• গোবিন্দগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায়,আটক ২জন জেল হাজতে
    খায়রুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরনের ঘটনায় জড়িত বুজরুক বোয়ালিয়া প্রধান পাড়ার নয়ন মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া ওরফে সেলিম ও গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মামুন আকন্দকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
    গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে কলেজ ছাত্র স্বাধীন প্রধানকে অচেনা নাম্বার থেকে এক মেয়ের মাধ্যমে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে,এই অনুযায়ী সাক্ষাৎ করার জন্য ২৯ আগষ্ট ২০২৫ইং সন্ধায় কলেজ ছাত্র স্বাধীন তার চাচাতো ভাই কে,এম স্বপন আলীকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ মৎস্য আড়ৎ এলাকায় গেলে ওত পেতে থাকা ব্যক্তিরা ওই ছেলে মেয়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক আছে এমন অপবাদ দিয়ে ব্লাক মেইল করে, প্রথমে দুজনকে ঝিলপাড়ার একটি বাসায় আটকে রাখলে, ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কে,এম স্বপন আলী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।এরি মধ্যে স্বাধীনকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে রেখে এক লক্ষটাকা দাবী করে,এবং বিকাশে তার দাবীকৃত মুক্তিপনের ৫হাজার টাকা নেয়।এ ঘটনার পর, কে,এম স্বপন আলী পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে,খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস, আই আনিসুজ্জামান শনিবার বিকালে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িদহ এলাকা থেকে ভিকটিম কলেজ ছাত্র স্বাধীনকে উদ্ধার করে।
    এঘটনায় জড়িত থাকায় শুভ মিয়া ওরফে সেলিম ও মামুন আকন্দকে আটক করে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুভ মিয়া,মামুন আকন্দ, আতাউর রহমান, শাকিল মিয়া ও আল আমিন সহ অজ্ঞাত ২/৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
    গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম তাদেরকে আটককরে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান।
    গোবিন্দগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কলেজ ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায়,আটক ২জন জেল হাজতে খায়রুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরনের ঘটনায় জড়িত বুজরুক বোয়ালিয়া প্রধান পাড়ার নয়ন মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া ওরফে সেলিম ও গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মামুন আকন্দকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ। গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে কলেজ ছাত্র স্বাধীন প্রধানকে অচেনা নাম্বার থেকে এক মেয়ের মাধ্যমে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে,এই অনুযায়ী সাক্ষাৎ করার জন্য ২৯ আগষ্ট ২০২৫ইং সন্ধায় কলেজ ছাত্র স্বাধীন তার চাচাতো ভাই কে,এম স্বপন আলীকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ মৎস্য আড়ৎ এলাকায় গেলে ওত পেতে থাকা ব্যক্তিরা ওই ছেলে মেয়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক আছে এমন অপবাদ দিয়ে ব্লাক মেইল করে, প্রথমে দুজনকে ঝিলপাড়ার একটি বাসায় আটকে রাখলে, ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কে,এম স্বপন আলী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।এরি মধ্যে স্বাধীনকে অপহরন করে অজ্ঞাত স্থানে রেখে এক লক্ষটাকা দাবী করে,এবং বিকাশে তার দাবীকৃত মুক্তিপনের ৫হাজার টাকা নেয়।এ ঘটনার পর, কে,এম স্বপন আলী পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দিলে,খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার এস, আই আনিসুজ্জামান শনিবার বিকালে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িদহ এলাকা থেকে ভিকটিম কলেজ ছাত্র স্বাধীনকে উদ্ধার করে। এঘটনায় জড়িত থাকায় শুভ মিয়া ওরফে সেলিম ও মামুন আকন্দকে আটক করে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুভ মিয়া,মামুন আকন্দ, আতাউর রহমান, শাকিল মিয়া ও আল আমিন সহ অজ্ঞাত ২/৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম তাদেরকে আটককরে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান।
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • মহেশখালীতে মোবাইল ভিত্তিক জুয়া চক্রের মাস্টার এজেন্টসহ ২ জন আটক...

