• কুষ্টিয়ার হরিপুরে আওয়ামীলীগ নেতা রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    জাকির হোসেন।। আজ ১৫ আগস্ট সকাল দশটায়, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষরদের নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবিতে কালিমা লেপনকারী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে কুষ্টিয়ার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
    বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-উপস্থিত ছিলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সার্সচ কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম আন্টু, সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য বয়ান প্রামাণিক, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহিনুর রহমান শাহিন,কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম চমন,সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল, কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সদস্য কালাম মন্ডল সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা আহম্মেদ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের সদস্য সচিব পিয়াস, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সাকিব আল হাসান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিমেল ফকির,সদস্য সচিব ইমরান ফারাজী,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন,যুগ্ম আহ্বায়ক রকি মন্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল,আলামিন, ভন্টে,সাইদুল, পাপ্পু,সহ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী বৃন্দ।

    অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন-সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম শিপন।
    সভাপতিত্ব করেন -কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাসেল হোসেন।
    উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন - হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন সহ সারাদেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি লক্ষে এই এই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোষররা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেও এই হাসিবুর রহমান রিজু এলাকায় থাকছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।তাই তাকে সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।যদি দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।

    কুষ্টিয়ার হরিপুরে আওয়ামীলীগ নেতা রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জাকির হোসেন।। আজ ১৫ আগস্ট সকাল দশটায়, দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোষরদের নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবিতে কালিমা লেপনকারী আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাসিবুর রহমান রিজু সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে কুষ্টিয়ার ১নং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-উপস্থিত ছিলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যতম সার্সচ কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম আন্টু, সার্চ কমিটির অন্যতম সদস্য বয়ান প্রামাণিক, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহিনুর রহমান শাহিন,কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম চমন,সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন,সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল, কুষ্টিয়া জেলা কৃষক দলের সদস্য কালাম মন্ডল সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রেজা আহম্মেদ, কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের সদস্য সচিব পিয়াস, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সাকিব আল হাসান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হিমেল ফকির,সদস্য সচিব ইমরান ফারাজী,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন,যুগ্ম আহ্বায়ক রকি মন্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল,আলামিন, ভন্টে,সাইদুল, পাপ্পু,সহ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন-সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম শিপন। সভাপতিত্ব করেন -কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রাসেল হোসেন। উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন - হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন সহ সারাদেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি লক্ষে এই এই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোষররা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গেলেও এই হাসিবুর রহমান রিজু এলাকায় থাকছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।তাই তাকে সহ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।যদি দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।
    0 التعليقات 0 المشاركات 322 مشاهدة 0 معاينة
  • চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: পুলিশের উপর হামলা, ২১ জন আটক..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/chttgrame-aoami-liger-jhtika-michil-pulisher-upr-hamla-21-jn-atk_18090.html
    চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: পুলিশের উপর হামলা, ২১ জন আটক.. https://eyenewsbd.com/articles/read/chttgrame-aoami-liger-jhtika-michil-pulisher-upr-hamla-21-jn-atk_18090.html
    EYENEWSBD.COM
    চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: পুলিশের উপর হামলা, ২১ জন আটক.. | আই নিউজ বিডি
    চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।..
    Like
    1
    1 التعليقات 0 المشاركات 533 مشاهدة 0 معاينة
  • সরকারি পর্যবেক্ষণে বিদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম প্রেস সচিব শফিকুল আলম..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/srkari-prjbekshne-bideshe-aoami-liger-karjkrm-pres-schib-shfikul-alm_17833.html
    সরকারি পর্যবেক্ষণে বিদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম প্রেস সচিব শফিকুল আলম.. https://eyenewsbd.com/articles/read/srkari-prjbekshne-bideshe-aoami-liger-karjkrm-pres-schib-shfikul-alm_17833.html
    EYENEWSBD.COM
    সরকারি পর্যবেক্ষণে বিদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম প্রেস সচিব শফিকুল আলম.. | আই নিউজ বিডি
    বিদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে সরকার, প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর উপলক্ষে জানান প্রেস সচিব।..
    Like
    1
    1 التعليقات 0 المشاركات 800 مشاهدة 0 معاينة
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশে হাজারো জনতার উপস্থিতি কুতুবদিয়ার রাজপথে এক অভূতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি করে।
    বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দরবার রাস্তার মাথা থেকে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি বড়ঘোপ বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
    বহু বছর পর আদালতের রায়ে ফিরিয়ে আনা জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক এদিনের মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে। প্রতীকটি বহন করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিলো। ভোটবিহীন ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। একবছর আগে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়, যেখানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র শহীদ হন। কিন্তু সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।”
    তারা আরও বলেন, “আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি ও প্রতীক ফিরে পাওয়া জনগণের বিজয়। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে, এটাই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।”
    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা আবদুস সাত্তার,প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা উসমান গণী,বড়ঘোপ ইউনিয়ন সভাপতি আহমদ নূর,উপজেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আবদুর রহমান,যুব নেতা রবিউল হোসাইন,ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশে হাজারো জনতার উপস্থিতি কুতুবদিয়ার রাজপথে এক অভূতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি করে। বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দরবার রাস্তার মাথা থেকে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি বড়ঘোপ বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বহু বছর পর আদালতের রায়ে ফিরিয়ে আনা জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক এদিনের মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে। প্রতীকটি বহন করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিলো। ভোটবিহীন ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। একবছর আগে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়, যেখানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র শহীদ হন। কিন্তু সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।” তারা আরও বলেন, “আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি ও প্রতীক ফিরে পাওয়া জনগণের বিজয়। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে, এটাই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।” সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা আবদুস সাত্তার,প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা উসমান গণী,বড়ঘোপ ইউনিয়ন সভাপতি আহমদ নূর,উপজেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আবদুর রহমান,যুব নেতা রবিউল হোসাইন,ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    0 التعليقات 0 المشاركات 599 مشاهدة 0 معاينة
  • সোনাইমুড়ীতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা পার্থ সাহা ( ৩২) ও আওয়ামীলীগ নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত পার্থ সাহা হচ্ছে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার ভানুয়াই চৌধুরী বাড়ির সুনীল সাহার ছেলে। আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো চাষির হাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাহার পাড় আমজাদ ব্যাপারী বাড়ির বাচ্চাু মিয়ার ছেলে।

    সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম জানান, তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাদের কে শুক্রবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
    সোনাইমুড়ীতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা পার্থ সাহা ( ৩২) ও আওয়ামীলীগ নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত পার্থ সাহা হচ্ছে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার ভানুয়াই চৌধুরী বাড়ির সুনীল সাহার ছেলে। আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো চাষির হাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাহার পাড় আমজাদ ব্যাপারী বাড়ির বাচ্চাু মিয়ার ছেলে। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম জানান, তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাদের কে শুক্রবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
    0 التعليقات 0 المشاركات 513 مشاهدة 0 معاينة
  • ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/15-bchre-aoami-sntraser-shikar-nihtder-talika-prstutir-nirdesh-prdhan-updeshtar_15771.html
    ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার.. https://eyenewsbd.com/articles/read/15-bchre-aoami-sntraser-shikar-nihtder-talika-prstutir-nirdesh-prdhan-updeshtar_15771.html
    EYENEWSBD.COM
    ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার নিহতদের তালিকা প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার.. | আই নিউজ বিডি
    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসে নিহতদের তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।..
    Like
    2
    1 التعليقات 0 المشاركات 590 مشاهدة 0 معاينة
  • সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী।

    সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়।

    এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে।

    এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে।

    এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী?

    এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে।

    এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

    সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়। এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে। এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে। এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী? এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে। এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।
    Like
    Love
    2
    1 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • আওয়ামী লীগের শাসনে নির্যাতিত,আজ নব্য বিএনপির কর্মীদের জন্য বিএনপিতেও জায়গা নেই
    আওয়ামী লীগের শাসনে নির্যাতিত,আজ নব্য বিএনপির কর্মীদের জন্য বিএনপিতেও জায়গা নেই
    0 التعليقات 0 المشاركات 518 مشاهدة 12 0 معاينة
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা
    গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বুধবার (১৬ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় হামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এমন বর্বর সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না।

    এতে আরও বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যেও যারা সাহসিকতা ও অটল মনোভাব নিয়ে পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

    এদিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

    জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

    এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
    গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা নিয়ে সরকারের কঠোর বার্তা গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (১৬ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, আজ গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তরুণদের বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকার হরণ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগজনক এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন; তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় অনেককে মারধর করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিন্দনীয় হামলা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হামলায় দায়ীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরভাবে জবাবদিহির মুখোমুখি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এমন বর্বর সহিংসতার কোনো জায়গা থাকতে পারে না। এতে আরও বলা হয়, আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি হুমকি ও ভয়ভীতির মধ্যেও যারা সাহসিকতা ও অটল মনোভাব নিয়ে পদযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, সেই শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। এদিকে গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছত্রলীগের হামলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি নেতাকর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তারা চারদিক থেকে এনসিপির নেতাকর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত থাকা এনসিপির নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।
    0 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • মুরাদনগরে দরজা ভে'ঙে নারীকে ধ*র্ষ*ণ করা সেই আ.ওয়ামী নেতা সহ গ্রে-প্তা-র ৫ ..

