• মায়ের চোখে অশ্রু, বাবার মুখে নীরবতা—দুঃসময়ের এই মুহূর্তে ময়নার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দিলেন সান্ত্বনা, ভরসা আর সহায়তার আশ্বাস।


    #রুমিনফারহানা #মানবিকউদ্যোগ #ময়নারকাহিনি #ব্রাহ্মণবাড়িয়া #সংবেদনশীলখবর #সত্যকথা #মানবতারপাশে
    মায়ের চোখে অশ্রু, বাবার মুখে নীরবতা—দুঃসময়ের এই মুহূর্তে ময়নার পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দিলেন সান্ত্বনা, ভরসা আর সহায়তার আশ্বাস। #রুমিনফারহানা #মানবিকউদ্যোগ #ময়নারকাহিনি #ব্রাহ্মণবাড়িয়া #সংবেদনশীলখবর #সত্যকথা #মানবতারপাশে
    0 Comments 0 Shares 882 Views 0 Reviews
  • ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ ২০টির বেশি দেশ ‘পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে

    দখলদার ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ আগামী সপ্তাহে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতাতে আগামী ১৫ থেকে ১৬ জুলাই ‘জরুরি সম্মেলন’ হবে। সেখানেই দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে।

    এটির আয়োজক ‘দ্য হেগ গ্র“প’। কলম্বিয়ার সরকার সহ-আয়োজক। ‘দ্য হেগ গ্র“প’-এর সহ-সভাপতি হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

    দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী রোল্যান্ড লামোলা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে বার্তা দেওয়া হবে কোনো দেশ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনো অপরাধ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না।

    ‘দ্য হেগ গ্রপে’ প্রতিষ্ঠাকালীন দেশ হলো- বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সঙ্গে এই সম্মেলনে যোগ দেবে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চিলি, চীন, জিবুতি, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লেবানন, নিকারাগুয়া, ওমান, পর্তুগাল, স্পেন, কাতার, তুরস্ক, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, উরুগুয়ে এবং ফিলিস্তিন।

    এছাড়া জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ফ্রান্সেসকা আলবানিস, ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফিলিপে লাজ্জারিনি, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ত্লালেং মোফোকেংসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যম দ্য মিডেল ইস্ট আই শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। 
    সূত্র: দ্য মিডেল ইস্ট আই।
    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ ২০টির বেশি দেশ ‘পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে দখলদার ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ আগামী সপ্তাহে ‘সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ’ ঘোষণা করবে। কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতাতে আগামী ১৫ থেকে ১৬ জুলাই ‘জরুরি সম্মেলন’ হবে। সেখানেই দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। এটির আয়োজক ‘দ্য হেগ গ্র“প’। কলম্বিয়ার সরকার সহ-আয়োজক। ‘দ্য হেগ গ্র“প’-এর সহ-সভাপতি হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও আইনি সহায়তা প্রদান করবে। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী রোল্যান্ড লামোলা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে বার্তা দেওয়া হবে কোনো দেশ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কোনো অপরাধ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না। ‘দ্য হেগ গ্রপে’ প্রতিষ্ঠাকালীন দেশ হলো- বলিভিয়া, কলম্বিয়া, কিউবা, হন্ডুরাস, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের সঙ্গে এই সম্মেলনে যোগ দেবে আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চিলি, চীন, জিবুতি, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লেবানন, নিকারাগুয়া, ওমান, পর্তুগাল, স্পেন, কাতার, তুরস্ক, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, উরুগুয়ে এবং ফিলিস্তিন। এছাড়া জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ফ্রান্সেসকা আলবানিস, ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফিলিপে লাজ্জারিনি, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ত্লালেং মোফোকেংসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদমাধ্যম দ্য মিডেল ইস্ট আই শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।  সূত্র: দ্য মিডেল ইস্ট আই।
    0 Comments 0 Shares 644 Views 0 Reviews
  • ইসরায়েল কীভাবে ফেসবুকে প্রভাব খাটায়: নীরব প্রোপাগান্ডার ডিজিটাল যুদ্ধ

    “যুদ্ধ এখন আর শুধু মাটিতে নয়, যুদ্ধ চলে এখন মোবাইল স্ক্রিনে — যেখানেই আপনি স্ক্রল করেন, সেখানেই কেউ একজন যুদ্ধ জিতছে।”
    এই কথাটিই যেন সত্য হয়ে উঠেছে ফেসবুক নামক সামাজিক প্ল্যাটফর্মে, যেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও তার দোসররা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে — প্রযুক্তি, প্রচারণা এবং প্রতিপক্ষের কণ্ঠরোধের কৌশলে।

    ১. ফেসবুক: একটি যুদ্ধক্ষেত্র, শুধু বন্দুক ছাড়া

    ফেসবুক একটি যোগাযোগমাধ্যম হলেও, এটি এখন চিন্তা নিয়ন্ত্রণের প্ল্যাটফর্ম। ইসরায়েল এটি ভালো করেই জানে, এবং তাই এখানে যুদ্ধ চালায় "তথ্যের অস্ত্র" দিয়ে।

    উদাহরণ:

    গাজার উপর বোমাবর্ষণের সময় ইসরায়েলের হাজারো প্রো-পেজ এবং ফেক আইডি “হামাস সন্ত্রাসী” প্রচার চালায়।

    ফিলিস্তিনপন্থী পোস্ট দ্রুত “কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন” হিসেবে ডিলিট হয়।

    ২. ইসরায়েলি লবি ও Meta-র সম্পর্ক

    Meta (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) ইসরায়েলি লবির চাপে বহুবার পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কিছু চিহ্নিত উদাহরণ:

    1. ২০২১ সালের গাজা যুদ্ধের সময়, ফেসবুক ফিলিস্তিনিদের পোস্ট ও ভিডিও ডিলিট করে, অথচ ইসরায়েলি সেনাদের সহিংস ভিডিও অনায়াসে চলতে থাকে।

    2. The Intercept ও Human Rights Watch রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুক ইসরায়েলি সরকারের অনুরোধে শত শত প্যালেস্টাইনি অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে দেয়।

    3. ইসরায়েলি মন্ত্রীরা সরাসরি Meta-র নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এমনকি একটি বিশেষ ইউনিট রয়েছে ইসরায়েলে — যার নাম "Cyber Unit", যারা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সেন্সর করার অনুরোধ Meta-কে পাঠায়।

    ৩. অ্যালগরিদম হাইজ্যাক: ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধের পদ্ধতি

    Meta-র অ্যালগরিদম এমনভাবে পরিচালিত হয় যেন ইসরায়েল-সমর্থিত কনটেন্ট সামনে আসে, কিন্তু ফিলিস্তিনি কণ্ঠ চাপা পড়ে।

    কৌশলগুলো কী?