    নিজস্ব প্রতিবেদক::
    মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোবাইল ভিত্তিক জুয়া চক্রের মাস্টার এজেন্ট মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫) ও সহযোগী সুজন দে (২৭) আটক হয়েছেন।

    দায়িত্বরত এসআই মোঃ নাছিরের নেতৃত্বে বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জন্য থানা হাজাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায় ।

    আইন অনুযায়ী, মোবাইলে জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসেবে জড়িত থাকার অপরাধে ২ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে।
    মহেশখালীতে মোবাইল ভিত্তিক জুয়া চক্রের মাস্টার এজেন্টসহ ২ জন আটক... নিজস্ব প্রতিবেদক:: মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোবাইল ভিত্তিক জুয়া চক্রের মাস্টার এজেন্ট মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫) ও সহযোগী সুজন দে (২৭) আটক হয়েছেন। দায়িত্বরত এসআই মোঃ নাছিরের নেতৃত্বে বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া জন্য থানা হাজাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায় । আইন অনুযায়ী, মোবাইলে জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসেবে জড়িত থাকার অপরাধে ২ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে।
    Love
    2
    0 Комментарии 0 Поделились 634 Просмотры 0 предпросмотр
  • মহেশখালী গামী ট্রলার থেকে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার, ৯ জন আটক।

    সরাসরি ফিশারীঘাট কক্সবাজার থেকে...
    মহেশখালী গামী ট্রলার থেকে ৪ লক্ষ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার, ৯ জন আটক। সরাসরি ফিশারীঘাট কক্সবাজার থেকে...
    0 Комментарии 0 Поделились 366 Просмотры 0 предпросмотр
  • ফটিকছড়িতে আবাসিক হোটেল থেকে যুবক-যুবতী আটক,দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এলাকাবাসীর।

    চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে অবস্থিত হৃদয় আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবক-যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ।

    ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন জানান, গো*পন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও কোনো বৈধ প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তাদের থানায় নেওয়া হয়।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে অ*নৈতিক ও অ*বৈধ কার্যকলাপ চলে আসছে,
    স্থানীয়দের দাবি— অবিলম্বে *হৃদয় আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
    ---

    #ফটিকছড়ি
    #নাজিরহাট
    #হৃদয়আবাসিক
    #অনৈতিক_কার্যকলাপ
    #চট্টগ্রামখবর
    #পুলিশঅভিযান
    #VillageLife360BD
    #সংবাদ
    #সতর্কবার্তা
    #সামাজিকদায়িত্ব
    ফটিকছড়িতে আবাসিক হোটেল থেকে যুবক-যুবতী আটক,দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এলাকাবাসীর। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে অবস্থিত হৃদয় আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবক-যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ। ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন জানান, গো*পন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও কোনো বৈধ প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তাদের থানায় নেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে অ*নৈতিক ও অ*বৈধ কার্যকলাপ চলে আসছে, স্থানীয়দের দাবি— অবিলম্বে *হৃদয় আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। --- #ফটিকছড়ি #নাজিরহাট #হৃদয়আবাসিক #অনৈতিক_কার্যকলাপ #চট্টগ্রামখবর #পুলিশঅভিযান #VillageLife360BD #সংবাদ #সতর্কবার্তা #সামাজিকদায়িত্ব
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘ'ট'নায় দুই জনের মৃ'ত্যু: হতাহত অনেকেই...

    নিজস্ব প্রতিবেদক::
    কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু স্বপ্নতরী পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মারসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও নোহা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

    এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। রবিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারসা পরিবহনের বাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী ছিল, আর নোহা মাইক্রোবাসটি বিপরীত দিক থেকে আসছিল। সংঘর্ষের পর নোহাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় এবং ভেতরে কয়েকজন যাত্রী চাপা পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ নোহা গাড়িটির ড্রাইভার প্রাণ হারায়।

    দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, নোহার চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আহমেদ।

