেকে সাজানো। নিউজের ভাষা হলো সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। স্পষ্ট, সহজ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভাষার মাধ্যমে সংবাদ শুধু তথ্য পৌঁছে দেয় না, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আই নিউজ বিডি’র জন্য নিউজের ভাষা মানে কেবল শব্দ নয়, এটি হলো আমাদের দায়িত্ব, সেবা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
    Love
    3
    0 Commentarii 0 Distribuiri 3K Views 0 previzualizare
  • একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা

    জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়।

    আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।

    ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য
    ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy)
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে।

    তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে।

    ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

    গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে।

    ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity)
    রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না।

    সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত।

    প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি।

    সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত।

    ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness)
    রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে।

    কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H)

    ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন।

    ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত।

    খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে।

    জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত।

    ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability)
    সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা।

    কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা।

    ১.৬ গঠন (Structure)
    একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে।

    পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু।

    মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে।

    উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ।

    ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে।

    বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা।

    ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics)
    কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না।

    ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
    ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি
    কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা।

    প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি।

    ২.২ তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ।

    সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ।

    প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ।

    ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই
    তথ্যের সত্যতা যাচাই।

    বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা।

    ২.৪ প্রতিবেদন লেখা
    সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা।

    মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন।

    ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা
    বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা।

    সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং।

    ২.৬ প্রকাশ
    সময়োপযোগী প্রকাশ।

    মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)।

    ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়?
    আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে:

    ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা
    তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা।

    কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না।

    নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা।

    ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন
    নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা।

    নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো।

    হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া।

    ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ
    শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

    পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা।

    ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
    মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা।

    সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা।

    ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা
    ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন।

    ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা
    ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা
    অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা।

    ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার
    কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা।

    ৪.৩ দায়িত্বশীলতা
    ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।

    ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা।

    ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা
    আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

    একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ও আই নিউজ বিডি এর প্রত্যাশা জার্নালিজমের মূল ভিত্তি হলো সত্য, নিরপেক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা। একটি প্রতিবেদনের মান বিচার করা হয় তার তথ্যের সঠিকতা, বিশ্লেষণক্ষমতা, পাঠকের কাছে সহজবোধ্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতার উপর। আজকের তথ্যবহুল সমাজে সংবাদদাতা বা রিপোর্টারদের কাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেড়েছে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যা পাঠক বা দর্শককে সম্পূর্ণ ও স্পষ্ট ধারণা দেয়। আই নিউজ বিডি’র মত একটি বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ মাধ্যম সর্বদা প্রত্যাশা করে যে তাদের রিপোর্টার ও সাংবাদিকগণ মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ, দায়িত্বশীল ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন। ১। একটি আদর্শ প্রতিবেদনের বৈশিষ্ট্য ১.১ তথ্যের সঠিকতা (Accuracy) একটি আদর্শ প্রতিবেদনের সর্বপ্রথম বৈশিষ্ট্য হল তথ্যের সঠিকতা। সঠিক তথ্য ছাড়া প্রতিবেদন হবে অকেজো, বিভ্রান্তিকর এবং অপপ্রচার সৃষ্টি করতে পারে। তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য হতে হবে। ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। গুজব ও অসত্য তথ্যের থেকে দূরে থাকতে হবে। ১.২ নিরপেক্ষতা (Objectivity) রিপোর্টার বা সাংবাদিকের কোনো ব্যক্তিগত মতামত, পক্ষপাত বা আবেগ প্রতিবেদনকে প্রভাবিত করতে পারে না। সংবাদে শুধুমাত্র তথ্য উপস্থাপন করা উচিত। প্রতিটি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া ও উপস্থাপন করা জরুরি। সমালোচনা বা মন্তব্য থাকলে সেটি আলাদা অংশে বা সম্পাদকীয়তে উপস্থাপন করা উচিত। ১.৩ সম্পূর্ণতা (Completeness) রিপোর্টে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য থাকা আবশ্যক যাতে পাঠক/দর্শক পুরো ঘটনা বুঝতে পারে। কারা, কি, কখন, কোথায়, কেন এবং কিভাবে — এসব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে। (৫W + ১H) ঘটনাস্থল, প্রেক্ষাপট এবং প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত থাকা প্রয়োজন। ১.৪ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ও পাঠকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত। খবরের সময়োপযোগিতা থাকতে হবে। জনস্বার্থে যে বিষয় গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা উচিত। ১.৫ ভাষার সরলতা ও পাঠযোগ্যতা (Clarity and Readability) সহজ ও স্পষ্ট ভাষায় লেখা। কঠিন শব্দ, জটিল বাক্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা। প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার এবং তথ্যের সংগতি রাখা। ১.৬ গঠন (Structure) একটি প্রতিবেদনের গঠন অবশ্যই সুশৃঙ্খল ও পাঠযোগ্য হতে হবে। পরিচিতি বা ভূমিকা দিয়ে শুরু। মূল বিষয়বস্তু মাঝামাঝি অংশে। উপসংহার বা ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে শেষ। ১.৭ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) তথ্য সঠিক পরিমাণে, অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে। বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে চলা। ১.৮ সত্যনিষ্ঠা ও নৈতিকতা (Integrity and Ethics) কোনরূপ বিকৃত তথ্য দেয়া যাবেনা। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞাপন, প্রভাব বা অন্য কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্যে সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। ২। প্রতিবেদন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ২.১ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি কোন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করা হবে তা ঠিক করা। প্রয়োজনীয় তথ্যের খোঁজ এবং সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি। ২.২ তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ। সাক্ষাৎকার ও বর্ণনা সংগ্রহ। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও সূত্রাদি সংগ্রহ। ২.৩ তথ্য যাচাই-বাছাই তথ্যের সত্যতা যাচাই। বিভিন্ন দিক থেকে তথ্য যাচাই করে বিপরীতমতাবলির বিবেচনা। ২.৪ প্রতিবেদন লেখা সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং পাঠক বান্ধব ভাষায় লেখা। মূল তথ্য প্রথমে ও বিস্তারিত পরে উপস্থাপন। ২.৫ সম্পাদনা ও পুনঃপরীক্ষা বানান, ব্যাকরণ, তথ্যবিভ্রাট পরীক্ষা। সম্পাদকের মাধ্যমে যাচাই ও প্রুফরিডিং। ২.৬ প্রকাশ সময়োপযোগী প্রকাশ। মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা (যদি থাকে)। ৩। আই নিউজ বিডি কী চায়? আই নিউজ বিডি একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিক থেকে নিচের গুণাবলী প্রত্যাশা করে: ৩.১ সততা ও দায়বদ্ধতা তথ্য সংগ্রহে ও প্রতিবেদন লেখায় সর্বদা সততা। কখনো গুজব বা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করবেন না। নিজের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। ৩.২ নিয়মিত ও সময়মত প্রতিবেদন নিয়মিত কাজের মাধ্যমে সক্রিয় থাকা। নির্ধারিত সময়ে সংবাদ পাঠানো। হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলে দ্রুত আপডেট দেওয়া। ৩.৩ তথ্যের গভীরতা ও বিশ্লেষণ শুধুমাত্র সাধারণ খবর নয়, গভীর বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। পাঠককে নতুন তথ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা। ৩.৪ মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষের দুর্ভোগ ও সমস্যা ফুটিয়ে তোলা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। ৩.৫ প্রযুক্তি ও মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা ভিডিও রিপোর্টিং, ফটো ও অডিও ব্যবহারে দক্ষতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকরী সংবাদ পরিবেশন। ৪। প্রতিবেদন তৈরির সময় সতর্কতা ৪.১ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা অপরাধ বা বিতর্কিত ঘটনায় ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষা। ৪.২ পক্ষপাতিত্ব পরিহার কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না রাখা। ৪.৩ দায়িত্বশীলতা ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা। ৪.৪ আইন সম্মত প্রতিবেদন দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য আইন মেনে চলা। ৫। আই নিউজ বিডি’র প্রশিক্ষণ ও সহায়তা আই নিউজ বিডি নতুন ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। যাতে তারা সাংবাদিকতা নৈতিকতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এবং মাল্টিমিডিয়া দক্ষতা অর্জন করতে পারে। একটি আদর্শ প্রতিবেদন শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, তা সমাজের জন্য একটি দায়িত্ব ও দৃষ্টান্ত। আই নিউজ বিডি সেই দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশা করে আমাদের রিপোর্টাররা মানসম্পন্ন, সত্যনিষ্ঠ ও মানবিক প্রতিবেদন করবেন।
    Love
    Like
    6
    8 Commentarii 0 Distribuiri 4K Views 0 previzualizare
Sponsorizeaza Paginile
Eidok App https://eidok.com