    ফেসবুক বর্ণনা করে “শক্তি ও নিরাপত্তা”র ভাষায় — ফলে ফিলিস্তিনিরা “আগ্রাসনে প্রতিবাদ” করলেও সেটি “সহিংসতা” হিসেবে দেখানো হয়।

    “শাহিদ” শব্দ, বা “ফিলিস্তিন রেজিস্টেন্স”-এর মতো কিওয়ার্ড পোস্টে থাকলে তা ব্লক করা হয়।

    ৪. বট ও ট্রল সেনা: ডিজিটাল যুদ্ধের সৈনিক

    ইসরায়েলি সরকার-সমর্থিত বহু বট ও ট্রল অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে সক্রিয় থাকে। এই অ্যাকাউন্টগুলো:

    প্রোপাগান্ডা ছড়ায়,

    ইসলামবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিন-বিরোধী কমেন্ট করে,

    ফিলিস্তিনিদের পেজে রিপোর্ট করে পেজ ডাউন করায়।


    এই “Digital Hasbara” কার্যক্রমের পেছনে কাজ করে ইসরায়েলের কিছু সরকারি-বেসরকারি সংগঠন।

    ৫. বিজ্ঞাপন যুদ্ধ: অর্থ দিয়ে ভাবনা নিয়ন্ত্রণ

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, মন্ত্রণালয়, এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ফেসবুকে মিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপন দেয়:

    নিজস্ব ন্যারেটিভ চালানোর জন্য,

    আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য।


    এই বিজ্ঞাপনগুলো অনেক সময় এমনভাবে বানানো হয় যেন ফিলিস্তিনিরাই সন্ত্রাসী, আর ইসরায়েল “নিরাপত্তা রক্ষা করছে”।

    ৬. জাতিসংঘ-স্বীকৃত রিপোর্ট কি বলে?

    Amnesty International এবং UNHRC একাধিকবার বলেছে যে, ফেসবুক ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

    Meta নিজেই স্বীকার করেছে যে গাজা যুদ্ধের সময় "over-enforcement" হয়েছে ফিলিস্তিনি কনটেন্টের ক্ষেত্রে।

    উপসংহার: সত্যের কণ্ঠরোধ, ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ?

    যখন ফেসবুক গর্ব করে বলে “Connecting the World”, তখন আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: কাদের কণ্ঠ জুড়ে দিচ্ছে তারা? আর কাদের কণ্ঠ থামিয়ে দিচ্ছে?

    ইসরায়েল শুধু মাঠে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে না, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ইতিহাস, অধিকার ও কষ্টকেও মুছে দিতে চাইছে। এই ডিজিটাল সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভবিষ্যতের ইতিহাস হবে বিকৃত, পক্ষপাতদুষ্ট ও মানবতা-বিরোধী।

    পরিশেষে এক কথায়:

    > ইসরায়েল ফেসবুকের মালিক নয়, কিন্তু প্রভাবশালী বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্বের খেসারত দিচ্ছে ফিলিস্তিন, দিচ্ছে সত্য, দিচ্ছে ন্যায়বোধ।
    ইসরায়েল কীভাবে ফেসবুকে প্রভাব খাটায়: নীরব প্রোপাগান্ডার ডিজিটাল যুদ্ধ “যুদ্ধ এখন আর শুধু মাটিতে নয়, যুদ্ধ চলে এখন মোবাইল স্ক্রিনে — যেখানেই আপনি স্ক্রল করেন, সেখানেই কেউ একজন যুদ্ধ জিতছে।” এই কথাটিই যেন সত্য হয়ে উঠেছে ফেসবুক নামক সামাজিক প্ল্যাটফর্মে, যেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র ও তার দোসররা খুব সূক্ষ্মভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে — প্রযুক্তি, প্রচারণা এবং প্রতিপক্ষের কণ্ঠরোধের কৌশলে। 🧠 ১. ফেসবুক: একটি যুদ্ধক্ষেত্র, শুধু বন্দুক ছাড়া ফেসবুক একটি যোগাযোগমাধ্যম হলেও, এটি এখন চিন্তা নিয়ন্ত্রণের প্ল্যাটফর্ম। ইসরায়েল এটি ভালো করেই জানে, এবং তাই এখানে যুদ্ধ চালায় "তথ্যের অস্ত্র" দিয়ে। ✅ উদাহরণ: গাজার উপর বোমাবর্ষণের সময় ইসরায়েলের হাজারো প্রো-পেজ এবং ফেক আইডি “হামাস সন্ত্রাসী” প্রচার চালায়। ফিলিস্তিনপন্থী পোস্ট দ্রুত “কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন” হিসেবে ডিলিট হয়। 💼 ২. ইসরায়েলি লবি ও Meta-র সম্পর্ক Meta (ফেসবুকের মূল কোম্পানি) ইসরায়েলি লবির চাপে বহুবার পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 🔹 কিছু চিহ্নিত উদাহরণ: 1. ২০২১ সালের গাজা যুদ্ধের সময়, ফেসবুক ফিলিস্তিনিদের পোস্ট ও ভিডিও ডিলিট করে, অথচ ইসরায়েলি সেনাদের সহিংস ভিডিও অনায়াসে চলতে থাকে। 2. The Intercept ও Human Rights Watch রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেসবুক ইসরায়েলি সরকারের অনুরোধে শত শত প্যালেস্টাইনি অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়ে দেয়। 3. ইসরায়েলি মন্ত্রীরা সরাসরি Meta-র নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এমনকি একটি বিশেষ ইউনিট রয়েছে ইসরায়েলে — যার নাম "Cyber Unit", যারা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সেন্সর করার অনুরোধ Meta-কে পাঠায়। 🤖 ৩. অ্যালগরিদম হাইজ্যাক: ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধের পদ্ধতি Meta-র অ্যালগরিদম এমনভাবে পরিচালিত হয় যেন ইসরায়েল-সমর্থিত কনটেন্ট সামনে আসে, কিন্তু ফিলিস্তিনি কণ্ঠ চাপা পড়ে। কৌশলগুলো কী? ফেসবুক বর্ণনা করে “শক্তি ও নিরাপত্তা”র ভাষায় — ফলে ফিলিস্তিনিরা “আগ্রাসনে প্রতিবাদ” করলেও সেটি “সহিংসতা” হিসেবে দেখানো হয়। “শাহিদ” শব্দ, বা “ফিলিস্তিন রেজিস্টেন্স”-এর মতো কিওয়ার্ড পোস্টে থাকলে তা ব্লক করা হয়। 🧑‍💻 ৪. বট ও ট্রল সেনা: ডিজিটাল যুদ্ধের সৈনিক ইসরায়েলি সরকার-সমর্থিত বহু বট ও ট্রল অ্যাকাউন্ট ফেসবুকে সক্রিয় থাকে। এই অ্যাকাউন্টগুলো: প্রোপাগান্ডা ছড়ায়, ইসলামবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিন-বিরোধী কমেন্ট করে, ফিলিস্তিনিদের পেজে রিপোর্ট করে পেজ ডাউন করায়। এই “Digital Hasbara” কার্যক্রমের পেছনে কাজ করে ইসরায়েলের কিছু সরকারি-বেসরকারি সংগঠন। 💸 ৫. বিজ্ঞাপন যুদ্ধ: অর্থ দিয়ে ভাবনা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, মন্ত্রণালয়, এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত ফেসবুকে মিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপন দেয়: নিজস্ব ন্যারেটিভ চালানোর জন্য, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য। এই বিজ্ঞাপনগুলো অনেক সময় এমনভাবে বানানো হয় যেন ফিলিস্তিনিরাই সন্ত্রাসী, আর ইসরায়েল “নিরাপত্তা রক্ষা করছে”। 🏛️ ৬. জাতিসংঘ-স্বীকৃত রিপোর্ট কি বলে? Amnesty International এবং UNHRC একাধিকবার বলেছে যে, ফেসবুক ফিলিস্তিনি কণ্ঠরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। Meta নিজেই স্বীকার করেছে যে গাজা যুদ্ধের সময় "over-enforcement" হয়েছে ফিলিস্তিনি কনটেন্টের ক্ষেত্রে। 🧾 উপসংহার: সত্যের কণ্ঠরোধ, ডিজিটাল ফ্যাসিবাদ? যখন ফেসবুক গর্ব করে বলে “Connecting the World”, তখন আমাদের প্রশ্ন করা উচিত: কাদের কণ্ঠ জুড়ে দিচ্ছে তারা? আর কাদের কণ্ঠ থামিয়ে দিচ্ছে? ইসরায়েল শুধু মাঠে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে না, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ইতিহাস, অধিকার ও কষ্টকেও মুছে দিতে চাইছে। এই ডিজিটাল সন্ত্রাস বন্ধ না হলে ভবিষ্যতের ইতিহাস হবে বিকৃত, পক্ষপাতদুষ্ট ও মানবতা-বিরোধী। 📌 পরিশেষে এক কথায়: > ইসরায়েল ফেসবুকের মালিক নয়, কিন্তু প্রভাবশালী বন্ধু। আর সেই বন্ধুত্বের খেসারত দিচ্ছে ফিলিস্তিন, দিচ্ছে সত্য, দিচ্ছে ন্যায়বোধ।
    Love
    1
    1 Comments 0 Shares 918 Views 0 Reviews
  • ইসরায়েল: একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতীক, নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী

    ইসরায়েল — একটি নাম, কিন্তু একইসঙ্গে একটি রক্তমাখা ইতিহাস, নিপীড়নের প্রতীক এবং নিঃশব্দ গণহত্যার নিরব দর্শক। এ রাষ্ট্রটি আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে 'গণতান্ত্রিক' বলে দাবি করলেও, এর উত্থান, বিস্তার এবং টিকে থাকা রচিত হয়েছে অন্য এক ইতিহাসে— যে ইতিহাস হিংসা, দখল, অপমান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস।

    ক্ষমতার উৎস: সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র আর লবির খেলাঘর

    ইসরায়েলের ক্ষমতার মূল উৎস দুটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে:

    1. যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন
    প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এমনকি জাতিসংঘে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষের কোনো প্রস্তাব ওঠে, তখনও আমেরিকা ভেটো দেয় ইসরায়েলের স্বার্থে। একে যদি আপনি “রাষ্ট্রীয় গডফাদারশিপ” বলেন, ভুল হবে না।

    2. ইহুদি লবি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ
    বিশ্বের বহু প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাজনীতিকদের পেছনে রয়েছে ইহুদি পুঁজির শক্তি। এটাই ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে দণ্ডমুক্তির সুবিধা দেয়। ফিলিস্তিনি শিশু মরলেও শিরোনামে উঠে না, কারণ খবরের ভাষা ও ভঙ্গি নির্ধারণ করে সেই ক্ষমতা।

    ইতিহাসের কালো অধ্যায়: সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা

    ইসরায়েলের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, কিন্তু তার আগেই “ইহুদি সন্ত্রাস” শুরু হয়ে যায়। নিচে তুলে ধরা হলো কিছু স্পষ্ট বর্বরতার অধ্যায়:

    ১. দেয়ির ইয়াসিন গণহত্যা (১৯৪৮)