    স্বপ্নতরী পার্কের এক কর্মচারী বলেন, “বড় শব্দের পর দৌড়ে গিয়ে দেখি নোহা খাদে পড়ে গেছে। গাড়ির ভেতরে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শিশু আটকে ছিল।” আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, “দুর্ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর গাড়ির নিচে একটি শিশুকে চাপা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।”

    খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও স্থানীয়দের অভিযোগ—উদ্ধার কার্যক্রম বিলম্বিত হয় এবং দীর্ঘসময় পরও শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।

    এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দু’জন নিহত ও চারজন মুমূর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
    কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘ'ট'নায় দুই জনের মৃ'ত্যু: হতাহত অনেকেই... নিজস্ব প্রতিবেদক:: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু স্বপ্নতরী পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মারসা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও নোহা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। রবিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারসা পরিবহনের বাসটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী ছিল, আর নোহা মাইক্রোবাসটি বিপরীত দিক থেকে আসছিল। সংঘর্ষের পর নোহাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় এবং ভেতরে কয়েকজন যাত্রী চাপা পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ নোহা গাড়িটির ড্রাইভার প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, নোহার চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আহমেদ। স্বপ্নতরী পার্কের এক কর্মচারী বলেন, “বড় শব্দের পর দৌড়ে গিয়ে দেখি নোহা খাদে পড়ে গেছে। গাড়ির ভেতরে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও একটি শিশু আটকে ছিল।” আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, “দুর্ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর গাড়ির নিচে একটি শিশুকে চাপা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি।” খবর পেয়ে রামু থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও স্থানীয়দের অভিযোগ—উদ্ধার কার্যক্রম বিলম্বিত হয় এবং দীর্ঘসময় পরও শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দু’জন নিহত ও চারজন মুমূর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
    Sad
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 555 Просмотры 1 предпросмотр
  • পেকুয়া পুলিশের হাতে ৩টি অস্ত্র সহ আটক -২ ::::::::::::: পেকুয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ টি অস্ত্র সহ ২ অস্ত্র পাচারকারী আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ অভিযানটি চলে রবিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা টৈইটং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংলগ্ন সড়কে।
    পেকুয়া থানার ওসি জানান, ইদানীং দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে অপরাধীরা গ্রাম থেকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। বিষয়টি মাথায় রেখে সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ টহল জোরদার করেছেন। অপরাধীরা সিএনজি যোগে অস্ত্র নিয়ে পেকুয়া থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পেকুয়া -বাঁশখালী সড়কে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চৌকি বসান। এ সময় অস্ত্র বহন কারী একটি সিএনজির গতিবিধি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে চ্যালেন্জ করে তল্লাশি চালালে গাড়ীতে থাকা ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩ টি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
    পেকুয়া পুলিশের হাতে ৩টি অস্ত্র সহ আটক -২ ::::::::::::: পেকুয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ টি অস্ত্র সহ ২ অস্ত্র পাচারকারী আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ অভিযানটি চলে রবিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা টৈইটং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র সংলগ্ন সড়কে। পেকুয়া থানার ওসি জানান, ইদানীং দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে অপরাধীরা গ্রাম থেকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। বিষয়টি মাথায় রেখে সড়ক সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ টহল জোরদার করেছেন। অপরাধীরা সিএনজি যোগে অস্ত্র নিয়ে পেকুয়া থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পেকুয়া -বাঁশখালী সড়কে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে তল্লাশি চৌকি বসান। এ সময় অস্ত্র বহন কারী একটি সিএনজির গতিবিধি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে চ্যালেন্জ করে তল্লাশি চালালে গাড়ীতে থাকা ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩ টি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
    Like
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 817 Просмотры 0 предпросмотр
  • চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: পুলিশের উপর হামলা, ২১ জন আটক..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/chttgrame-aoami-liger-jhtika-michil-pulisher-upr-hamla-21-jn-atk_18090.html
    চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: পুলিশের উপর হামলা, ২১ জন আটক.. https://eyenewsbd.com/articles/read/chttgrame-aoami-liger-jhtika-michil-pulisher-upr-hamla-21-jn-atk_18090.html
    EYENEWSBD.COM
    চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল: পুলিশের উপর হামলা, ২১ জন আটক.. | আই নিউজ বিডি
    চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।..
    Like
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 993 Просмотры 0 предпросмотр
  • সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!...

