• আজ কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের জন্মদিন ।

    জাকির হোসেন।। আজ ৪ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের জন্মদিন আজ । ১৯৭৬ সালের এ দিনে কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মুন্সী খলিল উদ্দীন ও মা আছিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়।

    আদিত্য ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি, কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে ২০০০ সালে অনার্স ও ২০০১ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

    আদিত্য শাহীন ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সূত্রপাত’ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এর পর কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে ‘দৈনিক আন্দোলনের বাজার’র বার্তা সম্পাদক, ২০০০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক খোলা কাগজের’ বার্তা সম্পাদক, ২০০৩ সালে ‘দৈনিক পত্রিকা’র নির্বাহী সম্পাদক ও একই বছরের মে মাসে বেসরকারি টিভি ‘চ্যানেল আই’ এ ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ ও প্রোগ্রাম রিসার্চচার হিসেবে যোগ দেন। ওই সময় তিনি চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের গবেষণা ও পাণ্ডলিপি লেখার দায়িত্ব পালন করতেন। বর্তমানে একই প্রতিষ্ঠানে তিনি বার্তা সম্পাদক পদে কর্মরত।

    এ সাংবাদিক ১৯৯০ সাল থেকে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। ২০০৭ সালে তার লেখা শিশুতোষ গ্রন্থ ‘ভেবলুর গালিভার’, ২০১০ সালে কাব্যগ্রন্থ ‘ওগো মোর দেহপ্রভু’ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া তার সম্পাদিত অনেক বইও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শাইখ সিরাজের জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘সান অব দ্য সয়েল’, রাজনীতিবিদ সাইফুদ্দিন আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক গ্রন্থ, চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান নিয়ে সারাদেশের দর্শকদের নিবন্ধনের সংকলন ‘জনভাষ্য’ এর ১ থেকে ৬টি খণ্ড সম্পাদনা। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে লিটল ম্যাগাজিন ‘নিরীখ’ ও ১৯৯২ সালে ‘ছড়াপত্র ডিনামাইট’ এর সম্পাদনাও করেন।

    আদিত্য মাসিক সমালোচনাপত্র ‘ক্রিটিক’ ও নারী প্রগতির ত্রৈমাসিক ‘পারি’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    আদিত্য শাহীন ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর লায়লা খালেদার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তার সহধর্মিণী লায়লা ‘ক্রিটিক’ ও ‘পারি’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক পদে কর্মরত।

    আদিত্য শাহীনের পছন্দের রং ক্রিম ও ফুল গোলাপ। খেতে ভালবাসেন সব ধরনের দেশী খাবার। আর অবসরে তিনি ছবি আঁকতে ও লেখালেখি করতেই পছন্দ করেন।

    তিনি সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে কুষ্টিয়ার অনিকস একাডেমির ‘শ্রেষ্ঠ তরুণ সাংবাদিক’ পুরস্কার পান।

    জন্মদিনে জানাই শুভ কামনা।
    আজ কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের জন্মদিন । জাকির হোসেন।। আজ ৪ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের জন্মদিন আজ । ১৯৭৬ সালের এ দিনে কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মৃত মুন্সী খলিল উদ্দীন ও মা আছিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। আদিত্য ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি, কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে ২০০০ সালে অনার্স ও ২০০১ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। আদিত্য শাহীন ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সূত্রপাত’ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এর পর কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে ‘দৈনিক আন্দোলনের বাজার’র বার্তা সম্পাদক, ২০০০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক খোলা কাগজের’ বার্তা সম্পাদক, ২০০৩ সালে ‘দৈনিক পত্রিকা’র নির্বাহী সম্পাদক ও একই বছরের মে মাসে বেসরকারি টিভি ‘চ্যানেল আই’ এ ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ ও প্রোগ্রাম রিসার্চচার হিসেবে যোগ দেন। ওই সময় তিনি চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের গবেষণা ও পাণ্ডলিপি লেখার দায়িত্ব পালন করতেন। বর্তমানে একই প্রতিষ্ঠানে তিনি বার্তা সম্পাদক পদে কর্মরত। এ সাংবাদিক ১৯৯০ সাল থেকে বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন। ২০০৭ সালে তার লেখা শিশুতোষ গ্রন্থ ‘ভেবলুর গালিভার’, ২০১০ সালে কাব্যগ্রন্থ ‘ওগো মোর দেহপ্রভু’ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া তার সম্পাদিত অনেক বইও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শাইখ সিরাজের জীবন ও কর্ম নিয়ে ‘সান অব দ্য সয়েল’, রাজনীতিবিদ সাইফুদ্দিন আহমেদের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক গ্রন্থ, চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠান নিয়ে সারাদেশের দর্শকদের নিবন্ধনের সংকলন ‘জনভাষ্য’ এর ১ থেকে ৬টি খণ্ড সম্পাদনা। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে লিটল ম্যাগাজিন ‘নিরীখ’ ও ১৯৯২ সালে ‘ছড়াপত্র ডিনামাইট’ এর সম্পাদনাও করেন। আদিত্য মাসিক সমালোচনাপত্র ‘ক্রিটিক’ ও নারী প্রগতির ত্রৈমাসিক ‘পারি’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আদিত্য শাহীন ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর লায়লা খালেদার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তার সহধর্মিণী লায়লা ‘ক্রিটিক’ ও ‘পারি’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক পদে কর্মরত। আদিত্য শাহীনের পছন্দের রং ক্রিম ও ফুল গোলাপ। খেতে ভালবাসেন সব ধরনের দেশী খাবার। আর অবসরে তিনি ছবি আঁকতে ও লেখালেখি করতেই পছন্দ করেন। তিনি সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে কুষ্টিয়ার অনিকস একাডেমির ‘শ্রেষ্ঠ তরুণ সাংবাদিক’ পুরস্কার পান। জন্মদিনে জানাই শুভ কামনা।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাট এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যু
    রিপোর্ট: খায়রুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাট এর বিশিষ্ট ইট ও পরিবহন ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সরকার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

    গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই হাটের প্রখ্যাত ইট ও পরিবহন ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সরকার আজ সকালে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    সাজ্জাদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তিনি আজ সকাল নয়টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং ব্যবসায়িক সহযোগীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় সমাজসেবী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

    গোবিন্দগঞ্জের ব্যবসায়িক মহলে সাজ্জাদুর রহমান একজন পরিচিত মুখ ছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইটভাটা এবং পরিবহন ব্যবসা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাঁর এই হঠাৎ মৃত্যুতে ব্যবসায়িক মহল এবং স্থানীয় জনগণ একজন প্রভাবশালী ও সফল ব্যবসায়ীক নেতা হারিয়েছে।

    তাঁর মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনীতিবিদরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন যে, সাজ্জাদুর রহমানের অবদান ভবিষ্যতেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।

    সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যুর ফলে গোবিন্দগঞ্জে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে যা সহজে পূরণ হবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী কিছুদিন নাকাই হাট এলাকায় বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

    তাঁর জানাজা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় নাকাই হাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবং পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে গাইবান্ধার ব্যবসায়িক মহল এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
    গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাট এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যু রিপোর্ট: খায়রুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাকাই হাট এর বিশিষ্ট ইট ও পরিবহন ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সরকার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই হাটের প্রখ্যাত ইট ও পরিবহন ব্যবসায়ী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সরকার আজ সকালে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাজ্জাদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তিনি আজ সকাল নয়টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং ব্যবসায়িক সহযোগীরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় সমাজসেবী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। গোবিন্দগঞ্জের ব্যবসায়িক মহলে সাজ্জাদুর রহমান একজন পরিচিত মুখ ছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইটভাটা এবং পরিবহন ব্যবসা স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাঁর এই হঠাৎ মৃত্যুতে ব্যবসায়িক মহল এবং স্থানীয় জনগণ একজন প্রভাবশালী ও সফল ব্যবসায়ীক নেতা হারিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনীতিবিদরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন যে, সাজ্জাদুর রহমানের অবদান ভবিষ্যতেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। সাজ্জাদুর রহমানের মৃত্যুর ফলে গোবিন্দগঞ্জে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে যা সহজে পূরণ হবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী কিছুদিন নাকাই হাট এলাকায় বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তাঁর জানাজা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় নাকাই হাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবং পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে গাইবান্ধার ব্যবসায়িক মহল এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
    1 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • বাগেরহাটে ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে চলছে সর্বাত্মক অবরোধ ও হরতাল,

    #বাগেরহাট #অবরোধ #হরতাল #রাজনীতি #নির্বাচন
    বাগেরহাটে ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে চলছে সর্বাত্মক অবরোধ ও হরতাল, #বাগেরহাট #অবরোধ #হরতাল #রাজনীতি #নির্বাচন
    0 Commentarii 0 Distribuiri 940 Views 34 0 previzualizare
  • চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শাহ সিমেন্ট কোম্পানির এক শ্রমজীবী গাড়িচালককে নির্মমভাবে থামিয়ে গাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে গেলো নেতাকর্মীরা। জীবন বাঁচানোর আকুতি উপেক্ষা করে তাকে রাস্তায় মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে দেওয়া হলো— যেন মানুষের প্রাণ এখানে কেবল রাজনীতির খেলায় তুচ্ছ এক উপকরণ।