    ইসরায়েলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইরগুন’ ও ‘লেহি’ মিলে ১০০-র বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। এটিই ছিল “সন্ত্রাস দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের সূচনা”।

    ২. সাবরা ও শাতিলা হত্যাযজ্ঞ (১৯৮২)

    ইসরায়েলি মিত্র লেবাননের ফালাঞ্জিস্ট বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রবেশ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল—তাদের চুপচাপ থাকা ছিল অংশগ্রহণের সমান।

    ৩. গাজা যুদ্ধ (২০০৮, ২০১4, ২০২১ এবং ২০২৩)

    প্রতিবার যুদ্ধের নামে ইসরায়েল হামলা চালায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও জনবসতিতে। ইউএন রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ নিহত ছিল বেসামরিক মানুষ এবং শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। এ যেন এক অঘোষিত শিশু-গণহত্যা।

    নেতানিয়াহু: একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একাধারে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, আবার অন্যদিকে একজন যুদ্ধাপরাধী ও ফ্যাসিবাদী নীতির প্রবক্তা। তাঁর শাসনামলে ইসরায়েল:

    আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে।

    গাজার অবরোধ চালিয়ে একে পৃথিবীর "সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার"-এ পরিণত করে।

    আল-আকসা মসজিদে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

    নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইসরায়েল যেকোনো মূল্যে টিকে থাকবে।” এর মানে হলো, মানবতা, আইন, শিশু, নারী—সবকিছু ধ্বংস করেও যদি প্রভাব বিস্তার করা যায়, সেটাই তাঁর নীতি। আর এটিই একজন “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর” সংজ্ঞা।

    জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের নীরবতা: এক ধরনের সম্মতি?

    কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না? কারণ:

    আমেরিকার ভেটো ক্ষমতা

    ইউরোপের দ্বিমুখী নীতি

    মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি ও নিরবতা

    উপসংহার: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে যাক

    ইসরায়েল কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়। এটি আধুনিক বিশ্বে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে—যেখানে রাষ্ট্র নিজেই বোমা ফেলে, শিশু হত্যা করে, আবার মিথ্যে মিডিয়া দিয়ে নিজেকে "ভিক্টিম" সাজায়।

    বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী। তার বিচার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। কারণ রক্তচক্ষু, পুঁজির জোর আর মিডিয়ার খেলায় সে হাজারো প্রাণ নিয়ে খেলেছে, ইতিহাস যাকে কখনো ক্ষমা করবে না।

    ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ। মানবতা জিন্দাবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমে-স্বরেই হোক প্রতিরোধ।
    ইসরায়েল: একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতীক, নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী ইসরায়েল — একটি নাম, কিন্তু একইসঙ্গে একটি রক্তমাখা ইতিহাস, নিপীড়নের প্রতীক এবং নিঃশব্দ গণহত্যার নিরব দর্শক। এ রাষ্ট্রটি আজকের দিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে 'গণতান্ত্রিক' বলে দাবি করলেও, এর উত্থান, বিস্তার এবং টিকে থাকা রচিত হয়েছে অন্য এক ইতিহাসে— যে ইতিহাস হিংসা, দখল, অপমান ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস। 🔥 ক্ষমতার উৎস: সাম্রাজ্যবাদ, অস্ত্র আর লবির খেলাঘর ইসরায়েলের ক্ষমতার মূল উৎস দুটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে: 1. যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এমনকি জাতিসংঘে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষের কোনো প্রস্তাব ওঠে, তখনও আমেরিকা ভেটো দেয় ইসরায়েলের স্বার্থে। একে যদি আপনি “রাষ্ট্রীয় গডফাদারশিপ” বলেন, ভুল হবে না। 2. ইহুদি লবি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ বিশ্বের বহু প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি রাজনীতিকদের পেছনে রয়েছে ইহুদি পুঁজির শক্তি। এটাই ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিকভাবে দণ্ডমুক্তির সুবিধা দেয়। ফিলিস্তিনি শিশু মরলেও শিরোনামে উঠে না, কারণ খবরের ভাষা ও ভঙ্গি নির্ধারণ করে সেই ক্ষমতা। 📚 ইতিহাসের কালো অধ্যায়: সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা ইসরায়েলের নির্মাণ শুরু হয় ১৯৪৮ সালে, কিন্তু তার আগেই “ইহুদি সন্ত্রাস” শুরু হয়ে যায়। নিচে তুলে ধরা হলো কিছু স্পষ্ট বর্বরতার অধ্যায়: ১. দেয়ির ইয়াসিন গণহত্যা (১৯৪৮) ইসরায়েলি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘ইরগুন’ ও ‘লেহি’ মিলে ১০০-র বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। এটিই ছিল “সন্ত্রাস দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের সূচনা”। ২. সাবরা ও শাতিলা হত্যাযজ্ঞ (১৯৮২) ইসরায়েলি মিত্র লেবাননের ফালাঞ্জিস্ট বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে প্রবেশ করে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। ইসরায়েলি বাহিনী বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল—তাদের চুপচাপ থাকা ছিল অংশগ্রহণের সমান। ৩. গাজা যুদ্ধ (২০০৮, ২০১4, ২০২১ এবং ২০২৩) প্রতিবার যুদ্ধের নামে ইসরায়েল হামলা চালায় স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও জনবসতিতে। ইউএন রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ নিহত ছিল বেসামরিক মানুষ এবং শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক। এ যেন এক অঘোষিত শিশু-গণহত্যা। 😡 নেতানিয়াহু: একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একাধারে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী, আবার অন্যদিকে একজন যুদ্ধাপরাধী ও ফ্যাসিবাদী নীতির প্রবক্তা। তাঁর শাসনামলে ইসরায়েল: আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি এলাকা দখল করে। গাজার অবরোধ চালিয়ে একে পৃথিবীর "সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার"-এ পরিণত করে। আল-আকসা মসজিদে ধারাবাহিক আক্রমণ চালায়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “ইসরায়েল যেকোনো মূল্যে টিকে থাকবে।” এর মানে হলো, মানবতা, আইন, শিশু, নারী—সবকিছু ধ্বংস করেও যদি প্রভাব বিস্তার করা যায়, সেটাই তাঁর নীতি। আর এটিই একজন “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর” সংজ্ঞা। 🔎 জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদের নীরবতা: এক ধরনের সম্মতি? কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে না? কারণ: আমেরিকার ভেটো ক্ষমতা ইউরোপের দ্বিমুখী নীতি মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি ও নিরবতা 🚨 উপসংহার: রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মুখোশ খুলে যাক ইসরায়েল কোনো সাধারণ রাষ্ট্র নয়। এটি আধুনিক বিশ্বে সন্ত্রাসের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে—যেখানে রাষ্ট্র নিজেই বোমা ফেলে, শিশু হত্যা করে, আবার মিথ্যে মিডিয়া দিয়ে নিজেকে "ভিক্টিম" সাজায়। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একজন নির্বাচিত সন্ত্রাসী। তার বিচার হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। কারণ রক্তচক্ষু, পুঁজির জোর আর মিডিয়ার খেলায় সে হাজারো প্রাণ নিয়ে খেলেছে, ইতিহাস যাকে কখনো ক্ষমা করবে না। ✊ ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ। মানবতা জিন্দাবাদ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমে-স্বরেই হোক প্রতিরোধ।
    Like
    2
    0 Comments 0 Shares 1K Views 0 Reviews
  • ইসলাম দেশ ও মানবতার কথা তুলে ধরা হয়
    ইসলাম দেশ ও মানবতার কথা তুলে ধরা হয়
    0 Comments 0 Shares 619 Views 0 Reviews
  • আমেরিকা—একটি স্বাধীন রাষ্ট্র না ইসরায়েলের পদতলে নতজানু পরাশক্তি?
    কলামিস্ট: আব্দুল্লাহ আল মামুন

    বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় কৌতুক হলো এই যে, যারা অন্য দেশের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ বিচারক সেজে ঘুরে বেড়ায়, তারাই নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বর্বরতা, গণহত্যা এবং জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে নীরব থাকে—যদি সেই বর্বরতার পিছনে থাকে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।

    এই কৌতুকের প্রধান চরিত্র আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
    আর মঞ্চপট? ইসরায়েল।

    ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটি যেন মার্কিন প্রশাসনের ওপর আরোপিত কোনো 'ধর্মীয় শত্রুতা ও শ্রেষ্ঠত্ববাদী' গোষ্ঠীর ইচ্ছার বাস্তব রূপ।
    বিশ্ববাসী যখন গাজার ধ্বংসস্তূপে মৃত শিশুদের মুখে রক্তের ছাপ দেখে আঁতকে উঠছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে 'ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার' নিয়ে প্রতিধ্বনি করছেন বার বার।
    কোনোদিন কি একবারও বলেছেন—"ফিলিস্তিনেরও বাঁচার অধিকার আছে"?

    আমেরিকা আজ আর মানবতার পক্ষে নয়, বরং একটি বিশেষ শ্রেণির দালালি করা রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
    সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ডে’ হুঁশিয়ারি দেয় যে দেশ, সেই দেশই যখন গাজায় একের পর এক গণহত্যার ভিডিও, শিশু হত্যার সরাসরি ফুটেজ দেখতে পায়—তখন নিশ্চুপ, নির্বিকার। কেন? কারণ খুনির নাম ইসরায়েল। আর খুনিকে পেছনে থেকে অস্ত্র, ডলার আর ভেটো দিয়ে আগলে রাখে আমেরিকাই।

    মার্কিন কংগ্রেস—ইসরায়েলি প্রভাবের বন্দি?
    বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সংসদ—মার্কিন কংগ্রেস। কিন্তু ইসরায়েলি লবিস্টদের সামনে তাদের অবস্থা যেন পুতুলের মতো।
    AIPAC, JINSA, ZOA—এমন লবিং গ্রুপগুলোর প্রভাবে কংগ্রেসে ইসরায়েলবিরোধী কোনো ন্যায্য প্রস্তাব টিকতেই পারে না।
    একজন কংগ্রেসম্যান যদি একবার বলেন, “ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে”—তাকে সন্ত্রাসবাদী-সমর্থক, ইহুদি-বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে চুপ করানো হয়।

    এটাই কী স্বাধীন মত প্রকাশ?

    যুদ্ধ অর্থনীতি: যেখানে শিশুদের লাশও শুধু পরিসংখ্যান
    আমেরিকা একদিকে বলে—"মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে" আর অন্যদিকে বছরে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পাঠায় সেই ইসরায়েলের হাতে, যে রাষ্ট্র দিনের পর দিন ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়, আর শিশুদের রক্তে মাটি রাঙায়।

    এই সহায়তা আসলে "সহায়তা" না—বরং এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধ অর্থনীতির খেলা।

    জাতিসংঘে ভেটোর অপব্যবহার
    ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে। কিন্তু আমেরিকা আজ এই সংস্থাকে নিজের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে।
    যখনই কোনো দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ন্যায্য দাবি তোলে—আমেরিকা সেখানে ভেটো দিয়ে ইসরায়েলকে রক্ষা করে।
    গণহত্যা চলতে থাকুক—তাতে কিছু যায় আসে না, ইসরায়েল যেন নিরাপদ থাকে, এটিই আমেরিকার আসল নীতি।

    ফিলিস্তিনি শিশুদের কান্না কি আমেরিকার কানে পৌঁছায় না?
    প্রতিটি শিশু হত্যার দৃশ্য আমেরিকার প্রশাসন দেখে—জানে—কিন্তু চুপ থাকে।
    তাদের নৈতিকতা তখন ঘুমিয়ে যায়।
    তাদের নীতিনৈতিকতা তখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বন্দি হয়ে পড়ে।
    তাদের বিবেক তখন তেল, গ্যাস, এবং লবিং ডলারের পায়ের নিচে পিষ্ট হয়।

    আমেরিকার ভণ্ডামি আজ আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
    বিশ্ববাসী বুঝে গেছে—এই রাষ্ট্র ‘গণতন্ত্রের পূজারী’ নয়, বরং ক্ষমতার পূজারী।
    এবং ইসরায়েল সেই ক্ষমতার অন্যতম গোপন শিরোমণি।

    এখন প্রশ্ন হলো—আমেরিকা কি সত্যিই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র?
    নাকি একটি বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর হাতে ‘আধুনিক জিম্মি রাষ্ট্র’?

