• বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করতে যাচ্ছে আই নিউজ বিডি। প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই লঞ্চ করতে যাচ্ছে তাদের নিজস্ব স্মার্ট AI সহকারী ‘আইরো (Eyro) 1.2’, যা সংবাদকর্মীদের কাজকে আরও গতিশীল, ..
    আজ অনলাইনে গুগল মিটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আই নিউজ বিডি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত AI ফিচার ‘আইরো (Eyro) 1.2’ লঞ্চের প্রস্তুতির কথা। এটি সাংবাদিকতা জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে।

    ‘আইরো (Eyro)’ মূলত একটি স্মার্ট AI সহকারী, যা সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সংবাদ প্রক্রিয়াকে দ্রুত, সঠিক ও তথ্যবহুল করতে। সাংবাদিকদের হাতে লেখা বা অগোছালো সংবাদ কন্টেন্টকে এটি মুহূর্তেই সম্পূর্ণ ও পেশাদার নিউজ ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ফিচারটিতে আছে ভিডিও স্কিপ, কনটেন্ট সাজেশন, এবং ফ্যাক্ট চেকিং সুবিধা—যা একে করে তুলেছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ডিজিটাল বিপ্লবের পথিকৃৎ।

    আই নিউজ বিডি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “এই প্রযুক্তি শুধু আমাদের সাংবাদিকদের নয়, দেশের প্রতিটি সাংবাদিকের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সাংবাদিকতা পেশায় যারা নতুন, তারাও এখন সহজেই মানসম্পন্ন রিপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।”

    ‘আইরো (Eyro) 1.2’-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে একটি অগোছালো লেখা বিশ্লেষণ করে খবরের শিরোনাম, উপশিরোনাম, বিষয়বস্তু ও ভাষাশৈলী এমনভাবে সাজিয়ে দেয়, যেন তা সরাসরি প্রকাশযোগ্য হয়। ফলে সময় ও পরিশ্রম বাঁচে, বাড়ে নির্ভুলতা।

    প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই AI ফিচারটি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে। সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জিং সময়েও এটি হবে এক অনন্য সহচর, বিশেষ করে তরুণ সাংবাদিকদের জন্য।

    “আইরো (Eyro) 1.2” সাংবাদিকতার এক নতুন অধ্যায় খুলে দিচ্ছে—যেখানে প্রযুক্তি, ভাষা ও সংবাদ একসাথে মিলেমিশে তৈরি করবে স্মার্ট জার্নালিজমের ভবিষ্যৎ।
    বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতায় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করতে যাচ্ছে আই নিউজ বিডি। প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই লঞ্চ করতে যাচ্ছে তাদের নিজস্ব স্মার্ট AI সহকারী ‘আইরো (Eyro) 1.2’, যা সংবাদকর্মীদের কাজকে আরও গতিশীল, .. আজ অনলাইনে গুগল মিটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আই নিউজ বিডি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত AI ফিচার ‘আইরো (Eyro) 1.2’ লঞ্চের প্রস্তুতির কথা। এটি সাংবাদিকতা জগতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে চলেছে। ‘আইরো (Eyro)’ মূলত একটি স্মার্ট AI সহকারী, যা সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে সংবাদ প্রক্রিয়াকে দ্রুত, সঠিক ও তথ্যবহুল করতে। সাংবাদিকদের হাতে লেখা বা অগোছালো সংবাদ কন্টেন্টকে এটি মুহূর্তেই সম্পূর্ণ ও পেশাদার নিউজ ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ফিচারটিতে আছে ভিডিও স্কিপ, কনটেন্ট সাজেশন, এবং ফ্যাক্ট চেকিং সুবিধা—যা একে করে তুলেছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ডিজিটাল বিপ্লবের পথিকৃৎ। আই নিউজ বিডি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “এই প্রযুক্তি শুধু আমাদের সাংবাদিকদের নয়, দেশের প্রতিটি সাংবাদিকের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সাংবাদিকতা পেশায় যারা নতুন, তারাও এখন সহজেই মানসম্পন্ন রিপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।” ‘আইরো (Eyro) 1.2’-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে একটি অগোছালো লেখা বিশ্লেষণ করে খবরের শিরোনাম, উপশিরোনাম, বিষয়বস্তু ও ভাষাশৈলী এমনভাবে সাজিয়ে দেয়, যেন তা সরাসরি প্রকাশযোগ্য হয়। ফলে সময় ও পরিশ্রম বাঁচে, বাড়ে নির্ভুলতা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই AI ফিচারটি বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের ভবিষ্যৎকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে। সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জিং সময়েও এটি হবে এক অনন্য সহচর, বিশেষ করে তরুণ সাংবাদিকদের জন্য। “আইরো (Eyro) 1.2” সাংবাদিকতার এক নতুন অধ্যায় খুলে দিচ্ছে—যেখানে প্রযুক্তি, ভাষা ও সংবাদ একসাথে মিলেমিশে তৈরি করবে স্মার্ট জার্নালিজমের ভবিষ্যৎ।
    Love
    1
    0 Commenti 0 condivisioni 2K Views 0 Anteprima
  • শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিশেষ ঘোষণা

    হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ নরসিংদী জেলা শাখার পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক শারদীয় শুভেচ্ছা।
    পূজা মন্ডপে যেকোনো সহযোগিতা বা তথ্যের জন্য নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করুন।

    আমরা সর্বদা আপনাদের পাশে আছি।

    গৌরব সাহা
    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
    হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ, নরসিংদী জেলা শাখা

    #শারদীয়শুভেচ্ছা #দুর্গোৎসব২০২৫ #HinduChatraMohasangh #নরসিংদী
    📢 শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বিশেষ ঘোষণা হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ নরসিংদী জেলা শাখার পক্ষ থেকে সকলকে জানাই আন্তরিক শারদীয় শুভেচ্ছা। 👉 পূজা মন্ডপে যেকোনো সহযোগিতা বা তথ্যের জন্য নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করুন। আমরা সর্বদা আপনাদের পাশে আছি। ✍️ গৌরব সাহা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ, নরসিংদী জেলা শাখা #শারদীয়শুভেচ্ছা #দুর্গোৎসব২০২৫ #HinduChatraMohasangh #নরসিংদী
    0 Commenti 0 condivisioni 2K Views 0 Anteprima
  • কতটা ভয়াবহ অনলাইন জুয়ার আসক্তি জেনে নিন ।।
    অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধের বিরাট এ সাম্রাজ্য। পদে পদে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। যেগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শুধু অর্থ নয়, নৈতিক স্খলনও ঘটছে অনেকের। বারংবার কঠোরতা দেখিয়েও নানা ফাঁকফোকর আর কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত নীরব পরাজয়ের স্বীকার হতে হচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া), বেটিং (বাজি) আর ক্যাসিনো
    https://eyenewsbd.com/watch/ktta-bhabh-onlain-juar-askti-jene-nin_7AjOZWhdnCAyFwW.html
    কতটা ভয়াবহ অনলাইন জুয়ার আসক্তি জেনে নিন ।। অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধের বিরাট এ সাম্রাজ্য। পদে পদে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। যেগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শুধু অর্থ নয়, নৈতিক স্খলনও ঘটছে অনেকের। বারংবার কঠোরতা দেখিয়েও নানা ফাঁকফোকর আর কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত নীরব পরাজয়ের স্বীকার হতে হচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া), বেটিং (বাজি) আর ক্যাসিনো https://eyenewsbd.com/watch/ktta-bhabh-onlain-juar-askti-jene-nin_7AjOZWhdnCAyFwW.html
    EYENEWSBD.COM
    কতটা ভয়াবহ অনলাইন জুয়ার আসক্তি জেনে নিন
    ⁣অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধের বিরাট এ সাম্রাজ্য। পদে পদে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। যেগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শুধু অর্থ নয়, নৈতিক স্খলনও ঘটছে
    Like
    1
    1 Commenti 0 condivisioni 2K Views 0 Anteprima
  • কুষ্টিয়ায় তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রস্তাবনা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক

    জাকির হোসেন।। সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াতেও তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রস্তাবনা নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার সুইম ক্যাফে এন্ড পার্টি সেন্টারে হেযবুত তওহীদের কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন জেলার সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী,শিক্ষক,আইনজীবী,বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মো. আক্কাস আলী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন,একটি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের গৃহীত ব্যবস্থার উপর। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়,মানবসৃষ্ট কোনো মতবাদই পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি; বরং সংঘাত ও অন্যায় সৃষ্টি করেছে। একমাত্র আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থাই ন্যায়,সাম্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন,আল্লাহর দেওয়া নীতির ভিত্তিতে গড়ে উঠা রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। তবে মিথ্যা তথ্য প্রচার,অপবাদ, পরনিন্দা বা গোপন গোয়েন্দাগিরি ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। গণমাধ্যমের দায়িত্ব সত্য যাচাই করে নিরপেক্ষ তথ্য প্রচার করা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ,কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান সুমন এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক আমির জসের উদ্দীন। সঞ্চালনায় ছিলেন খুলনা বিভাগীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিটি খাতে আল্লাহর প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হলে সমাজে প্রকৃত শান্তি, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মানবসৃষ্ট বিধান মানুষকে শান্তি দিতে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে, তাই চলমান সংকট নিরসনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। তাঁরা আরও বলেন, মুসলিমদের অনৈক্যই তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়। ঐক্যের মূল ভিত্তি হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ হুকুমদাতা ও বিধানদাতা হিসেবে কেবল আল্লাহকে সর্বক্ষেত্রে মেনে নেওয়া। এই ঘোষণাই ব্যক্তি,গোষ্ঠী ও দলের ঊর্ধ্বে মুসলিম জাতিকে এক পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসের উদ্দীন,নারী ও শিশু স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া,খুলনা বিভাগীয় নারী সম্পাদক জেরিন সাইয়ারা ও জেলা নারী সম্পাদক শারমিন খানম। গোলটেবিল বৈঠকে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া উপস্থিতি ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো ছিল।
    কুষ্টিয়ায় তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রস্তাবনা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক জাকির হোসেন।। সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াতেও তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রস্তাবনা নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার সুইম ক্যাফে এন্ড পার্টি সেন্টারে হেযবুত তওহীদের কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন জেলার সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী,শিক্ষক,আইনজীবী,বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মো. আক্কাস আলী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন,একটি রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা নির্ভর করে সেই রাষ্ট্রের গৃহীত ব্যবস্থার উপর। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়,মানবসৃষ্ট কোনো মতবাদই পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি; বরং সংঘাত ও অন্যায় সৃষ্টি করেছে। একমাত্র আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থাই ন্যায়,সাম্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন,আল্লাহর দেওয়া নীতির ভিত্তিতে গড়ে উঠা রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। তবে মিথ্যা তথ্য প্রচার,অপবাদ, পরনিন্দা বা গোপন গোয়েন্দাগিরি ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। গণমাধ্যমের দায়িত্ব সত্য যাচাই করে নিরপেক্ষ তথ্য প্রচার করা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ,কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান সুমন এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক আমির জসের উদ্দীন। সঞ্চালনায় ছিলেন খুলনা বিভাগীয় অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিটি খাতে আল্লাহর প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হলে সমাজে প্রকৃত শান্তি, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। মানবসৃষ্ট বিধান মানুষকে শান্তি দিতে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে, তাই চলমান সংকট নিরসনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। তাঁরা আরও বলেন, মুসলিমদের অনৈক্যই তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়। ঐক্যের মূল ভিত্তি হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ হুকুমদাতা ও বিধানদাতা হিসেবে কেবল আল্লাহকে সর্বক্ষেত্রে মেনে নেওয়া। এই ঘোষণাই ব্যক্তি,গোষ্ঠী ও দলের ঊর্ধ্বে মুসলিম জাতিকে এক পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসের উদ্দীন,নারী ও শিশু স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া,খুলনা বিভাগীয় নারী সম্পাদক জেরিন সাইয়ারা ও জেলা নারী সম্পাদক শারমিন খানম। গোলটেবিল বৈঠকে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া উপস্থিতি ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো ছিল।
    0 Commenti 0 condivisioni 4K Views 0 Anteprima
  • ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড তরুণ নেতৃত্বে নতুন দৃষ্টান্ত

    ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কৃতী সন্তান মো. খালেদ সাইফুল্লাহ অর্জন করেছেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি “ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড”। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি খালেদ সাইফুল্লাহর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, নৌপরিবহন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রতিবছর সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবছর সারাদেশ থেকে মাত্র ১২ জন তরুণকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত দুইজনের মধ্যে একজন হলেন নলছিটির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বরিশাল বিভাগ থেকে একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে সম্মান অর্জন করেছেন।




    খালেদ সাইফুল্লাহ ২০২০ সালে “তারুণ্যের নলছিটি” নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সংগঠনটি শিক্ষা, বিজ্ঞান, সচেতনতা, মানবিকতা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তার নেতৃত্বে Team STEM স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি “CARO” প্রতিষ্ঠা করে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ ও বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার নতুন মডেল তৈরিতে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত Youth Political Leadership Simulation Model তরুণদের হাতে-কলমে নীতি, নেতৃত্ব ও এডভোকেসি শেখাচ্ছে।




