• ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/15-bchre-aoami-sntraser-shikar-nihtder-talika-prstutir-nirdesh-prdhan-updeshtar_15771.html
    ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার.. https://eyenewsbd.com/articles/read/15-bchre-aoami-sntraser-shikar-nihtder-talika-prstutir-nirdesh-prdhan-updeshtar_15771.html
    EYENEWSBD.COM
    ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার.. | আই নিউজ বিডি
    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।..
    Like
    1
    1 Comments 0 Shares 269 Views 0 Reviews
  • সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী।

    সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়।

    এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে।

    এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে।

    এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী?

    এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে।

    এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

    সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়। এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে। এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে। এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী? এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে। এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।
    Love
    1
    1 Comments 0 Shares 569 Views 0 Reviews
  • আওয়ামী লীগের শাসনে নির্যাতিত,আজ নব্য বিএনপির কর্মীদের জন্য বিএনপিতেও জায়গা নেই
    আওয়ামী লীগের শাসনে নির্যাতিত,আজ নব্য বিএনপির কর্মীদের জন্য বিএনপিতেও জায়গা নেই
    0 Comments 0 Shares 274 Views 12 0 Reviews
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা
    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বুধবার (১৬ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় হামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এমন বর্বর সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না।

    এতে আরও বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যেও যারা সাহসিকতা ও অটল মনোভাব নিয়ে পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

    এদিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

    জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

    এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
    গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (১৬ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় হামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এমন বর্বর সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না। এতে আরও বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যেও যারা সাহসিকতা ও অটল মনোভাব নিয়ে পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। এদিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
    0 Comments 0 Shares 726 Views 0 Reviews
  • মুরাদনগরে দরজা ভে'ঙে নারীকে ধ*র্ষ*ণ করা সেই আ.ওয়ামী নেতা সহ গ্রে-প্তা-র ৫ ..

    #আওয়ামী_নেতা #ধর্ষণ #BMW #Bangladesh
    #মুরাদনগর #কুমিল্লা #আটক_



    #BMW #shortsvideos
    #Bangladesh #shortsvideos

    Ten Unknown Facts About #BMW

    1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

    2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

    3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and h
    মুরাদনগরে দরজা ভে'ঙে নারীকে ধ*র্ষ*ণ করা সেই আ.ওয়ামী নেতা সহ গ্রে-প্তা-র ৫ .. #আওয়ামী_নেতা #ধর্ষণ #BMW #Bangladesh #মুরাদনগর #কুমিল্লা #আটক_৫ #BMW #shortsvideos #Bangladesh #shortsvideos 👉Ten Unknown Facts About #BMW 1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s. 2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky. 3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and h
    Like
    1
    0 Comments 0 Shares 2K Views 10 0 Reviews
  • শেখ ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগার সারাবছরই তালাবদ্ধ

    এ কে এম কায়সারুল আলম সোহাগ



    বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম শেখ ফজলল করিম। যিনি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনায় ১৮৮৩ সালের ১৪ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেছিলেন । ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মভিটায়ই ইন্তেকাল করেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে নানা রচনার জন্য তিনি ‘সাহিত্য বিশারদ’, ‘কাব্যরত্নাকার’ ও ‘নীতি ভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

    ২০০৫ সালে কবি শেখ ফজলুল করিমের স্মৃতি রক্ষার্থে কাকিনা বাজারে একটি দুই তলা ভবনে নির্মিত পাঠাগারটি এখন পরিত্যাক্ত, আবর্জনায় ভরপুর। সেখানে নেই কোন কেয়ারটেকার, নেই পাঠক, রয়েছে বইয়ের সংকট। সারাবছরই থাকে তালাবদ্ধ।


    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাঠাগারটি তালাবদ্ধ, বাহিরের প্লাস্টারও খসে পড়েছে,মুল ফটকের দুই পাশে ও সামনের জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে দোকান । আর ফটকটির ভেতরে ও বাইরে আবর্জনার স্তূপ, জঙ্গলে ভরপুর ।

    জানাগেছে, কবির স্মৃতি ধরে রাখতে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু পরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় এক নেতার ‘রোষানলে’ পড়ে পাঠাগারটি। ফলে সেটির দিকে আর কেউ তাকায়নি, দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোগের অভাবে পাঠাগারটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। কবির জন্মভিটায় থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলোও যেন হারাতে বসেছে।



    এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজনের উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে কবি স্মৃতি পাঠাগারটি বছরখানেক খোলা ছিল। পরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় সেটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

