• চাটখিলে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতে মতবিনিময়

    নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামকে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    শনিবার (৯ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার মেঘা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল ও সালেহ আহাম্মদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন মাদক সেবী তার পরিবারের জন্য বোঝা, সমাজের জন্য বোঝা, সে তার নিজেকে ধ্বংস করে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে এবং সমাজটাকেও ধ্বংস করে। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আপনারা মাদক সেবন বা ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানালে সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে এসে মাদক কারবারি কে সাথে সাথে সাজা প্রদান করবে।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেরিটেজ রিয়েল এস্টেড লিঃ এর চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেন, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আনিস আহমেদ হানিফ।

    আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সচিব মোহাম্মদ হানিফ, ধাঁনশালিক মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম মহিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, আবু তৈয়ব, আলমগীর কবির লিটন, কাজী শাহাজাহান মাসুদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
    চাটখিলে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম গড়ে তুলতে মতবিনিময় নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মেঘা গ্রামকে মাদকমুক্ত আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৯ আগষ্ট) এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার মেঘা কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজসেবক মাওলানা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান রুবেল ও সালেহ আহাম্মদ বিপ্লবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, যে পরিবারের একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন তারা ছাড়া তাদের কষ্ট কেউ বুঝবে না। আমাদের যুব সমাজে মাদকের উপর আসক্তি বাড়ছে যা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। একজন মাদক সেবী তার পরিবারের জন্য বোঝা, সমাজের জন্য বোঝা, সে তার নিজেকে ধ্বংস করে, তার পরিবারকে ধ্বংস করে এবং সমাজটাকেও ধ্বংস করে। মাদক নিয়ন্ত্রণে চাটখিল উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স। আপনারা মাদক সেবন বা ক্রয় বিক্রয় বিষয়ে জানালে সাথে সাথেই পুলিশ চলে আসবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতে এসে মাদক কারবারি কে সাথে সাথে সাজা প্রদান করবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেরিটেজ রিয়েল এস্টেড লিঃ এর চেয়ারম্যান জাফর আহমদ, সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলী হোসেন, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আনিস আহমেদ হানিফ। আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সচিব মোহাম্মদ হানিফ, ধাঁনশালিক মিডিয়া সেন্টারের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম, হুমায়ূন কবির, সাইফুল ইসলাম মহিন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, আবু তৈয়ব, আলমগীর কবির লিটন, কাজী শাহাজাহান মাসুদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
    Love
    1
    1 Комментарии 1 Поделились 103 Просмотры 0 предпросмотр
  • মানুষ মানুষের শত্রু হয়ে যাচ্ছে কেন?
    চারদিকে শুধু রক্ত, কান্না আর হাহাকার।
    আজকাল মানুষ যেন মানুষকে নয়, শত্রুকে দেখছে। এক টুকরো জমি, একটু ক্ষমতা, সামান্য অর্থ—এসবের জন্য প্রাণ নিয়ে নেয়া কত সহজ হয়ে গেছে!

    আমরা ভুলে গেছি—
    যে মানুষকে হত্যা করা মানে একটা পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলা।
    আমরা ভুলে গেছি—
    প্রতিটি মানুষ কারো সন্তান, কারো ভাই, কারো বাবা, কারো প্রিয়জন।

    হানাহানি দিয়ে কোনোদিন শান্তি আসে না। প্রতিশোধ শুধু প্রতিশোধই জন্ম দেয়, কিন্তু ক্ষমা জন্ম দেয় ভালোবাসা, শান্তি আর আশা।

    আজ আমরা যদি না বদলাই, কাল হয়তো আমাদের সন্তানরাও এই রক্তের খেলায় বড় হবে।
    চলুন, অন্তত আমরা যারা এখনো মানুষ আছি, তারা মানুষকে বাঁচাই—
    কারণ, শেষমেষ আমরা সবাই মানুষ।
    মানুষ মানুষের শত্রু হয়ে যাচ্ছে কেন? চারদিকে শুধু রক্ত, কান্না আর হাহাকার। আজকাল মানুষ যেন মানুষকে নয়, শত্রুকে দেখছে। এক টুকরো জমি, একটু ক্ষমতা, সামান্য অর্থ—এসবের জন্য প্রাণ নিয়ে নেয়া কত সহজ হয়ে গেছে! আমরা ভুলে গেছি— যে মানুষকে হত্যা করা মানে একটা পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলা। আমরা ভুলে গেছি— প্রতিটি মানুষ কারো সন্তান, কারো ভাই, কারো বাবা, কারো প্রিয়জন। হানাহানি দিয়ে কোনোদিন শান্তি আসে না। প্রতিশোধ শুধু প্রতিশোধই জন্ম দেয়, কিন্তু ক্ষমা জন্ম দেয় ভালোবাসা, শান্তি আর আশা। আজ আমরা যদি না বদলাই, কাল হয়তো আমাদের সন্তানরাও এই রক্তের খেলায় বড় হবে। চলুন, অন্তত আমরা যারা এখনো মানুষ আছি, তারা মানুষকে বাঁচাই— কারণ, শেষমেষ আমরা সবাই মানুষ।
    0 Комментарии 0 Поделились 44 Просмотры 0 предпросмотр
  • নিউজের ভাষা: আদর্শ, গুরুত্ব এবং আই নিউজ বিডি’র প্রত্যাশা

    সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দিক হলো ‘ভাষা’। সংবাদ হলো তথ্যের ভাষান্তর এবং এর মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের কাছে সত্য ও তথ্য পৌঁছায়। সুতরাং সংবাদ ভাষার গুণগত মান, প্রাসঙ্গিকতা ও সামঞ্জস্য অপরিহার্য।

    নিউজের ভাষা শুধুমাত্র শব্দ ও বাক্যের সমষ্টি নয়, এটি সমাজ ও মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সঠিক ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

    আই নিউজ বিডি, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের কথা তুলে ধরতে কাজ করে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমাদের নিউজের ভাষা হবে স্পষ্ট, সরল, প্রাসঙ্গিক ও মানুষের হৃদয়স্পর্শী।

    ১। নিউজের ভাষার গুরুত্ব
    ১.১ তথ্যের স্পষ্টতা এবং সহজবোধ্যতা
    সংবাদ পাঠক বা দর্শকের কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম। যদি ভাষা কঠিন বা জটিল হয়, তাহলে পাঠক তার বার্তা বুঝতে পারেনা। তাই নিউজের ভাষা সহজ ও পরিষ্কার হতে হবে।

    ১.২ বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা
    ভাষার স্বচ্ছতা ও স্বাভাবিকতা সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। শব্দের যথার্থ ব্যবহার পাঠককে প্রভাবিত করে, তাদের মনে স্বচ্ছন্দ বোধ তৈরি করে।

    ১.৩ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব
    ভাষার ব্যবহারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা থাকে। সরল ভাষায় লেখা সংবাদ জনগণকে সচেতন করে, সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে।

    ২। নিউজে ভাষার আদর্শ বৈশিষ্ট্য
    ২.১ সরলতা (Simplicity)
    সহজ ও পরিষ্কার শব্দ ব্যবহার।

    কমপ্লেক্স বাক্য এড়িয়ে চলা।

    টেকনিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ সীমিত করা।

    ২.২ নিরপেক্ষতা (Neutrality)
    সংবাদ ভাষায় ব্যক্তিগত মতামত বা পক্ষপাত দেখানো যাবে না।

    পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলা।

    ২.৩ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance)
    সংবাদ বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন।

    জনসাধারণের বোঝার উপযোগী ভাষা।

    ২.৪ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness)
    অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা পরিহার।

    তথ্যের সঠিক পরিমাণ উপস্থাপন।

    ২.৫ প্রাঞ্জলতা (Clarity)
    পরিষ্কার বাক্যগঠন।

    তথ্যের সঠিক বিন্যাস।

    ২.৬ পাঠক বান্ধবতা (Readability)
    বাক্যের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা।

    সংযমিত শব্দচয়ন।

    ৩। নিউজে ভাষার ভুল ও ঝুঁকি
    ৩.১ অতিরিক্ত প্রচ্ছদ (Sensationalism)
    অতিরঞ্জিত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন যা সত্যতা ক্ষুণ্ণ করে।

    মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি।

    ৩.২ পক্ষপাতিত্ব ও অশালীন ভাষা
    নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাওয়া।

    অপপ্রচার ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি।

    ৩.৩ ভাষাগত ভুল ও বানান ভুল
    ভুল বানান, বাক্যগঠন পাঠকের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে।

    ৪। আই নিউজ বিডি’তে নিউজের ভাষা নিয়ে প্রত্যাশা
    ৪.১ জনগণের ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন
    আই নিউজ বিডি চায়, সংবাদ যেন জনগণের ভাষায় হয়।

    কঠিন কিংবা উচ্চাঙ্গীভাষা নয়, জনসাধারণের বোঝার ভাষায়।

    ৪.২ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব
    দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সম্মান।

    আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশনের প্রতি উৎসাহ প্রদান।

    ৪.৩ তথ্যভিত্তিক ও মানবিক ভাষা
    তথ্যের যথার্থতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ।

    দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা।

    ৪.৪ সঠিক ও দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার
    খবর প্রকাশে সঠিক শব্দচয়ন।

    বিভ্রান্তি এড়ানো এবং নৈতিকতা রক্ষা।

    ৫। কিভাবে আই নিউজ বিডির রিপোর্টাররা নিউজের ভাষায় উৎকর্ষতা আনবেন?
    ৫.১ ভাষার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন
    নিয়মিত ভাষাগত প্রশিক্ষণ।

    লেখার ওপর ফোকাস।

    ৫.২ রিভিউ ও সম্পাদনার গুরুত্ব
    রিপোর্ট পাঠানোর আগে সম্পাদনা।

    সহকর্মী ও সম্পাদকদের পরামর্শ গ্রহণ।

    ৫.৩ ফিডব্যাক গ্রহণ ও উন্নয়ন
    পাঠক ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ।