    পুরস্কার গ্রহণের পর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই তিনি দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চেতনায় বন্ধুদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ অর্জন তার একার নয়, বরং যারা সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তিনি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের নামে।




    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে বলেন, তরুণ ও যুবকরা দেশের মূল চালিকাশক্তি। তারা যখন জেগে ওঠে তখন কোনো শক্তি তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারই প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবা কেবল মানবকল্যাণ নয়, এটি আত্মউন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তরুণদের মেধা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।




    অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ এবং গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, জনসেবা, দেশপ্রেম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্যও বিভিন্ন জেলার তরুণদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকা, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সরকারি সনদপত্র।




    খালেদ সাইফুল্লাহ তার বক্তব্যে জানান, ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যে পথচলা শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে উপজেলা, জেলা হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছেছে। “তারুণ্যের নলছিটি”, “CARO” ও “Team STEM”–এর ব্যানারে তার কাজ স্থানীয় থেকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তরুণদের শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নেতৃত্ব বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।




    বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের মাধ্যমে খালেদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন থেকেই তার কাজগুলো নিবিড়ভাবে দেখেছি। তার একাগ্রতা, মেধা ও সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। লেখালেখি, সংগঠন গড়ে তোলা এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার অগ্রগতি অনুকরণীয়।




    এ অর্জন শুধু খালেদ সাইফুল্লাহর নয়, বরং ঝালকাঠি তথা সমগ্র বরিশাল বিভাগের গৌরব। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন প্রেরণার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় এ স্বীকৃতি প্রমাণ করে, নিষ্ঠা ও কর্মনিষ্ঠা থাকলে তরুণরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম।




    শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল

    — তৌফিক সুলতান
    Bangladesh Youth Award,
    ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড তরুণ নেতৃত্বে নতুন দৃষ্টান্ত ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কৃতী সন্তান মো. খালেদ সাইফুল্লাহ অর্জন করেছেন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি “ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড”। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হল মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি খালেদ সাইফুল্লাহর হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, নৌপরিবহন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রতিবছর সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবছর সারাদেশ থেকে মাত্র ১২ জন তরুণকে নির্বাচিত করা হয়েছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত দুইজনের মধ্যে একজন হলেন নলছিটির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বরিশাল বিভাগ থেকে একমাত্র মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে সম্মান অর্জন করেছেন। খালেদ সাইফুল্লাহ ২০২০ সালে “তারুণ্যের নলছিটি” নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সংগঠনটি শিক্ষা, বিজ্ঞান, সচেতনতা, মানবিকতা ও নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তার নেতৃত্বে Team STEM স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি “CARO” প্রতিষ্ঠা করে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তরুণ নেতৃত্ব বিকাশ ও বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার নতুন মডেল তৈরিতে কাজ করছেন। তার উদ্ভাবিত Youth Political Leadership Simulation Model তরুণদের হাতে-কলমে নীতি, নেতৃত্ব ও এডভোকেসি শেখাচ্ছে। পুরস্কার গ্রহণের পর খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই তিনি দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চেতনায় বন্ধুদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ অর্জন তার একার নয়, বরং যারা সবসময় পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। তিনি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের নামে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে বলেন, তরুণ ও যুবকরা দেশের মূল চালিকাশক্তি। তারা যখন জেগে ওঠে তখন কোনো শক্তি তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারই প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরও বলেন, স্বেচ্ছাসেবা কেবল মানবকল্যাণ নয়, এটি আত্মউন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তরুণদের মেধা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শিক্ষা, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ঝালকাঠির মো. খালেদ সাইফুল্লাহ এবং গাইবান্ধার মো. শাহাদৎ হোসেনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি যুব উন্নয়ন, জনসেবা, দেশপ্রেম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্যও বিভিন্ন জেলার তরুণদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকা, একটি সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সরকারি সনদপত্র। খালেদ সাইফুল্লাহ তার বক্তব্যে জানান, ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি যে পথচলা শুরু করেছিলেন, তা ধীরে ধীরে উপজেলা, জেলা হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছেছে। “তারুণ্যের নলছিটি”, “CARO” ও “Team STEM”–এর ব্যানারে তার কাজ স্থানীয় থেকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তরুণদের শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নেতৃত্ব বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের মাধ্যমে খালেদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন থেকেই তার কাজগুলো নিবিড়ভাবে দেখেছি। তার একাগ্রতা, মেধা ও সৃজনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়। লেখালেখি, সংগঠন গড়ে তোলা এবং তরুণদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার অগ্রগতি অনুকরণীয়। এ অর্জন শুধু খালেদ সাইফুল্লাহর নয়, বরং ঝালকাঠি তথা সমগ্র বরিশাল বিভাগের গৌরব। তরুণ প্রজন্মের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন প্রেরণার প্রতীক। রাষ্ট্রীয় এ স্বীকৃতি প্রমাণ করে, নিষ্ঠা ও কর্মনিষ্ঠা থাকলে তরুণরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল — তৌফিক সুলতান Bangladesh Youth Award,
    Love
    1
    0 Commenti 0 condivisioni 5K Views 0 Anteprima
  • চট্টগ্রামের ষোলোশহরে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে মা'রা যান মহসিন কলেজ ছাত্রী তানজিবা সাইফুল তিশমা। সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব মা-বাবা।
    জানা যায়, তানজিবা মহসিন কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীলে। পরিবারসহ তিনি নগরীর মুরাদপুর এলাকায় থাকতেন।
    নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার পরিবার ও স্বজনকে আল্লাহ ধৈর্য্য দিক। (আমিন।)