    #আওয়ামী_নেতা #ধর্ষণ #BMW #Bangladesh
    #মুরাদনগর #কুমিল্লা #আটক_



    #BMW #shortsvideos
    #Bangladesh #shortsvideos

    Ten Unknown Facts About #BMW

    1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

    2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

    3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and h
    মুরাদনগরে দরজা ভে'ঙে নারীকে ধ*র্ষ*ণ করা সেই আ.ওয়ামী নেতা সহ গ্রে-প্তা-র ৫ .. #আওয়ামী_নেতা #ধর্ষণ #BMW #Bangladesh #মুরাদনগর #কুমিল্লা #আটক_৫ #BMW #shortsvideos #Bangladesh #shortsvideos 👉Ten Unknown Facts About #BMW 1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s. 2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky. 3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and h
    Like
    1
    0 التعليقات 0 المشاركات 3كيلو بايت مشاهدة 10 0 معاينة
  • শেখ ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগার সারাবছরই তালাবদ্ধ

    এ কে এম কায়সারুল আলম সোহাগ



    বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম শেখ ফজলল করিম। যিনি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনায় ১৮৮৩ সালের ১৪ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেছিলেন । ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মভিটায়ই ইন্তেকাল করেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে নানা রচনার জন্য তিনি ‘সাহিত্য বিশারদ’, ‘কাব্যরত্নাকার’ ও ‘নীতি ভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।

    ২০০৫ সালে কবি শেখ ফজলুল করিমের স্মৃতি রক্ষার্থে কাকিনা বাজারে একটি দুই তলা ভবনে নির্মিত পাঠাগারটি এখন পরিত্যাক্ত, আবর্জনায় ভরপুর। সেখানে নেই কোন কেয়ারটেকার, নেই পাঠক, রয়েছে বইয়ের সংকট। সারাবছরই থাকে তালাবদ্ধ।


    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাঠাগারটি তালাবদ্ধ, বাহিরের প্লাস্টারও খসে পড়েছে,মুল ফটকের দুই পাশে ও সামনের জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে দোকান । আর ফটকটির ভেতরে ও বাইরে আবর্জনার স্তূপ, জঙ্গলে ভরপুর ।

    জানাগেছে, কবির স্মৃতি ধরে রাখতে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু পরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় এক নেতার ‘রোষানলে’ পড়ে পাঠাগারটি। ফলে সেটির দিকে আর কেউ তাকায়নি, দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোগের অভাবে পাঠাগারটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। কবির জন্মভিটায় থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলোও যেন হারাতে বসেছে।



    এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজনের উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে কবি স্মৃতি পাঠাগারটি বছরখানেক খোলা ছিল। পরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় সেটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

    অভিযোগ রয়েছে, কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের পলাতক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা তাহির তাহু কবি শেখ ফজলল করিম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত প্রায় ১৬ বছরে ওই এলাকার সবকিছুতেই ‘দাদাগিরি’ করতেন তিনি। কিন্তু সভাপতি হয়েও পাঠাগার চালু কিংবা কবির স্মৃতি রক্ষায় নেননি কোনো উদ্যোগ। স্থানীয় ‘নাজির’ পরিবারের সন্তান তাহু পূর্বসূরিদের মতোই কখনো কবি পরিবারকে সহ্য করতেন না। ফলে কবি প্রসঙ্গে তিনি ছিলেন উদাসীন।

    উত্তর বাংলা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন,কবির স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার গড়ে তোলা হলেও কোনদিন পাঠাগারটি খোলা দেখিনি।

    এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


    প্রসঙ্গত, ১৮৮২ সালের ১৪ এপ্রিল সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কবি শেখ ফজলল করিম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী বিনবিনা গ্রামের গনি মোহাম্মদ সর্দারের মেয়ে বসিরন নেছা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় কবির। ১৮৯৯ সালে ইংরেজি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন তিনি। তিনি মোট ৫৫টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। সংরক্ষনের অভাবে যার অনেকগুলোর এখন আর হদিস মিলছে না। বাংলা ১৩২৩ সনে ভারতের নদীয়া সাহিত্য পরিষদ তাকে সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করে।

    ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কবি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগের পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে কবি শেখ ফজলল করিমের গ্রামের বাড়ী।
    শেখ ফজলল করিম স্মৃতি পাঠাগার সারাবছরই তালাবদ্ধ এ কে এম কায়সারুল আলম সোহাগ বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম শেখ ফজলল করিম। যিনি লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনায় ১৮৮৩ সালের ১৪ এপ্রিল জন্ম গ্রহণ করেছিলেন । ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মভিটায়ই ইন্তেকাল করেন তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে নানা রচনার জন্য তিনি ‘সাহিত্য বিশারদ’, ‘কাব্যরত্নাকার’ ও ‘নীতি ভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে কবি শেখ ফজলুল করিমের স্মৃতি রক্ষার্থে কাকিনা বাজারে একটি দুই তলা ভবনে নির্মিত পাঠাগারটি এখন পরিত্যাক্ত, আবর্জনায় ভরপুর। সেখানে নেই কোন কেয়ারটেকার, নেই পাঠক, রয়েছে বইয়ের সংকট। সারাবছরই থাকে তালাবদ্ধ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাঠাগারটি তালাবদ্ধ, বাহিরের প্লাস্টারও খসে পড়েছে,মুল ফটকের দুই পাশে ও সামনের জায়গা দখল করে বসানো হয়েছে দোকান । আর ফটকটির ভেতরে ও বাইরে আবর্জনার স্তূপ, জঙ্গলে ভরপুর । জানাগেছে, কবির স্মৃতি ধরে রাখতে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু পরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় এক নেতার ‘রোষানলে’ পড়ে পাঠাগারটি। ফলে সেটির দিকে আর কেউ তাকায়নি, দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোগের অভাবে পাঠাগারটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। কবির জন্মভিটায় থাকা স্মৃতিচিহ্নগুলোও যেন হারাতে বসেছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজনের উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে কবি স্মৃতি পাঠাগারটি বছরখানেক খোলা ছিল। পরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় সেটি আবারও বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, কাকিনা ইউনিয়ন পরিষদের পলাতক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা তাহির তাহু কবি শেখ ফজলল করিম স্মৃতি গণপাঠাগারের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত প্রায় ১৬ বছরে ওই এলাকার সবকিছুতেই ‘দাদাগিরি’ করতেন তিনি। কিন্তু সভাপতি হয়েও পাঠাগার চালু কিংবা কবির স্মৃতি রক্ষায় নেননি কোনো উদ্যোগ। স্থানীয় ‘নাজির’ পরিবারের সন্তান তাহু পূর্বসূরিদের মতোই কখনো কবি পরিবারকে সহ্য করতেন না। ফলে কবি প্রসঙ্গে তিনি ছিলেন উদাসীন। উত্তর বাংলা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন,কবির স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার গড়ে তোলা হলেও কোনদিন পাঠাগারটি খোলা দেখিনি। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, ১৮৮২ সালের ১৪ এপ্রিল সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কবি শেখ ফজলল করিম। মাত্র ১৩ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী বিনবিনা গ্রামের গনি মোহাম্মদ সর্দারের মেয়ে বসিরন নেছা খাতুনের সাথে বিয়ে হয় কবির। ১৮৯৯ সালে ইংরেজি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন তিনি। তিনি মোট ৫৫টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। সংরক্ষনের অভাবে যার অনেকগুলোর এখন আর হদিস মিলছে না। বাংলা ১৩২৩ সনে ভারতের নদীয়া সাহিত্য পরিষদ তাকে সাহিত্য বিশারদ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৩৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কবি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগের পর অরক্ষিত হয়ে পড়ে কবি শেখ ফজলল করিমের গ্রামের বাড়ী।
    Like
    Love
    Sad
    3
    1 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
  • কালীগঞ্জে অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবে শাস্তির বদলে শুধু বদলি

    লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সমাজসেবা কার্যালয়ের অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবের ঘটনার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমের বিরুদ্ধে দাফতরিকভাবে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু অফিস বদল হয়েছে ।
    এই ঘটনায় বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেই তদন্তেও কোনো অগ্রগতি নেই ।

    জানাগেছে,গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিনই কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এইসব গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো গায়েব হয়। ওই ঘটনায় নিজেকে দায়মুক্ত রাখার কৌশল হিসেবে গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সাজিয়ে টানা এক মাস পর কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম।

    এদিকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েবের ঘটনায় অভিযুক্ত তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাককে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একই পদে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলি করা হয়।

    কিন্তু অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে বদলির মাত্র ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে আবারো তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে কালীগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।

    অনুসন্ধানে জানাগেছে,লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃআবদুর রাজ্জাক সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ২০২১ সালের ২ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি মন্ত্রী ও তার পুত্রকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক অনুদানসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নামে বেনামে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসতেন । এমনকি মন্ত্রীপুত্রের মৎস্য প্রজেক্টের কর্মচারীদেরও ৫০হাজার টাকা করে চেক দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।


