• ‘ষড়যন্ত্র’ শেষ হয়নি, ফের ‘জোরেশোরে’ শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
    “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার,” বলেন তিনি।
    দেশে ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

    শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”

    লন্ডনে থাকা তারেক ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষেয়ে কথা বলেন।


    তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”

    একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করা, নব্বই ও চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় অধিকার রক্ষায় মানুষের সোচ্চার হওয়ার উদাহরণ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে।

    “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”


    তিনি বলেন, “আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।”

    গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘শহীদদের’ স্মরণে সংগঠনটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    অনুষ্ঠানে ১৪২ জন ‘শহীদের’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল সবার ছবি।

    জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর কষ্ট ও বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

    বক্তব্য রাখেন- পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র দলের আফিকুল ইসলাম সাদ (মানিকগঞ্জ), মেহেদী (মুন্সীগঞ্জ), রিপন চন্দ্র শীল (হবিগঞ্জ), মো. আদিল (নারায়ণগঞ্জ), সাগর ইসলাম (পঞ্চগড়), রিয়াজ (বরিশাল), সিফাত হোসেন (মাদারীপুর), শাহরিয়ার হাসান আলভি (বাগেরহাট), কাউছার হোসেন বিজয় (লক্ষীপুর), সাব্বির হোসেন (লক্ষীপুর), তানভীর সিদ্দিকী (কক্সবাজার), তাহিদুল ইসলাম (বরিশাল), আকরাম খান রাব্বী (ঢাকা), মনির হোসেন (ভোলা), ইমন মিয়া (টাঙ্গাইল), মেহেদী হাসান রাব্বী (মাগুরা), শাহাদাত হোসেন শাওন (নোয়াখালী), নুরুল মুস্তফা (কক্সবাজার), সাফকাত সামির (ঢাকা), তাহমিদ ভুঁইয়া (নরসিংদী), সুমন পাটোয়ারী (দিনাজপুর), নূর হোসেন পিয়াস (নোয়াখালী), ওয়াসিম আকরাম (কক্সবাজার), ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (নোয়াখালী) এর পরিবারের সদস্যরা।

    ‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই সরকারের কাছে দিয়েছি’

    তিনি মাস আগেই জুলাই সনদ সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি আজ থেকে তিন মাস আগে জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের কী বক্তব্য, আমাদের কী অবস্থান সকল কিছু ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি।

    “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, এই মুহূর্তে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। একটি দল হিসেবে আমাদের কাছে সরকার বক্তব্য মতামত জানতে চেয়েছে আমরা পরিষ্কারভাবে, লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।”

    সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন সরকারের, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কতটুকু কী করবে, না করবে, কাদের নিয়ে কী করবে না করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের আর কোনো কিছু বলার নেই।”

    তারেক বলেন, “যখন, আমরা দেখছি যে, কোনো কিছু বা কোনো কোনো বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অথবা কোনো কিছুকে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই আমরা খেয়াল করছি, কিছু কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

    দেশটি একার নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের, ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, দেশটি আমাদের সকলের, কাজেই এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সকলের ভাবতে হবে।

    “কারা কী করছে, কারা কী ভূমিকা রাখছে, কারা কী বর্তমানে বলছে? বলার মধ্যে পার্থক্য কী? তাদের অবস্থা ঘনঘন পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে আপনারা নজর রাখবেন।”

    ‘প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের ভূত’

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও এই ভূত লুকিয়ে আছে।”

    “কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কী ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এদেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।”

    ‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’

    জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সোচ্চার। তারা নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান দেখতে চায়।

    বিচার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক মানুষের কথা।

    “কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে, অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার, কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার।”

    ‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’

    বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা চলছে।

    এ ঘটনায় দলটির সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ৫ জনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে।

    এ ঘটনার বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “কেন কিছু কিছু দল পুরান ঢাকার ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? যে ছেলেটি মারা গেছে তার সাথে হয়ত যু্ব দলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যে খুন করছে বা যে হত্যা করছে তাকে অন্য জায়গা থেকে, আমরা যেটা খবর পেয়েছি, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।

    “তাকে ধরা হচ্ছে না। ধরা হল অন্যদের, গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে আসামি পর্যন্ত করা হয়নি, বোধ হয় এখন পর্যন্ত। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।”

    তারেক বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারী আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। দলের সাথে তার কী সম্পর্ক কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।”

    দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তারা বসে আছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের (খুনিদের) বিরুদ্ধে, সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
    ‘ষড়যন্ত্র’ শেষ হয়নি, ফের ‘জোরেশোরে’ শুরু হয়েছে: তারেক রহমান “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার,” বলেন তিনি। দেশে ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।” লন্ডনে থাকা তারেক ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষেয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।” একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করা, নব্বই ও চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় অধিকার রক্ষায় মানুষের সোচ্চার হওয়ার উদাহরণ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে। “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।” গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘শহীদদের’ স্মরণে সংগঠনটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ১৪২ জন ‘শহীদের’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল সবার ছবি। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর কষ্ট ও বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন- পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র দলের আফিকুল ইসলাম সাদ (মানিকগঞ্জ), মেহেদী (মুন্সীগঞ্জ), রিপন চন্দ্র শীল (হবিগঞ্জ), মো. আদিল (নারায়ণগঞ্জ), সাগর ইসলাম (পঞ্চগড়), রিয়াজ (বরিশাল), সিফাত হোসেন (মাদারীপুর), শাহরিয়ার হাসান আলভি (বাগেরহাট), কাউছার হোসেন বিজয় (লক্ষীপুর), সাব্বির হোসেন (লক্ষীপুর), তানভীর সিদ্দিকী (কক্সবাজার), তাহিদুল ইসলাম (বরিশাল), আকরাম খান রাব্বী (ঢাকা), মনির হোসেন (ভোলা), ইমন মিয়া (টাঙ্গাইল), মেহেদী হাসান রাব্বী (মাগুরা), শাহাদাত হোসেন শাওন (নোয়াখালী), নুরুল মুস্তফা (কক্সবাজার), সাফকাত সামির (ঢাকা), তাহমিদ ভুঁইয়া (নরসিংদী), সুমন পাটোয়ারী (দিনাজপুর), নূর হোসেন পিয়াস (নোয়াখালী), ওয়াসিম আকরাম (কক্সবাজার), ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (নোয়াখালী) এর পরিবারের সদস্যরা। ‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই সরকারের কাছে দিয়েছি’ তিনি মাস আগেই জুলাই সনদ সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি আজ থেকে তিন মাস আগে জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের কী বক্তব্য, আমাদের কী অবস্থান সকল কিছু ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি। “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, এই মুহূর্তে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। একটি দল হিসেবে আমাদের কাছে সরকার বক্তব্য মতামত জানতে চেয়েছে আমরা পরিষ্কারভাবে, লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।” সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন সরকারের, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কতটুকু কী করবে, না করবে, কাদের নিয়ে কী করবে না করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের আর কোনো কিছু বলার নেই।” তারেক বলেন, “যখন, আমরা দেখছি যে, কোনো কিছু বা কোনো কোনো বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অথবা কোনো কিছুকে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই আমরা খেয়াল করছি, কিছু কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।” দেশটি একার নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের, ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, দেশটি আমাদের সকলের, কাজেই এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সকলের ভাবতে হবে। “কারা কী করছে, কারা কী ভূমিকা রাখছে, কারা কী বর্তমানে বলছে? বলার মধ্যে পার্থক্য কী? তাদের অবস্থা ঘনঘন পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে আপনারা নজর রাখবেন।” ‘প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের ভূত’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও এই ভূত লুকিয়ে আছে।” “কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কী ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এদেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।” ‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’ জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সোচ্চার। তারা নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান দেখতে চায়। বিচার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক মানুষের কথা। “কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে, অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার, কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার।” ‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’ বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা চলছে। এ ঘটনায় দলটির সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ৫ জনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “কেন কিছু কিছু দল পুরান ঢাকার ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? যে ছেলেটি মারা গেছে তার সাথে হয়ত যু্ব দলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যে খুন করছে বা যে হত্যা করছে তাকে অন্য জায়গা থেকে, আমরা যেটা খবর পেয়েছি, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। “তাকে ধরা হচ্ছে না। ধরা হল অন্যদের, গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে আসামি পর্যন্ত করা হয়নি, বোধ হয় এখন পর্যন্ত। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।” তারেক বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারী আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। দলের সাথে তার কী সম্পর্ক কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।” দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তারা বসে আছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের (খুনিদের) বিরুদ্ধে, সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
    0 Comments 0 Shares 302 Views 0 Reviews
  • * ঢাকা বিভাগ — বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র*

    ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এলাকা। প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটনে এর ভূমিকা অপরিসীম।

    *জেলা:* ১৩টি
    (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ)