    বি:দ্র: প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পোস্ট এডিট করা হয়েছে।
    চট্টগ্রামের ষোলোশহরে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে মা'রা যান মহসিন কলেজ ছাত্রী তানজিবা সাইফুল তিশমা। সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব মা-বাবা। জানা যায়, তানজিবা মহসিন কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীলে। পরিবারসহ তিনি নগরীর মুরাদপুর এলাকায় থাকতেন। নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তার পরিবার ও স্বজনকে আল্লাহ ধৈর্য্য দিক। (আমিন।) বি:দ্র: প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পোস্ট এডিট করা হয়েছে।
    0 Commenti 0 condivisioni 2K Views 0 Anteprima
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ হয়। আজ দুপুরে ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামেছবি: মাহমুদ সরদার
    ভাড়া বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করেন—এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। আগামীকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এ ধারা বলবৎ থাকবে। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হাটহাজারী উপজেলার অধীন।উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব দিক থেকে রেলগেট পর্যন্ত উভয় দিকের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ ছাড়া ২ নম্বর গেট এলাকায় সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণজমায়েত কিংবা অস্ত্র পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উল্লিখিত এলাকায় পাঁচজনের বেশি ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল করতে পারবেন না।জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন প্রথম আলোকে বলেন, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এর আগে গতকাল শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও অন্তত ১৮০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় তাঁদের পক্ষের আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন।
    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষ হয়। আজ দুপুরে ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেটসংলগ্ন জোবরা গ্রামেছবি: মাহমুদ সরদার ভাড়া বাসার দারোয়ান এক ছাত্রীকে মারধর করেন—এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। আগামীকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এ ধারা বলবৎ থাকবে। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হাটহাজারী উপজেলার অধীন।উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হাটহাজারী উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব দিক থেকে রেলগেট পর্যন্ত উভয় দিকের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ ছাড়া ২ নম্বর গেট এলাকায় সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণজমায়েত কিংবা অস্ত্র পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। উল্লিখিত এলাকায় পাঁচজনের বেশি ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল করতে পারবেন না।জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন প্রথম আলোকে বলেন, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এর আগে গতকাল শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও অন্তত ১৮০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় তাঁদের পক্ষের আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন।
    0 Commenti 0 condivisioni 3K Views 0 Anteprima
  • আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

    আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক।

    ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

    দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে।

    কনটেন্টের গুণগত মান:

    ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা:

    অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে।

    থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।

    বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে।

    ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা:

    বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না।

    শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

    ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা:

    নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা।

    কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    চূড়ান্ত সতর্কতা:

    প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে।

    আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

    আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই।

    এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

    কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    আই নিউজ বিডির সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আই নিউজ বিডি একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বস্তুনিষ্ঠতা, স্বচ্ছতা এবং পেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত সততা, শৃঙ্খলা এবং কাজের মানের ওপর নির্ভরশীল। এই লক্ষ্য পূরণে সকল রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নিম্নোক্ত নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। ১. রিপোর্টারদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত সংবাদ প্রেরণ: প্রত্যেক রিপোর্টারকে তার নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রের (Working Area) সকল গুরুত্বপূর্ণ ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রেরণ করতে হবে। সংবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা রিপোর্টারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দায়বদ্ধতা ও সক্রিয়তা: দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অবহেলা বা নিষ্ক্রিয়তা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মিত সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হলে বা নিষ্ক্রিয় থাকলে, কোনো পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত (Temporary Block) বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হতে পারে। কনটেন্টের গুণগত মান: ভিডিও নিউজ: সকল ভিডিও নিউজের জন্য ১৯২০x১০৮০ পিক্সেলের হাই-ডেফিনিশন (HD) এবং প্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল ব্যবহার করা আবশ্যক। অস্পষ্ট, নিম্নমানের বা অপ্রাসঙ্গিক থাম্বনেইল কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ছবি: নিউজে ব্যবহৃত সকল ছবি অবশ্যই হাই-রেজুলেশন, স্পষ্ট এবং সংবাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নিম্নমানের বা ঝাপসা ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। ২. ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য নির্দেশিকা: অডিও-ভিজ্যুয়াল মান: ভিডিওর অডিও অবশ্যই পরিষ্কার এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে। ভিজ্যুয়াল ঝাপসা বা অস্থিতিশীল (Shaky) হওয়া চলবে না। শব্দ বা দৃশ্যের নিম্নমান কনটেন্টটিকে সরাসরি অযোগ্য বলে গণ্য করবে। থাম্বনেইল: থাম্বনেইল হতে হবে নান্দনিক, আকর্ষণীয় এবং ভিডিওর মূল বার্তার প্রতিফলন। অপ্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স বা ক্লিকবেট (Clickbait) কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে। বিষয়বস্তু উপস্থাপন: ভিডিওর শুরুতেই মূল বিষয়বস্তু দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা বা দীর্ঘসূত্রিতা বর্জন করে মূল তথ্যে মনোনিবেশ করতে হবে। ৩. আর্টিকেল লেখকদের জন্য নির্দেশিকা: বস্তুনিষ্ঠতা ও নির্ভুলতা: প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই তথ্যভিত্তিক, বস্তুনিষ্ঠ এবং ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হতে হবে। বানান ভুল, ভাষাগত দুর্বলতা বা অসত্য তথ্য পরিবেশন করা চলবে না। শিরোনাম: শিরোনাম হতে হবে সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয়, যা পাঠকের কাছে সংবাদের মূলভাব পৌঁছে দিতে সক্ষম। তথ্যের সত্যতা যাচাই: কোনো প্রকার যাচাইবিহীন, অসত্য বা গুজবভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশনা একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতিটি তথ্য প্রকাশের পূর্বে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ৪. কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা: নিয়মিত অংশগ্রহণ: প্রত্যেক কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টকে সপ্তাহে ন্যূনতম একটি (০১) ভিডিও বা একটি (০১) মানসম্মত আর্টিকেল জমা দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা: নিয়মিত এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করা হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য একটি সক্রিয় ও অংশগ্রহণমূলক কমিউনিটি তৈরি করা। কনটেন্টের প্রভাব: আপনার প্রেরিত কনটেন্ট যেন তথ্যবহুল, জনগুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 🚫 চূড়ান্ত সতর্কতা: প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়া তথ্য ছড়ানো, পেশাগত অসততা বা নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত হন, তবে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা হবে। আই নিউজ বিডি তার কাজের মানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার আপস করতে প্রস্তুত নয়। মনে রাখবেন, আপনার একটি দুর্বল বা মানহীন কাজ কেবল আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং এটি সমগ্র প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সুনাম এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাদের লক্ষ্য: নির্ভুল তথ্য, গভীর বিশ্লেষণ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে জনগণের অবিচল আস্থা অর্জন করা। আসুন, আমরা সকলে মিলে শৃঙ্খলা, সততা ও পেশাদারিত্বের চর্চার মাধ্যমে আই নিউজ বিডি-কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাই। এই নীতিমালা অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। কর্তৃপক্ষ, আই নিউজ বিডি
    Love
    1
    0 Commenti 0 condivisioni 4K Views 0 Anteprima
  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর পরিদর্শক থেকে অতিরিক্ত সহকারি কর কমিশনার পদে পদোন্নতি পেলেন মাতারবাড়ির কৃতি সন্তান আরিফুল হক। এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