    ভাষাগত উন্নয়নে নিজেকে সাজানো।

    নিউজের ভাষা হলো সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। স্পষ্ট, সহজ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভাষার মাধ্যমে সংবাদ শুধু তথ্য পৌঁছে দেয় না, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আই নিউজ বিডি’র জন্য নিউজের ভাষা মানে কেবল শব্দ নয়, এটি হলো আমাদের দায়িত্ব, সেবা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
    নিউজের ভাষা: আদর্শ, গুরুত্ব এবং আই নিউজ বিডি’র প্রত্যাশা সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান দিক হলো ‘ভাষা’। সংবাদ হলো তথ্যের ভাষান্তর এবং এর মাধ্যমে পাঠক বা দর্শকের কাছে সত্য ও তথ্য পৌঁছায়। সুতরাং সংবাদ ভাষার গুণগত মান, প্রাসঙ্গিকতা ও সামঞ্জস্য অপরিহার্য। নিউজের ভাষা শুধুমাত্র শব্দ ও বাক্যের সমষ্টি নয়, এটি সমাজ ও মানুষের জীবনের প্রতিফলন। সঠিক ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে, তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আই নিউজ বিডি, যেহেতু বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের কথা তুলে ধরতে কাজ করে, তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকে, আমাদের নিউজের ভাষা হবে স্পষ্ট, সরল, প্রাসঙ্গিক ও মানুষের হৃদয়স্পর্শী। ১। নিউজের ভাষার গুরুত্ব ১.১ তথ্যের স্পষ্টতা এবং সহজবোধ্যতা সংবাদ পাঠক বা দর্শকের কাছে তথ্য পৌঁছানোর মাধ্যম। যদি ভাষা কঠিন বা জটিল হয়, তাহলে পাঠক তার বার্তা বুঝতে পারেনা। তাই নিউজের ভাষা সহজ ও পরিষ্কার হতে হবে। ১.২ বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা ভাষার স্বচ্ছতা ও স্বাভাবিকতা সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে। শব্দের যথার্থ ব্যবহার পাঠককে প্রভাবিত করে, তাদের মনে স্বচ্ছন্দ বোধ তৈরি করে। ১.৩ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ভাষার ব্যবহারে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা থাকে। সরল ভাষায় লেখা সংবাদ জনগণকে সচেতন করে, সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলে। ২। নিউজে ভাষার আদর্শ বৈশিষ্ট্য ২.১ সরলতা (Simplicity) সহজ ও পরিষ্কার শব্দ ব্যবহার। কমপ্লেক্স বাক্য এড়িয়ে চলা। টেকনিক্যাল বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ সীমিত করা। ২.২ নিরপেক্ষতা (Neutrality) সংবাদ ভাষায় ব্যক্তিগত মতামত বা পক্ষপাত দেখানো যাবে না। পক্ষপাতমূলক বা নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার এড়িয়ে চলা। ২.৩ প্রাসঙ্গিকতা (Relevance) সংবাদ বিষয় অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন। জনসাধারণের বোঝার উপযোগী ভাষা। ২.৪ সংক্ষিপ্ততা (Conciseness) অপ্রয়োজনীয় বর্ণনা পরিহার। তথ্যের সঠিক পরিমাণ উপস্থাপন। ২.৫ প্রাঞ্জলতা (Clarity) পরিষ্কার বাক্যগঠন। তথ্যের সঠিক বিন্যাস। ২.৬ পাঠক বান্ধবতা (Readability) বাক্যের দৈর্ঘ্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। সংযমিত শব্দচয়ন। ৩। নিউজে ভাষার ভুল ও ঝুঁকি ৩.১ অতিরিক্ত প্রচ্ছদ (Sensationalism) অতিরঞ্জিত ভাষায় সংবাদ পরিবেশন যা সত্যতা ক্ষুণ্ণ করে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি। ৩.২ পক্ষপাতিত্ব ও অশালীন ভাষা নিরপেক্ষতা হারিয়ে যাওয়া। অপপ্রচার ও নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি। ৩.৩ ভাষাগত ভুল ও বানান ভুল ভুল বানান, বাক্যগঠন পাঠকের বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে। ৪। আই নিউজ বিডি’তে নিউজের ভাষা নিয়ে প্রত্যাশা ৪.১ জনগণের ভাষায় সংবাদ উপস্থাপন আই নিউজ বিডি চায়, সংবাদ যেন জনগণের ভাষায় হয়। কঠিন কিংবা উচ্চাঙ্গীভাষা নয়, জনসাধারণের বোঝার ভাষায়। ৪.২ আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সম্মান। আঞ্চলিক ভাষায় সংবাদ পরিবেশনের প্রতি উৎসাহ প্রদান। ৪.৩ তথ্যভিত্তিক ও মানবিক ভাষা তথ্যের যথার্থতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ। দুর্বল জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। ৪.৪ সঠিক ও দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার খবর প্রকাশে সঠিক শব্দচয়ন। বিভ্রান্তি এড়ানো এবং নৈতিকতা রক্ষা। ৫। কিভাবে আই নিউজ বিডির রিপোর্টাররা নিউজের ভাষায় উৎকর্ষতা আনবেন? ৫.১ ভাষার প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন নিয়মিত ভাষাগত প্রশিক্ষণ। লেখার ওপর ফোকাস। ৫.২ রিভিউ ও সম্পাদনার গুরুত্ব রিপোর্ট পাঠানোর আগে সম্পাদনা। সহকর্মী ও সম্পাদকদের পরামর্শ গ্রহণ। ৫.৩ ফিডব্যাক গ্রহণ ও উন্নয়ন পাঠক ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ। ভাষাগত উন্নয়নে নিজেকে সাজানো। নিউজের ভাষা হলো সংবাদমাধ্যমের প্রাণ। স্পষ্ট, সহজ, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ভাষার মাধ্যমে সংবাদ শুধু তথ্য পৌঁছে দেয় না, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে, সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আই নিউজ বিডি’র জন্য নিউজের ভাষা মানে কেবল শব্দ নয়, এটি হলো আমাদের দায়িত্ব, সেবা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 254 Просмотры 0 предпросмотр
  • জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং: নিয়ম-কানুন, আইন ও কার্যকর টিপস

    বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ অপরাধের খবর জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের খবর প্রকাশ পেলে তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন সঠিকভাবে ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    এই আর্টিকেলে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্ট করার নিয়ম-কানুন, আইনগত দিক, সতর্কতা ও কার্যকর টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আই নিউজ বিডি এর পক্ষ থেকে এই ধরণের প্রতিবেদনগুলোতে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটিও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

    ১. অপরাধ রিপোর্টিং এর গুরুত্ব
    অপরাধ রিপোর্টিং শুধুমাত্র ঘটনা তুলে ধরা নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, নির্যাতিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের সঠিক ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন স্থানীয় মানুষকে আরো সুসংহত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে।

    ২. অপরাধ রিপোর্টিং এর আইনি নিয়ম-কানুন
    ২.১ তথ্য সংগ্রহের সতর্কতা
    তথ্য যাচাই: অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার সময় নিশ্চিত হতে হবে তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করা যাবে না।

    সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র ব্যবহার করুন, যেমন পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইত্যাদি।

    ২.২ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষা
    অপরাধীর নাম, ছবি, ঠিকানা প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আদালত বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়া জরুরি হতে পারে।

    অপরাধের শিকার বা ভুক্তভোগীদের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

    অপ্রয়োজনীয় বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে করে কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়।

    ২.৩ মামলার পর্যায় বিবেচনা
    মামলার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মামলার সুষ্ঠু বিচারে প্রভাব না পড়ে বা পক্ষপাতিত্ব না হয়।

    জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়া আবশ্যক।

    ২.৪ আইনি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা
    দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত অন্যান্য আইন সম্পর্কে অবগত থাকা আবশ্যক।

    অবৈধ তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

    বাকস্বাধীনতার সীমারেখা ও দায়িত্বের মধ্যে থেকে রিপোর্ট করা উচিত।

    ৩. অপরাধ রিপোর্টিং এর প্রাথমিক ধাপসমূহ
    ৩.১ ঘটনা তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ
    ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে ঘটনা দেখা।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে নির্ভুল তথ্য গ্রহণ।

    পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ।

    যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই।

    ৩.২ রিপোর্ট লেখা ও সংবাদ তৈরি
    সংক্ষিপ্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ ভাষায় রিপোর্ট লেখা।

    ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, সময় ও স্থান উল্লেখ।

    সংযুক্তি হিসেবে ছবি বা ভিডিও থাকলে তা অবশ্যই সত্যতা সম্পন্ন হতে হবে।

    ৩.৩ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই
    সব তথ্য পুনরায় যাচাই করা।

    অপেক্ষাকৃত নাজুক তথ্য ও বিবরণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পরামর্শ নেওয়া।

    ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং এর চ্যালেঞ্জ ও সুরক্ষা
    ৪.১ নিরাপত্তা ঝুঁকি
    অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হতে হতে পারে হুমকি, বাধা ও আক্রমণের সম্ভাবনা।

    তাই নিজ ও পরিবার ও তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

    ৪.২ আইনি জটিলতা ও বিচারাধীন বিষয়
    আদালতের নির্দেশনা বা আইনগত বিধিনিষেধে সংবাদ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ হতে পারে।

    ৪.৩ তথ্যের অভাব ও গুজব
    সঠিক তথ্য সংগ্রহে সময়সাপেক্ষতা ও উৎস সংকট হতে পারে।

    গুজব ও ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি।

    ৫. কার্যকর অপরাধ রিপোর্টিংয়ের টিপস
    ৫.১ নোট নেওয়া
    ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ও সঠিক নোট নিতে হবে।

    নাম, স্থান, সময়, সাক্ষীদের নাম ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে।