    জুলাই আন্দোলনের দেশে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েব হয়। এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের হলে পুলিশ ও বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্ত নামে । পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে বদলি করা হয় । বর্তমানে তিনি সেখানে কর্মরত আছেন।


    কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম এ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মৌজার বাসিন্দা। একই মৌজার স্হায়ী বাসিন্দা লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি ও তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ২০১৮ সালের ৪ জুন পারভীন বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদান করেন। এরপর একই সালের ২৭ জুন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে যোগদান করেন।


    নিজ অফিস থেকে ফাইল গায়েবের বিষয়ে অভিযুক্ত পারভীন বেগম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।

    এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক জিলুফা সুলতানাকে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাটে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দুদকের গণশুনানির অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ অন্যান্য তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। খোঁজ না পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রকল্পের ওই ফাইলগুলোতে অর্ধশত কোটি টাকারও হিসাব নিকাশ রয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে বদলি ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

    তিনি বলেন, পারভীনকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ আলী দুই মাস আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে কালীগঞ্জে পুনরায় বদলি করেন।

    অভিযোগ উঠেছে, লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রী পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদসহ পরিবারের সদস্য , আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুকূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত যাতে ভবিষ্যতে দুদকসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার নজরে না আসে সেজন্য ৬ আগস্টের ঘটনার অজুহাতে এবং নিজেদের বাঁচানোর কৌশল হিসেবে থানায় জিডি করা হয়। অভিযুক্ত দুইজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষজন ।
    কালীগঞ্জে অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবে শাস্তির বদলে শুধু বদলি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সমাজসেবা কার্যালয়ের অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েবের ঘটনার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমের বিরুদ্ধে দাফতরিকভাবে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু অফিস বদল হয়েছে । এই ঘটনায় বিভাগীয় পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেই তদন্তেও কোনো অগ্রগতি নেই । জানাগেছে,গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিনই কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে এইসব গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো গায়েব হয়। ওই ঘটনায় নিজেকে দায়মুক্ত রাখার কৌশল হিসেবে গত ৬ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে ফাইল হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা সাজিয়ে টানা এক মাস পর কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে অভিযুক্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম। এদিকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গায়েবের ঘটনায় অভিযুক্ত তৎকালীন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাককে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর একই পদে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলি করা হয়। কিন্তু অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগমকে বদলির মাত্র ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল ঢাকার সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে আবারো তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অব্যাহতি দিয়ে কালীগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। অনুসন্ধানে জানাগেছে,লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোঃআবদুর রাজ্জাক সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ২০২১ সালের ২ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি মন্ত্রী ও তার পুত্রকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ও আর্থিক অনুদানসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নামে বেনামে ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসতেন । এমনকি মন্ত্রীপুত্রের মৎস্য প্রজেক্টের কর্মচারীদেরও ৫০হাজার টাকা করে চেক দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জুলাই আন্দোলনের দেশে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ফাইল গায়েব হয়। এই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের হলে পুলিশ ও বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনার তদন্ত নামে । পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে বদলি করা হয় । বর্তমানে তিনি সেখানে কর্মরত আছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পারভীন বেগম এ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম মৌজার বাসিন্দা। একই মৌজার স্হায়ী বাসিন্দা লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের তৎকালীন এমপি ও তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ২০১৮ সালের ৪ জুন পারভীন বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদান করেন। এরপর একই সালের ২৭ জুন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে একই পদে যোগদান করেন। নিজ অফিস থেকে ফাইল গায়েবের বিষয়ে অভিযুক্ত পারভীন বেগম এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক জিলুফা সুলতানাকে ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া লালমনিরহাটে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল দুদকের গণশুনানির অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্ত প্রতিবেদনসহ অন্যান্য তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। খোঁজ না পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রকল্পের ওই ফাইলগুলোতে অর্ধশত কোটি টাকারও হিসাব নিকাশ রয়েছে। এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে বদলি ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, পারভীনকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ আলী দুই মাস আগে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে কালীগঞ্জে পুনরায় বদলি করেন। অভিযোগ উঠেছে, লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মন্ত্রী পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদসহ পরিবারের সদস্য , আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের অনুকূলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ আর্থিক অনুদান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত যাতে ভবিষ্যতে দুদকসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়ার নজরে না আসে সেজন্য ৬ আগস্টের ঘটনার অজুহাতে এবং নিজেদের বাঁচানোর কৌশল হিসেবে থানায় জিডি করা হয়। অভিযুক্ত দুইজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সম্ভব বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষজন ।
    Like
    Love
    2
    0 التعليقات 0 المشاركات 1كيلو بايت مشاهدة 0 معاينة
الصفحات المعززة
Eidok App https://eidok.com