    আরিফুল হক মাতারবাড়ির ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের সন্তান।
    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর পরিদর্শক থেকে অতিরিক্ত সহকারি কর কমিশনার পদে পদোন্নতি পেলেন মাতারবাড়ির কৃতি সন্তান আরিফুল হক। এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। আরিফুল হক মাতারবাড়ির ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের সন্তান।
    0 Commenti 0 condivisioni 602 Views 0 Anteprima
  • কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় শিক্ষক র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার।।
    জাকির হোসেন।। র‍্যাবের অভিযানে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ শাহিন ইসলাম (৩০) নামের শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছে।
    শনিবার (১৬ আগষ্ট) র‍্যাব-১২, সিপিসি-১ এবং র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকালের দিকে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন পৌরসভার হাউজিং সেন্টার রোড সংলগ্ন সুরমা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
    গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহিন ইসলাম মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন সাহারবাটি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। আসামী শাহিন কুষ্টিয়া শহরের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের একজন শিক্ষক।

    শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে র‍্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অফিসিয়াল মেইল থেকে কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার পিপিএম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    র‍্যাব সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার সদর থানা এলাকায় শাহীন ক্যাডেট স্কুলের একজন শিক্ষক শাহিন কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং-৬ তারিখ ০৭/০৮/২০২৫।
    এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১২, সিপিসি-১ এবং র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর যৌথ আভিযানিক দল
    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ শাহিন ইসলাম (৩০) কে গ্রেফতার করেন।
    কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়ানোর ঘটনায় শিক্ষক র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার।। জাকির হোসেন।। র‍্যাবের অভিযানে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় পর্নোগ্রাফি মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ শাহিন ইসলাম (৩০) নামের শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার (১৬ আগষ্ট) র‍্যাব-১২, সিপিসি-১ এবং র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকালের দিকে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন পৌরসভার হাউজিং সেন্টার রোড সংলগ্ন সুরমা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহিন ইসলাম মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন সাহারবাটি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। আসামী শাহিন কুষ্টিয়া শহরের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের একজন শিক্ষক। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে র‍্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অফিসিয়াল মেইল থেকে কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার পিপিএম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। র‍্যাব সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার সদর থানা এলাকায় শাহীন ক্যাডেট স্কুলের একজন শিক্ষক শাহিন কর্তৃক ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলার সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ২০১২ এর ৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং-৬ তারিখ ০৭/০৮/২০২৫। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১২, সিপিসি-১ এবং র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মোঃ শাহিন ইসলাম (৩০) কে গ্রেফতার করেন।
    Love
    1
    1 Commenti 0 condivisioni 1K Views 0 Anteprima
  • সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!...

    শাহাদাত হোসেন (রাকিব)::
    পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।

    ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।

    ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’
    ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’

    সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের:
    অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়।

    ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না:
    অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।

    স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার:
    ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

    নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান:

    ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন।

    ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
    ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’
    অভিযোগ দায়ের

    ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন।

    অপরাধ ও শাস্তি

    অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।

    সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা

    ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’

    অপরাধের বিচার

    ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।

    ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।

    মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি

    কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক

    ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!... শাহাদাত হোসেন (রাকিব):: পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব। ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’ ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের: অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়। ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার: ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান: ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’ অভিযোগ দায়ের ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন। অপরাধ ও শাস্তি অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে। সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ অপরাধের বিচার ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    Like
    1
    1 Commenti 0 condivisioni 3K Views 0 Anteprima
  • হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ হারাবেন প্রার্থীরা- নির্বাচন কমিশন..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/hlfnamaj-mithja-tthj-dile-empi-pd-haraben-prarthira-nirbachn-kmishn_17986.html
    হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ হারাবেন প্রার্থীরা- নির্বাচন কমিশন.. https://eyenewsbd.com/articles/read/hlfnamaj-mithja-tthj-dile-empi-pd-haraben-prarthira-nirbachn-kmishn_17986.html
    EYENEWSBD.COM
    হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি পদ হারাবেন প্রার্থীরা- নির্বাচন কমিশন.. | আই নিউজ বিডি
    হলফনামায় মিথ্যা তথ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে নির্বাচিত এমপি পদ হারাতে পারেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।..
    Like
    1
    1 Commenti 0 condivisioni 1K Views 0 Anteprima
Pagine in Evidenza
Eidok App https://eidok.com