    ৫.২ সাক্ষাৎকার নেওয়া
    সন্দেহভাজন, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার।

    সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য।

    ৫.৩ দৃশ্যমান প্রমাণ সংগ্রহ
    ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি।

    ৫.৪ নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ
    অপরাধীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা।

    ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা।

    ৫.৫ রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকা
    নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

    ৬. আই নিউজ বিডি কী চায় অপরাধ রিপোর্টে?
    ৬.১ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য
    আই নিউজ বিডি প্রত্যাশা করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনগুলো সর্বদা সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা অবিশ্বাস্য তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা যাবে না।

    ৬.২ মানবিক ও নৈতিক সাংবাদিকতা
    ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে।

    ৬.৩ সময়োপযোগী ও নিয়মিত রিপোর্টিং
    ঘটনার সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবেদন পাঠানো জরুরি। আই নিউজ বিডি নিয়মিত আপডেট ও সতর্ক সাংবাদিক চাই।

    ৬.৪ ভিডিও ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং
    শুধুমাত্র লিখিত প্রতিবেদন নয়, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনাবলী প্রমাণ সহকারে পরিবেশন করতে হবে, যা পাঠক ও দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।

    ৬.৫ আইনি ও নৈতিকতা মেনে চলা
    সবসময় দেশের আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা নীতিমালা মেনে চলতে হবে।


    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ সংবাদ পরিবেশন একটি কঠিন ও দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সাংবাদিকতা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই নিউজ বিডি এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, নিষ্ঠাবান ও সতর্ক সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেবে।

    সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও দৃষ্টান্তমূলক করতে চাই।
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং: নিয়ম-কানুন, আইন ও কার্যকর টিপস বাংলাদেশের গণমাধ্যমে অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কারণ অপরাধের খবর জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে, অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের খবর প্রকাশ পেলে তা স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন সঠিকভাবে ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্ট করার নিয়ম-কানুন, আইনগত দিক, সতর্কতা ও কার্যকর টিপস নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া আই নিউজ বিডি এর পক্ষ থেকে এই ধরণের প্রতিবেদনগুলোতে যে প্রত্যাশা রয়েছে সেটিও বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। ১. অপরাধ রিপোর্টিং এর গুরুত্ব অপরাধ রিপোর্টিং শুধুমাত্র ঘটনা তুলে ধরা নয়; এটি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, নির্যাতিতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধের সঠিক ও সুষ্ঠু সংবাদ পরিবেশন স্থানীয় মানুষকে আরো সুসংহত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখে। ২. অপরাধ রিপোর্টিং এর আইনি নিয়ম-কানুন ২.১ তথ্য সংগ্রহের সতর্কতা তথ্য যাচাই: অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করার সময় নিশ্চিত হতে হবে তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা গুজব বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করা যাবে না। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সর্বদা অফিসিয়াল সূত্র ব্যবহার করুন, যেমন পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইত্যাদি। ২.২ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও সম্মান রক্ষা অপরাধীর নাম, ছবি, ঠিকানা প্রকাশের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সতর্ক থাকতে হবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আদালত বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে অনুমতি নেওয়া জরুরি হতে পারে। অপরাধের শিকার বা ভুক্তভোগীদের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিবরণ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে করে কারো ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। ২.৩ মামলার পর্যায় বিবেচনা মামলার বিচারাধীন বিষয় নিয়ে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করে মামলার সুষ্ঠু বিচারে প্রভাব না পড়ে বা পক্ষপাতিত্ব না হয়। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়া আবশ্যক। ২.৪ আইনি বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা সংক্রান্ত অন্যান্য আইন সম্পর্কে অবগত থাকা আবশ্যক। অবৈধ তথ্য, গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বাকস্বাধীনতার সীমারেখা ও দায়িত্বের মধ্যে থেকে রিপোর্ট করা উচিত। ৩. অপরাধ রিপোর্টিং এর প্রাথমিক ধাপসমূহ ৩.১ ঘটনা তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে ঘটনা দেখা। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে নির্ভুল তথ্য গ্রহণ। পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ। যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য যাচাই। ৩.২ রিপোর্ট লেখা ও সংবাদ তৈরি সংক্ষিপ্ত ও তথ্যসমৃদ্ধ ভাষায় রিপোর্ট লেখা। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ, সময় ও স্থান উল্লেখ। সংযুক্তি হিসেবে ছবি বা ভিডিও থাকলে তা অবশ্যই সত্যতা সম্পন্ন হতে হবে। ৩.৩ প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই সব তথ্য পুনরায় যাচাই করা। অপেক্ষাকৃত নাজুক তথ্য ও বিবরণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদকের পরামর্শ নেওয়া। ৪. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ রিপোর্টিং এর চ্যালেঞ্জ ও সুরক্ষা ৪.১ নিরাপত্তা ঝুঁকি অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সম্মুখীন হতে হতে পারে হুমকি, বাধা ও আক্রমণের সম্ভাবনা। তাই নিজ ও পরিবার ও তথ্যসূত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ৪.২ আইনি জটিলতা ও বিচারাধীন বিষয় আদালতের নির্দেশনা বা আইনগত বিধিনিষেধে সংবাদ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধ হতে পারে। ৪.৩ তথ্যের অভাব ও গুজব সঠিক তথ্য সংগ্রহে সময়সাপেক্ষতা ও উৎস সংকট হতে পারে। গুজব ও ভুল তথ্য থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি। ৫. কার্যকর অপরাধ রিপোর্টিংয়ের টিপস ৫.১ নোট নেওয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ও সঠিক নোট নিতে হবে। নাম, স্থান, সময়, সাক্ষীদের নাম ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে। ৫.২ সাক্ষাৎকার নেওয়া সন্দেহভাজন, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য। ৫.৩ দৃশ্যমান প্রমাণ সংগ্রহ ছবি, ভিডিও ক্লিপ, সিসিটিভি ফুটেজ ইত্যাদি। ৫.৪ নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ অপরাধীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা। ভুক্তভোগীদের সম্মান রক্ষা। ৫.৫ রিপোর্টে পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত থাকা নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ৬. আই নিউজ বিডি কী চায় অপরাধ রিপোর্টে? ৬.১ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য আই নিউজ বিডি প্রত্যাশা করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিবেদনগুলো সর্বদা সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে। কোনো ধরনের গুজব বা অবিশ্বাস্য তথ্য সংবাদে প্রকাশ করা যাবে না। ৬.২ মানবিক ও নৈতিক সাংবাদিকতা ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের সম্মান রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সংবেদনশীলতা ও নৈতিকতা সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে হবে। ৬.৩ সময়োপযোগী ও নিয়মিত রিপোর্টিং ঘটনার সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিবেদন পাঠানো জরুরি। আই নিউজ বিডি নিয়মিত আপডেট ও সতর্ক সাংবাদিক চাই। ৬.৪ ভিডিও ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং শুধুমাত্র লিখিত প্রতিবেদন নয়, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনাবলী প্রমাণ সহকারে পরিবেশন করতে হবে, যা পাঠক ও দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। ৬.৫ আইনি ও নৈতিকতা মেনে চলা সবসময় দেশের আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাংবাদিকতা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধ সংবাদ পরিবেশন একটি কঠিন ও দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই, নিরপেক্ষ ও নৈতিক সাংবাদিকতা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আই নিউজ বিডি এই দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী, নিষ্ঠাবান ও সতর্ক সাংবাদিকদের পাশে থাকবে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেবে। সবার সহযোগিতায় আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আরো শক্তিশালী ও দৃষ্টান্তমূলক করতে চাই।
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 242 Просмотры 0 предпросмотр
  • উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতার কার্যক্রম: দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা

    বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা দেশের সবচেয়ে নিকটতম সংবাদ পরিবেশক যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছে দেন জাতীয় পর্যায়ে। তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্ট, আনন্দ, সমস্যা, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন দেশের সব শ্রেণী ও অংশে পৌঁছায়।

    তাই উপজেলায় একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন ও কর্মপদ্ধতি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আই নিউজ বিডি তাদেরকে নিখুঁত ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা, মানদণ্ড ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে।

    ১. উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকের কাজের ধরন
    উপজেলা সাংবাদিকতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো—

    স্থানীয় ঘটনার সরাসরি কাভারেজ: উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অপরাধ, বন্যা, দুর্যোগ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা।

    সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিবেদন: দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরা।

    স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ।

    জেলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ।

    কাজের প্রকৃতি
    রিপোর্টিং: স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সত্যতা যাচাই।

    নিউজ রাইটিং: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন লেখা।

    ভিডিও নিউজ: ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি।

    ফলো আপ: একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার জন্য পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ।

    মতামত সংগ্রহ: বিভিন্ন পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া।

    ২. উপজেলা সাংবাদিকের কাজের আদর্শ পদ্ধতি
    ২.১ সময়ানুবর্তিতা
    উপজেলা সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন প্রকাশ জরুরি।

    ২.২ নিরপেক্ষতা ও সততা
    সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। তথ্য যাচাই করা হবে যত্নসহকারে।

    ২.৩ পেশাদারিত্ব
    গোপনীয়তা রক্ষা করা।

    ব্যক্তিগত মতামত থেকে বিরত থাকা।

    সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা।

    দায়িত্বশীল আচরণ।

    ২.৪ তথ্য সংগ্রহের নৈতিকতা
    সঠিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, অনুমতি নিয়ে ছবি ও ভিডিও গ্রহণ, ব্যাক্তির সম্মতি থাকা।

    ৩. উপজেলা সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কাজ
    ৩.১ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন
    সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষেবা ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং জনসাধারণের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া।

    ৩.২ সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ
    দুর্ভোগ, অবহেলা, অপরাধ, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংকটের খবর তুলে ধরা।

    ৩.৩ প্রতিবেদন তৈরি
    পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন লেখা।