    এ কোন দেশে আমরা বেঁচে আছি? যেখানে শ্রমজীবী মানুষের ঘাম, রক্ত আর কান্না রাজনীতির দানবীয় গ্রাসে প্রতিদিন গ্রাসিত হয়! মনে হয়, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সোমালিয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর এক অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। হায়রে আমার প্রিয় বাংলাদেশ— তোমার বুক আজ রক্তে ভিজে যাচ্ছে, অথচ কেউ শুনছে না এই আর্তনাদ!
    চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় শাহ সিমেন্ট কোম্পানির এক শ্রমজীবী গাড়িচালককে নির্মমভাবে থামিয়ে গাড়ির ভেতরে ঢুকে ধারালো ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে গেলো নেতাকর্মীরা। জীবন বাঁচানোর আকুতি উপেক্ষা করে তাকে রাস্তায় মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে দেওয়া হলো— যেন মানুষের প্রাণ এখানে কেবল রাজনীতির খেলায় তুচ্ছ এক উপকরণ। এ কোন দেশে আমরা বেঁচে আছি? যেখানে শ্রমজীবী মানুষের ঘাম, রক্ত আর কান্না রাজনীতির দানবীয় গ্রাসে প্রতিদিন গ্রাসিত হয়! মনে হয়, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সোমালিয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর এক অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। হায়রে আমার প্রিয় বাংলাদেশ— তোমার বুক আজ রক্তে ভিজে যাচ্ছে, অথচ কেউ শুনছে না এই আর্তনাদ!
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 17 0 previzualizare
  • রামপাল-মোংলা আসনে অবরোধ কর্মসূচি:
    স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত রামপাল-মোংলা সংসদীয় আসন পূর্ণ বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির অবরোধ কর্মসূচি পালন।

    বাগেরহাট -০৩: রামপাল-মোংলা সংসদীয় আসনটি পুনরায় পূর্ণ বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির উদ্যোগে আজ ২৪শে আগস্ট শনিবার সকাল ০৮:০০ টা থেকে বিকেল ০৫:০০ টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য সংসদীয় আসনটির পূর্ণ বহাল নিশ্চিত করা। গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি তুলে ধরা হয়েছে। আজকের অবরোধে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং যানবাহন চলাচল, সকল প্রকার অফিস, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, ই,পি,জেড, নদী পারাপার, ফেরিঘাট, সকল দোকানপাট, কলকারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণ ও যান চালকদেরকে পূর্বানুমান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।


    #মোংলা #রামপাল #অবরোধ
    #রাজনীতি #বাগেরহাট
    রামপাল-মোংলা আসনে অবরোধ কর্মসূচি: স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত রামপাল-মোংলা সংসদীয় আসন পূর্ণ বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির অবরোধ কর্মসূচি পালন। বাগেরহাট -০৩: রামপাল-মোংলা সংসদীয় আসনটি পুনরায় পূর্ণ বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির উদ্যোগে আজ ২৪শে আগস্ট শনিবার সকাল ০৮:০০ টা থেকে বিকেল ০৫:০০ টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কমিটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য সংসদীয় আসনটির পূর্ণ বহাল নিশ্চিত করা। গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই দাবি তুলে ধরা হয়েছে। আজকের অবরোধে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং যানবাহন চলাচল, সকল প্রকার অফিস, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, ই,পি,জেড, নদী পারাপার, ফেরিঘাট, সকল দোকানপাট, কলকারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনগণ ও যান চালকদেরকে পূর্বানুমান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। #মোংলা #রামপাল #অবরোধ #রাজনীতি #বাগেরহাট
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 26 0 previzualizare
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশে হাজারো জনতার উপস্থিতি কুতুবদিয়ার রাজপথে এক অভূতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি করে।
    বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দরবার রাস্তার মাথা থেকে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি বড়ঘোপ বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
    বহু বছর পর আদালতের রায়ে ফিরিয়ে আনা জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক এদিনের মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে। প্রতীকটি বহন করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
    সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিলো। ভোটবিহীন ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। একবছর আগে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়, যেখানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র শহীদ হন। কিন্তু সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।”
    তারা আরও বলেন, “আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি ও প্রতীক ফিরে পাওয়া জনগণের বিজয়। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে, এটাই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।”
    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা আবদুস সাত্তার,প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা উসমান গণী,বড়ঘোপ ইউনিয়ন সভাপতি আহমদ নূর,উপজেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আবদুর রহমান,যুব নেতা রবিউল হোসাইন,ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশাল গণমিছিল ও সমাবেশে হাজারো জনতার উপস্থিতি কুতুবদিয়ার রাজপথে এক অভূতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি করে। বুধবার (০৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দরবার রাস্তার মাথা থেকে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি বড়ঘোপ বাজার প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বহু বছর পর আদালতের রায়ে ফিরিয়ে আনা জামায়াতের ঐতিহ্যবাহী ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক এদিনের মিছিলের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠে। প্রতীকটি বহন করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিলো। ভোটবিহীন ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। একবছর আগে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায়, যেখানে দুই হাজারের অধিক ছাত্র শহীদ হন। কিন্তু সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি।” তারা আরও বলেন, “আদালতের রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের রাজনীতি ও প্রতীক ফিরে পাওয়া জনগণের বিজয়। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে বিজয়ী করতে হবে, এটাই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।” সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমিন, উপজেলা তারবিয়াত সম্পাদক মাওলানা আবদুস সাত্তার,প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা উসমান গণী,বড়ঘোপ ইউনিয়ন সভাপতি আহমদ নূর,উপজেলা শ্রমিক নেতা মাওলানা আবদুর রহমান,যুব নেতা রবিউল হোসাইন,ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম, উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
    Like
    1
    1 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী।

    সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়।

    এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে।

    এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে।

    এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী?

    এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে।

    এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

    সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়। এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে। এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে। এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী? এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে। এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।
    Like
    Love
    2
    1 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টা হতে পারে- মির্জা ফখরুল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

    সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি ।

    মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডের মর্মান্তিক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। 

    মির্জা আলমগীর আরও বলেন, বিএনপির যারা জড়িত তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় যাদের নাম এসেছে ঘটনার সঙ্গে, তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই ঘটনার বিচার করতে দাবি জানাই।

    রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবার ফ্যাসিবাদের ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনাটি যে পরিকল্পিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একটি সুনির্দিষ্ট সময় ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়ানো হয়।

    বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা না, ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা; দলের চেয়ারপারসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাই।

    দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাই। একইসঙ্গে নিন্দা জানাই অপরাজনীতি প্রতিহত করতে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে। সবাইকে সংঘাত সৃষ্টির উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    প্রসঙ্গত, রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ও দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে।
    মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টা হতে পারে- মির্জা ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি । মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডের মর্মান্তিক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।  মির্জা আলমগীর আরও বলেন, বিএনপির যারা জড়িত তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় যাদের নাম এসেছে ঘটনার সঙ্গে, তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই ঘটনার বিচার করতে দাবি জানাই। রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবার ফ্যাসিবাদের ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনাটি যে পরিকল্পিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একটি সুনির্দিষ্ট সময় ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়ানো হয়। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা না, ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা; দলের চেয়ারপারসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাই। দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাই। একইসঙ্গে নিন্দা জানাই অপরাজনীতি প্রতিহত করতে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে। সবাইকে সংঘাত সৃষ্টির উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ও দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে।
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 781 Views 0 previzualizare
  • রাজনৈতিক সংস্কার এবং সহনশীল রাজনীতির আহ্বান: আমীর খসরু,https://eyenewsbd.com/articles/read/rajnoitik-sngskar-ebng-shnshil-rajnitir-ahban-amir-khsru_14511.html
    রাজনৈতিক সংস্কার এবং সহনশীল রাজনীতির আহ্বান: আমীর খসরু,https://eyenewsbd.com/articles/read/rajnoitik-sngskar-ebng-shnshil-rajnitir-ahban-amir-khsru_14511.html
    EYENEWSBD.COM
    রাজনৈতিক সংস্কার এবং সহনশীল রাজনীতির আহ্বান: আমীর খসরু | আই নিউজ বিডি
    বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী রাজনৈতিক সংস্কার এবং সহনশীলতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।..
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 937 Views 0 previzualizare
  • ‘ষড়যন্ত্র’ শেষ হয়নি, ফের ‘জোরেশোরে’ শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
    “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার,” বলেন তিনি।
    দেশে ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

    শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”

    লন্ডনে থাকা তারেক ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষেয়ে কথা বলেন।


    তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।”

    একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করা, নব্বই ও চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় অধিকার রক্ষায় মানুষের সোচ্চার হওয়ার উদাহরণ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে।

    “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।”


    তিনি বলেন, “আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।”

    গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘শহীদদের’ স্মরণে সংগঠনটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    অনুষ্ঠানে ১৪২ জন ‘শহীদের’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল সবার ছবি।

    জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর কষ্ট ও বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন।

    বক্তব্য রাখেন- পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র দলের আফিকুল ইসলাম সাদ (মানিকগঞ্জ), মেহেদী (মুন্সীগঞ্জ), রিপন চন্দ্র শীল (হবিগঞ্জ), মো. আদিল (নারায়ণগঞ্জ), সাগর ইসলাম (পঞ্চগড়), রিয়াজ (বরিশাল), সিফাত হোসেন (মাদারীপুর), শাহরিয়ার হাসান আলভি (বাগেরহাট), কাউছার হোসেন বিজয় (লক্ষীপুর), সাব্বির হোসেন (লক্ষীপুর), তানভীর সিদ্দিকী (কক্সবাজার), তাহিদুল ইসলাম (বরিশাল), আকরাম খান রাব্বী (ঢাকা), মনির হোসেন (ভোলা), ইমন মিয়া (টাঙ্গাইল), মেহেদী হাসান রাব্বী (মাগুরা), শাহাদাত হোসেন শাওন (নোয়াখালী), নুরুল মুস্তফা (কক্সবাজার), সাফকাত সামির (ঢাকা), তাহমিদ ভুঁইয়া (নরসিংদী), সুমন পাটোয়ারী (দিনাজপুর), নূর হোসেন পিয়াস (নোয়াখালী), ওয়াসিম আকরাম (কক্সবাজার), ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (নোয়াখালী) এর পরিবারের সদস্যরা।

    ‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই সরকারের কাছে দিয়েছি’