    মানবতা আজ রক্তাক্ত।
    পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা আজ মানবাধিকারের নামে যে ছদ্মবেশ পরে ঘুরে বেড়ায়—তার মুখোশ খুলে গেছে।

    আমরা এই মুখোশচ্যুত, নৈতিকতা-হীন রাষ্ট্রের নোংরা ইতিহাস লিখে রাখব—তাদের নীরবতা, তাদের পক্ষপাতিত্ব, তাদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে।
    আমেরিকা—একটি স্বাধীন রাষ্ট্র না ইসরায়েলের পদতলে নতজানু পরাশক্তি? কলামিস্ট: আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় কৌতুক হলো এই যে, যারা অন্য দেশের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ বিচারক সেজে ঘুরে বেড়ায়, তারাই নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বর্বরতা, গণহত্যা এবং জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে নীরব থাকে—যদি সেই বর্বরতার পিছনে থাকে তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা। এই কৌতুকের প্রধান চরিত্র আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর মঞ্চপট? ইসরায়েল। ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটি যেন মার্কিন প্রশাসনের ওপর আরোপিত কোনো 'ধর্মীয় শত্রুতা ও শ্রেষ্ঠত্ববাদী' গোষ্ঠীর ইচ্ছার বাস্তব রূপ। বিশ্ববাসী যখন গাজার ধ্বংসস্তূপে মৃত শিশুদের মুখে রক্তের ছাপ দেখে আঁতকে উঠছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে 'ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার' নিয়ে প্রতিধ্বনি করছেন বার বার। কোনোদিন কি একবারও বলেছেন—"ফিলিস্তিনেরও বাঁচার অধিকার আছে"? আমেরিকা আজ আর মানবতার পক্ষে নয়, বরং একটি বিশেষ শ্রেণির দালালি করা রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়েছে। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ‘খাশোগি হত্যাকাণ্ডে’ হুঁশিয়ারি দেয় যে দেশ, সেই দেশই যখন গাজায় একের পর এক গণহত্যার ভিডিও, শিশু হত্যার সরাসরি ফুটেজ দেখতে পায়—তখন নিশ্চুপ, নির্বিকার। কেন? কারণ খুনির নাম ইসরায়েল। আর খুনিকে পেছনে থেকে অস্ত্র, ডলার আর ভেটো দিয়ে আগলে রাখে আমেরিকাই। মার্কিন কংগ্রেস—ইসরায়েলি প্রভাবের বন্দি? বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সংসদ—মার্কিন কংগ্রেস। কিন্তু ইসরায়েলি লবিস্টদের সামনে তাদের অবস্থা যেন পুতুলের মতো। AIPAC, JINSA, ZOA—এমন লবিং গ্রুপগুলোর প্রভাবে কংগ্রেসে ইসরায়েলবিরোধী কোনো ন্যায্য প্রস্তাব টিকতেই পারে না। একজন কংগ্রেসম্যান যদি একবার বলেন, “ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করছে”—তাকে সন্ত্রাসবাদী-সমর্থক, ইহুদি-বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে চুপ করানো হয়। এটাই কী স্বাধীন মত প্রকাশ? যুদ্ধ অর্থনীতি: যেখানে শিশুদের লাশও শুধু পরিসংখ্যান আমেরিকা একদিকে বলে—"মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে" আর অন্যদিকে বছরে ৩.৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পাঠায় সেই ইসরায়েলের হাতে, যে রাষ্ট্র দিনের পর দিন ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়, আর শিশুদের রক্তে মাটি রাঙায়। এই সহায়তা আসলে "সহায়তা" না—বরং এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধ অর্থনীতির খেলা। জাতিসংঘে ভেটোর অপব্যবহার ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে। কিন্তু আমেরিকা আজ এই সংস্থাকে নিজের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে। যখনই কোনো দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ন্যায্য দাবি তোলে—আমেরিকা সেখানে ভেটো দিয়ে ইসরায়েলকে রক্ষা করে। গণহত্যা চলতে থাকুক—তাতে কিছু যায় আসে না, ইসরায়েল যেন নিরাপদ থাকে, এটিই আমেরিকার আসল নীতি। ফিলিস্তিনি শিশুদের কান্না কি আমেরিকার কানে পৌঁছায় না? প্রতিটি শিশু হত্যার দৃশ্য আমেরিকার প্রশাসন দেখে—জানে—কিন্তু চুপ থাকে। তাদের নৈতিকতা তখন ঘুমিয়ে যায়। তাদের নীতিনৈতিকতা তখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বন্দি হয়ে পড়ে। তাদের বিবেক তখন তেল, গ্যাস, এবং লবিং ডলারের পায়ের নিচে পিষ্ট হয়। আমেরিকার ভণ্ডামি আজ আর লুকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিশ্ববাসী বুঝে গেছে—এই রাষ্ট্র ‘গণতন্ত্রের পূজারী’ নয়, বরং ক্ষমতার পূজারী। এবং ইসরায়েল সেই ক্ষমতার অন্যতম গোপন শিরোমণি। এখন প্রশ্ন হলো—আমেরিকা কি সত্যিই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র? নাকি একটি বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর হাতে ‘আধুনিক জিম্মি রাষ্ট্র’? মানবতা আজ রক্তাক্ত। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা আজ মানবাধিকারের নামে যে ছদ্মবেশ পরে ঘুরে বেড়ায়—তার মুখোশ খুলে গেছে। আমরা এই মুখোশচ্যুত, নৈতিকতা-হীন রাষ্ট্রের নোংরা ইতিহাস লিখে রাখব—তাদের নীরবতা, তাদের পক্ষপাতিত্ব, তাদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে।
    0 Comments 0 Shares 451 Views 0 Reviews
  • ১৯৪৮ সালে রাতের আঁধারে যে রাষ্ট্রটি জন্ম নিয়েছিল, তার জন্ম কেবল একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য নয়—একটি জাতির সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার জন্য। ইতিহাস, আন্তর্জাতিক আইন, ধর্ম, মানবতা—সব কিছুকে চূর্ণ করে গঠিত সেই রাষ্ট্রটির নাম ইসরায়েল। আজ, ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে, আমরা যখন এই রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড দেখি, তখন এর প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা এক ধরনের আত্মপ্রতারণা।

    ইতিহাসের পাতায় কারা ছিল আসল বাসিন্দা?