    শাহাদাত হোসেন (রাকিব)::
    পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব।

    ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়।

    ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’
    ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’

    সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের:
    অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়।

    ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না:
    অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে।

    ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না।

    স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার:
    ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

    নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান:

    ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন।

    ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না।

    রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
    ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’
    অভিযোগ দায়ের

    ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন।

    অপরাধ ও শাস্তি

    অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে।

    সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা

    ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’

    অপরাধের বিচার

    ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না।

    ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।

    ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।

    মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি

    কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক

    ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    সাংবাদিক নির্যাতনে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছরের জেল!... শাহাদাত হোসেন (রাকিব):: পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের অপরাধের জন্য দোষী ব্যক্তিকে মাত্রা ভেদে এক থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ন্যূনতম এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে- এমন বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা প্রায়ই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি বিবেচনা করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে এ অধ্যাদেশের খসড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সংযুক্ত করেছে। সেই খসড়া আমলে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রেস-১) মো. সোলেমান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের খসড়াটি আমলে নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ইতোমধ্যে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগসহ অংশীজনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত এলে আমরা অধ্যাদেশটি নিয়ে আরও কাজ করব। ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর শিরোনামে বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এ জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ, অনুচ্ছেদ ৩৯-এ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অনুচ্ছেদ ৪০-এ পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা ও অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। পেশাগত কর্মে নিয়োজিত সাংবাদিক/সংবাদকর্মী প্রায়শই সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার হন বা এর আশঙ্কা থাকে। সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পর্যাপ্ত আইনগত সুরক্ষা দেওয়া এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতিই সাংবাদিক হত্যার অন্যতম কারণ’ ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে’ ‘বিচারের আশায় নয়, নিরাপত্তার জন্য দাঁড়িয়েছি’ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের: অধ্যাদেশের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, প্রত্যেক সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকারের থাকবে এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না বা নিয়োজিত হবেন না, যা দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের কোনোরূপ ক্ষতি হয়। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যেন নিবর্তনমূলক কোনো আইন বা বিধি দ্বারা সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবন বা সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় বা তাদের আইন বহির্ভূতভাবে গ্রেপ্তার বা আটক না করা হয়। ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ বা প্রচারের কারণে পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সরকারি কর্মচারী বা সংস্থা থেকে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না: অধ্যাদেশের ৪ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর জীবন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বা বল প্রয়োগ করে অবৈধভাবে তার গৃহে প্রবেশ, তল্লাশি বা সম্পদ জব্দ করা যাবে না এবং আইন ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না যাতে তার ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার, স্বাধীনতা, সুনাম, সম্মান বা সম্পত্তির হানি ঘটে। ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মীকে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভয়ভীতির মাধ্যমে বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্যসূত্র প্রকাশে বাধ্য করতে পারবে না। স্বাধীনভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অধিকার: ৫ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি কর্মচারী বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যেন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি বিশেষত যৌন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ও সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবে। নিজ প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত বিশেষ বিধান: ৬ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, লিখিত কোনো চুক্তি বা চাকরির শর্তাবলিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানে যেন ভয়ভীতি বা জোরপূর্বক শারীরিক বা মানসিক চাপ মুক্ত অবস্থায় ও স্বাধীনভাবে এবং অনুকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন সে বিষয়টি ওই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, বিনিয়োগকারী বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন এমন সব ব্যক্তি নিশ্চিত করবেন এবং এ বিষয়ের ব্যত্যয় ঘটলে সাংবাদিক বা সংবাদকর্মী লিখিতভাবে কমিশন বরাবর অভিযোগ করতে পারবেন। ৭ নম্বর ধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী যদি সরল বিশ্বাসে কোনো গণমাধ্যমে তথ্য, উপাত্ত, লিখিত বা অডিও বা ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এ প্রকাশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ওই সাংবাদিক/সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাবে না। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি ‘বছর পেরোলেও গণমাধ্যমের সংস্কার হয়নি’ অভিযোগ দায়ের ৮ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী সহিংসতার শিকার হলে তিনি এখতিয়ারাধীন কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে লিখিতভাবে বা অনলাইনের মাধ্যমে বা তার কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, দায়ের করা অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেবেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ জারি করবেন। অপরাধ ও শাস্তি অধ্যাদেশের ৯ ধারায় অপরাধ, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করলে তা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রা ভেদে অন্যূন ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ১০ নম্বর ধারায় অর্থদণ্ডকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রূপান্তরের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ধারা ৯ এর অধীন আরোপিত অর্থদণ্ডকে পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য করতে পারবে এবং অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায়যোগ্য হবে। সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির বিষয়ে ব্যাখ্যা ‘‘সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি’ অর্থ কোনো ব্যক্তি, সংস্থা, কোম্পানির এমন কর্মকাণ্ড যা পেশাগত কাজে নিয়োজিত একজন সংবাদকর্মী/সাংবাদিকের জীবন ও সম্পদকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে এবং সকল প্রকার অপরাধমূলক ভয়ভীতি বা হুমকি প্রদর্শন, হয়রানি, হেনস্তা, সার্বক্ষণিক নজরদারি, শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, কাজে বাধা দেওয়া, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, যৌন হয়রানি, অবৈধ আটক, গুম, অপহরণও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ অপরাধের বিচার ১১ নম্বর ধারার ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীনে দায়ের করা অভিযোগ ও অপরাধের বিচার বা কার্যধারার নিষ্পত্তি প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকবে না। ১২ নম্বর ধারায় ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ১ নম্বর উপধারায় বলা হয়, অধ্যাদেশের অধীনে সংঘটিত অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার, নিষ্পত্তি ও আপিলসহ সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন অপরাধের বিচার বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির সংক্ষিপ্ত বিচার পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিকের শাস্তি কোনো সাংবাদিক মিথ্যা অভিযোগ দিলে শাস্তি পাবেন। অধ্যাদেশের ১৫ নম্বর ধারায় বলা হয়, যদি কোনো সাংবাদিক/সংবাদকর্মী অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাদেশের অধীনে অভিযোগ করার আইনানুগ কারণ নেই জেনেও আবেদন করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির বিরুদ্ধে হলে অভিযুক্ত হবেন বিনিয়োগকারী-পরিচালক ১৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, এই অধ্যাদেশের অধীন সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ যদি কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে ওই কোম্পানির বিনিয়োগকারী বা প্রত্যেক পরিচালক বা ব্যবস্থাপক বা সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট অভিযুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, এ সহিংসতা তার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হয়েছে অথবা এ সহিংসতা রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
    Like
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 2Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • খুলনা আদালত প্রাঙ্গণে দেশীয় অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী, যা নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
    খুলনা আদালত প্রাঙ্গণে দেশীয় অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী, যা নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
    Like
    2
    0 Комментарии 0 Поделились 856 Просмотры 0 предпросмотр
  • #foryouシ
    @highlight
    পটিয়া, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি কোলাগাঁও এলাকা থেকে শুরু করে লাখেরা, কালারপোল, মইজ্জার টেক অবধি একটা গ্যাং নিয়মিত চুরি,ডাকাতি ও বিভিন্ন গাড়ি ফলোআপ করে হাইজাক করা হচ্ছে ।

    বর্তমানে চার পাঁচজন তার চুরি করতে এসে স্থানীয় জনগণ একজনকে আটক করছে,

    সবাইকে সচেতন করার জন্য শেয়ার করুন,
    #foryouシ @highlight পটিয়া, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি কোলাগাঁও এলাকা থেকে শুরু করে লাখেরা, কালারপোল, মইজ্জার টেক অবধি একটা গ্যাং নিয়মিত চুরি,ডাকাতি ও বিভিন্ন গাড়ি ফলোআপ করে হাইজাক করা হচ্ছে ।🥷🥷 বর্তমানে চার পাঁচজন তার চুরি করতে এসে স্থানীয় জনগণ একজনকে আটক করছে, সবাইকে সচেতন করার জন্য শেয়ার করুন,
    0 Комментарии 0 Поделились 902 Просмотры 16 0 предпросмотр
  • চাটখিলে ৪ মাদক সেবী যুবকের ৩ মাসের কারাদন্ড

    চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান গতকাল শুক্রবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪ মাদক সেবী যুবককে প্রত্যেকের ৩ মাসের কারাদন্ড ও ২ শত টাকা করে জরিমানা করেন। দন্ডিত মাদক সেবীরা হচ্ছে, উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের চান হাজী বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ তারেক (২২), মনতাজ কবিরাজ বাড়ির আনিসুর রহমানের ছেলে মোঃ আহাদ (২৩), লক্ষণ বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে আল আমিন (২৯) ও লালমোহন ভোলার হাবিবুল্লাহর ছেলে তামজিদ হোসেন (১৯)।

    স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা যায়, এই ৪ মাদক সেবী গাঁজা সেবনের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রেখে নারায়ানপুরে উপেন্দ্র কবিরাজ বাড়ির সুপারি বাগানে মাদক সেবন অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে বেলাল মার্কেটে নিয়ে আনে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশের একটি টিম সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৯ ধারায় তাদেরকে এই দন্ড প্রদান করেন। মাদক সেবী ৪ জনকে আজ শনিবার সকালে নোয়াখালী জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
    চাটখিলে ৪ মাদক সেবী যুবকের ৩ মাসের কারাদন্ড চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান গতকাল শুক্রবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৪ মাদক সেবী যুবককে প্রত্যেকের ৩ মাসের কারাদন্ড ও ২ শত টাকা করে জরিমানা করেন। দন্ডিত মাদক সেবীরা হচ্ছে, উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের চান হাজী বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে মোঃ তারেক (২২), মনতাজ কবিরাজ বাড়ির আনিসুর রহমানের ছেলে মোঃ আহাদ (২৩), লক্ষণ বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে আল আমিন (২৯) ও লালমোহন ভোলার হাবিবুল্লাহর ছেলে তামজিদ হোসেন (১৯)। স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা যায়, এই ৪ মাদক সেবী গাঁজা সেবনের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রেখে নারায়ানপুরে উপেন্দ্র কবিরাজ বাড়ির সুপারি বাগানে মাদক সেবন অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে বেলাল মার্কেটে নিয়ে আনে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশের একটি টিম সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৯ ধারায় তাদেরকে এই দন্ড প্রদান করেন। মাদক সেবী ৪ জনকে আজ শনিবার সকালে নোয়াখালী জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
    Love
    1
    1 Комментарии 0 Поделились 867 Просмотры 0 предпросмотр
  • ফৌজদারি কার্যবিধি কার্যকরে গ্রেপ্তার ও আটকে হয়রানি কমবে : আসিফ নজরুল..
    https://eyenewsbd.com/articles/read/foujdari-karjbidhi-karjkre-greptar-o-atke-hrani-kmbe-asif-njrul_15764.html
    ফৌজদারি কার্যবিধি কার্যকরে গ্রেপ্তার ও আটকে হয়রানি কমবে : আসিফ নজরুল.. https://eyenewsbd.com/articles/read/foujdari-karjbidhi-karjkre-greptar-o-atke-hrani-kmbe-asif-njrul_15764.html
    EYENEWSBD.COM
    ফৌজদারি কার্যবিধি কার্যকরে গ্রেপ্তার ও আটকে হয়রানি কমবে : আসিফ নজরুল.. | আই নিউজ বিডি
    নতুন ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন অধ্যাদেশ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যা গ্রেপ্তার ও আটকে হয়রানি কমাবে।..
    Like
    2
    1 Комментарии 0 Поделились 650 Просмотры 0 предпросмотр
Расширенные страницы
Eidok App https://eidok.com