    তিনি মাস আগেই জুলাই সনদ সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি আজ থেকে তিন মাস আগে জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের কী বক্তব্য, আমাদের কী অবস্থান সকল কিছু ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি।

    “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, এই মুহূর্তে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। একটি দল হিসেবে আমাদের কাছে সরকার বক্তব্য মতামত জানতে চেয়েছে আমরা পরিষ্কারভাবে, লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।”

    সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন সরকারের, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কতটুকু কী করবে, না করবে, কাদের নিয়ে কী করবে না করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের আর কোনো কিছু বলার নেই।”

    তারেক বলেন, “যখন, আমরা দেখছি যে, কোনো কিছু বা কোনো কোনো বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অথবা কোনো কিছুকে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই আমরা খেয়াল করছি, কিছু কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

    দেশটি একার নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের, ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, দেশটি আমাদের সকলের, কাজেই এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সকলের ভাবতে হবে।

    “কারা কী করছে, কারা কী ভূমিকা রাখছে, কারা কী বর্তমানে বলছে? বলার মধ্যে পার্থক্য কী? তাদের অবস্থা ঘনঘন পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে আপনারা নজর রাখবেন।”

    ‘প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের ভূত’

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও এই ভূত লুকিয়ে আছে।”

    “কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কী ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এদেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।”

    ‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’

    জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সোচ্চার। তারা নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান দেখতে চায়।

    বিচার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক মানুষের কথা।

    “কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে, অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার, কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার।”

    ‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’

    বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা চলছে।

    এ ঘটনায় দলটির সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ৫ জনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে।

    এ ঘটনার বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “কেন কিছু কিছু দল পুরান ঢাকার ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? যে ছেলেটি মারা গেছে তার সাথে হয়ত যু্ব দলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যে খুন করছে বা যে হত্যা করছে তাকে অন্য জায়গা থেকে, আমরা যেটা খবর পেয়েছি, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে।

    “তাকে ধরা হচ্ছে না। ধরা হল অন্যদের, গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে আসামি পর্যন্ত করা হয়নি, বোধ হয় এখন পর্যন্ত। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।”

    তারেক বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারী আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। দলের সাথে তার কী সম্পর্ক কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।”

    দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তারা বসে আছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের (খুনিদের) বিরুদ্ধে, সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
    ‘ষড়যন্ত্র’ শেষ হয়নি, ফের ‘জোরেশোরে’ শুরু হয়েছে: তারেক রহমান “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার,” বলেন তিনি। দেশে ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র আরও শুরু হয়েছে, জোরেশোরে শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার বিকালে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।” লন্ডনে থাকা তারেক ভাচুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে দেশের সমসাময়িক রাজনীতি, সংস্কার উদ্যোগ, অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের বিচার, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষেয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতির (ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব) সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ষড়যন্ত্র কিন্তু আরও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।” একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে দেশ স্বাধীন করা, নব্বই ও চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময় অধিকার রক্ষায় মানুষের সোচ্চার হওয়ার উদাহরণ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনাদের সকলের কাছে আহ্বান থাকবে, আবারও আপনাদের সোচ্চার এবং সচেতন হতে হবে। “কারা কীভাবে ষড়যন্ত্র করছে, কারা কীভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলছে এবং ক্ষণে ক্ষণে অবস্থান পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আসুন আমাদের সকলকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের যে যুদ্ধ ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সেই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।” গুলশানে হোটেল লেকশোরে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ‘শহীদদের’ স্মরণে সংগঠনটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ১৪২ জন ‘শহীদের’ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন, তাদের হাতে ছিল সবার ছবি। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারানোর কষ্ট ও বর্তমান দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। বক্তব্য রাখেন- পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র দলের আফিকুল ইসলাম সাদ (মানিকগঞ্জ), মেহেদী (মুন্সীগঞ্জ), রিপন চন্দ্র শীল (হবিগঞ্জ), মো. আদিল (নারায়ণগঞ্জ), সাগর ইসলাম (পঞ্চগড়), রিয়াজ (বরিশাল), সিফাত হোসেন (মাদারীপুর), শাহরিয়ার হাসান আলভি (বাগেরহাট), কাউছার হোসেন বিজয় (লক্ষীপুর), সাব্বির হোসেন (লক্ষীপুর), তানভীর সিদ্দিকী (কক্সবাজার), তাহিদুল ইসলাম (বরিশাল), আকরাম খান রাব্বী (ঢাকা), মনির হোসেন (ভোলা), ইমন মিয়া (টাঙ্গাইল), মেহেদী হাসান রাব্বী (মাগুরা), শাহাদাত হোসেন শাওন (নোয়াখালী), নুরুল মুস্তফা (কক্সবাজার), সাফকাত সামির (ঢাকা), তাহমিদ ভুঁইয়া (নরসিংদী), সুমন পাটোয়ারী (দিনাজপুর), নূর হোসেন পিয়াস (নোয়াখালী), ওয়াসিম আকরাম (কক্সবাজার), ইমতিয়াজ হোসেন রিয়াজ (নোয়াখালী) এর পরিবারের সদস্যরা। ‘জুলাই সনদ তিন মাস আগেই সরকারের কাছে দিয়েছি’ তিনি মাস আগেই জুলাই সনদ সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি আজ থেকে তিন মাস আগে জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের কী বক্তব্য, আমাদের কী অবস্থান সকল কিছু ব্যাখ্যা করে লিখিতভাবে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছি। “আমরা একটি রাজনৈতিক দল, এই মুহূর্তে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই। একটি দল হিসেবে আমাদের কাছে সরকার বক্তব্য মতামত জানতে চেয়েছে আমরা পরিষ্কারভাবে, লিখিতভাবে দিয়ে দিয়েছি।” সম্পূর্ণ দায়িত্ব এখন সরকারের, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তারা কতটুকু কী করবে, না করবে, কাদের নিয়ে কী করবে না করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের আর কোনো কিছু বলার নেই।” তারেক বলেন, “যখন, আমরা দেখছি যে, কোনো কিছু বা কোনো কোনো বিষয় সামনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে অথবা কোনো কিছুকে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, তখনই আমরা খেয়াল করছি, কিছু কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হচ্ছে।” দেশটি একার নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের, ২০ কোটি মানুষের। কাজেই ২০ কোটি মানুষের কাছে আহ্বান থাকবে, দেশটি আমাদের সকলের, কাজেই এই দেশটিকে নিয়ে আমাদের সকলের ভাবতে হবে। “কারা কী করছে, কারা কী ভূমিকা রাখছে, কারা কী বর্তমানে বলছে? বলার মধ্যে পার্থক্য কী? তাদের অবস্থা ঘনঘন পরিবর্তন করছে, এই সকল বিষয়ে আপনারা নজর রাখবেন।” ‘প্রশাসনে এখনও স্বৈরাচারের ভূত’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা নিজেরাই অনেকে এখানে বক্তব্যে বলেছেন, প্রশাসনের মধ্যে এখনও বিগত স্বৈরাচারের ভূত লুকিয়ে আছে, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় এখনও এই ভূত লুকিয়ে আছে।” “কাজেই সেই ভূত এবং বর্তমানের নতুন কোনো যদি ভূত থাকে তারা কী ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা সচেতন না হই এদেশকে টিকিয়ে রাখার মুশকিল হবে।” ‘বিচার অবশ্যই বিএনপি করবে’ জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সোচ্চার। তারা নির্বাচনের আগে বিচার দৃশ্যমান দেখতে চায়। বিচার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “আপনারা বিচারের কথা বলেছেন, বিচারের কথা শুধু আপনাদের কথা নয়। বিচারের কথা সমস্ত বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক মানুষের দাবি, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক মানুষের কথা। “কাজেই কেন আমরা সেটি করব না? অবশ্যই বিএনপি যখনই সুযোগ পাবে, অবশ্যই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার, কারণ এটি আমাদের অঙ্গীকার।” ‘ব্যবসায়ীর খুনিকে কেন ধরা হচ্ছে না’ বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে মাথা থেঁতলে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা চলছে। এ ঘটনায় দলটির সহযোগী-অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপি ৫ জনকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “কেন কিছু কিছু দল পুরান ঢাকার ঘটনাটিকে ভ্রান্তভাবে উপস্থাপন করছে? যে ছেলেটি মারা গেছে তার সাথে হয়ত যু্ব দলের সম্পর্ক আছে। কিন্তু যে খুন করছে বা যে হত্যা করছে তাকে অন্য জায়গা থেকে, আমরা যেটা খবর পেয়েছি, অন্য জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। “তাকে ধরা হচ্ছে না। ধরা হল অন্যদের, গ্রেপ্তার করা হলো। তাকে আসামি পর্যন্ত করা হয়নি, বোধ হয় এখন পর্যন্ত। কেন হয়নি, কেন ধরা হচ্ছে না।” তারেক বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তো একবারও বলা হয়নি অমুকে ধরা যাবে না, তমুককে ধরা যাবে না। আমরা বরাবরই বলেছি, অন্যায়কারী আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। দলের সাথে তার কী সম্পর্ক কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। তাকে দল কোনো রকম প্রশ্রয় দেবে না, কেউ যদি কোনো অন্যায় করে থাকে।” দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন তারা বসে আছেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চালায় কে? বিএনপি তো চালায় না। চালাচ্ছে তো সরকার। তাহলে সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাদের (খুনিদের) বিরুদ্ধে, সেটি দলের হোক বা অন্য কেউ হোক, কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 2K Views 0 previzualizare
  • ট্যাগস: রাজনীতি, ভোলাহাট, বিএনপি, কমিটি, বাংলাদেশ
    ট্যাগস: রাজনীতি, ভোলাহাট, বিএনপি, কমিটি, বাংলাদেশ
    Like
    1
    0 Commentarii 0 Distribuiri 879 Views 0 previzualizare
  • রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেটসংলগ্ন রাস্তায় গত ৯ জুলাই বিকেলে যুবদল কর্মী ও তার্কিত ‘কেবল‑ব্যবসায়ী’ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ -কে কু‑পিয়ে, লাথি ও ইট‑পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়।