    অভিযোগ রয়েছে, কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের পলাতক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা তাহির তাহু কবি শেখ ফজলল করিম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত প্রায় ১৬ বছরে ওই এলাকার সবকিছুতেই ‘দাদাগিরি’ করতেন তিনি। কিন্তু সভাপতি হয়েও পাঠাগার চালু কিংবা কবির স্মৃতি রক্ষায় নেননি কোনো উদ্যোগ। স্থানীয় ‘নাজির’ পরিবারের সন্তান তাহু পূর্বসূরিদের মতোই কখনো কবি পরিবারকে সহ্য করতেন না। ফলে কবি প্রসঙ্গে তিনি ছিলেন উদাসীন।

    উত্তর বাংলা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন,কবির স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার গড়ে তোলা হলেও কোনদিন পাঠাগারটি খোলা দেখিনি।

    এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


    প্রসঙ্গত, ১৮৮২ সালের ১৪ এপ্রিল সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কবি শেখ ফজলল করিম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী বিনবিনা গ্রামের গনি মোহাম্মদ সর্দারের মেয়ে বসিরন নেছা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় কবির। ১৮৯৯ সালে ইংরেজি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন তিনি। তিনি মোট ৫৫টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। সংরক্ষনের অভাবে যার অনেকগুলোর এখন আর হদিস মিলছে না। বাংলা ১৩২৩ সনে ভারতের নদীয়া সাহিত্য পরিষদ তাকে সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করে।

    ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কবি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগের পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে কবি শেখ ফজলল করিমের গ্রামের বাড়ী।
    শেখ ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগার সারাবছরই তালাবদ্ধ এ কে এম কায়সারুল আলম সোহাগ বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম শেখ ফজলল করিম। যিনি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনায় ১৮৮৩ সালের ১৪ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেছিলেন । ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মভিটায়ই ইন্তেকাল করেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে নানা রচনার জন্য তিনি ‘সাহিত্য বিশারদ’, ‘কাব্যরত্নাকার’ ও ‘নীতি ভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে কবি শেখ ফজলুল করিমের স্মৃতি রক্ষার্থে কাকিনা বাজারে একটি দুই তলা ভবনে নির্মিত পাঠাগারটি এখন পরিত্যাক্ত, আবর্জনায় ভরপুর। সেখানে নেই কোন কেয়ারটেকার, নেই পাঠক, রয়েছে বইয়ের সংকট। সারাবছরই থাকে তালাবদ্ধ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাঠাগারটি তালাবদ্ধ, বাহিরের প্লাস্টারও খসে পড়েছে,মুল ফটকের দুই পাশে ও সামনের জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে দোকান । আর ফটকটির ভেতরে ও বাইরে আবর্জনার স্তূপ, জঙ্গলে ভরপুর । জানাগেছে, কবির স্মৃতি ধরে রাখতে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু পরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় এক নেতার ‘রোষানলে’ পড়ে পাঠাগারটি। ফলে সেটির দিকে আর কেউ তাকায়নি, দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোগের অভাবে পাঠাগারটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। কবির জন্মভিটায় থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলোও যেন হারাতে বসেছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজনের উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে কবি স্মৃতি পাঠাগারটি বছরখানেক খোলা ছিল। পরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় সেটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের পলাতক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা তাহির তাহু কবি শেখ ফজলল করিম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত প্রায় ১৬ বছরে ওই এলাকার সবকিছুতেই ‘দাদাগিরি’ করতেন তিনি। কিন্তু সভাপতি হয়েও পাঠাগার চালু কিংবা কবির স্মৃতি রক্ষায় নেননি কোনো উদ্যোগ। স্থানীয় ‘নাজির’ পরিবারের সন্তান তাহু পূর্বসূরিদের মতোই কখনো কবি পরিবারকে সহ্য করতেন না। ফলে কবি প্রসঙ্গে তিনি ছিলেন উদাসীন। উত্তর বাংলা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন,কবির স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার গড়ে তোলা হলেও কোনদিন পাঠাগারটি খোলা দেখিনি। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, ১৮৮২ সালের ১৪ এপ্রিল সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কবি শেখ ফজলল করিম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী বিনবিনা গ্রামের গনি মোহাম্মদ সর্দারের মেয়ে বসিরন নেছা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় কবির। ১৮৯৯ সালে ইংরেজি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন তিনি। তিনি মোট ৫৫টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। সংরক্ষনের অভাবে যার অনেকগুলোর এখন আর হদিস মিলছে না। বাংলা ১৩২৩ সনে ভারতের নদীয়া সাহিত্য পরিষদ তাকে সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কবি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগের পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে কবি শেখ ফজলল করিমের গ্রামের বাড়ী।
    Like
    Love
    Sad
    3
    1 Comments 0 Shares 1K Views 0 Reviews
  • কালীগঞ্জে অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবে শাস্তির বদলে শুধু বদলি