    *থানা/উপজেলা:* প্রায় ৯৩টি
    *গ্রাম:* আনুমানিক ১৩,৫০০+
    *স্কুল:* সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০,০০০+
    *কলেজ:* প্রায় ১,৮০০+
    *হাসপাতাল:* সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০০+
    *দর্শনীয় স্থান:* ৮০+
    (লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, সোনারগাঁও জাদুঘর, পদ্মা সেতু)
    *হোটেল ও গেস্ট হাউস:* প্রায় ২৫০+, যার মধ্যে ৫০টির বেশি আন্তর্জাতিক মানের।

    ---

    *ঢাকা বিভাগ মানেই—ঐতিহ্য, আধুনিকতা আর অগ্রগতির মিলন।*

    *#DhakaDivision #বাংলাদেশ #তথ্যভিত্তিক #শিক্ষা #স্বাস্থ্য #পর্যটন*

    ---

    আরো নির্দিষ্ট জেলা বা কোন তথ্য বিস্তারিত ভাবে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন।
    *📍 ঢাকা বিভাগ — বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র* ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এলাকা। প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটনে এর ভূমিকা অপরিসীম। 🔹 *জেলা:* ১৩টি (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ) 🔹 *থানা/উপজেলা:* প্রায় ৯৩টি 🔹 *গ্রাম:* আনুমানিক ১৩,৫০০+ 🔹 *স্কুল:* সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০,০০০+ 🔹 *কলেজ:* প্রায় ১,৮০০+ 🔹 *হাসপাতাল:* সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২০০+ 🔹 *দর্শনীয় স্থান:* ৮০+ (লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, সোনারগাঁও জাদুঘর, পদ্মা সেতু) 🔹 *হোটেল ও গেস্ট হাউস:* প্রায় ২৫০+, যার মধ্যে ৫০টির বেশি আন্তর্জাতিক মানের। --- *ঢাকা বিভাগ মানেই—ঐতিহ্য, আধুনিকতা আর অগ্রগতির মিলন।* *#DhakaDivision #বাংলাদেশ #তথ্যভিত্তিক #শিক্ষা #স্বাস্থ্য #পর্যটন* --- আরো নির্দিষ্ট জেলা বা কোন তথ্য বিস্তারিত ভাবে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন।
    0 Comments 0 Shares 785 Views 0 Reviews
  • রথযাত্রা উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রণাম

    আমি গৌরব সাহা,
    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ, নরসিংদী জেলা শাখা।

    আগামী ২৭ জুন ২০২৫, শুভ রথযাত্রা উপলক্ষে আমরা,
    বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ – নরসিংদী জেলা শাখা,
    সেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নেব
    নরসিংদী ইস্কন মন্দির ও বীরপুর ইস্কন মন্দিরের আয়োজনে।

    এই মহান ধর্মীয় উৎসবে সেবা করতে পারা আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়।
    আসুন সকলে মিলেমিশে ধর্মীয় ঐক্য, সংস্কৃতি ও সমাজের জন্য কাজ করি।

    #রথযাত্রা২০২৫ #বাংলাদেশহিন্দুছাত্রমহাসংঘ #নরসিংদী #ISKCON #সেচ্ছাসেবক #HinduUnity #RathYatra2025
    🌸🙏 রথযাত্রা উপলক্ষে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রণাম 🙏🌸 আমি গৌরব সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ, নরসিংদী জেলা শাখা। আগামী ২৭ জুন ২০২৫, শুভ রথযাত্রা উপলক্ষে আমরা, বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র মহাসংঘ – নরসিংদী জেলা শাখা, সেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নেব নরসিংদী ইস্কন মন্দির ও বীরপুর ইস্কন মন্দিরের আয়োজনে। এই মহান ধর্মীয় উৎসবে সেবা করতে পারা আমাদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়। আসুন সকলে মিলেমিশে ধর্মীয় ঐক্য, সংস্কৃতি ও সমাজের জন্য কাজ করি। #রথযাত্রা২০২৫ #বাংলাদেশহিন্দুছাত্রমহাসংঘ #নরসিংদী #ISKCON #সেচ্ছাসেবক #HinduUnity #RathYatra2025
    Love
    Yay
    2
    1 Comments 0 Shares 2K Views 0 Reviews
  • “নরসিংদীতে একের পর এক খুনের রহস্য উন্মোচন, পিবিআই’র জালে ১৪ খুনি!”
    “নরসিংদীতে একের পর এক খুনের রহস্য উন্মোচন, পিবিআই’র জালে ১৪ খুনি!”
    EYENEWSBD.COM
    “নরসিংদীতে একের পর এক খুনের রহস্য উন্মোচন, পিবিআই’র জালে ১৪ খুনি!”
    ⁣“নরসিংদীতে একের পর এক খুনের রহস্য উন্মোচন, পিবিআই’র জালে ১৪ খুনি!”
    0 Comments 0 Shares 442 Views 0 Reviews
Eidok App https://eidok.com