    ঘটনার ধরণ—প্রাণহীন দেহ টানাহেঁচড়া করে রাস্তায় ফেলে বহুপদক্ষেপে পাথর দিয়ে আঘাত—সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান, যা দেশ জুড়ে শোক ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। 

    সোহাগ স্থানীয় ‘স্ক্র্যাপ কেবল’ ব্যবসার পাশাপাশি ৩০ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন—২৩ ডিসেম্বর ২০২৪‑এর ওয়ার্ড‑সভায় তাঁর মঞ্চে উপস্থিতির ছবি তার প্রমাণ। তবু ঘটনার পর থেকে পুলিশের প্রাথমিক ব্রিফিং ও অধিকাংশ জাতীয় গণমাধ্যম কলামে তাঁকে শুধুই ‘ব্যবসায়ী’ বলা হচ্ছে, রাজনীতিক পরিচয় গোপন রেখে। 

    ডিএমপি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অন্তত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ধৃতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ‘মোহিন’ ও তারেক রহমান ‘রবিন’ প্রধান অভিযুক্ত, যাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কেবল‑স্ক্র্যাপ চাঁদাবাজি ও এলাকার ‘সিন্ডিকেট’ দখলের দ্বন্দ্ব—যা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল। 

    ● কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস‑নোট নেই: ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাত্মতা‑ঘোষণা ও নিন্দা‑বিবৃতি আসে ১১ জুলাই রাতে—দুই দিনের ব্যবধান। ততোক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। 

    ● ‘দায় ঝেড়ে ফেলা’ নাকি সুবিচারের পদক্ষেপ? পরে জুবোদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোট পাঁচ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্র বলছে, এর উদ্দেশ্য “পাপ ধুয়ে ফেলা”; সমালোচকরা বলছেন, বহিষ্কারের ঘোষণা একটি প্রতিরক্ষামূলক ‘ড্যামেজ‑কন্ট্রোল’, পূর্ণাঙ্গ আইনি সহায়তা বা পরিবার‑সন্তুষ্ট কোনো কর্মসূচি নয়। 

    হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা, সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা এবং ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধীর রক্ষা‑কম্বল’ উঠিয়ে ফেলা। বক্তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘বিলম্বিত ও ভঙ্গুর’ সাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানান। 

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এ ঘটনাকে বিএনপি‑সংশ্লিষ্ট সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে প্রজেক্ট করছে; বিপরীতে বিএনপি দাবি করছে—“আসল অপরাধীদের বিচার না করে দলীয় নাশকতার গল্প বানানো হচ্ছে”। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় পক্ষই রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষছে, যা স্বচ্ছ তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

    সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে—“রাজনৈতিক পরিচয়ের দ্বন্দ্বে কেউ সঠিক সাপোর্ট দিচ্ছে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভিডিও ফুটেজে যেভাবে দেহ ও সম্মান লাঞ্ছিত হয়েছে, তা ‘ক্রিমিনাল সাইকোলজির’ উদাহরণ; দ্রুত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ গঠন জরুরি।

    কী করা জরুরি?

    নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন—রাজনৈতিক চাপমুক্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে।

    ভিকটিম‑সহায়তা তহবিল—পরিবারের আইনি ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে।

    দলীয় ‘চেক‑অ্যান্ড‑ব্যালান্স’ নীতি—অন্তর্দলীয় অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও আগাম শাস্তি‑কাঠামো।

    চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভাঙতে সমন্বিত অভিযান—ডিএমপি, র‍্যাব, সিটি কর্পোরেশন ও বিটিআরসি।

    পাবলিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম—মামলার অগ্রগতি অনলাইনে হালনাগাদ করে জন‑জবাবদিহি নিশ্চিত করা।


    চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ‑এর রক্তাক্ত মৃত্যু কেবল একটি নৃশংস হত্যা নয়; এটি রাজধানীর বুকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধ‑ইকো‑সিস্টেমের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি‑যুবদল‑ছাত্রদল—যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলে গর্ব করত—তারাই আজ সোহাগের মৃতদেহের চেয়েও দ্রুত নিজের ‘ইমেজ’ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর শাসক‑দল একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ‘অপর‑দলীয় সন্ত্রাস’ লেবেল সেঁটে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর। এই টানাপড়েনে ন্যায়বিচার যেন ছিটকে না পড়ে—এটাই এখন সর্বজনীন দাবি।
    রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেটসংলগ্ন রাস্তায় গত ৯ জুলাই বিকেলে যুবদল কর্মী ও তার্কিত ‘কেবল‑ব্যবসায়ী’ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ -কে কু‑পিয়ে, লাথি ও ইট‑পাথরে মাথা থেঁতলে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়। ঘটনার ধরণ—প্রাণহীন দেহ টানাহেঁচড়া করে রাস্তায় ফেলে বহুপদক্ষেপে পাথর দিয়ে আঘাত—সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দৃশ্যমান, যা দেশ জুড়ে শোক ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়।  সোহাগ স্থানীয় ‘স্ক্র্যাপ কেবল’ ব্যবসার পাশাপাশি ৩০ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন—২৩ ডিসেম্বর ২০২৪‑এর ওয়ার্ড‑সভায় তাঁর মঞ্চে উপস্থিতির ছবি তার প্রমাণ। তবু ঘটনার পর থেকে পুলিশের প্রাথমিক ব্রিফিং ও অধিকাংশ জাতীয় গণমাধ্যম কলামে তাঁকে শুধুই ‘ব্যবসায়ী’ বলা হচ্ছে, রাজনীতিক পরিচয় গোপন রেখে।  ডিএমপি ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে অন্তত চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; ধৃতদের মধ্যে মহিউদ্দিন ‘মোহিন’ ও তারেক রহমান ‘রবিন’ প্রধান অভিযুক্ত, যাদের কাছ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কেবল‑স্ক্র্যাপ চাঁদাবাজি ও এলাকার ‘সিন্ডিকেট’ দখলের দ্বন্দ্ব—যা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল।  ● কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস‑নোট নেই: ঘটনা ঘটে ৯ জুলাই; বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাত্মতা‑ঘোষণা ও নিন্দা‑বিবৃতি আসে ১১ জুলাই রাতে—দুই দিনের ব্যবধান। ততোক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলীয় নীরবতা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে।  ● ‘দায় ঝেড়ে ফেলা’ নাকি সুবিচারের পদক্ষেপ? পরে জুবোদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মোট পাঁচ কর্মীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। দলীয় সূত্র বলছে, এর উদ্দেশ্য “পাপ ধুয়ে ফেলা”; সমালোচকরা বলছেন, বহিষ্কারের ঘোষণা একটি প্রতিরক্ষামূলক ‘ড্যামেজ‑কন্ট্রোল’, পূর্ণাঙ্গ আইনি সহায়তা বা পরিবার‑সন্তুষ্ট কোনো কর্মসূচি নয়।  হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ছিল—দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা, সব অভিযুক্তের গ্রেপ্তার, চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা এবং ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধীর রক্ষা‑কম্বল’ উঠিয়ে ফেলা। বক্তারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের ‘বিলম্বিত ও ভঙ্গুর’ সাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানান।  ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এ ঘটনাকে বিএনপি‑সংশ্লিষ্ট সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে প্রজেক্ট করছে; বিপরীতে বিএনপি দাবি করছে—“আসল অপরাধীদের বিচার না করে দলীয় নাশকতার গল্প বানানো হচ্ছে”। বিশ্লেষকদের মতে, উভয় পক্ষই রাজনৈতিক লাভের অঙ্ক কষছে, যা স্বচ্ছ তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সোহাগের পরিবার অভিযোগ করেছে—“রাজনৈতিক পরিচয়ের দ্বন্দ্বে কেউ সঠিক সাপোর্ট দিচ্ছে না।” মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ভিডিও ফুটেজে যেভাবে দেহ ও সম্মান লাঞ্ছিত হয়েছে, তা ‘ক্রিমিনাল সাইকোলজির’ উদাহরণ; দ্রুত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ গঠন জরুরি। কী করা জরুরি? নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন—রাজনৈতিক চাপমুক্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে। ভিকটিম‑সহায়তা তহবিল—পরিবারের আইনি ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিত করতে। দলীয় ‘চেক‑অ্যান্ড‑ব্যালান্স’ নীতি—অন্তর্দলীয় অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও আগাম শাস্তি‑কাঠামো। চাঁদাবাজি‑সিন্ডিকেট ভাঙতে সমন্বিত অভিযান—ডিএমপি, র‍্যাব, সিটি কর্পোরেশন ও বিটিআরসি। পাবলিক মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম—মামলার অগ্রগতি অনলাইনে হালনাগাদ করে জন‑জবাবদিহি নিশ্চিত করা। চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ‑এর রক্তাক্ত মৃত্যু কেবল একটি নৃশংস হত্যা নয়; এটি রাজধানীর বুকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা অপরাধ‑ইকো‑সিস্টেমের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ। বিএনপি‑যুবদল‑ছাত্রদল—যাকে নিজের ঘরের ছেলে বলে গর্ব করত—তারাই আজ সোহাগের মৃতদেহের চেয়েও দ্রুত নিজের ‘ইমেজ’ বাঁচাতে ব্যস্ত। আর শাসক‑দল একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ‘অপর‑দলীয় সন্ত্রাস’ লেবেল সেঁটে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তৎপর। এই টানাপড়েনে ন্যায়বিচার যেন ছিটকে না পড়ে—এটাই এখন সর্বজনীন দাবি।
    0 Commentarii 0 Distribuiri 1K Views 0 previzualizare
Sponsorizeaza Paginile
Eidok App https://eidok.com