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সমাজসেবা কার্যালয়ের অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবের ঘটনার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমের বিরুদ্ধে দাফতরিকভাবে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু অফিস বদল হয়েছে ।
    এই ঘটনায় বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেই তদন্তেও কোনো অগ্রগতি নেই ।

    জানাগেছে,গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিনই কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এইসব গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো গায়েব হয়। ওই ঘটনায় নিজেকে দায়মুক্ত রাখার কৌশল হিসেবে গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সাজিয়ে টানা এক মাস পর কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম।

    এদিকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েবের ঘটনায় অভিযুক্ত তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাককে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একই পদে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

    কিন্তু অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে বদলির মাত্র ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে আবারো তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে কালীগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।

    অনুসন্ধানে জানাগেছে,লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃআবদুর রাজ্জাক সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ২০২১ সালের ২ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি মন্ত্রী ও তার পুত্রকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক অনুদানসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নামে বেনামে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসতেন । এমনকি মন্ত্রীপুত্রের মৎস্য প্রজেক্টের কর্মচারীদেরও ৫০হাজার টাকা করে চেক দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।


    জুলাই আন্দোলনের দেশে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েব হয়। এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের হলে পুলিশ ও বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্ত নামে । পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে বদলি করা হয় । বর্তমানে তিনি সেখানে কর্মরত আছেন।


    কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম এ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মৌজার বাসিন্দা। একই মৌজার স্হায়ী বাসিন্দা লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি ও তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ২০১৮ সালের ৪ জুন পারভীন বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদান করেন। এরপর একই সালের ২৭ জুন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে যোগদান করেন।


    নিজ অফিস থেকে ফাইল গায়েবের বিষয়ে অভিযুক্ত পারভীন বেগম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।

    এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক জিলুফা সুলতানাকে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাটে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দুদকের গণশুনানির অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ অন্যান্য তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। খোঁজ না পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রকল্পের ওই ফাইলগুলোতে অর্ধশত কোটি টাকারও হিসাব নিকাশ রয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে বদলি ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

    তিনি বলেন, পারভীনকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ আলী দুই মাস আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে কালীগঞ্জে পুনরায় বদলি করেন।

    অভিযোগ উঠেছে, লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রী পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদসহ পরিবারের সদস্য , আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুকূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত যাতে ভবিষ্যতে দুদকসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার নজরে না আসে সেজন্য ৬ আগস্টের ঘটনার অজুহাতে এবং নিজেদের বাঁচানোর কৌশল হিসেবে থানায় জিডি করা হয়। অভিযুক্ত দুইজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষজন ।
    কালীগঞ্জে অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবে শাস্তির বদলে শুধু বদলি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সমাজসেবা কার্যালয়ের অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবের ঘটনার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমের বিরুদ্ধে দাফতরিকভাবে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু অফিস বদল হয়েছে । এই ঘটনায় বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেই তদন্তেও কোনো অগ্রগতি নেই । জানাগেছে,গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিনই কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এইসব গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো গায়েব হয়। ওই ঘটনায় নিজেকে দায়মুক্ত রাখার কৌশল হিসেবে গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সাজিয়ে টানা এক মাস পর কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম। এদিকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েবের ঘটনায় অভিযুক্ত তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাককে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একই পদে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। কিন্তু অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে বদলির মাত্র ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে আবারো তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে কালীগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। অনুসন্ধানে জানাগেছে,লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃআবদুর রাজ্জাক সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ২০২১ সালের ২ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি মন্ত্রী ও তার পুত্রকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক অনুদানসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নামে বেনামে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসতেন । এমনকি মন্ত্রীপুত্রের মৎস্য প্রজেক্টের কর্মচারীদেরও ৫০হাজার টাকা করে চেক দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জুলাই আন্দোলনের দেশে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েব হয়। এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের হলে পুলিশ ও বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্ত নামে । পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে বদলি করা হয় । বর্তমানে তিনি সেখানে কর্মরত আছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম এ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মৌজার বাসিন্দা। একই মৌজার স্হায়ী বাসিন্দা লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি ও তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ২০১৮ সালের ৪ জুন পারভীন বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদান করেন। এরপর একই সালের ২৭ জুন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে যোগদান করেন। নিজ অফিস থেকে ফাইল গায়েবের বিষয়ে অভিযুক্ত পারভীন বেগম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক জিলুফা সুলতানাকে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাটে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দুদকের গণশুনানির অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ অন্যান্য তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। খোঁজ না পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রকল্পের ওই ফাইলগুলোতে অর্ধশত কোটি টাকারও হিসাব নিকাশ রয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে বদলি ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, পারভীনকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ আলী দুই মাস আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে কালীগঞ্জে পুনরায় বদলি করেন। অভিযোগ উঠেছে, লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রী পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদসহ পরিবারের সদস্য , আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুকূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত যাতে ভবিষ্যতে দুদকসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার নজরে না আসে সেজন্য ৬ আগস্টের ঘটনার অজুহাতে এবং নিজেদের বাঁচানোর কৌশল হিসেবে থানায় জিডি করা হয়। অভিযুক্ত দুইজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষজন ।
    Like
    Love
    2
    0 Comments 0 Shares 902 Views 0 Reviews
  • সাভারে দগ্ধ নারী পোষাক শ্রমিকের পাশে দাড়ালেন বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম

    সাভারে আগুনে দগ্ধ হওয়া নারী পোষাক শ্রমিক মায়ার চিকিৎসা সেবায় আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও সাভার পৌর মেয়র প্রার্থী লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম। 

    শনিবার রাত নয়টার দিকে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পোষাক শ্রমিক মায়ার ভাড়াকৃত বাসায় ছুটে যান তিনি।

    পৌর এলাকার বনপুকুরে পোষাক শ্রমিক মায়ার ভাড়াকৃত বাসায় ছুটে গিয়ে প্রথমে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এবং মায়ার অভিভাবকদের মায়ার চিকিৎসার ব্যপারে পরামর্শ দেন। 

    পরে মায়ার চিকিৎসা সেবায় তার স্বামীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন খোরশেদ আলম। 

    এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে খোরশেদ আলম বলেন,আমৃত্যু পর্যন্ত তিনি গরিব অসহায় দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। কারণ,বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তার উপর অত্যাচারের একটি ষ্টীম রোলার চালানো হয়েছিলো। একের পর এক মামলা দিয়ে যখন তাকে ঘর ছাড়া করেছিলেন তখন তিনি এই গরিব অসহায় মানুষের আশ্রয়ে আত্ম গোপনে নিজের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি গরিব অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাভার পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রাশেদুজ্জামান বাচ্চু,৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোশারফ হোসেন মোল্লা,পাথালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হযরত আলী ও পৌর বিএনপির খান মজলিশ বাবুসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, এর আগে মায়া নিজ ভাড়াকৃত বাসায় রান্নার কাজ করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট হওয়া আগুনে তার শরীরের নিচের অংশ দগ্ধ হয়।
    সাভারে দগ্ধ নারী পোষাক শ্রমিকের পাশে দাড়ালেন বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম সাভারে আগুনে দগ্ধ হওয়া নারী পোষাক শ্রমিক মায়ার চিকিৎসা সেবায় আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও সাভার পৌর মেয়র প্রার্থী লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম।  শনিবার রাত নয়টার দিকে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পোষাক শ্রমিক মায়ার ভাড়াকৃত বাসায় ছুটে যান তিনি। পৌর এলাকার বনপুকুরে পোষাক শ্রমিক মায়ার ভাড়াকৃত বাসায় ছুটে গিয়ে প্রথমে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এবং মায়ার অভিভাবকদের মায়ার চিকিৎসার ব্যপারে পরামর্শ দেন।  পরে মায়ার চিকিৎসা সেবায় তার স্বামীর হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন খোরশেদ আলম।  এসময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে খোরশেদ আলম বলেন,আমৃত্যু পর্যন্ত তিনি গরিব অসহায় দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। কারণ,বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তার উপর অত্যাচারের একটি ষ্টীম রোলার চালানো হয়েছিলো। একের পর এক মামলা দিয়ে যখন তাকে ঘর ছাড়া করেছিলেন তখন তিনি এই গরিব অসহায় মানুষের আশ্রয়ে আত্ম গোপনে নিজের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি গরিব অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাভার পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রাশেদুজ্জামান বাচ্চু,৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোশারফ হোসেন মোল্লা,পাথালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হযরত আলী ও পৌর বিএনপির খান মজলিশ বাবুসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এর আগে মায়া নিজ ভাড়াকৃত বাসায় রান্নার কাজ করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট হওয়া আগুনে তার শরীরের নিচের অংশ দগ্ধ হয়।
    Like
    1
    0 Comments 0 Shares 556 Views 0 Reviews
  • জামালগঞ্জে বিএনপির কর্মী সমাবেশে গণজোয়ার: মুজিব কোটধারীদের ঠাঁই নেই

    জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি ফিরে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২১ জুন) সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে লক্ষিপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে এক বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। সমাবেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ছিলো প্রাণবন্ত উপস্থিতি।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে বার্তা স্পষ্ট আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান বলেন, “বিএনপিকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের উপযোগী করতে হবে। অতীতে যারা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিংবা আঁতাত করেছেন, তাদেরকে বিএনপিতে কোনোভাবেই স্থান দেওয়া যাবে না।” তিনি আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে, যাতে থাকবেন একজন আহ্বায়ক ও একজন যুগ্ম আহ্বায়ক।

    জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ তালুকদার বলেন, “যারা ৪ আগস্টেও মুজিব কোট পরে এলাকায় ঘুরেছে, তারাই আজ বিএনপির সামনের সারিতে জায়গা পেতে চাচ্ছে। এদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “বিএনপি ত্যাগ-আদর্শের দল, এখানে সুবিধাবাদীদের স্থান নেই।”

    উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি
    সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ: আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ মালিক, আজিজুর রহমান, মাসুম মাহমুদ তালুকদার, আজাদ হোসেন বাবলু, সদস্যবৃন্দ জুলফিকার চৌধুরী রানা, শামসুজ্জামান ধন মিয়া, তৌফিক চৌধুরী, এডভোকেট শাহিন আলম, ফরিদ মিয়া তালুকদার, গোলাম রব্বানী আফেন্দি, সাজিব মাহমুদ তালুকদার, নুরে আলম ফরাজি, আলী আক্কাস মুরাদ, এমদাদ আফেন্দি, নবী হোসেন, ইকবাল হাসান প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তাদের আহ্বান বক্তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে হবে। আপোষহীন নেতৃত্ব ও আদর্শের ভিত্তিতেই বিএনপির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব।

    এই কর্মী সমাবেশে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্য ও জাগরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।


    . উপস্থিতি
    সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ: আহ্বায়ক


    জামালগঞ্জে বিএনপির কর্মী সমাবেশে গণজোয়ার: মুজিব কোটধারীদের ঠাঁই নেই জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি ফিরে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২১ জুন) সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে লক্ষিপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে এক বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান। সমাবেশে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ছিলো প্রাণবন্ত উপস্থিতি। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বার্তা স্পষ্ট আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান বলেন, “বিএনপিকে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামের উপযোগী করতে হবে। অতীতে যারা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিংবা আঁতাত করেছেন, তাদেরকে বিএনপিতে কোনোভাবেই স্থান দেওয়া যাবে না।” তিনি আরও জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে, যাতে থাকবেন একজন আহ্বায়ক ও একজন যুগ্ম আহ্বায়ক। জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ তালুকদার বলেন, “যারা ৪ আগস্টেও মুজিব কোট পরে এলাকায় ঘুরেছে, তারাই আজ বিএনপির সামনের সারিতে জায়গা পেতে চাচ্ছে। এদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “বিএনপি ত্যাগ-আদর্শের দল, এখানে সুবিধাবাদীদের স্থান নেই।” উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ: আহ্বায়ক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক আঃ মালিক, আজিজুর রহমান, মাসুম মাহমুদ তালুকদার, আজাদ হোসেন বাবলু, সদস্যবৃন্দ জুলফিকার চৌধুরী রানা, শামসুজ্জামান ধন মিয়া, তৌফিক চৌধুরী, এডভোকেট শাহিন আলম, ফরিদ মিয়া তালুকদার, গোলাম রব্বানী আফেন্দি, সাজিব মাহমুদ তালুকদার, নুরে আলম ফরাজি, আলী আক্কাস মুরাদ, এমদাদ আফেন্দি, নবী হোসেন, ইকবাল হাসান প্রমুখ। সমাবেশে বক্তাদের আহ্বান বক্তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে হবে। আপোষহীন নেতৃত্ব ও আদর্শের ভিত্তিতেই বিএনপির কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব। এই কর্মী সমাবেশে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্য ও জাগরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। . উপস্থিতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ: আহ্বায়ক
    1 Comments 0 Shares 832 Views 0 Reviews
  • দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে গতকাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে আওয়ামী দুর্বৃত্ত মাহিয়া মাহি। সর্বশেষ ডামি নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল সে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে চালিয়েছিল নোংরা প্রচারণা। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে ফেসবুকে একটি স্টেটাস দেয় ও তারপর নিজের পেজটি ডিএকটিভ করে ফেলে সে।
    দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে গতকাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে আওয়ামী দুর্বৃত্ত মাহিয়া মাহি। সর্বশেষ ডামি নির্বাচনে আওয়ামী মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিল সে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি ও তারেক রহমানকে নিয়ে চালিয়েছিল নোংরা প্রচারণা। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে ফেসবুকে একটি স্টেটাস দেয় ও তারপর নিজের পেজটি ডিএকটিভ করে ফেলে সে।
    Like
    1
    0 Comments 0 Shares 505 Views 0 Reviews
  • আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করছে : রিজভী
    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

    শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ পৃষ্ঠপোষকতায় পাবনার চাটমোহরের আবু তাহের ওরফে ‘তাহের ঠাকুর’-কে দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান দেন।

    রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। সৌধ নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। ১৬ বছরের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতাকর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পাইনি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ংকর। আজকে নির্ভয়ে আমরা কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেকের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

    তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে, লুট করে দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেস্তের মতো সুখে আছে। শেখ হাসিনা মিডিয়া কন্ট্রোল করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। ১৮ কোটি দেশের মানুষ দমিয়ে রাখতে পারবে না। এ দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা এ দেশ শাসন করবে। নির্যাতনের শিকার হয়েছি তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।

    আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে। যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে এ আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।

    তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি (তাহের ঠাকুর) দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। জেলা বিএনপি যেন সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখে সেজন্য বলেছি। আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আছে। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ত্যাগী এ বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে বিষয়টি পড়লে তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
    আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করছে : রিজভী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ পৃষ্ঠপোষকতায় পাবনার চাটমোহরের আবু তাহের ওরফে ‘তাহের ঠাকুর’-কে দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান দেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। সৌধ নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। ১৬ বছরের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতাকর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পাইনি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ংকর। আজকে নির্ভয়ে আমরা কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেকের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে, লুট করে দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেস্তের মতো সুখে আছে। শেখ হাসিনা মিডিয়া কন্ট্রোল করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। ১৮ কোটি দেশের মানুষ দমিয়ে রাখতে পারবে না। এ দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা এ দেশ শাসন করবে। নির্যাতনের শিকার হয়েছি তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে। যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে এ আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে। তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি (তাহের ঠাকুর) দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। জেলা বিএনপি যেন সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখে সেজন্য বলেছি। আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ্য, আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আছে। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ত্যাগী এ বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে বিষয়টি পড়লে তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে নির্দেশনা দেন।
    0 Comments 0 Shares 579 Views 0 Reviews
  • আওয়ামী লীগ কে ক্ষমা করা যায় কিন্তু রাজনীতি করার অধিকার বা সুযোগ দেয়া যায় না। আমির হোসেন সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহাজাদপুর উপজেলা বিএনপি।
    আওয়ামী লীগ কে ক্ষমা করা যায় কিন্তু রাজনীতি করার অধিকার বা সুযোগ দেয়া যায় না। আমির হোসেন সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহাজাদপুর উপজেলা বিএনপি।
    EYENEWSBD.COM
    একান্ত সাক্ষাৎকার: আমির হোসেন সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহাজাদপুর উপজেলা বিএনপি।
    ⁣🔹 প্রসঙ্গ: সাক্ষাৎকারে তিনি দীর্ঘ ১৬ বছরে জেল, জুলুম ও নির্যাতন প্রসঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কে ক্ষমা করা যায় কিন্তু রাজনীতি করার অধিকার বা সুযোগ দেয়া যায় না। . 🔹 পেছনের ১৬ বছর ও রাজনৈত
    Like
    Love
    2
    0 Comments 0 Shares 755 Views 0 Reviews
More Results
Eidok App https://eidok.com