    ৩.৪ ভিডিও ও ফটো রিপোর্টিং
    গ্রামের ঘটনাবলি, অনুষ্টান, সভা, মিছিল, দুঃখ, দুর্ঘটনা সহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা।

    ৪. কাজের কৌশল: কীভাবে কাজ করা উচিত?
    ৪.১ প্রস্তুতি
    আগাম বিষয়বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া।

    প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা (মোবাইল, ক্যামেরা, নোটবুক)।

    স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা।

    ৪.২ কার্যক্ষেত্রে সতর্কতা
    ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বজায় রাখা।

    পক্ষপাতমুক্ত থাকার চেষ্টা।

    তথ্য সংগ্রহে ধৈর্যশীল হওয়া।

    ৪.৩ তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ
    একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ।

    প্রাসঙ্গিক ও নির্ভুল তথ্য নির্বাচন।

    তথ্যের সত্যতা যাচাই করা।

    ৪.৪ রিপোর্টিং ও প্রকাশনা
    ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল রাখা।

    তথ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন।

    সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো।

    ৫. আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা ও নির্দেশনা
    ৫.১ নিয়মিততা
    প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো।

    ৫.২ মানসম্মত প্রতিবেদন
    তথ্যসমৃদ্ধ, নিরপেক্ষ ও প্রাঞ্জল ভাষায় প্রতিবেদন লেখা।

    ৫.৩ ভিডিও নিউজে মনোযোগ
    ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা।

    ৫.৪ নৈতিকতা ও সততা
    কেউ টাকা নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না।

    কোন প্রকার বিকৃত তথ্য বা গুজব প্রচার করা যাবে না।

    মানবাধিকার ও গণমাধ্যম নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

    ৫.৫ যোগাযোগ ও সহযোগিতা
    অফিসের নির্দেশনা ও প্ল্যানিং মেনে চলা, সহযোগীতা প্রদান ও রিপোর্টারদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি করা।

    ৬. দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সিঁড়ি
    উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে বাংলাদেশের সঠিক তথ্য পরিবেশনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আই নিউজ বিডি এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলতে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক সাংবাদিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের কাজে রূপান্তর করবে। এতে শুধু নিজের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না, দেশ ও সমাজও লাভবান হবে।
    উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতার কার্যক্রম: দায়িত্ব, কর্মপদ্ধতি ও আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা দেশের সবচেয়ে নিকটতম সংবাদ পরিবেশক যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে ছোট ছোট অঞ্চলগুলোর খবর পৌঁছে দেন জাতীয় পর্যায়ে। তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনের কষ্ট, আনন্দ, সমস্যা, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তন দেশের সব শ্রেণী ও অংশে পৌঁছায়। তাই উপজেলায় একজন সাংবাদিকের কাজের ধরন ও কর্মপদ্ধতি সঠিক হওয়া প্রয়োজন। আই নিউজ বিডি তাদেরকে নিখুঁত ও পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা, মানদণ্ড ও প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে। ১. উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকের কাজের ধরন উপজেলা সাংবাদিকতার মূল বৈশিষ্ট্য হলো— স্থানীয় ঘটনার সরাসরি কাভারেজ: উপজেলা ও তার আশপাশের এলাকার প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন প্রকল্প, সমাজসেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অপরাধ, বন্যা, দুর্যোগ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরি করা। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতিবেদন: দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও প্রতিবন্ধী মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা তুলে ধরা। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ। জেলা ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের জন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ। কাজের প্রকৃতি রিপোর্টিং: স্থানীয় তথ্য সংগ্রহ, সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সত্যতা যাচাই। নিউজ রাইটিং: স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন লেখা। ভিডিও নিউজ: ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি। ফলো আপ: একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরার জন্য পরবর্তীতে তথ্য সংগ্রহ। মতামত সংগ্রহ: বিভিন্ন পক্ষের মতামত ও প্রতিক্রিয়া নেওয়া। ২. উপজেলা সাংবাদিকের কাজের আদর্শ পদ্ধতি ২.১ সময়ানুবর্তিতা উপজেলা সংবাদ পরিবেশন ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘটনার দ্রুত তথ্য সংগ্রহ ও তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন প্রকাশ জরুরি। ২.২ নিরপেক্ষতা ও সততা সর্বোচ্চ সততা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। কোনো পক্ষপাতিত্ব করা যাবে না। তথ্য যাচাই করা হবে যত্নসহকারে। ২.৩ পেশাদারিত্ব গোপনীয়তা রক্ষা করা। ব্যক্তিগত মতামত থেকে বিরত থাকা। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বজায় রাখা। দায়িত্বশীল আচরণ। ২.৪ তথ্য সংগ্রহের নৈতিকতা সঠিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, অনুমতি নিয়ে ছবি ও ভিডিও গ্রহণ, ব্যাক্তির সম্মতি থাকা। ৩. উপজেলা সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কাজ ৩.১ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড পরিদর্শন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, পরিষেবা ও কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং জনসাধারণের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। ৩.২ সমাজের সমস্যা চিহ্নিতকরণ দুর্ভোগ, অবহেলা, অপরাধ, দুর্নীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংকটের খবর তুলে ধরা। ৩.৩ প্রতিবেদন তৈরি পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন লেখা। ৩.৪ ভিডিও ও ফটো রিপোর্টিং গ্রামের ঘটনাবলি, অনুষ্টান, সভা, মিছিল, দুঃখ, দুর্ঘটনা সহ জীবনের নানা দিক তুলে ধরা। ৪. কাজের কৌশল: কীভাবে কাজ করা উচিত? ৪.১ প্রস্তুতি আগাম বিষয়বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা (মোবাইল, ক্যামেরা, নোটবুক)। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। ৪.২ কার্যক্ষেত্রে সতর্কতা ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বজায় রাখা। পক্ষপাতমুক্ত থাকার চেষ্টা। তথ্য সংগ্রহে ধৈর্যশীল হওয়া। ৪.৩ তথ্য যাচাই ও বিশ্লেষণ একাধিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ। প্রাসঙ্গিক ও নির্ভুল তথ্য নির্বাচন। তথ্যের সত্যতা যাচাই করা। ৪.৪ রিপোর্টিং ও প্রকাশনা ভাষা সহজ ও প্রাঞ্জল রাখা। তথ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন। সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো। ৫. আই নিউজ বিডির প্রত্যাশা ও নির্দেশনা ৫.১ নিয়মিততা প্রতিদিনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং সময়মতো প্রতিবেদন পাঠানো। ৫.২ মানসম্মত প্রতিবেদন তথ্যসমৃদ্ধ, নিরপেক্ষ ও প্রাঞ্জল ভাষায় প্রতিবেদন লেখা। ৫.৩ ভিডিও নিউজে মনোযোগ ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রফেশনাল মানের ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা। ৫.৪ নৈতিকতা ও সততা কেউ টাকা নিয়ে নিউজ করতে পারবেন না। কোন প্রকার বিকৃত তথ্য বা গুজব প্রচার করা যাবে না। মানবাধিকার ও গণমাধ্যম নীতিমালা মেনে চলতে হবে। ৫.৫ যোগাযোগ ও সহযোগিতা অফিসের নির্দেশনা ও প্ল্যানিং মেনে চলা, সহযোগীতা প্রদান ও রিপোর্টারদের মধ্যে মতবিনিময় বৃদ্ধি করা। ৬. দায়িত্ববোধ ও পেশাদারিত্বের সিঁড়ি উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের হাতে বাংলাদেশের সঠিক তথ্য পরিবেশনের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে সময়ানুবর্তিতা, সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আই নিউজ বিডি এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলতে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রত্যেক সাংবাদিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে সাংবাদিকতাকে শ্রদ্ধা ও দায়িত্বের কাজে রূপান্তর করবে। এতে শুধু নিজের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে না, দেশ ও সমাজও লাভবান হবে।
    0 Комментарии 0 Поделились 242 Просмотры 0 предпросмотр
  • ভিডিও নিউজ তৈরির ব্যাপক আলোচনা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও আই নিউজ বিডির দৃষ্টিভঙ্গি

    বর্তমান সময়ে তথ্যের গতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দ্রুত, স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ভিডিও নিউজ এখনো গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশেও গত কয়েক বছর ধরে ভিডিও নিউজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডিজিটাল যুগে এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

    আই নিউজ বিডি এ ক্ষেত্রটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি— ভালো ভিডিও নিউজ তৈরি করে আমরা শুধু তথ্য পৌঁছে দিই না, বরং জনমনে সচেতনতা ও সামাজিক পরিবর্তনও আনি। এই আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের ভিডিও নিউজ তৈরির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা বিশ্লেষণ করব এবং আই নিউজ বিডির নীতি, উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা তুলে ধরব।

    বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের বর্তমান অবস্থা: এক নজরে
    বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারে ভিডিও নিউজ একটি দ্রুত বর্ধনশীল মাধ্যম। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, এবং স্বতন্ত্র সাংবাদিকরা এখন ভিডিওর মাধ্যমে দ্রুত খবর পরিবেশন করছেন। কিন্তু এর সাথে জড়িত রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা, যেমন—

    প্রযুক্তিগত অভাব: অনেক সংবাদকর্মীর কাছে উচ্চমানের ক্যামেরা, সাউন্ড ও এডিটিং সফটওয়্যার নেই।

    প্রফেশনাল গাইডলাইন ও প্রশিক্ষণের অভাব: অধিকাংশ সময় রিপোর্টাররা ভিডিও নিউজ তৈরিতে দক্ষ নয়, ফলে মান নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়।

    কনটেন্টের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা: প্রায়ই দেখা যায় বানোয়াট বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ভিডিও নিউজ তৈরি হয়, যা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করে।

    আর্থিক ও মানবসম্পদের সীমাবদ্ধতা: ছোট ছোট নিউজ আউটলেটগুলোতে ভিডিও প্রোডাকশনে যথাযথ বাজেট বা প্রশিক্ষিত কর্মী থাকে না।

    এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ভিডিও নিউজের মানোন্নয়ন ও সঠিক ব্যবহারে ‘আই নিউজ বিডি’ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।

    আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ সংক্রান্ত দর্শন ও উদ্দেশ্য
    আমাদের মিশন হলো:

    গণমাধ্যমে তথ্যপ্রবাহের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা।

    সঠিক ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

    ভিডিও নিউজের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠস্বর সরাসরি পৌঁছে দেওয়া।

    প্রতিটি অঞ্চল ও শ্রেণীর মানুষের সংবাদ উপস্থাপন করা।

    রিপোর্টার ও কন্ট্রিবিউটরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান।

    আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ তৈরির নীতি তিনটি প্রধান স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত—

    ১. মান (Quality)
    শুধুমাত্র দ্রুত নয়, যথাযথ তথ্য এবং সঠিক উপস্থাপনায় ভিডিও তৈরি করা।

    ২. সততা (Integrity)
    বিষয়বস্তুতে কোন রকম ভ্রান্তি, অনুমান বা অপপ্রচার না থাকা।

    ৩. নিয়মিততা (Consistency)
    প্রতিনিয়ত ভিডিও নিউজ প্রকাশের মাধ্যমে একটি বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা।

    ভিডিও নিউজ তৈরির জন্য আই নিউজ বিডির কাঠামো
    আমাদের ভিডিও নিউজ তৈরির প্রক্রিয়া এবং দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত—

    বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা
    খবরের গুরুত্ব বুঝে প্রাসঙ্গিক বিষয় বাছাই করা।

    ঘটনাস্থলে নিজে গিয়ে সত্যতা যাচাই করা।

    প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বক্তব্য নেওয়া।

    ভিডিওগ্রাফি
    মোবাইল বা ক্যামেরা সঠিকভাবে ব্যবহার করা।

    ক্যামেরা স্থির রাখা এবং প্রয়োজনমত প্যান, জুম করা।

    আলো ও শব্দের যথাযথ ব্যাবস্থা রাখা।

    এডিটিং ও প্রোডাকশন
    ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা।

    সাবটাইটেল, টাইটেল, গ্রাফিক্স যোগ করা।

    সাউন্ড মিক্সিং করে ভিডিওর মান উন্নত করা।

    প্রকাশনা ও প্রচার
    সঠিক সময়ে এবং সঠিক প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করা।

    দর্শকের প্রতিক্রিয়া মনোযোগ দিয়ে দেখা এবং বিশ্লেষণ করা।

    বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের সমস্যা ও সমাধান: আই নিউজ বিডির ভূমিকা
    বাংলাদেশে অনেক রিপোর্টার এখনও ভিডিও নিউজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেননি। এর ফলে মানসম্পন্ন ভিডিও নিউজ তৈরি কঠিন। আই নিউজ বিডি এই সমস্যার মোকাবিলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে—

    প্রশিক্ষণ কর্মশালা: আমাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন ও মিটিংয়ের মাধ্যমে রিপোর্টারদের ভিডিওর টেকনিক্যাল দিক সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া।

    গাইডলাইন ও টিউটোরিয়াল: রিপোর্টারদের জন্য ভিডিও তৈরির সহজ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রদান।

    মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: ভিডিও নিউজ আপলোডের আগে মান যাচাই করা ও পরামর্শ প্রদান।

    প্রযুক্তি সহযোগিতা: প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও এডিটিং সফটওয়্যার সরবরাহ করা।

    রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা
    ভিডিও তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয়সমূহ
    প্রস্তুতি: নিউজ বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখা।

    ভিডিও শট: পরিষ্কার, স্থির এবং প্রাসঙ্গিক শট গ্রহণ করা।

    সাউন্ড: শব্দের মান উন্নত করতে মাইক্রোফোন ব্যবহার ও ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ কমানো।

    সম্পাদনা: গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভিডিও সম্পাদন করা।

    থামনেইল: আকর্ষণীয় ও বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থামনেইল ব্যবহার করা।

    সংবাদ পরিবেশনের নীতি
    নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

    অপপ্রচার ও গুজব থেকে দূরে থাকা।

    সাধারণ মানুষের কষ্ট ও সাফল্য উভয় দিক তুলে ধরা।

    তথ্য যাচাই করা।

    মানবাধিকার ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।

    ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ
    আই নিউজ বিডি ভিডিও নিউজ তৈরিতে আরও উচ্চ মান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে–

    ডেডিকেটেড ভিডিও রিপোর্টিং টিম গঠন।

    উন্নত ভিডিও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ।

    নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ।

    প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উন্নয়ন।

    সবার জন্য সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ।

    ভিডিও নিউজ এখন শুধু খবর প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম যা মানুষের জীবন ও সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার। বাংলাদেশে এই মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘আই নিউজ বিডি’ নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টরা ভিডিও নিউজ তৈরির প্রতিটি ধাপে এই নীতিমালা মেনে চলবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং জনসাধারণের জন্য মানসম্মত সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করবে।
    ভিডিও নিউজ তৈরির ব্যাপক আলোচনা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও আই নিউজ বিডির দৃষ্টিভঙ্গি বর্তমান সময়ে তথ্যের গতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দ্রুত, স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ভিডিও নিউজ এখনো গণমাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। বাংলাদেশেও গত কয়েক বছর ধরে ভিডিও নিউজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডিজিটাল যুগে এর প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আই নিউজ বিডি এ ক্ষেত্রটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি— ভালো ভিডিও নিউজ তৈরি করে আমরা শুধু তথ্য পৌঁছে দিই না, বরং জনমনে সচেতনতা ও সামাজিক পরিবর্তনও আনি। এই আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের ভিডিও নিউজ তৈরির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সুযোগ-সুবিধা বিশ্লেষণ করব এবং আই নিউজ বিডির নীতি, উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা তুলে ধরব। বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের বর্তমান অবস্থা: এক নজরে বাংলাদেশে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারে ভিডিও নিউজ একটি দ্রুত বর্ধনশীল মাধ্যম। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, এবং স্বতন্ত্র সাংবাদিকরা এখন ভিডিওর মাধ্যমে দ্রুত খবর পরিবেশন করছেন। কিন্তু এর সাথে জড়িত রয়েছে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা, যেমন— প্রযুক্তিগত অভাব: অনেক সংবাদকর্মীর কাছে উচ্চমানের ক্যামেরা, সাউন্ড ও এডিটিং সফটওয়্যার নেই। প্রফেশনাল গাইডলাইন ও প্রশিক্ষণের অভাব: অধিকাংশ সময় রিপোর্টাররা ভিডিও নিউজ তৈরিতে দক্ষ নয়, ফলে মান নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হয়। কনটেন্টের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা: প্রায়ই দেখা যায় বানোয়াট বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ভিডিও নিউজ তৈরি হয়, যা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস করে। আর্থিক ও মানবসম্পদের সীমাবদ্ধতা: ছোট ছোট নিউজ আউটলেটগুলোতে ভিডিও প্রোডাকশনে যথাযথ বাজেট বা প্রশিক্ষিত কর্মী থাকে না। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ভিডিও নিউজের মানোন্নয়ন ও সঠিক ব্যবহারে ‘আই নিউজ বিডি’ বিশেষ গুরুত্ব দেয়। আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ সংক্রান্ত দর্শন ও উদ্দেশ্য আমাদের মিশন হলো: গণমাধ্যমে তথ্যপ্রবাহের গতিশীলতা বৃদ্ধি করা। সঠিক ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ভিডিও নিউজের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠস্বর সরাসরি পৌঁছে দেওয়া। প্রতিটি অঞ্চল ও শ্রেণীর মানুষের সংবাদ উপস্থাপন করা। রিপোর্টার ও কন্ট্রিবিউটরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান। আই নিউজ বিডির ভিডিও নিউজ তৈরির নীতি তিনটি প্রধান স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত— ১. মান (Quality) শুধুমাত্র দ্রুত নয়, যথাযথ তথ্য এবং সঠিক উপস্থাপনায় ভিডিও তৈরি করা। ২. সততা (Integrity) বিষয়বস্তুতে কোন রকম ভ্রান্তি, অনুমান বা অপপ্রচার না থাকা। ৩. নিয়মিততা (Consistency) প্রতিনিয়ত ভিডিও নিউজ প্রকাশের মাধ্যমে একটি বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। ভিডিও নিউজ তৈরির জন্য আই নিউজ বিডির কাঠামো আমাদের ভিডিও নিউজ তৈরির প্রক্রিয়া এবং দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত— বিষয় নির্বাচন ও গবেষণা খবরের গুরুত্ব বুঝে প্রাসঙ্গিক বিষয় বাছাই করা। ঘটনাস্থলে নিজে গিয়ে সত্যতা যাচাই করা। প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বক্তব্য নেওয়া। ভিডিওগ্রাফি মোবাইল বা ক্যামেরা সঠিকভাবে ব্যবহার করা। ক্যামেরা স্থির রাখা এবং প্রয়োজনমত প্যান, জুম করা। আলো ও শব্দের যথাযথ ব্যাবস্থা রাখা। এডিটিং ও প্রোডাকশন ভিডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশ ছেঁটে ফেলা। সাবটাইটেল, টাইটেল, গ্রাফিক্স যোগ করা। সাউন্ড মিক্সিং করে ভিডিওর মান উন্নত করা। প্রকাশনা ও প্রচার সঠিক সময়ে এবং সঠিক প্ল্যাটফর্মে ভিডিও আপলোড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করা। দর্শকের প্রতিক্রিয়া মনোযোগ দিয়ে দেখা এবং বিশ্লেষণ করা। বাংলাদেশের ভিডিও নিউজের সমস্যা ও সমাধান: আই নিউজ বিডির ভূমিকা বাংলাদেশে অনেক রিপোর্টার এখনও ভিডিও নিউজের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করেননি। এর ফলে মানসম্পন্ন ভিডিও নিউজ তৈরি কঠিন। আই নিউজ বিডি এই সমস্যার মোকাবিলায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে— প্রশিক্ষণ কর্মশালা: আমাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ সেশন ও মিটিংয়ের মাধ্যমে রিপোর্টারদের ভিডিওর টেকনিক্যাল দিক সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া। গাইডলাইন ও টিউটোরিয়াল: রিপোর্টারদের জন্য ভিডিও তৈরির সহজ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রদান। মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: ভিডিও নিউজ আপলোডের আগে মান যাচাই করা ও পরামর্শ প্রদান। প্রযুক্তি সহযোগিতা: প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ও এডিটিং সফটওয়্যার সরবরাহ করা। রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য নির্দেশিকা ভিডিও তৈরির সময় বিবেচ্য বিষয়সমূহ প্রস্তুতি: নিউজ বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা রাখা। ভিডিও শট: পরিষ্কার, স্থির এবং প্রাসঙ্গিক শট গ্রহণ করা। সাউন্ড: শব্দের মান উন্নত করতে মাইক্রোফোন ব্যবহার ও ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ কমানো। সম্পাদনা: গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভিডিও সম্পাদন করা। থামনেইল: আকর্ষণীয় ও বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থামনেইল ব্যবহার করা। সংবাদ পরিবেশনের নীতি নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। অপপ্রচার ও গুজব থেকে দূরে থাকা। সাধারণ মানুষের কষ্ট ও সাফল্য উভয় দিক তুলে ধরা। তথ্য যাচাই করা। মানবাধিকার ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ আই নিউজ বিডি ভিডিও নিউজ তৈরিতে আরও উচ্চ মান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে– ডেডিকেটেড ভিডিও রিপোর্টিং টিম গঠন। উন্নত ভিডিও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপ। প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও উন্নয়ন। সবার জন্য সমান সুযোগ ও অংশগ্রহণ। ভিডিও নিউজ এখন শুধু খবর প্রকাশের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম যা মানুষের জীবন ও সমাজ পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার। বাংলাদেশে এই মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘আই নিউজ বিডি’ নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের রিপোর্টার, কন্ট্রিবিউটর ও সিটিজেন জার্নালিস্টরা ভিডিও নিউজ তৈরির প্রতিটি ধাপে এই নীতিমালা মেনে চলবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং জনসাধারণের জন্য মানসম্মত সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করবে।
    0 Комментарии 0 Поделились 242 Просмотры 0 предпросмотр
  • নিচে মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে কীভাবে প্রফেশনাল মানের ভিডিও রিপোর্ট তৈরি করবেন – এই বিষয়ে ধাপে ধাপে বিশদভাবে একটি পরিপূর্ণ গাইড তুলে ধরা হলো। এটি আই নিউজ বিডি'র পক্ষ থেকে সকল রিপোর্টার, কনট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য প্রস্তুতকৃত একটি প্রশিক্ষণ অংশ, যা আপনি হাতে-কলমে শিখে প্রফেশনাল ভিডিও রিপোর্টিং করতে পারবেন।