    ইসরায়েলের দাবিকৃত ভূমি, আজকের ফিলিস্তিন, হাজার বছরের ইতিহাসে বহু জাতি ও ধর্মের মানুষ দ্বারা শাসিত হয়েছে। তবে ইসলামী খিলাফত ও অটোমান শাসনামলে দীর্ঘ সময় ধরে এটি ছিল মুসলিম ও খ্রিস্টান আরবদের ভূমি। তারা এখানে জন্মেছে, বড় হয়েছে, দাফন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাইরের থেকে আসা ইউরোপীয় ইহুদিদের একটি গোষ্ঠী এই জমির ওপর ধর্মীয় দাবিতে রাষ্ট্র দাবি করে।

    ইহুদি জাতির ধর্মগ্রন্থ "তোরাহ"-এর উপর ভর করে তাদের দাবিকে বৈধতা দিতে চেয়েছে জায়োনিস্টরা, অথচ তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী সেই জমিতে অনুপস্থিত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে যখন জাতিসংঘ "দুই রাষ্ট্র সমাধান" দেয়, ততক্ষণে ইহুদিরা কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে সেই ভূমির বড় অংশ দখলে নিতে শুরু করেছে।

    উচ্ছেদ, গণহত্যা ও নিধনের একান্ত ইতিহাস

    ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরে প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় দমনপীড়ন, বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া, কৃষিজমি দখল, জল-বিদ্যুৎ-চিকিৎসা অবরোধ।

    ২০০৮ থেকে ২০২4 পর্যন্ত গাজার উপরে ইসরায়েল ৫টি বড় মাপের হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৩-২৪ এর যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের নৃশংসতম অধ্যায়। শুধুমাত্র এই যুদ্ধেই ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। শিশুর মুখে অক্সিজেনের পাইপ, ধ্বংসস্তূপে কাটা হাত-পা, মাটির নিচে চাপা পড়া পরিবার—এগুলো কেবল ট্র্যাজেডি নয়, বর্বরতা।

    আন্তর্জাতিক নীরবতা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখিতা

    ইসরায়েলের বর্বরতা আন্তর্জাতিকভাবে বারবার নিন্দিত হলেও, সেই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আজও দেখা যায়নি। এর কারণ—ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় তারা। কেন?

    ১. যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি (AIPAC)-এর ব্যাপক প্রভাব। ২. মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগত প্রয়াস। ৩. মুসলিম বিশ্বের ঐক্যহীনতা ও পরনির্ভরতা।

    ইসরায়েল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার নামে যেসব অপরাধ করে আসছে, সেগুলো এককথায় যুদ্ধাপরাধ। স্কুল, হাসপাতাল, সংবাদ অফিস বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয়া কেবল "আত্মরক্ষা" হতে পারে না। এই একই যুক্তিতে যদি ফিলিস্তিন প্রতিরোধ করে, তখন তাদের বলা হয় "সন্ত্রাসী"।

    ধর্মের নামে রাজনীতি, মানবতার নামে ধোঁকা

    ইসরায়েলের অস্তিত্ব ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি, অথচ তাদের দমননীতির শিকার অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসলমান ও খ্রিস্টান। ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম বা ইহুদি ধর্ম—কোনোটিই শিশু হত্যা, বাড়ি ধ্বংস, খাদ্য অবরোধ সমর্থন করে না। তাই বোঝা যায়, ইসরায়েল ধর্ম নয়, শক্তি ও আধিপত্য-কে কেন্দ্র করে কাজ করছে।

    কীভাবে সাংবাদিকতা ও নৈতিকতার চোখে দেখা উচিত?

    একজন সাংবাদিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ থেকে সত্য তুলে ধরা। কিন্তু যখন একটি পক্ষ নিরন্তর মিথ্যা প্রচার করে, সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা তখন দাঁড়ায় অন্যায়ের পক্ষে মৌন সমর্থনের সমান।

    ইসরায়েল যদি সত্যিই আত্মরক্ষা করতো, তাহলে:

    কেন তারা ফিলিস্তিনিদের খাবার-পানি বন্ধ করে?

    কেন শিশুর মাথায় বুলেট বসায়?

    কেন তারা সারা বিশ্বের মুসলিমদের ইবাদতের স্থান আল-আকসায় আক্রমণ করে?


    এই প্রশ্নগুলো আজও বেহিসেবি।

    উপসংহার: সময় এসেছে মুখোশ খোলার

    ইসরায়েল এক ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। এটি একটি দখলদার রাষ্ট্র, একটি দমননীতি নির্ভর শাসনব্যবস্থা, একটি জাতিগত নিধনের নাম। এর পক্ষে দাঁড়ানো মানে মানবতা, সাংবাদিকতা, ইতিহাস ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।

    আজ, সময় এসেছে জাতিসংঘ, ওআইসি, মুসলিম বিশ্ব, এমনকি মানবতা নির্ভর প্রতিটি মানুষ যেন জেগে ওঠে। ইসরায়েলকে আর ধোঁকার ছায়ায় ছাড় দেয়া যাবে না। সাংবাদিকতা যদি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চায়, তাহলে প্রথম শব্দটি হোক—"দখলদার ইসরায়েল, মানবতার কলঙ্ক।"

    লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    ১৯৪৮ সালে রাতের আঁধারে যে রাষ্ট্রটি জন্ম নিয়েছিল, তার জন্ম কেবল একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য নয়—একটি জাতির সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার জন্য। ইতিহাস, আন্তর্জাতিক আইন, ধর্ম, মানবতা—সব কিছুকে চূর্ণ করে গঠিত সেই রাষ্ট্রটির নাম ইসরায়েল। আজ, ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে, আমরা যখন এই রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড দেখি, তখন এর প্রতি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা এক ধরনের আত্মপ্রতারণা। ইতিহাসের পাতায় কারা ছিল আসল বাসিন্দা? ইসরায়েলের দাবিকৃত ভূমি, আজকের ফিলিস্তিন, হাজার বছরের ইতিহাসে বহু জাতি ও ধর্মের মানুষ দ্বারা শাসিত হয়েছে। তবে ইসলামী খিলাফত ও অটোমান শাসনামলে দীর্ঘ সময় ধরে এটি ছিল মুসলিম ও খ্রিস্টান আরবদের ভূমি। তারা এখানে জন্মেছে, বড় হয়েছে, দাফন হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাইরের থেকে আসা ইউরোপীয় ইহুদিদের একটি গোষ্ঠী এই জমির ওপর ধর্মীয় দাবিতে রাষ্ট্র দাবি করে। ইহুদি জাতির ধর্মগ্রন্থ "তোরাহ"-এর উপর ভর করে তাদের দাবিকে বৈধতা দিতে চেয়েছে জায়োনিস্টরা, অথচ তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী সেই জমিতে অনুপস্থিত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালে যখন জাতিসংঘ "দুই রাষ্ট্র সমাধান" দেয়, ততক্ষণে ইহুদিরা কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে সেই ভূমির বড় অংশ দখলে নিতে শুরু করেছে। উচ্ছেদ, গণহত্যা ও নিধনের একান্ত ইতিহাস ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরে প্রায় ৮ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় দমনপীড়ন, বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়া, কৃষিজমি দখল, জল-বিদ্যুৎ-চিকিৎসা অবরোধ। ২০০৮ থেকে ২০২4 পর্যন্ত গাজার উপরে ইসরায়েল ৫টি বড় মাপের হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৩-২৪ এর যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের নৃশংসতম অধ্যায়। শুধুমাত্র এই যুদ্ধেই ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। শিশুর মুখে অক্সিজেনের পাইপ, ধ্বংসস্তূপে কাটা হাত-পা, মাটির নিচে চাপা পড়া পরিবার—এগুলো কেবল ট্র্যাজেডি নয়, বর্বরতা। আন্তর্জাতিক নীরবতা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখিতা ইসরায়েলের বর্বরতা আন্তর্জাতিকভাবে বারবার নিন্দিত হলেও, সেই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ আজও দেখা যায়নি। এর কারণ—ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র। বছরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় তারা। কেন? ১. যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি (AIPAC)-এর ব্যাপক প্রভাব। ২. মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণের কৌশলগত প্রয়াস। ৩. মুসলিম বিশ্বের ঐক্যহীনতা ও পরনির্ভরতা। ইসরায়েল নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার নামে যেসব অপরাধ করে আসছে, সেগুলো এককথায় যুদ্ধাপরাধ। স্কুল, হাসপাতাল, সংবাদ অফিস বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দেয়া কেবল "আত্মরক্ষা" হতে পারে না। এই একই যুক্তিতে যদি ফিলিস্তিন প্রতিরোধ করে, তখন তাদের বলা হয় "সন্ত্রাসী"। ধর্মের নামে রাজনীতি, মানবতার নামে ধোঁকা ইসরায়েলের অস্তিত্ব ধর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি, অথচ তাদের দমননীতির শিকার অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মুসলমান ও খ্রিস্টান। ইসলাম, খ্রিস্টধর্ম বা ইহুদি ধর্ম—কোনোটিই শিশু হত্যা, বাড়ি ধ্বংস, খাদ্য অবরোধ সমর্থন করে না। তাই বোঝা যায়, ইসরায়েল ধর্ম নয়, শক্তি ও আধিপত্য-কে কেন্দ্র করে কাজ করছে। কীভাবে সাংবাদিকতা ও নৈতিকতার চোখে দেখা উচিত? একজন সাংবাদিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো নিরপেক্ষ থেকে সত্য তুলে ধরা। কিন্তু যখন একটি পক্ষ নিরন্তর মিথ্যা প্রচার করে, সাংবাদিকতার নিরপেক্ষতা তখন দাঁড়ায় অন্যায়ের পক্ষে মৌন সমর্থনের সমান। ইসরায়েল যদি সত্যিই আত্মরক্ষা করতো, তাহলে: কেন তারা ফিলিস্তিনিদের খাবার-পানি বন্ধ করে? কেন শিশুর মাথায় বুলেট বসায়? কেন তারা সারা বিশ্বের মুসলিমদের ইবাদতের স্থান আল-আকসায় আক্রমণ করে? এই প্রশ্নগুলো আজও বেহিসেবি। উপসংহার: সময় এসেছে মুখোশ খোলার ইসরায়েল এক ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। এটি একটি দখলদার রাষ্ট্র, একটি দমননীতি নির্ভর শাসনব্যবস্থা, একটি জাতিগত নিধনের নাম। এর পক্ষে দাঁড়ানো মানে মানবতা, সাংবাদিকতা, ইতিহাস ও ন্যায়বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। আজ, সময় এসেছে জাতিসংঘ, ওআইসি, মুসলিম বিশ্ব, এমনকি মানবতা নির্ভর প্রতিটি মানুষ যেন জেগে ওঠে। ইসরায়েলকে আর ধোঁকার ছায়ায় ছাড় দেয়া যাবে না। সাংবাদিকতা যদি সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চায়, তাহলে প্রথম শব্দটি হোক—"দখলদার ইসরায়েল, মানবতার কলঙ্ক।" লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন
    Like
    Love
    2
    0 Comments 0 Shares 927 Views 0 Reviews
Eidok App https://eidok.com