    অধ্যায় ১: রিপোর্টিংয়ের জন্য সঠিক ডিভাইস নির্বাচন
    মোবাইল বা ক্যামেরা—কোনটা বেছে নেবেন?
    মোবাইল ফোন: যদি আপনি দ্রুত, সহজ এবং চলতি পথে ভিডিও করতে চান, তাহলে একটি ভালো ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন যথেষ্ট।

    উদাহরণ: iPhone (11/12/13 বা তার পরবর্তী), Samsung S সিরিজ, Xiaomi Mi সিরিজ, Google Pixel, Vivo V সিরিজ ইত্যাদি।

    DSLR / Mirrorless ক্যামেরা: স্টেশনরি রিপোর্টিং, ফিচার ভিডিও বা উচ্চমানের ভিডিওর জন্য এগুলো শ্রেষ্ঠ। তবে ব্যয়বহুল এবং ব্যবহার কঠিন হতে পারে।

    মোবাইলের জন্য আবশ্যক অ্যাক্সেসরিজ:
    গিম্বল / ট্রাইপড: ভিডিওকে স্থির ও ঝাঁকাবিহীন রাখতে।

    এক্সটারনাল মাইক্রোফোন: ভয়েস ক্লিয়ার রাখতে।

    লাইট / LED: আলোর ঘাটতি পূরণে।

    ND ফিল্টার (ডে টাইমে): আলোকে ব্যালেন্স করতে।

    অধ্যায় ২: অডিও রেকর্ডিং — রিপোর্টিংয়ের প্রাণ
    ভালো অডিও মানের জন্য করণীয়:
    এক্সটারনাল ল্যাভালিয়ার মাইক্রোফোন ব্যবহার করুন (যেমন BOYA BY-M1, Rode Lavalier Go)।

    বাতাস বা ব্যাকগ্রাউন্ড ন্যুজ কমাতে wind muff ব্যবহার করুন।

    কথা বলার সময় মুখের ৬-১০ ইঞ্চি দূরত্বে মাইক্রোফোন রাখুন।

    ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ থাকলে “Noise Cancellation App” (যেমন Dolby On, Adobe Enhance) ব্যবহার করুন।

    অধ্যায় ৩: ভিডিও শ্যুটিং - কম্পোজিশন এবং ফ্রেমিং
    ক্যামেরা সেটআপ:
    রেজুলিউশন: সর্বনিম্ন 1080p @30fps, তবে 4K হলে আরও ভালো।

    ফ্রেমিং:

    চোখের লেভেলে ক্যামেরা।

    সেন্টার না করে “Rule of Thirds” অনুসরণ করুন।

    পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড যেন পরিষ্কার থাকে।

    লাইটিং কৌশল:
    দিন বা প্রাকৃতিক আলোয় ভিডিও করুন।

    Face toward the light অর্থাৎ আলো যেন মুখে পড়ে, পেছন থেকে না।

    যদি সম্ভব হয় রিং লাইট ব্যবহার করুন।

    অধ্যায় ৪: ভিডিও এডিটিং – মোবাইলে সহজে কনটেন্ট তৈরি
    মোবাইল অ্যাপ:
    CapCut: বিনামূল্যে, চমৎকার ফিচার।

    KineMaster: প্রফেশনাল লেভেলের কাটিং/ট্রানজিশন।

    VN Video Editor: সহজ, ক্লিন ইন্টারফেস।

    LumaFusion (iOS only): হাই লেভেল প্রফেশনাল এডিটিং।

    কী কী করতে হবে:
    অপ্রয়োজনীয় অংশ কাটুন।

    শুরুতে ও শেষে ব্র্যান্ডিং (logo, title) দিন।

    সাবটাইটেল (যদি প্রয়োজন হয়) যুক্ত করুন।

    ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সাবধানে যুক্ত করুন (copyright free)।

    কালার কারেকশন করে ভিডিও উজ্জ্বল/নিরেট করুন।

    অধ্যায় ৫: রিপোর্টিং স্টাইল ও স্ক্রিপ্টিং
    ভালো রিপোর্টিংয়ের জন্য গাইডলাইন:
    সংবাদের হেডলাইন প্রথমে বলুন – যাতে দর্শক ধরে রাখে।

    কে, কোথায়, কী হয়েছে, কখন, কেন, কিভাবে – এই ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিন।

    ব্যক্তিগত মত বাদ দিন – নিরপেক্ষ থাকুন।

    সরাসরি বক্তব্য (bite) সংগ্রহ করুন – লোকজনের ভাষ্য দর্শকদের আগ্রহ বাড়ায়।

    সাহসিক ও স্পষ্ট উচ্চারণ – ফ্লুয়েন্টলি কথা বলুন।

    অধ্যায় ৬: ভিডিও পাবলিশ ও SEO
    ভিডিও কোথায় পাবলিশ করবেন?
    YouTube

    Facebook Page / Instagram Reels

    আই নিউজ বিডি নিজস্ব ওয়েবসাইট

    Sharechat / TikTok (ছোট ফর্ম)

    ভিডিও SEO টিপস:
    ভিডিও টাইটেলে হাই প্রেশার কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

    ডেসক্রিপশনে রিপোর্টের সারসংক্ষেপ দিন।

    থাম্বনেইলে ইমোশন / মুখের অভিব্যক্তি / মূল বিষয় ফুটিয়ে তুলুন।

    হ্যাশট্যাগ দিন: যেমন #BreakingNews #EyeNewsBD #ShariatpurUpdate

    অধ্যায় ৭: বিশেষ টিপস ও ট্রিকস
    ভিডিও শুরুর প্রথম ৩ সেকেন্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – তখনই দর্শক ঠিক করে স্কিপ করবে কিনা।

    B-roll shots (যেমন ঘটনাস্থলের, মানুষজনের) ব্যবহার করে রিপোর্টকে প্রাণবন্ত করুন।

    কম আলোতে শ্যুট করলে মোবাইলে "Pro Mode" ব্যবহার করে ISO ও শাটার স্পিড সামঞ্জস্য করুন।

    রিপোর্টিংয়ের সময় নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করুন:

    “আমি [নাম], আই নিউজ বিডি’র পক্ষে রিপোর্ট করছি শরীয়তপুর থেকে।”

    উপসংহার: একজন রিপোর্টার হিসেবে আপনার লক্ষ্য
    সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা।

    মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা।

    স্থানীয় সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরা।

    রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।

    এই কোর্সটির বাকি অংশে আমরা দেখবো:

    স্ক্রিপ্টিং এর টেমপ্লেট

    ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট

    কনটেন্ট শিডিউলিং

    রিপোর্টারদের ডেইলি টাস্ক ম্যানেজমেন্ট

    আই নিউজ বিডি রিপোর্ট সাবমিশন সিস্টেম
    নিচে মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে কীভাবে প্রফেশনাল মানের ভিডিও রিপোর্ট তৈরি করবেন – এই বিষয়ে ধাপে ধাপে বিশদভাবে একটি পরিপূর্ণ গাইড তুলে ধরা হলো। এটি আই নিউজ বিডি'র পক্ষ থেকে সকল রিপোর্টার, কনট্রিবিউটর এবং সিটিজেন জার্নালিস্টদের জন্য প্রস্তুতকৃত একটি প্রশিক্ষণ অংশ, যা আপনি হাতে-কলমে শিখে প্রফেশনাল ভিডিও রিপোর্টিং করতে পারবেন। 📸 অধ্যায় ১: রিপোর্টিংয়ের জন্য সঠিক ডিভাইস নির্বাচন ✅ মোবাইল বা ক্যামেরা—কোনটা বেছে নেবেন? মোবাইল ফোন: যদি আপনি দ্রুত, সহজ এবং চলতি পথে ভিডিও করতে চান, তাহলে একটি ভালো ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন যথেষ্ট। উদাহরণ: iPhone (11/12/13 বা তার পরবর্তী), Samsung S সিরিজ, Xiaomi Mi সিরিজ, Google Pixel, Vivo V সিরিজ ইত্যাদি। DSLR / Mirrorless ক্যামেরা: স্টেশনরি রিপোর্টিং, ফিচার ভিডিও বা উচ্চমানের ভিডিওর জন্য এগুলো শ্রেষ্ঠ। তবে ব্যয়বহুল এবং ব্যবহার কঠিন হতে পারে। ✅ মোবাইলের জন্য আবশ্যক অ্যাক্সেসরিজ: গিম্বল / ট্রাইপড: ভিডিওকে স্থির ও ঝাঁকাবিহীন রাখতে। এক্সটারনাল মাইক্রোফোন: ভয়েস ক্লিয়ার রাখতে। লাইট / LED: আলোর ঘাটতি পূরণে। ND ফিল্টার (ডে টাইমে): আলোকে ব্যালেন্স করতে। 🎙️ অধ্যায় ২: অডিও রেকর্ডিং — রিপোর্টিংয়ের প্রাণ ✅ ভালো অডিও মানের জন্য করণীয়: এক্সটারনাল ল্যাভালিয়ার মাইক্রোফোন ব্যবহার করুন (যেমন BOYA BY-M1, Rode Lavalier Go)। বাতাস বা ব্যাকগ্রাউন্ড ন্যুজ কমাতে wind muff ব্যবহার করুন। কথা বলার সময় মুখের ৬-১০ ইঞ্চি দূরত্বে মাইক্রোফোন রাখুন। ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ থাকলে “Noise Cancellation App” (যেমন Dolby On, Adobe Enhance) ব্যবহার করুন। 🎥 অধ্যায় ৩: ভিডিও শ্যুটিং - কম্পোজিশন এবং ফ্রেমিং ✅ ক্যামেরা সেটআপ: রেজুলিউশন: সর্বনিম্ন 1080p @30fps, তবে 4K হলে আরও ভালো। ফ্রেমিং: চোখের লেভেলে ক্যামেরা। সেন্টার না করে “Rule of Thirds” অনুসরণ করুন। পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড যেন পরিষ্কার থাকে। ✅ লাইটিং কৌশল: দিন বা প্রাকৃতিক আলোয় ভিডিও করুন। Face toward the light অর্থাৎ আলো যেন মুখে পড়ে, পেছন থেকে না। যদি সম্ভব হয় রিং লাইট ব্যবহার করুন। ✂️ অধ্যায় ৪: ভিডিও এডিটিং – মোবাইলে সহজে কনটেন্ট তৈরি ✅ মোবাইল অ্যাপ: CapCut: বিনামূল্যে, চমৎকার ফিচার। KineMaster: প্রফেশনাল লেভেলের কাটিং/ট্রানজিশন। VN Video Editor: সহজ, ক্লিন ইন্টারফেস। LumaFusion (iOS only): হাই লেভেল প্রফেশনাল এডিটিং। ✅ কী কী করতে হবে: অপ্রয়োজনীয় অংশ কাটুন। শুরুতে ও শেষে ব্র্যান্ডিং (logo, title) দিন। সাবটাইটেল (যদি প্রয়োজন হয়) যুক্ত করুন। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সাবধানে যুক্ত করুন (copyright free)। কালার কারেকশন করে ভিডিও উজ্জ্বল/নিরেট করুন। 🎭 অধ্যায় ৫: রিপোর্টিং স্টাইল ও স্ক্রিপ্টিং ✅ ভালো রিপোর্টিংয়ের জন্য গাইডলাইন: সংবাদের হেডলাইন প্রথমে বলুন – যাতে দর্শক ধরে রাখে। কে, কোথায়, কী হয়েছে, কখন, কেন, কিভাবে – এই ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিন। ব্যক্তিগত মত বাদ দিন – নিরপেক্ষ থাকুন। সরাসরি বক্তব্য (bite) সংগ্রহ করুন – লোকজনের ভাষ্য দর্শকদের আগ্রহ বাড়ায়। সাহসিক ও স্পষ্ট উচ্চারণ – ফ্লুয়েন্টলি কথা বলুন। 🌐 অধ্যায় ৬: ভিডিও পাবলিশ ও SEO ✅ ভিডিও কোথায় পাবলিশ করবেন? YouTube Facebook Page / Instagram Reels আই নিউজ বিডি নিজস্ব ওয়েবসাইট Sharechat / TikTok (ছোট ফর্ম) ✅ ভিডিও SEO টিপস: ভিডিও টাইটেলে হাই প্রেশার কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ডেসক্রিপশনে রিপোর্টের সারসংক্ষেপ দিন। থাম্বনেইলে ইমোশন / মুখের অভিব্যক্তি / মূল বিষয় ফুটিয়ে তুলুন। হ্যাশট্যাগ দিন: যেমন #BreakingNews #EyeNewsBD #ShariatpurUpdate 🧠 অধ্যায় ৭: বিশেষ টিপস ও ট্রিকস ভিডিও শুরুর প্রথম ৩ সেকেন্ড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – তখনই দর্শক ঠিক করে স্কিপ করবে কিনা। B-roll shots (যেমন ঘটনাস্থলের, মানুষজনের) ব্যবহার করে রিপোর্টকে প্রাণবন্ত করুন। কম আলোতে শ্যুট করলে মোবাইলে "Pro Mode" ব্যবহার করে ISO ও শাটার স্পিড সামঞ্জস্য করুন। রিপোর্টিংয়ের সময় নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করুন: “আমি [নাম], আই নিউজ বিডি’র পক্ষে রিপোর্ট করছি শরীয়তপুর থেকে।” 📚 উপসংহার: একজন রিপোর্টার হিসেবে আপনার লক্ষ্য সত্য ও সঠিক তথ্য পরিবেশন করা। মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। স্থানীয় সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরা। রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এই কোর্সটির বাকি অংশে আমরা দেখবো: ✅ স্ক্রিপ্টিং এর টেমপ্লেট ✅ ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট ✅ কনটেন্ট শিডিউলিং ✅ রিপোর্টারদের ডেইলি টাস্ক ম্যানেজমেন্ট ✅ আই নিউজ বিডি রিপোর্ট সাবমিশন সিস্টেম
    0 Комментарии 0 Поделились 548 Просмотры 0 предпросмотр
  • চালকের ঘুম একসঙ্গে কেড়ে নিলো একই পরিবারের ৭টি প্রাণ।
    ওমান ফেরত প্রবাসীকে আনতে গিয়েছিল পরিবার, ফেরার পথে পানিতে তলিয়ে গেল স্বপ্ন।
    ৩ নারী ও ৪ শিশু—ঘটনাস্থলেই শেষ তাদের জীবনযাত্রা।
    এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী-লক্ষীপুর সড়কে।
    একটি ভুল কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ।**

    ---

    #সড়কদুর্ঘটনা #নোয়াখালী
    #একটিভুলসাতপ্রাণ #VillageLife360BD
    #মর্মান্তিক #RoadSafety #BangladeshNews #নোয়াখালীদুর্ঘটনা
    #RoadAccident #BangladeshNews
    #মর্মান্তিক #FamilyTragedy
    #DriverSleepAccident #VillageLife360BD
    #FireServiceRescue #AccidentUpdate
    #RealStory #প্রবাসীরঘরে_শোক
    #TragicLoss #WakeUpCall
    চালকের ঘুম একসঙ্গে কেড়ে নিলো একই পরিবারের ৭টি প্রাণ। ওমান ফেরত প্রবাসীকে আনতে গিয়েছিল পরিবার, ফেরার পথে পানিতে তলিয়ে গেল স্বপ্ন। ৩ নারী ও ৪ শিশু—ঘটনাস্থলেই শেষ তাদের জীবনযাত্রা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী-লক্ষীপুর সড়কে। একটি ভুল কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনাই তার বাস্তব প্রমাণ।** --- #সড়কদুর্ঘটনা #নোয়াখালী #একটিভুলসাতপ্রাণ #VillageLife360BD #মর্মান্তিক #RoadSafety #BangladeshNews #নোয়াখালীদুর্ঘটনা #RoadAccident #BangladeshNews #মর্মান্তিক #FamilyTragedy #DriverSleepAccident #VillageLife360BD #FireServiceRescue #AccidentUpdate #RealStory #প্রবাসীরঘরে_শোক #TragicLoss #WakeUpCall
    Like
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার

    চট্টগ্রাম, ৪ আগস্ট ২০২৫

    চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি গেস্টহাউস কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তার কক্ষের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, সাবেক সেনাপ্রধান গেস্টহাউসের কক্ষে একা অবস্থান করছিলেন। সকাল গড়িয়ে যাওয়ার পরও তিনি বের না হওয়ায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কক্ষ খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।

    কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা এসে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাতে মারা গেছেন।

    ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে
    চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার 📍 চট্টগ্রাম, ৪ আগস্ট ২০২৫ চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি গেস্টহাউস কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তার কক্ষের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন জানান, সাবেক সেনাপ্রধান গেস্টহাউসের কক্ষে একা অবস্থান করছিলেন। সকাল গড়িয়ে যাওয়ার পরও তিনি বের না হওয়ায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কক্ষ খুলে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা এসে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের ধারণা, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাতে মারা গেছেন। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে
    0 Комментарии 0 Поделились 457 Просмотры 0 предпросмотр
  • চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
    চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৫ নম্বর উপাদী গ্রামে সাপের কামড়ে রেহানা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেহানা বেগম প্রধানিয়া বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন।

    ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (রাত ১১টার দিকে)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ঘুমানোর সময় বিষাক্ত একটি সাপ গৃহবধূ রেহানা বেগমকে কামড়ে দেয়। মুহূর্তেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

    মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
    "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।"

    সাপ বিশেষজ্ঞ মো. রফিক জানান,
    "উদ্ধার করা সাপটি একটি বিষাক্ত গোখরা। সম্প্রতি এলাকায় সাপের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"

    ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মতলব ও আশপাশের গ্রামগুলোতে সম্প্রতি সাপের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
    এ পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রচারণা শুরু করেছে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
    "সাপের কামড়ের পর দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। সঠিক চিকিৎসা না পেলে বিষাক্ত সাপের কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে।"
    তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে সাপে কামড়ের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

    একইসঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা সাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে যাতে তা আর কোনো বিপদের কারণ না হয়।
    জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
    চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ৫ নম্বর উপাদী গ্রামে সাপের কামড়ে রেহানা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত রেহানা বেগম প্রধানিয়া বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (রাত ১১টার দিকে)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ঘুমানোর সময় বিষাক্ত একটি সাপ গৃহবধূ রেহানা বেগমকে কামড়ে দেয়। মুহূর্তেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।" সাপ বিশেষজ্ঞ মো. রফিক জানান, "উদ্ধার করা সাপটি একটি বিষাক্ত গোখরা। সম্প্রতি এলাকায় সাপের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।" ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মতলব ও আশপাশের গ্রামগুলোতে সম্প্রতি সাপের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রচারণা শুরু করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "সাপের কামড়ের পর দ্রুত চিকিৎসা জরুরি। সঠিক চিকিৎসা না পেলে বিষাক্ত সাপের কামড় প্রাণঘাতী হতে পারে।" তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে সাপে কামড়ের চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার করা সাপটিকে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে যাতে তা আর কোনো বিপদের কারণ না হয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
    0 Комментарии 0 Поделились 696 Просмотры 0 предпросмотр
  • সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

    নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী।

    সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়।

    এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

    মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে।

    এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে।

    এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী?

    এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে।

    এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।

    সোনাইমুড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের ঘটনাকে পুঁজি করে জনপ্রতিনিধিসহ নিরীহদের মামলা দিয়ে হয়রানি, বাদী বলেন তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশ-ছাত্র জনতার সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য করা ও নিরীহদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের স্বজনেরা। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পর এ মামলা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে জেলার ব্যাপী। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ঐ দিন বিকেলে সোনাইমুড়ীতে ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে উত্তেজিত জনতার সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ পাল্টা সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে জবাই করে আরও এক পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে ৩ জন মারা যায় ও কয়েকজন ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা থানা ঘেরাও করে থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হওয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর আলীপুর গ্রামের আলী মুন্সী বাড়ীর মোরশেদ আলমের ছেলে বিএনপি কর্মী ওয়ার্লিং মিস্ত্রী মোঃ আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট শুক্রবার সে মারা যায়। এই ব্যাপারে আসিফের বাবা মোরশেদ আলম বাদী হয়ে গত বছরের ১৯ আগস্ট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে মামলা নং- সিআর ৩২২/২০২৪ দায়ের করেন। মামলায় নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ আসনের সাবেক এমপি এইচ এম ইব্রাহিম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেনী পেশার ৩৯ জন সহ অজ্ঞাতনামা দুই/আড়াই হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন জামিনে আছেন। বাকীরা জেল হাজতে আছেন। অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলার বাদী মোরশেদ আলম বলেন, তিনি এ মামলা করেননি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার ছেলে হারানোর বেদনার সুযোগে একটি মহল তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তার নাম ব্যবহার করে এ মামলা সাজিয়েছে। তিনি, তার ছেলে সহ তাদের বাড়ির সবাই বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তারা সক্রিয়ভাবে ভূমিক পালন করেছিলেন। তার ছেলে আন্দোলনে শহীদ হয়েছে, ছেলেকে তিনি কখনো ফিরে পাবেন না। ছেলের শোকে যখন তিনি শোকাহত তখন কে বা কারা কিভাবে এ মামলা দিয়েছে আমার জানা নেই। তবে ফারহান নামের একজন লোক এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সে জেনেছে। তাকে তিনি দেখলে চিনবেন কিন্তু ঠিকানা জানা নেই। তিনি আরও বলেন আমি যদি মামলা করতাম তাহলে আমার দলের নেতা সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যা বুলু ভাই সহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সাথে পরামর্শ করে করতাম। এ মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তাদের অনেককেই আমি চিনিও না, কারো কারো নাম শুনেছি। এ মামলায় আমার দলীয় বিএনপি’র কয়েকজনের নামও রয়েছে। এ মামলা আদালতে দাখিলকারী আইনজীবী শাহ মনজুরুল হাসান বলেন, তিনি অসুস্থ্য হার্টের রোগী। নারী নির্যাতনের একটি মামলার কথা বলে মামলার আর্জি না শুনিয়ে তড়িগড়ি করে তার স্বাক্ষর নিয়েছেন সাবেক পি.পি আবদুর রহমানের জুনিয়র এ্যাডভোকেট এনাম মঞ্জু। তিনি আরো বলেন, স্বাক্ষর নেওয়ার ৩/৪ দিন পর তার সহকারী তাকে জানান, আপনি কী মামলায় স্বাক্ষর করেছেন? এটাতো রাজনৈতিক মামলা! তখন আমি বুঝেছি আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। শাহ মঞ্জুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক পি.পি আবদুর রহমান ও বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন আমার স্বাক্ষর নিয়ে জালিয়াতি করে এ মামলা করেছে। এই ব্যাপারে সাবেক পি.পি আবদুর রহমান বলেন, শাহ মঞ্জুরুল হাসানকে মামলার আর্জি পড়ে শোনানো হয়েছে, এখন তিনি অস্বীকার করছেন। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে এরা সবাই স্বৈরাচারের দোসর, মামলা হলে অসুবিধা কী? এই বিষয়ে বর্তমান পি.পি শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলা হয়েছে এটাই সত্য। কে দোষী কে নির্দোষ তা স্বাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যাবে। এই ব্যাপারে সোনাইমুড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান, আদালতের নির্দেশে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার বিষয়ে সোনাইমুড়ী এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দরা জানান, মামলার বাদীর বক্তব্যসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করলে এটা একটা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা এ মামলার উদ্দেশ্য ছিল। এলাকাবাসী জানান, এই মামলার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় এনে নিরাপরাধ লোকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে অনেকে এ প্রতিবেদকে প্রশ্ন করে বলেন, আসিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সাধারণ মানুষ আসামী হবে কেন? এটাই প্রমাণ করে এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা। বিষয়টি নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্য উদঘাটন করা উচিত বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন।
    Like
    Love
    2
    1 Комментарии 0 Поделились 1Кб Просмотры 0 предпросмотр
  • চাটখিলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    চাটখিল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নিশাত ফারাবী, চাটখিল থানা ওসি তদন্ত মোঃ সুলতান আহমেদ, পল্লী বিদ্যুৎতের ডিজি এম জুনাইদ আহমেদ, সরকারি হাসপাতালের আরএমও শহিদুল ইসলাম নয়ন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন নাহার, জামায়াতে নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন হাসান,, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার মুনা, চাটখিল প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক প্রভাষক জসিম মাহমুদ ও ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ রনি প্রমূখ।

    সভায় সাংবাদিক, প্রভাষক জসিম মাহমুদ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তালতলা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আশেকে এলাহী সহ সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলার কথা তুলে ধরে অতি দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।

    পাশাপাশি তিনি উপজেলা আনাচে কানাচে থাইল্যান্ডি জুয়ার আসর বন্ধ করার জোর দাবী জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন সিএনজি চালক, অটোরিকশা চালক সহ কিশোররা থাইল্যান্ডি জুয়া খেলায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

    সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা গুলো নিরসনে কল্পে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
    চাটখিলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত চাটখিল উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নিশাত ফারাবী, চাটখিল থানা ওসি তদন্ত মোঃ সুলতান আহমেদ, পল্লী বিদ্যুৎতের ডিজি এম জুনাইদ আহমেদ, সরকারি হাসপাতালের আরএমও শহিদুল ইসলাম নয়ন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন নাহার, জামায়াতে নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন হাসান,, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার মুনা, চাটখিল প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক প্রভাষক জসিম মাহমুদ ও ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ রনি প্রমূখ। সভায় সাংবাদিক, প্রভাষক জসিম মাহমুদ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক তালতলা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আশেকে এলাহী সহ সাংবাদিকদের উপর হামলা, মামলার কথা তুলে ধরে অতি দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি উপজেলা আনাচে কানাচে থাইল্যান্ডি জুয়ার আসর বন্ধ করার জোর দাবী জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন সিএনজি চালক, অটোরিকশা চালক সহ কিশোররা থাইল্যান্ডি জুয়া খেলায় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যা গুলো নিরসনে কল্পে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
    Love
    1
    0 Комментарии 0 Поделились 717 Просмотры 0 предпросмотр
Расширенные страницы
Eidok App https://eidok.com